চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিএসএফর গুলিতে মো. হাসান নামে এক ব্যক্তি মারা গেছে। আজ ২২ এপ্রিল সোমবার সকালে উপজেলার বায়েক সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান কায়েমপুর গ্রামের দারু মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ওই ব্যক্তিকে ধাওয়া দিয়ে গুলি করে বিএসএফ। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
বিজিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ঘটনাটি তারা জেনেছেন। সেখানে তাদের স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিনিধিরা রয়েছে।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেখানে যাচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় অগ্নিকান্ডে একটি মাকের্টের চারটি দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। আজ ২১ জুন বুধবার বিকেলে কসবা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারের সীমান্ত কমপ্লেক্স সংলগ্ন মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান। খবর পেয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার বিকেল বিকেল ৪টার দিকে সীমান্ত কমপ্লেক্স সংলগ্ন টিনশেডের ওই মার্কেটে আগুন লাগে। আগুনে দু’টি রড সিমেন্টের দোকান, একটি ফুলের দোকান ও একটি এসএস পাইপের দোকান পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন, পুলিশ ও স্থানীয়রা এসে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কসবা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার আবদুল আল খালিক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এসএস পাইপের দোকানে ঝালাইয়ের কাজ করা হয় বলে সেখান থেকে বৈদ্যুতিক সট সার্কিট হয়ে আগুন লাগতে পারে। তিনি বলেন, তদন্ত না করে আনুমানিক ক্ষতির কথা বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকলের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিমুল এহসান খান, কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন জুয়েল, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের স্বাধীনতা নষ্ট করতে কিছু রাজনৈতিক দল ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক। গতকাল ২৯ এপ্রিল শনিবার কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত এক জনসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে, দেশের এ উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। আমরা দেখেছি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, আমরা দেখেছি পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের অর্থে তৈরি করতে। আমরা দেখেছি গৃহায়ণ প্রকল্প, যার মাধ্যমে গৃহহীনদের বঙ্গবন্ধু কন্যা গৃহ দিয়েছেন। এসব দেখে আমাদের বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যতদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ততদিন বাংলাদেশ শুধু এগিয়ে যাবে, বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আজকেও স্বাধীনতা নষ্ট করার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে একজোট হয়েছে তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, যারা নিজেদেরটা ছাড়া অন্যের বুঝে না। ২০০৭ সালে বলেছিল, আমি একটা রাজনৈতিক দল তৈরি করব, তারপর রাজনৈতিক দল তৈরি করছে। যদি রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে চান আমার কাছে ম্যাসেজ পাঠাবেন, কিন্তু একজনও সাড়া দেয়নি। বাংলাদেশের একটা লোকও সাড়া দেয়নি। এখনও তারা ষড়যন্ত্র করছে।
কাইমপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন, পৌর সভার মেয়র এমজি হাক্কানী, জেলা পরিষদের সদস্য এম এ আজিজ, কাইমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাইমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকতেকার আলম রনি প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় অভিযান চালিয়ে মো. রুবেল মিয়া (৩৫) নামে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেল পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুর পৌনে ২টায় উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বড়াইগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রুবেল নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার গরুয়াকান্দা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন এটিইউয়ের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালে রুবেল ব্যবসায?িক দ্বন্দ্বের জেরে রিপন নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে রুবেলকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলে বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ রুবেলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আটক ছিলেন রুবেল (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি নম্বর ৪৩৬৬/এ)।
গত জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগে ৬ আগস্ট জেল থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে যান রুবেল। এ ঘটনায় মামলা কোনাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করে কারা কর্তৃপক্ষ। এদিকে, কারাগার থেকে পালিয়ে দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন রুবেল। এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের চৌকস দল আসামি রুবেলের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পানিতে ডুবে বোরহান উদ্দিন (০৩) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার খাড়েরা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। শিশুটি খাড়েরা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
নিহতের চাচা লোকমান হোসেন জানান, বোরহান উদ্দিনের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন সম্প্রতি বর্তমান নিজ বাড়ি থেকে কিছু দুরে নিজস্ব জমিতে নতুন বাড়ী বাধার জন্য একপাশে গর্ত করে মাটি কাটেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর খেলার ছলে শিশু বোরহান উদ্দিন সেখানে গিয়ে গর্তে পরে যায়। বিকেলে শিশু বোরহান উদ্দিনকে পরিবারের লোকজন দেখতে না পেয়ে আশেপাশে খোঁজাখুুজি শুরু করে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে এক পর্যায়ে সন্দেহবশত সেখানে গর্তের পানিতে নেমে খোঁজ করলে মেলে শিশু বোরহান উদ্দিনকে। সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলার কুটি-চৌমুহনীতে অবস্থিত সেন্টাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু বোরহান উদ্দিনকে মৃত ঘোষনা করে।