চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের হাজীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. রাজ হোসেন জেলার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, রবিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের হাজীপুর এলাকার মনিচং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা বস্তা তল্লাশি করে ৩৪ কেজি কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির এক নেতা নাকি বলেছেন- বাংলাদেশে নির্বাচন বা বাংলাদেশের ভাগ্য ও সমস্যা এ দেশের লোকজন মিটাতে পারবে না। দুইদল আওয়ামী লীগ-বিএনপিও মেটাতে পারবে না।
এটা মেটাতে নাকি যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যকে লাগবে।
অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। বাংলাদেশে কী হবে, না হবে- সেটা বাংলাদেশের জনগণ বুঝবে এবং চাইবে। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমাদের স্বাধীনতার উৎস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার দুপুরে কসবা উপজেলার টি আলী কলেজ মাঠে এবি ব্যাংক লিমিটেড আয়োজিত কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রায় ১৮০০ কৃষককে ১৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র যে শুধু বিদেশিরাই করে তা নয়। বিদেশিরা যেন ষড়যন্ত্র করতে পারে, তার জন্য আমাদের দেশীয় কিছু সাহেব তাদের কান ভারি করছে। এরা গিয়ে বিদেশিদের বলে বাংলাদেশের মানুষ বড় কষ্টে আছে, বহু অত্যাচারে আছে।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কথা সঠিক, আমরাও সেটা বুঝি। আমরাও চেষ্টা করি সেটা লাঘব করার। মানুষের কষ্ট হচ্ছে আমরা জানি। কিন্তু এটা কেন হচ্ছে? এই দাম তো পাঁচ বছর আগে বাড়েনি। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সবকিছুর ঊর্ধ্বগতি। যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব এই জায়গায় পৌঁছেছে।
এবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান ও কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ২ সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন।
আজ ১৩ মার্চ বুধবার উপজেলার গোপিনাথপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- আখাউড়া উপজেলার তুলাইশিমুল গ্রামের সাইমন মিয়ার স্ত্রী ছাবিনা খানম (২৯), কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের মৃত মালেক মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া (৬০) ও কসবা পৌর এলাকার তেতৈয়া গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে মিজান মিয়া। গুরুতর আহত ছাবিনা খানমকে কুমিল্লা সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানায় তার স্বজনরা।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিজাম উদ্দিন জানান, আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। গুরুতর ছাবিনা খানমকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমান্ত হাট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সংস্কার কাজের জন্য ভারত-বাংলাদেশের যৌথ ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হাটটি পরিদর্শন করেছে।
এসময় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের নেতৃত্বে ছিলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. আমিনুল এহসান খান। আর ভারতীয় তিন সদস্যের ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের নেতৃত্ব দেন অনুরাগ সেন।
এরআগে ২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনা মহামারির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য কসবা সীমান্ত হাটের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় দুই দেশের হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। সম্প্রতি হাটটি খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় হাটের ভেতরের কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো সংস্কারের জন্য প্রাক্কলন করতে দুদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হাট পরিদর্শন করে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, সপ্তাহের মধ্যে হাটের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো সংস্কারে প্রাক্কলন করা হবে। এরপর সংস্কার কাজ শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাটটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় রেললাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মো. শফিকুল ইসলাম (৪৮) নামে এক স্কুল শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল ১ মে বুধবার সন্ধ্যায় মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে বালিয়াহুরা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. শফিকুল ইসলাম কসবা উপজেলার বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্য শিক্ষক ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সৈয়দ আলীর ছেলে।
বিদ্যালয়ের পাশে পরিবার নিয়ে মিজান মোল্লার বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে বালিয়াহুরা নামক স্থানে রেললাইন পারাপার হচ্ছিলেন শফিকুল ইসলাম। তখন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। রাত ১০টার দিকে খবর পেয়ে রেলওয়ে থানার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম উদ্দিম খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’