চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সাড়ে তিন দশকের বেশি সময় ধরে বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য একাডেমি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নাচ, গান, আবৃত্তি আর বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় সমৃদ্ধ রূপ নিয়েছে এবারের বৈশাখী উৎসব।
সপ্তাহব্যাপী এই উৎসবে শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সংস্কৃতিকর্মীরাও অংশ নেন। এছাড়া বৈশাখী উৎসবে লোকজ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ছিলো সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী মেলার শেষ দিন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৯৮৩ সালে সাহিত্য একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৭ সাল থেকে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে বৈশাখী উৎসব হয়ে আসছে, যা এই এলাকার অন্যতম প্রধান একটি উৎসবে রূপ নিয়েছে। শুরু থেকেই এই উৎসবের মেয়াদ সাতদিন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি জয়দুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রাম বাংলার লোকজ-ঐতিহ্য, বিভিন্ন ধরনের লোকগান এবং লোকজ সংস্কৃতি প্রচার ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে বৈশাখী উৎসবের আন্তরিক প্রয়াসের পরিচয় মেলে। আমরা ৩৮ বছর ধরে এই উৎসব পালন করে আসছি। এই উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে।
বৈশাখী উৎসবে প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ঢল নামে। সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন বলেন, এই উৎসবের মধ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের মধ্যে পারস্পরিক মেলবন্ধন গড়ে ওঠে। হাজারো মানুষ আসে এই প্রাণের মেলায়।
গত শুক্রবার উৎসবের ষষ্ঠ দিনের আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৈন্দ গ্রামের বজলুর রহমান পাঠাগারের সদস্যরা। পাভেল রহমানের নির্দেশনায় আবৃত্তি করে নুসরাত, নওরিন, তানহা, পিয়াল, ইফরান, অর্পণ, জয়া, জুলফা।
এছাড়া সাহিত্য একাডেমির সদস্যরা নাচ ও গান পরিবেশন করেন, ছিল বিষয়ভিত্তিক আলোচনাও। বিকেলে শুরু হওয়া আয়োজন চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সচিব ড. মো. ইয়ামিন চৌধুরী, এড. আবু তাহের, সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু এবং নারীনেত্রী ফজিলাতুন্নাহার। সবশেষে গান পরিবেশন করে নাসিরনগরের বাউল জারু মিয়া ও অমিয় ঠাকুর সঙ্গীতাঙ্গনের শিল্পীরা।
উৎসবে লোকজ সংস্কৃতি প্রচার ও প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্রতিদিনই থাকছে প্রাসঙ্গিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মেলা প্রঙ্গণে নানা ধরনের লোকজ পণ্য নিয়ে বসছে ২০টি দোকানও।
পহেলা বৈশাখে শুরু হওয়া এই উৎসবের উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২০ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় উৎসবের সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিনুর রহমান সুলতানসহ অনেকে। থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদ আনন্দ হউক সবার- এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা শ্রেণী পেশার ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাউল ৫ কেজি, আটা ২ কেজি, তেল ১ লিটার, পোলার চাউল, মুসুর ডাল, লবন, চিনি, সেমাই, ট্যাংসহ ১০ ধরণের খাদ্য সামগ্রী। মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ.এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন মিঠু।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো মানবিক ডাকে সাড়া দিয়ে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অনুকরণীয়। সমাজের বিত্তবানরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এগিয়ে এলে সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের প্রয়াত সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামির সহযোগিতায় গড়ে উঠা এ সংগঠনটি ১১ বছর ধরে এ মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করণ, আন্তঃনগর বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি ও বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম-এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলা নাগরিক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আজ ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী কমরেড নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর সানলাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতাল-এর চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সমাজকর্মী মো. আল আমিন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের এই দাবির পক্ষে জেলা নাগরিক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এক পর্যায়ে ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বরাবর এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উক্ত স্মারকলিপির প্রেক্ষাপটে বিগত ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখার স্মারক নং ০৪.০০.০০০০.৫১২.১৬.০০২.১৮.১০১-এর এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল ভ্রমণের দুর্দশা লাঘবে জেলাবাসীর এই প্রাণের দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তারপর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী এই দাবিটির বাস্তবায়ন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু আঠারো মাস অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত নিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এমতাবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপিতে আবেদন জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেছেন, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল থাকতেই পারে। যারা ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করতে চায় তারা করতে পারে। কিন্তু যারা সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে সেগুলোকে বন্ধ করার কথা উঠেছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা ছিলো দেশদ্রোহীতামূলক এবং তারা এই ভূমিকা থেকে কখনো সরে আসেনি। এখনো তাদের ভূমিকা দেশদ্রোহীতামূলক।
আজ ৩১ জুলাই বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী একমাত্র দল যেদল থেকে সবচেয়ে বেশী যুদ্ধাপরাধীদের সাজা হয়েছে। তাই জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা যথার্থ।
এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অধিদফতরের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সফল মৎস্য চাষীদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এতে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির। আলোচনা সভা শেষে সফল মৎস্য চাষীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পরে তিতাস নদীর কুরুলিয়া খালে ভিন্ন প্রজাতির মাছ অবমুক্ত করেন মন্ত্রী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ এর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর সোমবার তারিখে নির্বাচনী উপ কমিটি ২০২৪ এর চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এই তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ নভেম্বর ২০২৪ইং রোজ শনিবার। নির্বাচনের মনোনয়পত্র বিলি করা হবে আগামী ২ ও ৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার ও রোববার প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করা যাবে ৪ ও ৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার ও মঙ্গলবার সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হবে ৬ নভেম্বর ২০২৪ইং, বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২৪ইং, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার। এইদিন সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত মধ্যাহ্ন বিরতী দিয়ে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ কার্যক্রম চলবে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি