অনলাইন ডেস্ক :
১৩০ দিন পর আজ খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এবার মসজিদের ৯টি দানবাক্স বা সিন্দুকে পাওয়া গেছে ২৭ বস্তা টাকা।
আজ ২০ এপ্রিল শনিবার সকাল ৮টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মসজিদের ৯টি সিন্দুক খোলা হয়। এরপর টাকাগুলো বস্তাবন্দি করে নেওয়া হয় মসজিদের দোতলায়।
টাকাগুলো ভরতে ২৭টি বস্তার প্রয়োজন হয়। পুরো কাজে তত্ত্বাবধান করছেন জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট।
এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল মসজিদের সিন্দুকগুলো। তখন পাওয়া গিয়েছিল ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা।
এবার দানের পরিমাণ সেই টাকাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত বছরের ১৯ আগস্ট মসজিদের সিন্দুকে পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তারও আগে ৬ মে মসজিদের সিন্দুকে মিলেছিল পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ সাত হাজার ৬৮৯ টাকা। জানুয়ারি মাসেও পাওয়া যায় চার কোটিরও বেশি টাকা।
স্থানীয়রা জানান, এ মসজিদের দানবাক্স খুললেই পাওয়া যায় কয়েক কোটি টাকা। এ কারণে মসজিদের দানবাক্সে কী পরিমাণ টাকা পাওয়া গেল, তা নিয়ে লোকজনের থাকে অনেক কৌতূহল। তাই গণনা শেষে জানিয়ে দেওয়া হয় টাকার অঙ্ক।
তবে স্থানীয়রা অনেকে বলেছেন, স্বচ্ছতার স্বার্থে আয়ের পাশাপাশি মসজিদের টাকা-পয়সা ব্যয়ের হিসাবটাও জনসম্মুখে নিয়মিত প্রকাশ করা উচিত। ইদানীং মসজিদে দানের প্রবাহ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
স্থানীয়রা জানান, মুসলমানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন এ মসজিদে দান করে। এখানে দান করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে তারা ছুটে আসে পাগলা মসজিদে। দান করে মোটা অঙ্কের টাকা। তবে এ মসজিদের দানবাক্সে যে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়, তা জেলার আর কোনো মসজিদে মেলে না। টাকার সঙ্গে সোনা-রুপার অলঙ্কারসহ থাকে বিদেশি মুদ্রাও। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, ফলফলাদি, মোমবাতি ও ধর্মীয় বই দান করে লোকজন।
তা ছাড়া আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় দানবাক্সে পাওয়া চিঠিপত্র। এসব চিঠিতে লোকজন তাদের জীবনে পাওয়ার আনন্দ, না-পাওয়ার বেদনা, আয়-উন্নতির ফরিয়াদ, চাকরির প্রত্যাশা, পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের আশা ও রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে আকুতি প্রকাশ করে। এমনকি শত্রুকে ঘায়েলের দাবিও থাকে কোনো কোনো চিঠিতে।
দানবাক্স বা সিন্দুক খোলার সময় মসজিদে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বড় দল টাকা-পয়সা গণনার তত্ত্বাবধান করে থাকেন।
সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিন্দুকের টাকা-পয়সা বস্তাবন্দি করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন। পরে বস্তাগুলো ধরাধরি করে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমাণ গণনাকারীদের সামনে ঢেলে দেওয়া হয় টাকাগুলো। এভাবেই শুরু হয় গণনার কাজ।
পাগলা মসজিদের টাকা জমা হয় রূপালী ব্যাংকে। তাই এই ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদের কর্মচারী ও কমিটির লোকজন, মাদরাসার ছাত্রসহ সব মিলিয়ে দুই শতাধিক লোক সারা দিন টাকাগুলো গুনবে।
মসজিদ পরিচালনা, এর অর্থ-সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় ২৯ সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে জেলা প্রশাসক ও কিশোরগঞ্জ পৌর মেয়র।
জানা গেছে, মসজিদের দানের টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত থাকে। আর ওই টাকার লভ্যাংশ থেকে গরিব অসহায় লোকদের আর্থিক সহায়তা, ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের আর্থিকভাবে অনুদান দিয়ে মসজিদটি আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুদান দেওয়া হয় মসজিদের তহবিল থেকে। এইসব সেবামূলক কর্মকাণ্ড সারা বছরই করে থাকে পাগলা মসজিদ।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানায়, শুধু মুসলমান নয়, অন্য ধর্মের লোকজনও পাগলা মসজিদে বিপুল অঙ্কের টাকা-পয়সা দান করে। সব সম্প্রদায়ের মানুষ পাগলা মসজিদ পরিদর্শনে আসে। যা প্রকৃতপক্ষে অসাম্প্রদায়িকতার বিরল এক দৃষ্টান্ত।
মসজিদের সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দানের টাকায় মসজিদের বড়সড় উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। মসজিদ ঘিরে এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি দৃষ্টিনন্দন বহুতল ইসলামী কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। সমৃদ্ধ লাইব্রেরিসহ থাকবে আরো বিভিন্ন আয়োজন। এ প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শেষের পথে। এখন সব কিছু গুছিয়ে আনা হচ্ছে। খুব শিগগিরই হয়তো কাজে হাত দিতে পারব আমরা।
কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদ গড়ে উঠেছিল। সময়ের সঙ্গে আজ পাগলা মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে খ্যাতিও।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন জেলা জজরা। পাশাপাশি প্রয়োজন মনে করলে সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজদেরও সরকার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে নিস্পত্তির জন্য বিচারক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে। এমন বিধান যুক্ত করে ১৯৫০ সালের স্টেট অ্যাকুইজেশন অ্যান্ড ট্যানেন্সি অ্যাক্ট (রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন) সংশোধনরে প্রস্তাব উঠেছে সংসদে। বুধবার সংসদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত ‘স্টেট অ্যাকুইজেশন অ্যান্ড ট্যানেন্সি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
নতুন এই সংশোধনী পাস হলে ভূমি জরিপ সংক্রান্ত মামলা নিস্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতা কাটবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করছেন।
বিদ্যমান আইনে বলা আছে, ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন যুগ্ম জেলা জজেরা। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার এই বিচারক নিয়োগ দেবে। এই বিধানের সঙ্গে নতুন ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এভাবে বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সরকার যুগ্ম জেলা জজদের ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজের ক্ষমতা দিতে পারবে। এছাড়া ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনাল থেকে স্থানান্তর করা মামলা নিস্পত্তির জন্য এক বা একাধিক সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে সরকার নিয়োগ দিতে পারবে।
বিদ্যমান আইনে বলা আছে, ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এই আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি।
আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘২০০৪ সালে আইন সংশোধন করে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান করা হয়। ওই বিধানে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে জেলার যুগ্ম জেলা জজদের মধ্য থেকে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক অথবা সাবেক বিচারকদের মধ্য থেকে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগের বিধান করা হয়। পরবর্তীতে মামলার সংখ্যার তুলনায় ট্রাইব্যুনাল কম হওয়ায় মামলা নিস্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগে সমস্যার কারণে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন না হওয়ায় জনগণের বিচার প্রাপ্তি বিঘ্নিত হয়। মামলা নিস্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা দূরীকরণ এবং যথাসময়ে জনগণের বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতমাত নিয়ে আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
পারিবারিক আদালত বিল
পারিবারিক আদালত আইনের অধীনে বিচারিক আদালতে হওয়া মামলার রায়ের বিরুদ্ধে জেলা জজ মর্যাদার অন্যান্য আদালতেও আপিল করা যাবে। এছাড়া পারিবারিক আদালতের মামলার কোর্ট ফি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকার প্রস্তাব করে সংসদে একটি বিল উঠেছে। ‘পারিবারিক আদালত বিল, ২০২৩’ শিরোনামে বিলটি উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
গত বছরের ৩ জুলাই বিলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় ফ্যামিলি কোর্টস অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫ বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে।
আগের আইনে বিচারিক আদালতে হওয়া এ সংক্রান্ত মামলার আপিল শুধু জেলা জজের আদালতে করার সুযোগ ছিল। এতে জেলা জজের ওপর মামলা শুনানির চাপ বাড়ছিল। মামলার চাপ কমাতেই আইনে এই সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, জেলা পর্যায়ে আরও জজ আছেন, নারী-শিশু বা শ্রম আদালত। সরকার গেজেট জারি করে কোনো জেলাতে আপিলের জন্য অতিরিক্ত মামলা আছে, সেক্ষেত্রে জেলা জজ পর্যায়ের অন্যান্য যে জজরা রয়েছেন, তাদেরও আপিল আদালত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।
উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, এই আদালতে মামলার কোর্ট ফি বর্তমানে ৫০ টাকা রয়েছে। সেটা বাড়িয়ে ২০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দাম্পত্য কলহ, তালাক, বিয়ে এবং শিশুদের ভরণপোষণের বিষয়গুলো রয়েছে।
এটুআই নামে নতুন সংস্থা করতে সংসদে বিল
পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত করা এবং নাগরিকের জীবনমানে সৃষ্ট সেবা অধিকতর কার্যকর ও টেকসই করার জন্য এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) নামে একটি নতুন সংস্থা করা হচ্ছে। এজন্য এজেন্সি টু ইনোভেট বিল ২০২৩ জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। মূলত বর্তমান ‘এসপায়ার টু ইনোভেট’এর প্রতিস্থাপক হিসেবে স্থায়ী কাঠামো হবে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট’। বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি সংসদে তোলেন।
বিলে বলা হয়েছে, এই আইন কার্যকর হওয়ার পর সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে এটুআই নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করবে। এজেন্সি হবে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এই সংস্থার ১৫ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী হবেন এর সভাপতি।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “ডিজিটাল প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার উদ্ভাবন ও উন্নয়ন, উদ্ভাবনী সংস্কৃতির বিকাশ, পাবলিক সার্ভিসের ইনক্লুসিভ ডিজিটাইজেশন ত্বরান্বিতকরণ, জ্ঞানভিত্তিক সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা, জনগণের দোরগোড়ায় বিভিন্ন ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালযে়র অধীন ‘একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ প্রকল্প এবং বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ‘এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)’ প্রকল্প নামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও দপ্তর/সংস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সেবা প্রদানসহ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, ই-নথি, ডি-নথি, শিক্ষক বাতায়ন ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, জাতীয় তথ্য বাতায়ন, জাতীয় কলসেন্টার- ৩৩৩ ইত্যাদির মাধ্যমে স্বল্প সমযে় ও স্বল্প ব্যযে় উন্নত সেবা প্রদানে ‘এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)’ মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিতকরণ এবং নাগরিকের জীবনমানে সৃষ্ট সেবা অধিকতর কার্যকর ও টেকসই করার জন্য ‘এসপায়ার টু ইনোভেট’র প্রতিস্থাপকরূপে স্থায়ী কাঠামো হিসেবে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই)’ নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করা এই আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নকে প্রকারান্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’র পুনর্জাগরণ বলা যেতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) আইন-২০২৩ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা বিএনপি নেতাদের হিপোক্রেসি বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৩১ মার্চ রবিবার রাজধানীর পূর্ত ভবনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপির একজন নেতা গায়ের চাদর খুলে ফেলেছেন, কিন্তু উনি ভারতীয় কিসমিস, জিরা, এলাচ, দারুচিনি, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য ঠিকই ব্যবহার করছেন এবং করবেন। তাহলে জনসমক্ষে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা হিপোক্রেসি ছাড়া আর কি হতে পারে।’
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক একটি বিশেষ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কখনো সম্মুখ সমরে যাননি, তিনি মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনায়ও বিশ্বাস করতেন না। শোষণহীন, বৈষম্যহীন, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে প্রত্যয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল জিয়াউর রহমান তার কোনোটিতেই বিশ্বাস স্থাপন করেননি। তিনি তার মন্ত্রিসভায় এমন লোকদের স্থান দিয়েছিলেন যারা ভারতে গিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য, যারা জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওকালতি করতে গিয়েছিলেন এমন লোকদেরকে।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এবং হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দুজনেই স্বৈরশাসক ছিলেন।
অনেকেই জিয়াউর রহমান ও এরশাদকে এক পাল্লায় মাপতে চান না। এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা। জিয়াউর রহমান জীবনে একটা ভালো কাজও করেননি। অনেকে বলে থাকেন জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক।
কিন্তু এটাও সঠিক না। জিয়াউর রহমান নিছক একজন স্বৈরশাসক ছিলেন। পক্ষান্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায?িক চেতনায় বিশ্বাস করতেন বলে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন।’
স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যে বিতর্কের অবতারণা অনেকে করতে চান তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনে নির্ধারিত হয়েছে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার অধিকার কার। বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার ঘোষক এ নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই।’
বর্তমান বাজার ব্যবস্থা এবং দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, যাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই, যারা একাত্তরের শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চায়, এমনকি সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে, তারাই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে অধিক মুনাফা অর্জন করে এবং সে মুনাফার টাকা খরচ করে আবার হজ করতেও যায়। মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থে কোন ধর্মীয় কাজই সিদ্ধ হবে না।’
হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। হিন্দু ধর্মেও রয়েছে যে, স্বর্গের দেবীর চেয়েও দেশ মহিমামণ্ডিত।’ তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের কল্যাণে সঠিকভাবে নিজের কাজ করার জন্য সবার উদ্দেশ্যে তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আক্তারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ নবীরুল ইসলাম ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মনজুরুর রহমান। অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা নগরীর তাপমাত্রা সহনশীল রাখতে আগামী দুই বছরে দুই লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এছাড়া কল্যাণপুরে জলাধারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বালু দিয়ে ভরাটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আজ ৩ মে বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকার তাপমাত্রা সহনশীল বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের (আর্শট-রকফেলার) সঙ্গে ডিএনসিসি যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
যৌথ এই কার্যক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগও যুক্ত থাকবে। এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে বুশরা আফরিনকে উত্তর সিটি করপোরেশনের ‘চিফ হিট অফিসার’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, তাপপ্রবাহ একটি নীরব ঘাতক। এটি সবার ক্ষতি করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিরূপ প্রভাবে বেশি ক্ষতির মুখে আছে আমাদের নারী ও শিশুরা। এজন্য সবার একত্রে কাজ করতে হবে। আমরা প্রত্যেক কাউন্সিলরকে গাছগুলো দেব। কাউন্সিলররা এলাকার সব স্তরের মানুষকে নিয়ে কমিউনিটি গঠন করে গাছগুলো লাগাবে। সবাই গাছগুলো নিজেদের মনে করলে এটি বাস্তবায়ন সহজ হবে।
আধুনিক পদ্ধতিতে বীজ আলু উৎপাদনের এক প্রকল্পে গাবতলী এলাকায় কল্যাণপুর জলাধারের ৩৬ বিঘা জমি ভরাট করেছে বিএডিসি। গত ২৯ মার্চ সংস্থাটিকে এক চিঠিতে ডিএনসিসি বলেছে, কল্যাণপুর জলাধারসংলগ্ন বিএডিসির প্রায় ১১৭ একর জায়গা ড্যাপের নকশা অনুযায়ী জলাধারের আওতাভুক্ত। সেখানে ভারী স্থাপনা হলে জলাধারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, কল্যাণপুরে জলাধারে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আদাবরে সাড়ে সাত লাখ লোকের জন্য ইকো-পার্কের মেজরমেন্ট করছি। তখন সরকারি একটি সংস্থা বালু ভরে দিচ্ছে। এটা কীভাবে সম্ভব। এখানে আলু চাষের জন্য শীতকালে তো জায়গা আছেই। আট মাস পানি থাকবে এবং চারমাস বীজের চাষ করা যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কোনো ধরনের জলাধার দখল করা যাবে না। জলাধার আইন আছে, কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান যদি আইন না মানে তাহলে আমরা কই যাব। অবিলম্বে যে বালু দিয়ে তারা ভরাট করেছে সে বালু যেন তারা নিয়ে যায়। না হলে আমি অবশ্যই আইনের আশ্রয় নেব।
এছাড়া তিনি ছাদ কৃষিতে ১০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ, বৃষ্টির পানি পুনর্ব্যবহার করে পরবর্তীসময়ে বাগানে ব্যবহার করতে ফুটপাতে ওয়াটার রিসার্জেবল স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান।
সভায় সভাপ্রধান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, ব্রিটিশ ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল, অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাথি বাঘম্যান ম্যাকলিওড, অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের হিট অ্যান্ড সিটি ডিপ্লোমেসি বিভাগের প্রধান উপদেষ্টা মরিসিও রোডাস, শক্তি ফাউন্ডেশনের ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রামের প্রধান সোহানি হক ইলিয়াস, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও নবনিযুক্ত চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বক্তব্য দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ডিসি ও ইউএনওদের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা দামের ২৬১টি নতুন গাড়ি কেনা প্রসঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যাদের জন্য গাড়ি কেনা হচ্ছে, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য।
নতুন গাড়ি কেনার ব্যাপারটি নৈতিক ও আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে কি না সাংবাদিকদের জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কেন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, আমি তো বুঝলাম না।
যখন পারচেজ কমিটিতে গাড়ি কেনার প্রস্তাব পাস হয়, তখন আমরা সবাই প্রশ্ন করেছিলাম যে আগে গাড়ি কেনা বন্ধ রাখতে একটি নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা এ নির্বাচনের প্রয়োজনে শিথিল করা হয়েছে বলেই ২৬১টি গাড়ি কেনার অনুমতি কাল দেওয়া হয়েছে। একটা সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য এটা অত্যন্ত প্রয়োজন। যাদের এ গাড়ি দেওয়া হচ্ছে, তারা এমন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অপরিহার্য।
আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে মাগুরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন আটতলা ভবন উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আমিত কুমার দে, জেলা প্রশাসক আবু নাসের বেগ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডুসহ অনেকে।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আটতলা বিশিষ্ট এ ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪৪ কোটি টাকা।
ভবন উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী সদর উপজেলার কাটা এলাকায় একটি জনসভায় যোগ দেন।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য ২৬১টি নতুন গাড়ি কেনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৩৮০ কোটি টাকা। জাতীয় নির্বাচনে সাধারণত ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ইউএনওরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
মাগুরা গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ১২তলা ফাউন্ডেশনের এ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪৩ কোটি ৯৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ে এ ভবনের আটতলা পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। এর আয়তন এক লাখ ১১ হাজার ১৩৬ বর্গফুট। এ ভবনে আটটি এজলাস, পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা হাজতখানা, ক্যাফেটেরিয়া, ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ ও গ্রন্থাগার রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জয়পুরহাটের দূর্গাপুরে পরকীয়ার জেরে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম ও তার প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেকেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১১ মার্চ সোমবার বেলা ১১টায় জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলার আক্কেলপুর উপজেলার ইসমাইলপুর গ্রামের বাসিন্দা জামিরুল ইসলাম ক্ষেতলাল উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের জ্যোৎস্নাকে বিয়ে করে ঘরজামাই থাকতেন।
র মধ্যে একই উপজেলার দাশড়া গ্রামের শাহীন মিয়ার সঙ্গে জ্যোৎস্না বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর বিকেলে প্রেমিক শাহীনকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী জামিরুল ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন জ্যোৎস্না বেগম।
এ ঘটনায় নিহতের চাচা ছানাউল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।