অনলাইন ডেস্ক :
দুবাইয়ে আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভেড়ার পর বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ থেকে কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। ২২ এপিল সোমবার রাত ১২ টা থেকে শুরু করা কয়লা খালাস করতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। এসব কয়লা খালাসের পর ক্যাপ্টেনসহ ২৩ নাবিকের সবাই এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে করে একসঙ্গে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করা জাহাজ মালিকপক্ষের প্রতিনিধি দলে থাকা চট্টগ্রামের কবির গ্রপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।
আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘সবকিছু সুন্দরভাবে চলছে। নাবিকদের সবাই ভাল আছেন, সুস্থ আছেন। এখন সবাই একসঙ্গে ২৩ জনই জাহাজে করে দেশে আসার জন্য মনস্থির করেছেন।’
জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমালি সশস্ত্র দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার আট দিনের মাথায় গত রবিবার বিকেলে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পৌঁছে।
জাহাজটি আল হামরিয়া বন্দরের বহিনোঙর থেকে বন্দরের জেটিতে ভিড়ে সোমবার রাতে। এরপর মুক্তি পাওয়া নাবিকদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে। এরআগে নাবিকদের বরণ করাসহ আনুষাঙ্গিক কাজগুলো করতে জাহাজ মালিকপক্ষের একটি প্রতিনিধি দল দুবাই গিয়ে এখন জাহাজে নাবিকদের সঙ্গে রয়েছে।
এ দিকে গত কয়েকদিন ধরে মালিকপক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল ২৩ নাবিকের মধ্যে দুইজন বিমানে করে এবং বাকি ২১ জন জাহাজে করে দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
শেষ পর্যন্ত নাবিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সবাই আবদুল্লাহ করে দেশে আসার জন্য একমত হয়েছেন বলে জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এমভি আবদুল্লাহ ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে গত ৪ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়। ১৯ মার্চ আবদুল্লাহ আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। মাপুতু থেকে রওনা হওয়ার চার দিন পর গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল দস্যুদের জিম্মিদশা থেকে নাবিক ও জাহাজ মুক্ত হয়ে পূর্বনির্ধারিত গন্তব্যে দুবাইয়ের পথে রওনা হয়ে গত রবিবার সেখানে পৌঁছে।
চলারপথে রিপোট
নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রাম ও মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজবাড়ীয়া গ্রামের একমাত্র সংযোগ সেতুটি ১০ বছর ধরে ভেঙে থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে। সেতুটি ভাঙার প্রায় ১০ বছর পার হলেও এখনো সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। নারী-পুরুষ, বয়স্ক মানুষ, রোগীসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দায়িত্বশীল কেউ উদ্যোগ নেয়নি সেতু মেরামতের বা নির্মাণের। ফলে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার বাসিন্দা সেতুটি পারাপার হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে দুই ইউনিয়নের সংযোগ এই সেতু ভেঙে আছে। লোকজন থেকে কিছু টাকা তুলে কাঠ দিয়ে সেতুটি প্রতিবছর সংস্কার করা হয়। কিন্তু অনেক গাড়ি ও লোকজন চলাচল করায় কাঠ দিয়ে সংস্কার করলে বেশিদিন টিকে না। ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। এই সেতুটি বছরের পর বছর পার হলেও নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভাঙা ওই সেতু দিয়ে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়িসহ যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এ ছাড়াও ভারী যানবাহন চলাচল না করতে পারায় অনেকেই দুর্ভোগে পড়ছেন।
মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজা বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল বারেক হাওলাদার বলেন, ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটা অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে আর ভোগান্তি থাকবে না।
রানাপাশা ইউনিয়নের ইসালাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ বলেন, সেতুটির জন্য হাজার হাজার মানুষ বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে কেউ নতুন করে সেতু তৈরির জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে না।
অটোরিকশা চালক দেলোয়ার হাওলাদার ও রাজ্জাক ফকির বলেন, আমাদের প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা পারাপার করতে হয়। এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে যেতে এই সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। কিছুদিন আগে এই সেতু দিয়ে একটি টমটম পার হতে গিয়ে উল্টে যায়। আমরা গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে তারপর গাড়ি পার করি। এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মোল্লারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেএম মাহাবুবুর রহমান সেন্টু বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু কিছু কাছ অসমাপ্ত রয়েছে। এই সেতুটির কারণে দুই ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নলছিটি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইকবাল কবীরের সঙ্গে সেতুর বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
ঝালকাঠি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকার বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে আন্ডার হান্ড্রেড মিটার প্রকল্পের আওতায় ওই সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনুমোদন পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।
অবশেষে দেশে ফিরেছেন মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। আজ ২ অক্টোবর বুধবার বিকেলে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্ধরে পৌছেন তিনি। এ বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন মিজানুর রহমান আজহারী। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সালামাতে প্রিয় মাতৃভূমিতে এসে পৌঁছালাম। পরম করুণাময় এই প্রত্যাবর্তনকে বরকতময় করুন। দুআর নিবেদন।’
আলাদা পোষ্টে মিজানুর রহমান আজহারীর মামা মোশারফ হোসেন বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছার ছবি পোস্ট করেন। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের প্রিয় রাহবার এখন প্রিয় মাতৃভুমি বাংলাদেশে’।
এর আগে গত ৬ জুলাই ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, অনেকে আমাকে মেসেজ করে ও ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে জানতে চেয়েছেন আমি কবে দেশে ফিরবো। আমি তাদের বলতে চাই, আমি দ্রুতই দেশে ফিরবো। আপনাদের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছি আমি নিজেও। শিগগির সাম্য, মানবিকতার মুক্ত-স্বাধীন, বাংলাদেশে আমি আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই।
দীর্ঘ ওই ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, তাজা রক্তের মাধ্যমে যারা আন্দোলনকে সফল করেছেন সেই শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ও রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং এখনো কষ্ট করে যাচ্ছেন তাদের শুভেচ্ছা জানাই।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী রাজউক, ইউডিডি ও এইচবিআরআইয়ের বিদ্যমান সমস্যা নিরসন ও কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
১৯ মার্চ মঙ্গলবার সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংস্থা তিনটির সাথে পৃথক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর (ইউডিডি) ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার ও পরিকল্পিত নগরায়ণের লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ করছে। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানে জনবল সংকট, কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। সেই সাথে অধিদপ্তরের কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য যা কিছু করা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা নিষ্পন্ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী উদ্ভাবন ও তৎসংশ্লিষ্ট শিল্প-কারখানা স্থাপনে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন। পোড়ামাটির ইটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারযোগ্য স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লক তৈরির আড়াই শর বেশি কারখানা ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এসব নির্মাণসামগ্রী বিশেষ করে স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লক ব্যবহারে সর্বস্তরে আরো সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেন। পরিবেশবান্ধব এসব নির্মাণসামগ্রী ডিকার্বনাইজেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম এবং জাতীয় স্বার্থে এসব নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি প্রয়োজন বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
তিনি এইচবিআরআইয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যাসমূহ দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। একই দিনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় রাজউকের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পে পর্যাপ্ত বনায়ন, পার্ক, খেলার মাঠ, শিশু পার্ক ও জলাধার সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল দপ্তর/সংস্থার কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি ও যথাযথ নিয়ম মেনে দ্রুততম সময়ে কাজ নিষ্পন্ন করার মাধ্যমে আমরা একটি জনবান্ধব ও স্মার্ট মন্ত্রণালয় গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সুচারুরূপে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
মতবিনিময়সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চারটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার জমা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চার সংস্কার কমিশনের প্রধান তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন
ছাগলকাণ্ডের আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেফতার
তারা হলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
আরও পড়ুন
টিউলিপের স্থলাভিষিক্ত হলো এমা রেনল্ডস
এখন প্রধান উপদেষ্টার সাথে চার সংস্কার কমিশনের প্রধানের বৈঠক চলছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এর মধ্যে বিচার বিভাগ সংস্কার ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। বাকি চারটি কমিশনের প্রতিবেদন আজ জমা দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন
অপরাধী ধরতে কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না:: ডিবি প্রধান
সরকারের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রস্তাবগুলো নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করবে। চলতি মাসেই এ আলোচনা শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। আলোচনার মধ্য দিয়ে যেসব প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। প্রস্তাবগুলো কবে, কোন প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন করা হবে, তার একটি রূপরেখা আসতে পারে দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনার মাধ্যমে।
চলারপথে ডেস্ক :
‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবার সহযাত্রীর নাম উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক করেছে। যার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহযাত্রীদের টিকিট কেনা হবে, সেখানে সহযাত্রীদের নামও উল্লেখ করতে হবে।
আজ ১ এপ্রিল শনিবার থেকে এটি সংযোজন করা হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন-জেভির সিইও সন্দ্বীপ দেবনাথ।
তিনি বলেন, আজ থেকে টিকিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহযাত্রীদের নাম (জাতীয় পরিচয়পত্র/ ফটো আইডিতে দেওয়া নাম) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভ্রমণের সময় সব যাত্রীকে অবশ্যই তাদের এনআইডি/ফটো আইডি সঙ্গে রাখতে হবে।
রেলওয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, ২/৩/৪টি টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সিট সিলেক্ট করার পরের স্টেজে গিয়ে প্যাসেঞ্জার এক- এর ক্ষেত্রে যে অ্যাকাউন্ট দিয়ে সিলেক্ট করা হয়েছে, তার নাম বসানো আছে। প্যাসেঞ্জার ২/৩/৪ এর জায়গায় স্টার মার্ক করা একটি করে নামের জায়গা খালি রাখা হয়েছে। সেখানে নাম না লেখা পর্যন্ত ‘প্রসিড’ অপশন আসবে না। অর্থ্যাৎ টিকিটগুলো কেনার কাজ সম্পন্ন করতে নাম লিখতে হবে।
এর আগে গত ২২ মার্চ রেল ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, একজন যাত্রী ঈদের অগ্রিম টিকিট ও ফেরত যাত্রার টিকিট উভয় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার এবং প্রতিক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। একজন নিবন্ধিত যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহযাত্রীদের এনআইডি অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর ইনপুট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।