বাঞ্ছারামপুরে শতাধিক গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

বাঞ্চারামপুর, 7 February 2023, 1577 Views,

বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে খাস জমি থেকে শতাধিক গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা চলছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

banner

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের গাওড়াটুলী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কবরস্থান ও ঈদগাহ-সংলগ্ন ৩ দশমিক ৪৬ একর একটি জলাশয় রয়েছে। জলাশয়টির পাশে শতাধিক কড়ই, পাহাড়ি নিমগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ছিল। ফরদাবাদ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মানিক মিয়া ফসলি জমির মাটি কবরস্থানের পাশে সোনিয়া ব্রিকস নামে একটি ইটভাটায় সরবরাহ করছেন। মাটি নিয়ে ইটভাটায় ট্রাক্টর আসা-যাওয়ার জন্য জলাশয়ের তীরের শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাওড়াটুলী গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, ইউপি সদস্য মানিকের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলে হয়রানি ও হামলার শিকার হতে হয়। তিনি কাউকে না বলে শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা বন কর্মকর্তা গাছ কেটে বিক্রির বিষয়টি দেখে গেছেন। এ ঘটনার পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সোনিয়া ব্রিকস ইটভাটার ম্যানেজার রমজান আলী জানান, ইউপি সদস্য মানিক তাঁদের ভাটায় এক মাস ধরে মাটি দিচ্ছেন। গাছ কাটার বিষয়টি তিনি বলতে পারবেন না।

ফরদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মানিক মিয়া জানান, গাছগুলো জলাশয়ের পাড়ে গ্রামবাসী লাগিয়েছেন। গাছগুলো হেলে পড়ে যাওয়ায় বিক্রি করে মাদ্রাসায় টাকা দিয়ে দিয়েছেন। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও বন কর্মকর্তা এসেছিলেন। এসি ল্যান্ডের কাছে গ্রামের লোকজন গিয়েছিল। বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে।

ছলিমাবাদ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইদ্রিছ আলী জানান, মানিক মেম্বার গাওড়াটুলী জলাশয়ের পাড়ের ৭৮টি ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। জলাশয়টি ইজারাভুক্ত। গাওড়াটুলী মাদ্রাসা এ বছর ইজারা নিয়েছে। ইউএনও তাঁকে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

সদ্য সাবেক উপজেলা বন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, এসি ল্যান্ড তাঁকে বলার পর তিনি গাছের গুঁড়িগুলোর মাপ নিয়ে আসেন। ৭২টি গাছ কাটা হয়েছে। ইউপি সদস্য মানিক মিয়াসহ এলাকার লোকজন বলেছেন, এসি ল্যান্ডের সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁরা সমঝোতায় আসবেন, তাই তিনি প্রতিবেদন দেননি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান জানান, বন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ছিলেন। তাঁকে বলেছিলেন ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা করতে।

ইউএনও একিমিত্র চাকমা জানান, এ বিষয়ে তিনি সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

Leave a Reply

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

কানাডায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুমিনুল হক : কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। Read more

তিতাস নদী দখল করে বাঁধ নির্মাণ

জাতীয়, বাঞ্চারামপুর, 24 May 2023, 2571 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় তিতাস নদীর জায়গা দখল করে বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এই বাঁধের কারণে নদী সংকুচিত হয়ে নৌ-চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রামকৃষ্ণপুর এলাকায় এই বাঁধ দেওয়া হয়েছে।

banner

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিতাস নদী হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্বীর মেঘনা নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গিয়ে শেষ হয়েছে। এই নদী দিয়ে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা, মুরাদনগর উপজেলার ব্যবসায়ীরা নৌপথে পণ্য আনা-নেওয়া করেন। তিতাস নদীর অংশটি দুই বছর আগে নৌচলাচলের সুবিধার জন্য খনন করে বিআইডব্লিউটিএ। এই নদী দিয়ে প্রতিদিন ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জে কয়েকটি লঞ্চ ও শতাধিক ট্রলার চলাচল করে।

সরেজমিন দেখা গেছে, চান্দেরচর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর আড়ালিয়াকান্দি গ্রামের রামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে তিতাস নদীতে একটি পাকা ঘাটলা রয়েছে। এই ঘাটলায় প্রতিদিন শত শত মানুষ গোসল করে। ঘাটলাটি থেকে আরো ৩০-৪০ ফুট উত্তরে নদীর মধ্যে মাটি দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধটি রক্ষার জন্য নদীর মধ্যে মুলির (বাঁশ) বেড়া ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে।

নৌকার মাঝি সোলেমান জানান, প্রতিদিন এই নদী দিয়ে শত শত নৌকা চলাচল করে। এই বাঁধের কারণে নৌকা চলাচল সমস্যা হবে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বাঁধ নির্মাণকারীদের একজন মাসুদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘যে জায়গায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে, সেটি আমাদের বাড়ির অনেকের জমি। আমারও ৩০ শতক জমি আছে বাঁধের মধ্যে। মাছ চাষ করতে এই বাঁধ দেওয়া হয়েছে।’

চান্দেরচর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আমান উল্লাহ জানান, তিতাস নদীতে বাঁধ দেওয়ার খবর পেয়ে তাকে ঘটনাস্থলে পাঠান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তাঁর সঙ্গে আলাপ করে জায়গাটি পরিমাপ করা হবে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান জানান, নদীতে কোনো রকম বাঁধ দেওয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে নৌচলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। জমির মালিকরা বলছে এটা তাদের জায়গা, কিন্তু নদীর প্রবাহ ব্যাহত হয় এমন কাজ করা যাবে না। বাঁধ অপসারণ করতে বলা হয়েছে। তা না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাঞ্ছারামপুরে সেফটিক ট্যাংকে মিললো বৃদ্ধের ৯ টুকরো মরদেহ, স্ত্রী-সন্তান আটক

বাঞ্চারামপুর, 2 October 2024, 410 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে অরুন মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে। হত্যার পর মরদেহ ৯ টুকরো করে ইট দিয়ে পলিথিনে পেঁচিয়ে পাশের বাড়ির সেফটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে।

banner

এ ঘটনায় স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫০) ও মেয়ে লাকি আক্তারকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফরদাবাদ গ্রাম থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।

আজ ২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন।

তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুন মিয়া। হত্যার চারদিন পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফরদাবাদ গ্রাম থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।

নিহত অরুন মিয়া ফরদাবাদ গ্রামের মৃত সুরুজ বেপারীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল বাদী হয়ে সৎমা মোমেনা বেগম ও সৎবোন লাকি আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার পাল জানান, অরুণ মিয়া নিহতের ঘটনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম, তার ছেলে রাসেল ও মেয়ে লাকীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগমের সঙ্গে অরুন মিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাকে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করলে অরুন মিয়ার মৃত্যু হয়। পরে মোমেনা তার মেয়ে লাকিকে নিয়ে লাশ নয় টুকরো করে পলিথিনে ভরে পার্শ্ববর্তী মনির মিয়ার সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে দেন। মঙ্গলবার রাতে এলাকাবাসী সেফটি ট্যাংকি থেকে গন্ধ বের হওয়ায় পলিথিন খুলে পুলিশে খবর দেয়। যাতে অরুন মিয়ার লাশের খণ্ডিত অংশ মেলে।

বাঞ্ছারামপুর থানার পরিদর্শকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাঞ্চারামপুর, 20 March 2023, 1518 Views,

যুবককে তুলে নিয়ে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন

banner

চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আবদুল আহম্মদ ওরফে রুবেল নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শকসহ (তদন্ত) তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

গতকাল রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রুবেলের মা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, এএসআই আল আমিন মানিক ও উপজেলার মধ্যপাড়ার রবি উল্লাহকে। ভুক্তভোগী রুবেল বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের লিল মিয়ার ছেলে।

মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায়, মামলার তিন নম্বর আসামি রবি উল্লাহর সঙ্গে রুবেলের পরিবারের লোকজনের আগে থেকে বিরোধ ছিল। রবি উল্লাহর বিরুদ্ধে তারা আদালতে মামলাও করেছেন, যা চলমান রয়েছে। ১৪ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে তারই প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কোনো কারণ ছাড়াই এক নম্বর আসামি এএসআই আল আমিন অপর ৪ পুলিশ সদস্যকে নিয়ে বাড়ি থেকে রুবেলকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি, লাথিসহ লাঠি দিয়ে মারধর করে তারা। থানায় নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে ও এএসআই আল আমিন আবারও তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এতে রুবেলের পুরো শরীর মারাত্মক জখম হয়। থানায় নির্যাতনের বিষয়ে রুবেলের মা আমেনা বেগম সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে ১৬ মার্চ দুপুর ২টায় রুবেলকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

রুবেলের মা আমেনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে ১৪ মার্চ বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় অথচ ১৬ মার্চ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে রেখে আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান বলেন, বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের ধারায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আদেশ দেওয়ার জন্য রেখেছেন। ২০ মার্চ সোমবার আদেশ দিতে পারেন। এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম বলেন, শুনেছি আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে আমাদের পুলিশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। এএসআই আল আমিন মানিক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

বাঞ্ছারামপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাঞ্চারামপুর, 24 August 2024, 587 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে আজ ২৪ আগস্ট শনিবার শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

banner

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা না করার অভিযোগ তুলে ওই ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

দাবি আদায় না হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন ও লাগাতার কর্মসূচির দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ইনস্টিটিউটের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, তারা বন্যা দুর্গত এলাকায় সহযোগিতা করার জন্য সবাই মিলে টাকা উঠাচ্ছিল। এসময় একজন দোকানদার তাদের চ্যালেঞ্জ করে কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে। তখন কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ওরা তার কলেজের শিক্ষার্থী না, তারা চাঁদাবাজ, তাদেরকে পুলিশে দেওয়ার জন্য বলেন। যদিও শিক্ষার্থীদের গলায় ওই কলেজের কার্ড ঝুলানো ছিল।

তারা জানায়, অধ্যক্ষ অস্বীকার করার পর তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হোস্টেল সুপার ফোন করে দায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে নিয়ে আসে। এরপর থেকে কলেজের সব শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তারা ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে।

শিক্ষার্থী মুশফিক সরওয়ার বলেন, আমর বাড়ি থেকেও বন্যা দুর্গতদের জন্য অর্থ সহায়তা পাঠানো হয়েছে। মানবিক কাজে সাড়া দেয়ার লক্ষ্যে বন্যায় কষ্ট পাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দোকানে দোকানে অর্থ সহায়তা নিতে গিয়েছিল। যাদের পক্ষে সম্ভব তারা সহায়তা দিয়েছেন, যারা দিতে চাননি তাদের জোর করা হয়নি। অধ্যক্ষের এমন আচরণ মেনে নেয়ার মতো না। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাঞ্ছারামপুরে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ জন আটক

বাঞ্চারামপুর, 6 January 2023, 1594 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র (টেটা)সহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৪নং সোনারামপুর ইউপির চরশিবপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার এরশাদ মিয়ার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। আটক আশকর আলী (৬০) নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার চরদিঘলদী এলাকার আঃ হামিদের ছেলে, একই এলাকার হাসেম মিয়ার ছেলে বাতেন মিয়া (৪৫), ছেকেন মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (৪০) ও ছানাউল্লাহর ছেলে খাইদর মিয়া প্রকাশ হায়দর (৩৫)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঞ্ছারামপুরে থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৪নং সোনারামপুর ইউপির চরশিবপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার এরশাদ মিয়ার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। পরে এরশাদ মিয়ার বসত ঘর তল্লাসী করে ৬টি আটিতে মোট ১২০টি বাঁশের তৈরী দেশীয় অস্ত্র টেটা (তেকাইট্টা) উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, আটককৃতরা জেলার বিভিন্ন জায়গায় ভাড়ায় মারামারি করে থাকে। তারা নরসিংদী জেলার রায়পুরায় মারামারি করার জন্য এরশাদ মিয়ার বাড়িতে সংঘবদ্ধ হয়েছিলো। ভাড়া করা আসামিদের আশ্রয়দানকারী এরশাদ মিয়াকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, আটককৃতদের শুক্রবার দুপুরে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।