চলারপথে রিপোর্ট :
দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে দলীয় আনুগত্য মেনে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাস্টার। এর আগে তিনি জনতার চাপে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন বলে জানান।
আজ ২২ এপ্রিল সোমবার দুপুরে সরাইল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফছির এর সঞ্চালনায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাস্টার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন -২০২৪ এ সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আমি মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করি। তাই বিএনপির নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৮মে তারিখে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি এবং আমার জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও দলের বৃহত্তর স্বার্থে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করছি।
সরাইল উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল হক এর নিকট লিখিত আবেদন জমাদানের মাধ্যমে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপ-নির্বাচনে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকে প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু।
৫ নভেম্বর রবিবার রাত সোয়া ৯টায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। সাজুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৭ ভোট।
বাকি তিন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮৬ ভোট, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫১ ভোট এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক আম প্রতীকে ৭৩৯ পেয়েছেন। এছাড়া ত্রুটিপূর্ণ থাকায় ভোট বাতিল হয়েছে ১৩০৮টি।
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ৫০ বছর পর আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক জয়লাভ করলো। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি তাহের উদ্দিন ঠাকুর। এরপর সরাইল-আশুগঞ্জ নিয়ে গঠিত এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে কেউ জয়লাভ করতে পারেননি। তাহের উদ্দিন ঠাকুরের পর ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা। পরবর্তীতে একই বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপির প্রার্থী ফরিদুল হুদা ধানের শীষ প্রতীককে জয়লাভ করেন।
১৯৮৬ ও ৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হুমায়ুন কবির লাঙল প্রতীকে জয়লাভ করেন। বিএনপিতে যোগদান করলে ১৯৯১, ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ৯৬-এর ১২ জুন নির্বাচনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা জয়লাভ করেন। ২০০১ সালে চার দলীয় জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ফজলুল হক আমিনী জয়লাভ করেন। ২০০৮ ও ২০১৩ সালের নির্বাচনে মহাজোট থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয়পার্টির প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা জয় পান।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের বিএনপির প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ফের বিজয়ী হন। এরপর তিনি জাতীয় সংসদ ও বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কলারছড়ি প্রতীকে উকিল আব্দুস সাত্তার আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুতে রোববার উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করলেন।
৫০ বছর পর আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করায় উচ্ছ্বসিত দলীয় নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর খণ্ডখণ্ড আনন্দ মিছিল বের করেন তারা।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, আমরা নেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। দীর্ঘদিন পর এ আসনে নৌকা প্রতীক জয় পেয়েছে। এতে দলের সবাই আনন্দিত-উৎফুল্ল। আমরা দীর্ঘদিন পর নৌকা উদ্ধার করতে পেরেছি।
জয়ের পর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি বলেছিলাম দীর্ঘদিন আমরা যে বঞ্চনার শিকার হয়েছি, এর থেকে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবের সফল যেন হতে পারি।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে রত্না বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার রাতে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
রত্না বেগম উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কালিকচ্ছ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মরম আলীর মেয়ে ও বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের রমজান মিয়ার স্ত্রী।
জানা যায়, মাত্র তিন মাস আগে রত্না বেগমকে জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের রমজান মিয়ার কাছে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে রত্নাকে যৌতুকের টাকার জন্য একাধিকবার অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে এমন অভিযোগ নিহতের পরিবারের। দু-দিন আগে ৪০ হাজার টাকার জন্য রত্নাকে ফোনে গালাগালি করেন রমজান মিয়া। পরে রমজানের সঙ্গে অভিমান করে রত্না নিজ ঘরের সিলিংয়ে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে মার্কেট নির্মাণ ও বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে বারিউড়া গ্রামবাসীর লোকজন জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
এদিকে বিষয়টির তদন্তে গিয়ে সরকারি জায়গায় স্থাপনা থাকার বিষয়টি ধরা পড়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তার নজরে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ বিগত কয়েক বছর ধরে তার পুলিশ অফিসার ছেলে ও নিজের প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা বারিউড়া মৌজায় এস এ দাগ নাম্বার ১৭২এর বেশ কিছু অংশ জোরপূর্বক দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে রেখেছে। এছাড়া অনেকের কাছে দোকানের পজিশন বিক্রি করেছে। তার এই অবৈধ জায়গা দখলের কারণে ওই মহাসড়কের মধ্য দিয়ে বারিউড়া গ্রামে চলাচলকারী ভোক্তা, ক্রেতা ও জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এমনকি বাসস্ট্যান্ডের জায়গা দখল করায় লোকাল বাস ও দূরপাল্লার বাস নির্দিষ্ট স্থানে না থেমে বাজারের মাঝখানে থামতে হচ্ছে। যার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণ।
এ অবস্থায় জনস্বার্থে মহাসড়ক ও এর আশেপাশের জায়গা দখলমুক্ত করতে মনসুর চেয়ারম্যানের দখল করা মার্কেট ও দোকানপাট উচ্ছেদের জন্য গ্রামবাসী প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা জানান, ছোটবেলায় আমরা দেখেছি এখনে একটা ব্রিজ ছিল। ব্রিজের নিচ দিয়ে পণ্যবাহী নৌকা চলাচল করত। রাস্তার কাজ করতে গিয়ে ব্রিজের নিচের অংশ বন্ধ হয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান এই সরকারি জায়গা দখল করে এখানে মার্কেট নির্মাণ করেন। দখল করা মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের পজিশন বিক্রি করেছেন তার কাছের আত্মীয় স্বজনের কাছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ বলেন, আমি কোনো সরকারি জায়গা দখল করি নাই। গ্রামের কিছু লোকজন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমাকে হেও করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছে।
ছেলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সে ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ছেলে এ বিষয়ে কোনো জায়গায় কোনো ফোন করেনি। তার বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মিথ্যা। সে তার কর্মস্থলে চাকরি করছে।
এদিকে, শনিবার দুপুরে দখল করা জায়গা পরিদর্শন করতে যান উপজেলা কৃষি অফিসার মো. একরাম হোসেন। এ সময় তিনি সরকারি জায়গায় স্থাপনা থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখলের যে অভিযোগটি উঠেছে আমরা সে বিষয়টি তদন্ত করতে এসেছি। তদন্ত কাজ চলমান। জায়গার পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রশাসন ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে তদন্তের প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এক বিবৃতিতে, জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তারের বিজয়কে ‘ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিজয় হিসাবে’’ উল্লেখ করে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেওয়ায় তিনি সরাইল ও আশুগঞ্জ নির্বাচনি এলাকার ভোটার এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি উপ-নির্বাচনে কম ভোটার উপস্থিতির বিষয় উল্লেখ করে বলেন, উপ-নির্বাচনটিতে রাজনৈতিক দল ভিত্তিক প্রার্থী বা প্রতিযোগীতা এবং শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় নির্বাচনে উত্তাপ ছিলনা। সে কারণে ভোটারদের আগ্রহ ও কাক্সিক্ষত উপস্থিতি ছিলনা।
তবে, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ফলে ‘বিএনপি’র নির্বাচন বর্জন বা প্রতিহতের ঘোষণা’ জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়ে বিএনপি একটি জনসমর্থন বিহীন ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক দল হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের একদিন পর সরাইল তিতাস নদী থেকে শহিদ মিয়া (৬২) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২ জুলাই রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়া তিতাস নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শহিদ মিয়া সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাণীদিয়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ রবিবার অরুয়াইল দক্ষিণ বাজার এলাকার তিতাস নদীতে একটি লাশ নদীতে ভাসতে দেখেন যাত্রীবাহী নৌকার লোকেরা।
খবর পেয়ে শহিদ মিয়ার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শহিদ মিয়ার ছেলে মোস্তাকিম তার বাবার লাশ শনাক্ত করেন।
শহিদ মিয়ার জামাতা কিতাব আলী মাস্টার বলেন, আমার শ্বশুর নামাজি লোক, অত্যন্ত পরহেজগার ছিলেন। কুলিয়ারচর থেকে নৌকায় করে বাঁশ আনার উদ্দেশ্যে শনিবার ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়িতে না ফেরার কারণে আমাদের মনে সন্দেহ জাগে। আমরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। খোঁজ না পেয়ে শনিবার সকালে সরাইল থানায় জিডি করা হয়। তিতাস নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়।
সরাইল থানার ওসি মো. আসলাম হোসাইন বলেন, শহিদ মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।