চলারপথে রিপোর্ট :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত চারজনের পাশাপাশি বিএনপি সমর্থক একজন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের চারজনের মধ্যে তিনজনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা এ কে একরামুজ্জামানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে নাসিরনগর উপজেলা।
আগামী ৮ মে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। আজ ২২ সোমবার শেষ দিনে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলার গুনিয়াউক ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত গোলাম সামদানি ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন মিয়া পাঠান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ইয়াছিন প্রবাসী হুমায়ুন কবীরকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, আওয়ামী লীগের সমর্থক উপজেলার ধরমন্ডলের বাসিন্দা প্রমোদ রঞ্জন সূত্রধর এবং কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের টানা চারবারের (২০১৬ সাল পর্যন্ত) চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ওমরাও খান।
আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন। এই আসনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ নেতা রোমা আক্তার, মনিরুজ্জামান সরকার ও প্রদীপ কুমার রায় একরামুজ্জামানের পক্ষে নির্বাচন করেছিলেন। অন্যদিকে উপজেলার ধরমন্ডলের প্রমোদ রঞ্জন সূত্রধর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের অনুসারী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসিম কুমার পাল বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত হলো কাউকে সমর্থন দেওয়া হবে না। আর দলের যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা কেউই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি। তাঁরা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতার কলার ছড়ি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করেছে। নির্বাচন যেহেতু উন্মুক্ত। তাই কে প্রার্থী হলো বিবেচ্য বিষয় নয়।
বিএনপির নেতা ওমরাও খান বলেন, ‘সারা দেশেই দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেসব নেতা-কর্মী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন, বিএনপি তাঁদের বহিষ্কার করবে। নেতা-কর্মীরা বহিষ্কার হবেন। এতে কিছু যায়-আসে না। এখানে নির্দলীয় নির্বাচন হবে। আর কোনো প্রার্থীকে আমি প্রভাবশালী মনে করি না। কেউ কোনো প্রভাব বিস্তার করতেও পারবে না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদে দুই ইউপি সদস্যের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নারী ও অপর পুরুষ ইউপি সদস্য আহত হওয়ার খবর মিলেছে। ঘটনার পর একজন আরেকজনকে দোষ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে আহত নারী ইউপি সদস্য মোছা. জাকিয়া আক্তার প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে থানায় এজহার দিয়েছেন। ২৩ মে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদে মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই ইউপি সদস্য হলেন ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মো. ইরন মোল্লা ও ৭, ৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোছা. জাকিয়া আক্তার।
কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাছির মিয়া ও নারী সদস্য জাকিয়াকে ঘটনার পর থেকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন ইরন। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য অনাস্থার প্রস্তাব এনে লিখিত দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়ার কাছে।
জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুন্ডা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিএনপির সাবেক সহসভাপতি (সদ্য বহিস্কৃত) ওমরাও খানের (আনারস প্রতীক) পক্ষে নির্বাচন করেন সাধারণ ইউপি সদস্য ইরন মোল্লা। এদিকে আ.লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার (ঘোড়া প্রতীক) পক্ষে নির্বাচন করেন সংরক্ষিত নারী সদস্য জাকিয়া আক্তার। নির্বাচনের পর প্রথম মাসিক সভার আহবান করেন চেয়ারম্যান।
২৩ মে পরিষদের কক্ষে সভা চলাকালীন সময় বিএনপির সহ-সভাপতি ওমরাও খান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার বিষয়টি তুলেন ইরন মোল্লা। সে সময় চেয়ারম্যান ও জাকিয়াকে দোষারোপ করেন ইরন। সভা কক্ষে অন্য আলোচনা পরিহার করে ইউনিয়ন পরিষদের আলোচনা শুরু করতে বলায় গালমন্দ করতে থাকেন ইরন। এক পর্যায়ে নারী ইউপি সদস্য প্রতিবাদ করায় তার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন ইরন। এ সময় ইরন ও জাকিয়া উভই আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় জাকিয়াকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
আহত জাকিয়া আক্তার বলেন, ইরন একজন খুনি। সে ডাকাত দলের সদস্য। সে শুধু আমার উপরই হামলা করেনি, চেয়ারম্যান ও অপর একজন সদস্যকেও মারধর করতে চেয়েছে। কিন্তু অন্যরা লজ্জায় বলতে পারছে না। ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান ও আমাকে খুন করার প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইরন মোল্লা বলেন, আমি আগে খারাপ কাজ করতাম কিন্তু বর্তমানে সব কিছু ছেড়ে আমি ভালো হয়ে গেছি। নির্বাচনে আমি বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ওমরাও খানের পক্ষে কাজ করছি এটা সত্য। পরিষদে এসব বিষয় নিয়ে সুন্দরভাবে আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু জাকিয়া আমায় খারাপ ভাষায় গালমন্দ করলে আমি তাকে আঘাত করি।
কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ইরন নাসিরনগরের জন্য একটি আতংকের নাম। ঘটনার পর থেকে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। ইউএনওর কাছে লিখিত দিয়েছি। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা সঠিক বিচার চাই।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহাগ রানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দেওয়া হবে।
ইউএনও মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া বলেন, সভা চলাকালীন একজন ইউপি সদস্য আরেকজন নারী ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে আহত করেছে। এর পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছে। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৯ শতাধিক পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক সংগঠন মাওলানা আবু আহমদ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
২০ জানুয়ারি শনিবার সকালে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৩ শতাধিক পরিবারে এবং দুপুরে আশুরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আরো ৩ শতাধিক পরিবারের শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এর আগে বিগত ২৫ ডিসেম্বর আরো ৩ শতাধিক পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছিল।
ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাওলানা আবু আহমদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকর সঞ্চালনায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে নাসিরনগরে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে উপজেলার চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করণের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন ঘোষণা করেন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল চন্দ্র চৌধুরী ।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক প্রভাষক শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। এছাড়া প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অসীম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফ হোসেন, চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চাতলপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আব্দুল আহাদ ও চাতলপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম ইদু মিয়া।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ালীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক রুবিনা আক্তার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম শুভ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায়, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিজানুর রহমান, মোঃ রবিউল ইসলাম, চিত্তরঞ্জন দত্ত, গোকর্ণ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ শাহজালালসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে সবাইকে জনগণের সেবার মন মানসিকতা নিয়ে এগুতে হবে এবং স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এছাড়াও এ সময়ে তিনি জনগণের সামনে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তুলে ধরেন।
সন্ধ্যার পর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ১নং চাতলপাড় ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখায় আমিনুল হক চৌধুরীকে সভাপতি ও আব্দুল মজিদকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সাবেক দুই এমপিসহ ১১৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আজ ১ সেপ্টেম্বর রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নসিরনগর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহা আলম পাঠান বাদী হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলার আবেদন করেন।
আদালত মামলাটি নথিভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশে দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, সাবেক এমপি একে একরামুজ্জামান সুখন, বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক নাজির মিয়া, তার স্ত্রী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুমা আক্তার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান, গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল হক, ভলাকুট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া, গুনিয়াউক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিতু মিয়া, ফান্দাউক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান, পূর্বভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক মিয়া, চাতলপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, চাপরতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনসুর আলী ভূঁইয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আখি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসীম পাল প্রমুখ।
মামলায় আরো ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে করে স্প্রিন্টারের কয়েকজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারাত্মক জখম হয়। আসামিরা দোকানপাট, বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। মামলা নথিভুক্ত করতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা কৃষকলীগের বিশেষ কর্মী সভা ১১ নভেম্বর শনিবার বিকেলে স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ অলি মিয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এস.এম নূরে আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, জেলা কৃষকলীগ নেতা আলী আশরাফ, উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরমান নূর।
এসময় কৃষকলীগের দলীয় নেতৃবৃন্দসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, নাসিরনগর উপজেলা কৃষকলীগ বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১২৮টি ওর্য়াডে এখন কৃষকলীগের নেতারা সক্রিয়।
বক্তারা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) থেকে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়াকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।
কর্মী সভা শেষে আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়ার সমর্থনে উপজেলা সদরে একটি র্যালি বের করা হয়।