চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের হাজীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. রাজ হোসেন জেলার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, রবিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের হাজীপুর এলাকার মনিচং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা বস্তা তল্লাশি করে ৩৪ কেজি কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন আগামী জুন মাসে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ট্রেন চলাচল করবে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। তিনি রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শীবনগর এলাকায় নির্মাণাধীন আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্প পরিদর্শনকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্যরেখায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইকথা বলেন।
পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথ সম্পর্কে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ধীরে ধীরে সবগুলো রেলপথকে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথকে পর্যায়ক্রমে মিটার গেজ থেকে ব্রডগেজে পরিনত করা হচ্ছে। তেমনিভাবে আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত যে রেলপথ আছে সেটিকেও ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি আন্দোলনের নামে পাকিস্তানের ভাবার্দশে বিশ্বাসী, ৭১এর পাকিস্তানী বাহিনীর প্রেতাত্মারা রেলের কোচ পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। রেলে আগুন দিয়েছে। তাদের আন্দোলনের গতি প্রকৃতি নিয়ে আমরা সব সময় শংকিত থাকি।
এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে সাড়ে ৩শ সদস্য রয়েছেন। বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছে তাতে কিছু যায় আসে না। এতে সংসদের কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। তিনি বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে জনমত তৈরী করার আহবান জানান।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকোর কান্ট্রি ডিরেক্টর শরৎ শর্মা, এজিএম ভাস্কর বকশী, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইরকনের টিম লিডার রমন সিংলা বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সহিদুল ইসলাম, রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) জাফর আহমেদসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা-আখাউড়া উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আট নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কারসহ ১৫ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। গত ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা ও উপজেলা বিএনপির পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। গত ছয় দিনে বহিষ্কৃতরা হলেন, কসবা উপজেলা বিএনপির বর্তমান সদস্য এবং সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মেহাম্মদ ইলিয়াস, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য আশরাফ আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর, বায়েক ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম, ছিদ্দিকুর রহমান ও সদস্য নাদিরুজ্জামান ভূইয়া, কসবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব উদ্দিন এবং আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফিরোজ ভূইয়া ও বায়েক ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য নাদিরুজ্জামান।
তবে মোহাম্মদ ইলিয়াস উপজেলা বিএনপি ও পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সদস্য। তাকে দুই পদ থেকেই বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও গত ছয় দিনে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া নেতারা হলেন, খাড়েরা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সানু মিয়া, কায়েমপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান আহ্বায়ক প্রার্থী খাজা আহমেদ, বায়েক ইউনিয়ন যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু ইউসুফ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. খুরশেদ আলম (মাইক), খোরশেদ আলম, কসবা ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফুল মিয়া, তিন নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া, পৌর শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল মিয়া, রাজু আহমেদ, মো. অপু আলম, শিমুল মিয়া, এন আপেল, মো. হাফিজ উদ্দিন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন, কসবা টি আলী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সজিব শ্রাবন।
বহিষ্কার হওয়া নেতাকর্মীরা বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর কসবা উপজেলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমানের জনসভা ও ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ায় তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জেলা ও উপজেলা বিএনপির কোনো কমিটিতে কবির আহমেদ ভূঁইয়ার কোনো পদ নেই। কিন্তু তিনি এই আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে মাঠে সরব রয়েছেন। তাই মুশফিকুর রহমানের জনসভায় যোগ দেওয়ায় কবিরের নির্দেশে বিএনপি ও যুবদলের নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি, জায়গা ও দোকান দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তাদের আঁতাত রয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রাম ও দলীয় সভা-মিছিলে তারা ছিলেন না। তাই কারণ দর্শানোর আওতায় আনা হয়েছে। উত্তর না দিলে তারা বহিষ্কৃত হবেন। আমরা কি চাইব দলের সক্রিয় কর্মীকে বাদ দিতে। মুশফিকুর রহমানের অনুষ্ঠানে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে অভিযোগ সত্য না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিদ্যুৎস্পর্শে শাকিব মিয়া (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের বড়ঠুটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শাকিব ওই গ্রামের আবু সামা মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। শাকিব পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন।
শাকিবের পিতা আবু সামা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘরে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দেয়। শাকিব কিছু বিদ্যুতের কাজ জানতো। বিদ্যুতের সমস্যা দুর করতে মেইন সুইচের সংযোগ স্থলে কাজ করার সময় সে বিদ্যুতের শক খেয়ে ছিটকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে সীমান্তবর্তী গ্রাম বড়ঠুটা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহাম্মদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিএসএফর গুলিতে মো. হাসান নামে এক ব্যক্তি মারা গেছে। আজ ২২ এপ্রিল সোমবার সকালে উপজেলার বায়েক সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান কায়েমপুর গ্রামের দারু মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ওই ব্যক্তিকে ধাওয়া দিয়ে গুলি করে বিএসএফ। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
বিজিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ঘটনাটি তারা জেনেছেন। সেখানে তাদের স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিনিধিরা রয়েছে।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেখানে যাচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমান (১৯) হত্যা মামলায় মো. রানা মিয়া (২২) নামে এক যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ৬ মার্চ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এই রায় ঘোষণা করেন।
নিহত সাইদুর রহমান কসবা উপজেলার কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের হুমায়ূন কবিরের ছেলে। মৃত্যুদন্ড পাওয়া রানা মিয়া একই গ্রামের মো. দানু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি রানা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমানকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ধারীরা যেতে বলেন। পরে সাইদুর রহমান তার মাকে জানায় সে পাশের গ্রামের একটি মাহফিলে যাচ্ছে। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে সাইদুরের মা ঘটনার দুইদিন পর ৩১ ডিসেম্বর কসবা থানায় একটি জিডি করেন।
পরে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মারকাজুল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিত্যক্ত একটি বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সাইদুরের গলাকাটা উদ্ধার করে পুলিশ।
৩ জানুয়ারি পুলিশ সাইদুরের মায়ের জিডিটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। পরে পুলিশ ঘটনার অনুসন্ধান করে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে একই গ্রামের রানা মিয়াকে গ্রেফতার করে। রানা মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এই রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের মা হনুফা বেগম। আদালত প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার রায় পেয়েছি। আমি দ্রুত এই রায় বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দ্বীন ইসলাম জানান, এই রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হত্যা করে যে কেউ পার পায় না এটাই এর সর্বশেষ প্রমাণ।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম জানান, এই মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা এই হত্যাকান্ডের ঘটনার পেছনে পরিকল্পনাকারী হিসেবে শারমিন বেগম নামে এক নারীকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আসামি রানা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।