অনলাইন ডেস্ক :
অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, আপনাদের দাবির সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি—একটা ডিসিপ্লিন আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটাকে কার্যকর করা দরকার।
আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অনলাইন নিউজপোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) বলছেন, নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার যে নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং আপনারাই বলছেন কিছুটা দরকার ডিসিপ্লিনের (শৃঙ্খলা) জন্য। অর্থাৎ নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাইরেও অনেকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন। এখানে গণমাধ্যম এতটাই মুক্ত, উন্মুক্ত এবং স্বাধীন যে, নিবন্ধন ছাড়াও চলতে পারে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাগত সাংবাদিকরাই বলছেন—এটা করা দরকার।
তিনি বলেন, আমরা এগুলো করি না। যেটা প্রমাণ করে—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে, একইসাথে আমি মনে করি, এটা মুক্ত না, উন্মুক্ত। স্বাধীনতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা লিমিটলেস (সীমাহীন)। যে কারণে কিছুটা ডিসিপ্লিনের অভাবও হয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আবারও বলব, নিয়ন্ত্রণ কিংবা নজরদারির প্রশ্ন আসে না। আমরা এগুলোর পক্ষে না, আমরা করতে চাই না। আমরা এগুলোতে বিশ্বাস করি না। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। যারা নিবন্ধিত, তাদের কিছুটা প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়ার দরকার আছে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রমোট (এগিয়ে) করার জন্য। আর অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে অনেক চটকদার, অসত্য, মানহানিকর ও ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন হয়। এটা একটা ভালো দিক—সাংবাদিক মহলই চাচ্ছেন একটি শৃঙ্খল ডিসিপ্লিনযুক্ত সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে আপনাদের সাথে একমত।
তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ও সব ধরনের নজরদারির বাইরে আমরা এখানে প্রমোট করতে চাই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের এখন ৪২৬টি নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল আছে। এরমধ্যে ২১৩টির মূলধারার গণমাধ্যম আছে—ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। আর ২১৩টি কেবল অনলাইন নিউজপোর্টাল। আরও কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন কেউ অনলাইন নিউজপোর্টাল নিয়ে আসতে চাইলে তাদের নিজেদের প্রমাণ করার সময় দেওয়া দরকার। আর যারা অনিবন্ধিত, আমি মনে করি, অবৈধভাবে কোনো কিছু সঠিক না, তারা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না। সেগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব। আর এটা আপনাদের (সাংবাদিক) দাবি। আমি কিন্তু বলছি না। কাজেই আমি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি। আমি চাই না, সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি ঘোষণা দিলাম যে, অনিবন্ধিত অনলাইন বন্ধ করে দেব, কালকে হেডলাইন করে পরের দিন আলাপ হবে, সরকার তো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরছে। সেটা আমি চাই না।
এ সময়ে ওনাব সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, সহ-সভাপতি লতিফুল বারী হামিম ও সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম মিঠু, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল বাসার, হামিদ মো. জসিম, মহসিন হোসেন, অয়ন আহমেদ, খোকন কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পদত্যাগের পর দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ প্রধান ও উৎখাত হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
মামলার পরবর্তী তারিখ ১৮ নভেম্বর রেখে এই সময়ের মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে।
গত ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর প্রথমবারে মতো বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ শুরু হয়। এদিন বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে কোর্টের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর চিফ প্রসিকিউটর মামলার আবেদন পড়ে শোনান।
এ সময় সংবিধানের বিভিন্ন সংশোধনী, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে গুম, খুন, তথ্য প্রযুক্তি আইনে হওয়া মামলার পরিসংখ্যান, অর্থ পাচারের পরিসংখ্যান এবং সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনে বল প্রয়োগের তথ্য তুলে ধরেন।
চিফ প্রসিকউটর আদালতে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে তদন্তে গণহত্যার প্রাথমিক অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি প্রভাবশালী। এখনো দেশের বিভিন্নস্থানে আসামির লোকজন বিভিন্ন পজিশনে আছে। তাই আলামত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া মামলার তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করছি।
এক পর্যায়ে আদালত জানতে চান, রাষ্ট্রীয়ভাবে আসামির অবস্থান জানেন কিনা। জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, না।
তারপর আদালত চিফ প্রসিকিউটরের আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আর ১৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ রেখে এই সময়ের মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির করেত বলেন।
পরে তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করে এই আদালতে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পক্ষ থেকে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে আহত হয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখে নিহতরা এর আওতায় থাকবে। ঘটনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে।
অপরাধের ধরণে উল্লেখ করা হয়েছে, এক থেকে নয় নম্বর আসামির নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশিয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাদের হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অপরাধ।
গণহত্যার অভিযোগে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ১৪ দলীয় জোটের শরীক দলের নেতৃবৃন্দ, পুলিশের তৎকালীন আইজিসহ বেশ কয়েকজন সদস্য, র্যাবের তৎকালীন ডিজি, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে।
স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১) চলছে বিচারকাজ।
গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের কিছুদিন পরেই ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান অবসরে যান। আর এক সদস্যকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। অপর সদস্য অব্যাহতি নেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া প্রসিকিউটররা পদত্যাগ করেন।
পরবর্তীতে গত ৫ সেপ্টেম্বর চিফ প্রসিকিউটরসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ।
এদিকে গত ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপর ১৫ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে যোগ দেন তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল। ১৬ অক্টোবর তাদেরকে এজলাসে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আর প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার বিচার কার্যক্রম শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফে উনছিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তিনজন আরএসও সদস্যকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটারগান (এলজি) ও ১৪৬ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
১৬ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ হাসান বারী নূর জানান, সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিওিতে হোয়াইক্যংয়ের উনচিপ্রাং ক্যাম্প- ২২ এর সি/৫ ব্লক সংলগ্ন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাহাড়ের ঢালে অবস্থানকালীন অবস্থায় ৩ জন রোহিঙ্গাকে ৩টি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার বন্ধুক (এলজি) ও ১৪৬ রাউন্ড তাজা গুলিসহ আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছেন উনছিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি/৫ ব্লকের (ঘর নং- ৭৫৩, এফসিএন : ৪০৪৬৫১) মনির আহমদের ছেলে কামাল হোসেন (২৭), ব্লক সি/২ এর (ঘর নং – ৩৪০, এফসিএন : ২৪৯১৪৯) আব্দুর শুক্কুরের ছেলে অজিউর রহমান (১৮) ও বি/৪ ব্লকের (এফসিএন :২৪৫৬৮৪) তাজিমুল্লার ছেলে মুজিবুর (১৭)। তারা তিনজনই (RSO) রোহিঙ্গা স্যালভেশন অর্গানাইজেশন এর সক্রিয় সদস্য এবং ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
এদিকে স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তরা ক্যাম্পে ও গ্রামে স্থানীয়দেরকে বিভিন্ন সময় অপহরণ, ডাকাতি এবং খুনসহ নানা অপরাধ সংঘটিত করে আসছে। এতে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও অপহরণ আতংকে দিনাতিপাত করছে। ওদের উৎপাত ও তৎপরতা কমাতে পাহাড়ে ও ক্যাম্পে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার আহবান জানান স্থানীয় সচেতন মহল।
চলারপথে ডেস্ক :
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ২৯ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
আজ ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন হাইকোর্ট।
আদালতে বজলুর রশীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও আইনজীবী মাসহুদুল হক। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।
গত বছরের ৩ নভেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২ নভেম্বর বজলুর রশীদ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন। পাশাপাশি জামিনের আবেদন করেন তিনি।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এ ছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী শুক্রবার (২৮ জুলাই)।
আজ ১৯ জুলাই বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
তিনি জানান, আগামী ২৮ জুলাই এসএসসি ও সমমান ফল প্রকাশ করা হবে। এদিন ফল প্রকাশে সম্মতি মিলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
গত ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। শেষ হয় ২৮ মে। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। গতবারের চেয়ে এবার ৫০ হাজার ২৯৫ জন পরীক্ষার্থী বেশি।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তিনি ২০১১ সালে উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই বিভিন্ন হত্যা ও হামলার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন।