চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ ২১ এপ্রিল রবিবার বিকাল ৪ টায় নির্বাচন অফিস সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
২য় ধাপের তফসিলে আগামী ২১ মে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই ও ২ মে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। মনোনয়ন দাখিল করা প্রার্থীরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে ৬জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন।
চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাসেম ভূঁইয়া, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সামদানী (ফেরদৌস), ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাছির মোঃ আরিফুল হক।
ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, মোঃ জুয়েল রানা, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাজিদুল ইসলাম ওরফে মিন্টু মৃধা ও গোলাম মোস্তফা।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিয়ারা আক্তার পিওনা, রোকসানা আক্তার, তানজিনা আক্তার ও মনিয়ন্দ ইউপির সাবেক মেম্বার বিনা আক্তার।
আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি, জাতীয় পার্টি বা অন্য কোন পার্টির নেতাকর্মী মনোনয়ন দাখিল করেননি।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ শিকার বলেন, গতকাল মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৪ জন মনোননয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ২১ মে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও ২ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। ব্ল্যাক আউটের কারণে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে অভিন্ন সার্ভিস কোড ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিত করণের ২ দফা দাবিতে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন।
তবে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোন দাবি পূরণ না করে বরং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন ও নবীনগরের ডিজিএম আসাদুজ্জামানসহ সারা দেশের প্রায় ২০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
বরখাস্তকৃত অন্য কর্মকর্তারা হলেন এজিএম রাজন কুমার দাস, ডিজিএম দিপক কুমার সিংহ, এজিএম মনির হোসেন, জুনিয়র জেনারেল ম্যানাজার মো. জাকির হোসেন, জিএম মো. হুমায়ুন কবির, ওয়ারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ, ডিজিএম মো. রাহাত, এজিএম আবদুল হাকিম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, জেনারেল ম্যানাজার মুশফিকুল ইসলাম, জিএম জুলফিকার, জিএম মো. আবুল হাসান, ডিজিএম মো. বেলাল হোসেন, ডিজিএম জাহিদুল ইসলাম, ডিজিএম আবদুল জলিল, এজিএম ইয়াসির আরাফাত ও ডিজিএম সামিউল কবির। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্ল্যাকআউটসহ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান ফটকে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাসিরনগর আঞ্চালিক কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানাজার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৪ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিতরণ করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে যাবতীয় মালামাল ক্রয় করে দেয়। এগুলির বেশীর ভাগই নিম্নমানের হয়। এতে তারা বিপুল পরিমান দুর্নীতি করে থাকে। পল্লীবিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও চাকুরী বৈষম্য দুর করতে এ আন্দোলন। আগেও বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেই আন্দোলন করেছি। তারপরও আমাদের ২০জন কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুৎ করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানজার মো. মুকবুল হোসেনকে চাকুরীচ্যুৎ করায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোস্তাফিকুর রহমানকে। তিনি বলেন, চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে বহাল এবং দাবি আদায়ের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমপ্লিট শাট দিয়েছে। বেলা ১১টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ আমদানী ও বিতরণ কার্যাক্রম বন্ধ করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা দুইটি, নাসিরনগর, নবীনগর, আখাউড়া উপজেলার ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গায়ে কাঁটাযুক্ত এই ফল দেখতে কিছুটা কদম ফুলের মতো। ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে লাল বা গোলাপি রং ধারণ করে। ফলের ওপরের খোসা ফেলে দিলে ভেতরের অংশটা দেখতে লিচুর মতো, স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। এটি বিদেশী ফল রামবুটান।
আখাউড়ায় প্রথম বারের মত রামবুটান চাষ করে সফল হয়েছেন প্রবাস ফেরত রাজু আহমেদ মোল্লা। তিনি আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা মরহুম নাছির মোল্লার পুত্র। কৃষি কাজে রাজু মোল্লার খুবই আগ্রহ। তিনি প্রায় ১ একর ৮০ শতক জায়গা জুড়ে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান করেছেন। তার বাগানে রয়েছে কাঁঠাল, লিচু, বড়ই, লেবুসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ।
এদিকে রাজু মোল্লার রামবুটান ফল নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এই ফলের গাছ ও ফল দেখতে তার বাড়িতে ভীড় করেন। রাজু মোল্লার সফলতা দেখে রামবুটান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে এলাকার মানুষ।
সরজমিনে চাঁনপুর গ্রামে রাজু মোল্লার ফুলকলি গার্ডেন গাউসে গিয়ে দেখা যায়, রামবুটান গাছে পাতার পাতার ফাঁেক চিকন ডালে থোকায় থোকায় রামবুটান ঝুলছে। সবুজ এবং লালচে রংয়ের ফল। উপরিভাগে সবুজ রংয়ের লোমের মত। দেখতে লিচু মত তবে আকাড়ে লিচুর চেয়ে কিছুটা বড়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই ফলটির জন্মস্থল মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে। এখন আমাদের দেশেও বিভিন্ন জায়গায় ফলটি চাষ হচ্ছে। রামবুটান গাছে মার্চ মাসে ফুল ফোটা শুরু হয় এবং এপ্রিল মাসে কচি সবুজ রঙের ফল ধরতে আরম্ভ করে। ফুল ফোটার ৩-৪ মাস পর জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে। ফল পুষ্ট হলে সবুজ রঙের ফল হঠাৎ করে লাল, মেরুন রঙে রূপান্তর হতে থাকে। এ অবস্থা শুরু হওয়ার ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়।
চাষী রাজু আহমেদ মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর মালয়েশিয়ায় কর্মজীবন কাটিয়ে গত বছরের মাঝামাঝি পরিবারের প্রয়োজনে দেশে ফিরে আসি। দেশে এসেই হঠাৎ করে বেকার হয়ে পড়ি। তারপর কৃষিকাজটা মন থেকে বেছে নিলাম। হালাল পথে আয়-রোজগার করার এটা ভালো পথ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন জায়গা যেন অনাবাদি না থাকে। তাই আমি প্রতিটি জায়গায় কৃষি এবং ফসল ফলানোর চেষ্টা করছি। এটা করতে আমার ভালো লাগে। কৃষিকাজ-গাছের যত্ন করে আমার সময় কেটে যায়। নিজে খাওয়ার পাশাপাশি ফল বিক্রি করে ভালো আয় হয়। আল্লাহর রহমতে আমি মোটামুটি স্বাবলম্বী এবং ভালো আছি।
তিনি বলেন, ২০০২ সালে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার সময় সঙ্গে করে একটি রামবুটান ফলের চারা নিয়ে এসেছিলাম। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির আঙিনায় চারাটি রোপন করে যাই। ৬/৭ বছর পর গাছে ফল আসতে শুরু করে। প্রথম কয়েক বছর অল্প পরিমাণে ফল আসতো। নিজেরাও খেয়েছি। কিছু আত্মীয় স্বজনকে দিয়েছি।
এবছর প্রায় এক মন ফল এসেছে। ৩০-৩৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, রাম্বুটান ফল চাষ করতে বাড়তি কোন পরিশ্রম করতে হয় না। লিচু গাছের মতই চারা রোপন করে দিলে আস্তে গাছ বড় হয়ে যায়। স্বাভাবিক যতœ নিলেই হয়। তবে এ গাছের শত্রু বাদুড়, ইঁদুর ও পাখি। এ জন্য গাছে জাল দিয়ে পেঁচিয়ে দিতে হয়।
আখাউড়া সড়ক বাজারের ফল বিক্রেতা মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, রামবুটান ফলটি আখাউড়ায় কেউ বিক্রি করেনা। তবে ঢাকায় পাওয়া যায়। শুনেছি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, রামবুটান ফলটি লিচু পরিবারের। এটি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় ও ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে বেশি জন্মে। ফলটির খোসায় হালকা চুলের মতো আবরণে ঢাকা। ফলটির ভেতরে লিচুর মতো শ্বাস থাকে। খেতে সুস্বাদু ও মুখরোচক এবং রয়েছে ঔষধি গুণও। আখাউড়া উপজেলার পাহাড়ী এলাকা রামবুটান চাষের জন্য উপযোগি।
বিশেষ করে যেখানে লিচু, কাঠাল ফল হয় সেখানে রামবুটান ভালো চাষ হবে। তিনি বলেন, চাষী রাজু মোল্লাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই এ ফল চাষ আখাউড়ায় আরও সম্প্রসারিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে ব্যক্তিগত সফরে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা হয়ে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ৪ দিনের ব্যক্তিগত সফরে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন। ঢাকায় ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশনসহ দেশের দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন। এছাড়াও তিনি কয়েকটি সামাজিক অনুষ্ঠানের যোগদানের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশে প্রবেশকালে সীমান্তের শূণ্য রেখায় প্রতিমা ভৌমিক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কখনো বাংলাদেশকে আলাদা মনে করি না, যদিও সীমান্তে একটি রেখা বা কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের নাটক, সিনামা, কথাবার্তা, চালচলন – আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া সব কিছু আমাদের দারুণ মিল রয়েছে।
এসময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে শীঘ্রই আখাউড়া স্থলবন্দরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান।
আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান তিনি। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর সবকিছুই নতুনভাবে গঠন করতে হচ্ছে। তবে আশা করছি শীঘ্রই আখাউড়া স্থলবন্দরের উন্নয়নমূলক অবকাঠামোগত কাজগুলো শুরু হবে। এর ফলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে। আর বাণিজ্য বাড়লে রাজস্বও বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, আমদানি-রপ্তানি পণ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকারকে অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ বন্দর দিয়ে সব পণ্য আমদানির অনুমতি দিলে বাণিজ্য বাড়বে।
এ বিষয়টি আমরা আগেও উপস্থাপন করেছি। যখন বন্দরে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়বে, তখন হয়তো সরকার সব ধরনের পণ্য আমদানি পণ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।
মানজারুল মান্নান সংশ্লিষ্টদের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরের যাত্রী পারাপার ও রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এসময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য আতিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খাইরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া থানা পুলিশের মাদক উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ২০ বিশ কেজি গাঁজাসহ ১জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের তুলাই শিমুল গ্রামের জাহাঙ্গীর খন্দকারের বসত ঘরের টিনের ড্রামের ভিতর হইতে ২০ গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ওই গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর খন্দকার (৫৫) কে আটক করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, এস আই হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদে জাহাঙ্গীর আলমের বসত ঘরে তল্লাশী চালিয়ে উল্লেখিত গাজা উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে আগেও ২ টি মাদক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় নিয়মিত মাদক মামলা দায়ের পূর্বক শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।