স্টাফ রিপোর্টার:
হবিগঞ্জের বাহুবলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে শহিদ মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তির হত্যার পেছনে রয়েছে রাস্তা নিয়ে পূর্ব বিরোধ। রোববার (১১ ডিসেম্বর) নিহতের ভাই মাসুক মিয়া ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে বাহুবল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে তিনি রাস্তা নিয়ে পারিবারিকভাবে পূর্ব বিরোধের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের আদিত্যপুর গ্রামের মৃত দেওয়ান আলীর ছেলে শহিদ মিয়ার বাড়ির সীমানা নিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত লোকজনের পূর্ব বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে বিবাদীরা বিভিন্ন সময় বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে হয়রানিসহ নানা রকমের হুমকি দিয়ে আসছিল। গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুটবল বিশ্বকাপের ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার খেলা নিয়ে নিহত শহিদ মিয়ার ছেলে রোকন মিয়ার সঙ্গে রুবেল মিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করে দিলেও আসামিরা হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরদিন শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহিদ মিয়া বাড়ির পার্শ্ববর্তী কচুবিল থেকে ধানের খড় মাথায় নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে একা পেয়ে কয়েকজন তার ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে হামলাকারীদের আঘাতে গুরুতর আহত হন শহিদ মিয়া। পরে তাকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম খান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দু’পক্ষের মধ্যে রাস্তা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। এর সঙ্গে খেলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির বিষয়টি যুক্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহতের ভাই মাসুক মিয়া ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে বাহুবল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এতে ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামিও করা হয়।
ওসি রকিবুল ইসলাম খান বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে আপাতত কোনও আসামির নাম বলা যাবে না। কারণ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের প্রাণকেন্দ্রে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এলিভাদোর গ্লোরিয়া নামের একটি ফানিকুলার (ক্যাবল রেল) দুর্ঘটনায় ১৫জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, আরো ১৮জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
৩ সেপ্টেম্বর বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ছয়টার দিকে একটি ফানিকুলার দ্রুত গতিতে নিচের দিকে নামতে থাকে এবং পাশের বিল্ডিংয়ে ধাক্কা লেগে এটি কাঠের বাক্সের মত ভেঙে পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহত এবং নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দেশি বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত বিদেশিদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আহত ব্যক্তিদের লিসবনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের এক গর্ভবতী নারী ও তার শিশু সন্তান রয়েছে।
গর্ভবতী নারীকে মেটারনিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তার শিশু সন্তানকে শিশুদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল দোনা এস্টেফানিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পর্তুগালে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে এবং রাজধানী লিসবনে তিনদিনের শোক পালিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন লিসবনের সিটি মেয়র কার্লোস মোয়েদা।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমাদের শহরে এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। ভুক্তভোগীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।। যে কোন পরিস্থিতি তাদের পাশে থাকব আমরা।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বিতীয়বারের মতো আয়ারল্যান্ডের তাওইসিচ (প্রধানমন্ত্রী) হিসেবে শপথ নিয়েছেন মাইকেল মার্টিন। ২৩ জানুয়ারি তিনি শপথ নেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। নভেম্বরে দেশটির সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক দর কষাকষি ও জোট গঠনের পর বুধবার পার্লামেন্টে হট্টগোল শুরু হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিরোধ নিষ্পত্তির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে। অবশেষে দুপুর ২টার আগে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ফিয়ানা ফেল পার্টির নেতা ৬৪ বছর বয়সী মার্টিন।
দায়িত্ব নিয়ে মার্টিন ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সাথে আয়ারল্যান্ডের সম্পর্কের গুরুত্বের উপর জোর দেন। পার্লামেন্টের ভরা চেম্বারে তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ড-আমেরিকা সম্পর্ক এমন একটি বিষয়, যা আমাদের উভয়কেই উপকৃত করে। যাই হোক না কেন দৃঢ়ভাবে সম্পর্ক থাকবে।
২৯ নভেম্বরের নির্বাচনে দেশটির মধ্য-ডানপন্থী ফিয়ানা ফেল পার্টি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। পরে তারা দেশের অন্য মধ্যপন্থী দল ফাইন গেলের সঙ্গে সাম্প্রতিকতম জোটে ফিরে আসে।
সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড । ২৮ মে এ স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশ তিনটি।
স্পেন ও আয়ারল্যান্ড বলেছে, তাদের এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কিংবা হামাসের পক্ষে নয়। শান্তির সমর্থনে তাদের এ সিদ্ধান্ত।
ইসরায়েল অবশ্য ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং সতর্ক করে বলেছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপের অর্থ এ অঞ্চলে আরও অস্থিরতা।
ইসরায়েল তিন দেশে থাকা রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনছে। অন্যদিকে, দেশ তিনটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
আজ ২২ মে বুধবার নরওয়ে প্রথম এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইউনাস গার স্তুরে এ নিয়ে বলেন, দুই রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পাশাপাশি শান্তিতে থাকতে পারবে।
এরপরই আয়ারল্যান্ড ও স্পেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল মার্টিন বলেন, আমরা ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলি জনগণের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের সমান অধিকারের ক্ষেত্রে আমাদের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন স্পষ্টভাবে প্রকাশ করছি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস অবশ্য জোর দিয়ে বলেছেন, হামাস ফিলিস্তিনি নয়। তিনি বলেন, ফিলিস্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার আজকের সিদ্ধান্ত শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ তৈরিতে সহায়তার জন্য নেওয়া হয়েছে।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের কণ্ঠেও হ্যারিসের মন্তব্য প্রতিধ্বনিত হয়েছে। স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়, ইহুদিদের বিরুদ্ধে নয়। এটি হামাসের পক্ষেও নয়। এ স্বীকৃতি কারো বিরুদ্ধে নয়, এটি শান্তি ও সহাবস্থানের পক্ষে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইয়েল কাৎজ বলেন, তিনি পরামর্শের জন্য ওই তিন দেশে থাকা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল নীরব থাকবে না।
কাৎজ আরো বলেন, ইসরায়েলে নিযুক্ত ওই তিন দেশের দূতকেও তলব করা হবে।
সূত্র : বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যরা নিখোঁজ রয়েছেন। আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। সূত্র : বিবিসি
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৩ অভিবাসনপ্রত্যাশী লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে নৌকা ডুবে মারা গেছে।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে ইয়েমেন থেকে ইথিওপিয়ায় যাচ্ছিল ৭৭ অভিবাসনপ্রত্যাশী।
বিবিসির ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মৎস্যজীবীরা অধিবাসী বহনকারী ওই নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনা প্রত্যক্ষ করে উপকূলরক্ষীদের জানান। পরে উদ্ধারকারীরা ২০ জনেরও বেশি লোককে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন। উদ্ধারের পর তাদের জিবুতির উপকূলে গডোরিয়া শহরে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম তাদের ইথিওপিয়ায় প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।
জিবুতি কোস্টগার্ডের সিনিয়র কর্মকর্তা ইস ইইয়াহ বলেন, যারা ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিলেন তারা ইয়েমেন ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় চুক্তি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি বিমান ও ড্রোন হামলায় গাজায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন বলে ওয়াফা নিউজ এজেন্সির বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার দেশটিতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে তিনজন এবং গাজা শহরে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে একদিনে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গতকাল হাসপাতালের কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। গাজা নগরীতে দুটি বাড়িতে হামলায় আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের যোদ্ধারা নজিরবিহীন হামলা চালায়। ওই হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে বলে ভাষ্য ইসরায়েলের। ইসরায়েলের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতী একক হামলা। এ হামলা চলাকালে হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশিকে ধরে গাজায় নিয়ে বন্দি করে রাখে।
এর জবাবে ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা দেয়। ওই দিন থেকেই তারা হামাস শাসিত গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে। তারপর থেকে প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলে অবিরাম হামলায় গাজায় ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এদিকে নির্বিচার হামলায় প্রায় পুরো গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।