হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন মিন্নির

জাতীয়, 21 April 2024, 695 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন করেছেন বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।

banner

আজ ২১ এপ্রিল রবিবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদন জমা দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিন্নির আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান।

এর আগে গত বছরের ৮ মে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন তিনি। পরে জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় এলে পরে আর শুনানি হয়নি।

গত বছরের ১১ জানুয়ারি মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।

পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।

খালাস পান মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।

এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা।

পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।

হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

Leave a Reply

নবীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে প্রাইভেটকার ও ট্রাক্টরের সঙ্গে Read more

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি, গেজেট প্রকাশ

জাতীয়, সারাদেশ, 2 January 2025, 867 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে মর্যাদা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৫ ডিসেম্বর রোববার ২০২৪ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ২৪ মে ১৯৭২ সালে কলকাতা হতে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয় এবং তার বসবাসের জন্য ধানমন্ডিস্থ ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কবিকে ১৯৭৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় এবং একই বছরে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। জীবনাবসানের পর কবিকে পরিপূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে সম্বোধন করে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ জারি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের কলকাতার এলবার্ট হলে সমগ্র বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, এস, ওয়াজেদ আলী, দীনেশ চন্দ দাশসহ বহু বরণ্যে ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কাণ্ডারি’ এবং ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

banner

পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী/প্রধান উপদেষ্টাগণ কবিকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। কাজী নজরুল ইসলাম সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃত হলেও তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে সরকারিভাবে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।

প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, যেহেতু কবি কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবির মর্যাদার বিষয়টি ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বীকৃত এবং যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাকে জাতীয় কবি ঘোষণা করেয সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রত্যাশা করে, সেহেতু তার ঢাকায় আগমনের তারিখ হতে (৪ মে ১৯৭২) জাতীয় কবি ঘোষণাপূর্বক গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, যেহেতু কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ৪ মে থেকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়েছে, সে কারণে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হলো এবং ইহা সকলের অবগতির জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করা হলো।

অনিবন্ধিত অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ

জাতীয়, 16 April 2024, 698 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, আপনাদের দাবির সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি—একটা ডিসিপ্লিন আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটাকে কার্যকর করা দরকার।

banner

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অনলাইন নিউজপোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) বলছেন, নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার যে নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং আপনারাই বলছেন কিছুটা দরকার ডিসিপ্লিনের (শৃঙ্খলা) জন্য। অর্থাৎ নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাইরেও অনেকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন। এখানে গণমাধ্যম এতটাই মুক্ত, উন্মুক্ত এবং স্বাধীন যে, নিবন্ধন ছাড়াও চলতে পারে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাগত সাংবাদিকরাই বলছেন—এটা করা দরকার।

তিনি বলেন, আমরা এগুলো করি না। যেটা প্রমাণ করে—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে, একইসাথে আমি মনে করি, এটা মুক্ত না, উন্মুক্ত। স্বাধীনতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা লিমিটলেস (সীমাহীন)। যে কারণে কিছুটা ডিসিপ্লিনের অভাবও হয়ে গেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আবারও বলব, নিয়ন্ত্রণ কিংবা নজরদারির প্রশ্ন আসে না। আমরা এগুলোর পক্ষে না, আমরা করতে চাই না। আমরা এগুলোতে বিশ্বাস করি না। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। যারা নিবন্ধিত, তাদের কিছুটা প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়ার দরকার আছে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রমোট (এগিয়ে) করার জন্য। আর অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে অনেক চটকদার, অসত্য, মানহানিকর ও ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন হয়। এটা একটা ভালো দিক—সাংবাদিক মহলই চাচ্ছেন একটি শৃঙ্খল ডিসিপ্লিনযুক্ত সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে আপনাদের সাথে একমত।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ও সব ধরনের নজরদারির বাইরে আমরা এখানে প্রমোট করতে চাই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের এখন ৪২৬টি নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল আছে। এরমধ্যে ২১৩টির মূলধারার গণমাধ্যম আছে—ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। আর ২১৩টি কেবল অনলাইন নিউজপোর্টাল। আরও কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন কেউ অনলাইন নিউজপোর্টাল নিয়ে আসতে চাইলে তাদের নিজেদের প্রমাণ করার সময় দেওয়া দরকার। আর যারা অনিবন্ধিত, আমি মনে করি, অবৈধভাবে কোনো কিছু সঠিক না, তারা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না। সেগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব। আর এটা আপনাদের (সাংবাদিক) দাবি। আমি কিন্তু বলছি না। কাজেই আমি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি। আমি চাই না, সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি ঘোষণা দিলাম যে, অনিবন্ধিত অনলাইন বন্ধ করে দেব, কালকে হেডলাইন করে পরের দিন আলাপ হবে, সরকার তো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরছে। সেটা আমি চাই না।

এ সময়ে ওনাব সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, সহ-সভাপতি লতিফুল বারী হামিম ও সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম মিঠু, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল বাসার, হামিদ মো. জসিম, মহসিন হোসেন, অয়ন আহমেদ, খোকন কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সেলফি পরিবহনের ধাক্কায় নারী পুলিশ সদস্য নিহত

জাতীয়, 23 November 2023, 915 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
সাভারে বেপরোয়া সেলফি পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় আফসানা আক্তার (২২) নামের এক নারী পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

banner

আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আফসানা বরিশালের আব্দুল করিমের মেয়ে। তিনি মিরপুর-১৪ নম্বরের ১১ ব্যাটলিয়ানের এপিবিএনর কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, আফসানা আক্তার তার স্বামীর মোটরসাইকেলে করে আরিচার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে হেমায়েতপুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে বেপরোয়া সেলফি পরিবহনের একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দুইজনেই সড়কে ছিটকে পড়েন ও ঘটনাস্থলেই আফসানা নিহত হন। আহতাবস্থায় নিহতের স্বামীকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাভার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাবুল আক্তার বলেন, নিহতের মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। তিনি এপিবিএন সদস্য। এ ঘটনায় সেলফি পরিবহনের বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভ্যানে লাশের স্তূপ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার অভিযোগ দায়ের

জাতীয়, 11 September 2024, 545 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আশুলিয়ায় সাধারণ নিরস্ত্র ৬ জন ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

banner

আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার ভিকটিমের পরিবারের পক্ষে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুজ্জাতুল ইসলাম খান পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর খ ধারানুসারে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১)/৪(২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১-৭ নং আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিদের মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করিবার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগের উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমান, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মারুফ হোসেন, মো. আব্দুল্লাহিল কাফি, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বেক্সিমকো লিমিটেডের সিকিউরিটি ইনচার্জ মেজর (অব.) আরিফ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মনতাজউদ্দিন মন্ডল, কাশিমপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফ ব্যাপারী, কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমদ, কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগের সাবের আহমেদ সজীব, ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. নাদিম হোসেনসহ ৭০ জন।

স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন ড্রাইভ করেছে বিএনপি

জাতীয়, রাজনীতি, 22 January 2025, 526 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু চৌধুরী বলেন, আজকে অনেকেই স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলনের ক্রেডিট নিতে চায়। অথচ তারা আন্দোলন শুরুর অনেক পরে এসেছে। তারা জানে না বিদেশে কিভাবে আন্দোলন হয়েছে। লন্ডন, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যে কিভাবে আন্দোলন হয়েছে তারা জানে না। ই আন্দোলন ড্রাইভ করেছে বিএনপি। এই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া।

banner

আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ইতিহাস সংরক্ষণ না করলে তা ভবিষ্যৎ ইতিহাসে জায়গা পাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রবাসীদের এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ বই বা ডকুমেন্ট করে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপি সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।

আলোচনা সভায় প্রবাসীরা জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রী সভায় তাদের প্রতিনিধিত্বের দাবি তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, গিয়াস আহমেদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ জুলি, সুইডেন বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, ফ্লোরিডা বিএনপির সভাপতি এমরান হক চাকলাদার, আব্দুল খান হারুন, অস্ট্রেলিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিব মুসলেমউদ্দীন হাওলাদার আরিফ প্রমুখ।