অনলাইন ডেস্ক :
৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। ৩ মে শুরু হওয়া সিরিজের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। প্রথমবার দলে ডাক পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেলে ছেলে জোনাথন ক্যাম্পবেল।
অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেল জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। সিকান্দার রাজার নেতৃত্বাধীন দলে ফিরেছেন ফারাজ আকরাম ও তাদিওনাসে মারুমানি। দলের বাকিরা জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সিরিজের অংশ ছিলেন।
এছাড়া অভিজ্ঞ ক্রেগ আরভিন, শন উইলিয়ামস, ব্লেজিং মুজারাবানিরা আছেন দলে। রায়ান বার্ল, জনজি লুকরাও ভালো টি-২০ খেলেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড এখনও দলটির হেড কোচ নিয়োগ দেয়নি। বাংলাদেশ সিরিজে স্টুয়ার্ট মাটসিকেনারি কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।
জিম্বাবুয়ের দল: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), আকরাম ফারাজ, বেনেত্তি ব্রেইন, রায়ান বার্ল, ক্যাম্পবেল জোনাথন, ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বিয়া, লুক জনজি, ক্লিভ মাদান্দে, তাদিওনাসে কায়তানো, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেজিং মুজুরাবানি, আনিসলি এন্ডলভ, রিচার্ড এনগ্রাভা, শন উইলিয়ামস।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এটা তাঁর সবচেয়ে সুন্দর ইনিংসগুলোর একটি, বলেছেন মুশফিক। এ জয়ের জন্য সব খেলোয়াড়কেই কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি, বিশেষ করে এ সিরিজের জন্য তাঁরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন সেজন্য। ম্যাচসেরার প্রাইজমানি বন্যার্তদের সহায়তায় দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
২০০৩ সাল। মুলতানে পরাক্রমশালী পাকিস্তানকে হারানোর সুযোগ এসেছিল। টেস্টে তখন বাংলাদেশ ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’। মোহাম্মদ রফিক ‘অনৈতিক’ ভেবে মানকাডিং না করায় সেবার ১ উইকেটে হেরেছিলেন হাবিবুল বাশার-খালেদ মাহমুদরা। ২১ বছর পর এবার ক্রিকেটে প্রথমবার পাকিস্তান জয় করলেন মুশফিকুর রহিম-সাকিব আল হাসান-মেহেদী মিরাজরা। আজ ২৫ আগস্ট রোববার রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে টাইগাররা।
টেস্টে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক এই জয় পেয়েছে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিং, সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংস ও মুমিনুল-লিটনের পর মিরাজের ফিফটিতে। সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসিয়ে দিতে মিরাজ ও সাকিব অসাধারণ বোলিং করেছেন। তাদের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জয়ের জন্য ৩০ রানের লক্ষ্য পায় সফরকারীরা। যে রান তুলতে পেতে হয়নি বেগ।
সিরিজের প্রথম এই টেস্টের টস পক্ষে আসে বাংলাদেশের। ম্যাচ শুরুর আগের রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে টস হয়নি। প্রায় দুই সেশন ভেসে যাওয়ার পর হওয়া টসে জিতে বোলিং নেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। উইকেটের সুবিধা নিয়ে মাত্র ১৬ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানের ৩ উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম-হাসান মাহমুদরা। কিন্তু সূদ শাকিলের ১৪১ ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১৭১ রানের সঙ্গে সাইম আইয়ূবের ৫৬ রানের ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ হয়তো ভেবেছিলেন বাংলাদেশ রানের চাপায় পিষ্ট হবে। কিন্তু চোখে চোখে রেখে শুধু জবাব দেননি মুশফিক-সাদমানরা। বরং তুলে নেন ১১৭ রানের লিড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৫৬৫ রান তোলে। মুশফিকুর ১৯১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। সাদমান সেঞ্চুরি মিস করলেও ৯৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। এছাড়া মুমিনুল ৫০, লিটন ৫৬ ও মেহেদী মিরাজ ৭৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপে পাকিস্তান সুবিধা করতে পারেনি। তাদের দেড়শ’ রানের আগে ধসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন স্পিনার সাকিব ও মিরাজ। টেস্টে বাঁ-হাতি বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ ৭০৬ উইকেট তুলে নেওয়ার পথে সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট তুলে নেন। মিরাজ নেন ৪ উইকেট। এছাড়া শরিফুল, হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট নেন। ওই ইনিংসে পাকিস্তানের রিজওয়ান ৫১ রান করেন। আব্দুল্লাহ শফিক ৩৭ রান যোগ করেন। জবাবে জাকির ১৫ ও সাদমান ৯ রান করে জয় তুলে নেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের মাটিতে এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়। এছাড়া টেস্টে প্রথমবার পাকিস্তানকে হারানোর কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাটে-বলে শুধু নয় ফিল্ডিংয়েও কর্তৃত্ব করে খেলেছে। লিটন উইকেটের পেছনে বাবর আজমের ক্যাচ ফেললেও সফরকারীরা এই ম্যাচে দুর্দান্ত কিছু ক্যাচ নিয়েছে। ক্রিকেট বোর্ড থেকে নাজমুল হাসান পাপনের বিদায়, বাংলাদেশ ক্রিকেটে সংস্কার কাজের শুরুতে পাওয়া জয়ের মাহাত্ম্য তাই একটু বেশিই।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৮ ওভার ১ বল খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১০১ রান করে আইরিশরা। জবাব দিতে নেমে ২২১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। একইসঙ্গে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটে জয়ের কীর্তি গড়ে স্বাগতিকরা।
প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল, দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে হয় পরিত্যক্ত; সিরিজের ট্রফি তাই থাকছে স্বাগতিকদের কাছে। ১০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ খেলেছে নিজেদের মতো করেই। একটি রেকর্ড অবশ্য ছোঁয়া হয়নি। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়েকে ৪৪ রানে অলআউট করেছিল বাংলাদেশ, সেদিন জয় এসেছিল ২২৯ বল হাতে রেখে। ওই রেকর্ড ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়নি এদিন। কেননা জেতার সময় ২২১ বল হাতে ছিল বাংলাদেশের।
ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়া অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৫ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৪১ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস। এতে আয়ারল্যান্ডকে একটি তেঁতো হারের স্বাদ দেয় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারে আইরিশরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুর দিকে দেখেশুনেই খেলে আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টিতে ঢেকে থাকা পিচে সুইং ছিল স্বাভাবিকভাবেই। বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য পায় পঞ্চম ওভারে এসে। ২১ বলে কেবল ৮ রান করা স্টেফেন দোহানি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হাসান মাহমুদের বলে। পরের দুটি উইকেটও হাসানের।
নবম ওভারের প্রথম বলে এই পেসার ফেরান পল স্টার্লিংকে। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে আইরিশ উদ্বোধনী ব্যাটার ১২ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। ওই ওভারেই হাসান ফেরান হ্যারি টেক্টরকে। ৩ বল খেলে কোনো রান না করা এই ব্যাটারও হন এলবিডব্লিউ।
পরের ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ১ চারে ১৮ বলে ৬ রান করে তিনি ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ২৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলা আয়ারল্যান্ডকে কক্ষপথে ফেরানো ছিল কঠিন এক কাজ।
ওই চেষ্টা করেন কার্টিস ক্যামফার ও লরকান টাকার। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৪২ রানের জুটি। কিন্তু এবারও আইরিশদের জন্য ধাক্কা হয়ে আসেন এক পেসারই। এবাদত হোসেন এলবিডব্লিউ করে ফেরান টাকারকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চারে ৩১ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
এরপর অনেকটা সময় একাই লড়াই করেন কার্টিস ক্যামফার। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। হাসান মাহমুদের চতুর্থ শিকার হওয়ার আগে ৪ চারে ৪৮ বলে ৩৬ রান করেন ক্যামফার। ইনিংসের ২৭তম ওভারে এসে যখন আইরিশরা দলীয় সংগ্রহে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে, ততক্ষণে ৯ উইকেট নেই তাদের।
শতরান ছাড়িয়ে যাওয়ার একটু পরই সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকিয়ে দেন হাসান। ১৯ বলে ৩ রান করা গ্রাহামকে ফেরান এলবিডব্লিউ করে। এতে একটি রেকর্ডেও নাম লেখায় ম্যাচটি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পেসাররা নিলেন প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট।
৮ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়ে ১ মেডেনসহ হাসান মাহমুদ ৩২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট পান। এর বাইরে তাসকিন ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট ও এবাদত হোসেন ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ১ ওভারে ৩ ও নাসুম ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। বোলিং করেননি সাকিব আল হাসান।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের হায়দ্রাবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় লক্ষ্য দিয়েও জয় নিশ্চিত করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। এদিকে ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কার ৩৪৫ রানের জবাবে ইমাম-উল-হক ও বাবর আজম দুজনেই ফিরে যান দলীয় ৩৭ রানে। এরপর যা ঘটেছে– সেটি পাকিস্তান কেন ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট! লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার জোড়া সেঞ্চুরির জবাবে পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আব্দুল্লাহ শফিকও ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করেছেন। যার ওপর ভর করে ১০ বল হাতে রেখেই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান টপকানোর রেকর্ড গড়েছে বাবরের দল।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জিয়াউল হক মীর বলেছেন, প্রতিবন্ধী বলতে কিছু নেই, আমরা প্রতিবন্ধী না বলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বা ব্যক্তি বলতে পারি। তাদেরকে অবহেলা করলে হবে না। আমরা তাদেরকে ভাল আচরণ করে সমাজের মুল শ্রোতে আনতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য রয়েছে আলাদা চিন্তা এবং তাদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার একটি মহা পরিকল্পনা।
আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় টেংকেরপাড় আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চে জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২৪ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া উৎসব এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, প্রধামন্ত্রী সুবর্ণ নাগরিক সন্তাদের নিয়ে একটি ক্রীড়াযজ্ঞ তৈরী করেছে এবং তাদের এ ক্রীড়ার মাধ্যমে উৎসাহিত করছে।
কণ্ঠ শিল্পী আনিসুল হক রিপনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন সমাজ সেবা উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা গায়ত্রী দেবনাথ। এসময় আসমনাতুন্নেছা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ে প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধী, মুক বধির ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ শতাধিক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া উৎসবে অংশ গ্রহন করেন।
উভেন্টের মধ্যে ছিলো ফুটবল, দড়ি লাফ, ৫০ মিটার দৌড়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ২০ মিটার হাটা এবং পরে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
স্পোর্টস ডেস্ক :
সাম্প্র্রতিক সময়ের হিসেবে ব্যাটারদের জন্য বিষয়টি অনেকটা সহজই বটে। এরপরও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে যে কোনো দলের জন্য ৪০০ রান করা প্রায় কষ্টসাধ্য। আর ২০ ওভারের ম্যাচে সেটা তো কল্পনাই করা কষ্টকর। কিন্তু সেটাই করে দেখিয়েছে আর্জেন্টিনা নারী দল, যা আপনি কখনো কল্পনাও করতে পারেন না। টি২০তে প্রথম দল হিসেবে ৪০০-এর বেশি রান করেছে দলটি।
৪২৭ রান করে গড়েছে বিশ্বরেকর্ড। তবে এখানেই শেষ নয় রেকর্ডের।
গত শুক্রবার বুয়েনস আয়ারসে আর্জেন্টিনার পাহাড়সমান পুঁজি তাড়া করতে নেমে মাত্র ৬৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় চিলি। রানের হিসেবে টি২০তে সবচেয়ে বড় জয়ও এটি।
এদিন টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালান আর্জেন্টিনার দুই ওপেনার লুসিয়া টেলর ও আলবার্তিনা গালান। উদ্বোধনী জুটি থেকেই আসে ৩৫০ রান। যেটাও কিনা বিশ্বরেকর্ড। এরপর ৮৪ বলে ২৭ বাউন্ডারিতে ১৬৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হন লুসিয়া টেলর। যা কি না নারী টি২০ ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও।
আরেক ওপেনার গালান ২৩ বাউন্ডারিতে খেলেন অপরাজিত ১৪৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১ উইকেটে ৪২৭ রানের পাহাড়সমান পুঁজি দাঁড় করায় আর্জেন্টিনা।
জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৬৩ রানেই গুঁটিয়ে যায় চিলি। এর আগে, নারী টি২০তে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড ছিল বাহরাইনের। গত বছরের মার্চে সৌদি আরবের বিপক্ষে ১ উইকেটে ৩১৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল তারা।
অন্যদিকে, লজ্জার রেকর্ডে নাম লিখিয়ে চিলির বোলাররা। এক ওভারে ৫২ রান খরচ করেছেন চিলির ফ্লোরেন্সিয়া মার্টিনেস। তবে সবচেয়ে খরচে বোলিং করেছেন কনন্তানসা ওয়ারসে। ৪ ওভারে ৯২ রান খরচায় লজ্জার রেকর্ডে নাম তুলেছেন তিনি।