অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্থানীয় সময় আজ ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার তুরস্ক ও সিরিয়ায় অন্তত ৫ হাজার ২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় বলেছেন, তুরস্কের মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪১৯ এ পৌঁছেছে।
কমপক্ষে ২০ হাজার ৫৩৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তুরস্কে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। এই কর্মকর্তা যোগ করেন, ২৫ হাজার কর্মী উদ্ধারকাজ করছেন।
উদ্ধারকারীরা আহতদের পরিবহন ও অনুসন্ধান অভিযানে সহায়তার জন্য কমপক্ষে ১৮টি জাহাজ ও ৫৪টি বিমান ব্যবহার করছে।
এদিকে সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০২-এ।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবারের ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার ৬৪৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবারের শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে। অনেক ভবন ভেঙে পড়েছে। অনেকে ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন। উদ্ধারকাজ চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল এর সাথে ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে চারদিন ধরে। এসব হামলায় উভয় দেশের মধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ইসরায়েলের জাতীয় পরিষেবা জানিয়েছে, আজ সোমবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত শুক্রবার থেকে আজ ১৬ জুন সোমবার পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছুল। আজ এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
অন্যদিকে, আল-জাজিরা বলছে, ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রবিবার পর্যন্ত ইরানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি পরিষেবার প্রধান ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলজুড়ে ইরানের হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন নারী। এর আগে সিএনএন ইসরায়েলের ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর দেয়। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কানের খবর বলছে, বন্দরনগরী হাইফায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়া, তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
রবিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
সিএনএনের এক খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।
সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।
সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজের বরাতে বিবিসি জানায়, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’
তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রবিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের তিন শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল সরকার জানায়, এছাড়া ইরানের হামলায় কমপক্ষে ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলকে গণহত্যা বন্ধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।
আজ ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার এই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার বাহিনী গাজায় আর গণহত্যা চালাবে না ও ‘কথিত’ গণহত্যার প্রমাণ সংরক্ষণ নিশ্চিত করবে।
শুক্রবার গাজা উপত্যকায় গণহত্যা নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার রুল জারি করেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। এতে গাজায় গণহত্যা বন্ধে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন রায়ে আদালতের প্রেসিডেন্ট মার্কিন বিচারক জে দোঙ্গু বলেন, ‘আদালত ইসরায়েলকে নির্দেশ দিচ্ছে, গাজায় গণহত্যা সংঘটিত যেন না হয় সেজন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয়তা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
রায়ে আদালত ইসরায়েলকে আরো নির্দেশ দেন, ‘সেনারা যেন কোনো ধরনের গণহত্যা সংঘটিত না করেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং গণহত্যার নির্দিষ্ট (অভিযুক্ত) প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে।’
রায়ে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পৌঁছতে দিতে হবে এবং গাজার সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হবে।’ এছাড়া ত্রাণ পৌঁছানো এবং গণহত্যা প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে এক মাসের মধ্যে আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে দখলদার ইসরায়েলকে।
তবে যেটি ধারণা করা হয়েছিল, গাজায় ইসরায়েলকে তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ আদালত দেবেন; সে ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
গাজায় আগ্রাসন ও গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে গত বছরের শেষের দিকে আইসিজেতে মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সূত্র : আল-জাজিরা।
অনলাইন ডেস্ক :
ইতোমধ্যে এক বছরে বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে ধ্বংস হচ্ছে শত শত বাড়ী-ঘর ও স্থাপনা। পাশাপাশি নিহত হয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ।
জানা যায়, গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় আট হাজার ৫০০ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে যুদ্ধ চলাকালীন সঠিক বের করা সম্ভব হয় না।
এদিকে জাতিসংঘের একটি সংস্থা মঙ্গলবার জানায়, ইউক্রেনে আরো হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। কারণ যুদ্ধে গতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস ‘ওএইচসিএইচআর’ জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২। আর ৯ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত মোট আট হাজার ৫০০ জনের বেশি নিহত এবং ১৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
তবে ‘ওএইচসিএইচআর’ বিশ্বাস করে যে প্রকৃত সংখ্যা এই সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। কারণ কিছু স্থানে সংঘাত অব্যাহত থাকায়, সেসব স্থান থেকে তথ্য পেতে দেরি অথবা পাওয়া সম্ভব হয়নি।
অনেক প্রতিবেদন এখনো প্রমাণের অপেক্ষায় রয়েছে। আবার অনেকে স্থানে সংঘাতের তিব্রতায় সংস্থাটির কেউ সেখানে যেতেও পারেনি। তবে কিছু কিছু অঞ্চলে গণহারে মানুষ মারা যাচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে মারিওপোল (দোনেৎস্ক অঞ্চল) লিসিচানস্ক, পোপাসনা, সিয়েভিরোডতেস্ক (লুহানস্ক অঞ্চল)-এর কথা উল্লেখ করা যায়। ওই সব অঞ্চলে বহুসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, এপ্রিলের প্রথম ৯ দিনে ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা গেছে। এদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই ‘ব্যাপক এলাকায় প্রভাব ফেলতে সক্ষম বিস্ফোরক অস্ত্র’ ব্যবহারের কারণে নিহত হয়েছেন।
রুশ বাহিনী পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে ভারী বোমাবর্ষণ করেছে। জাতিসংঘের তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে, গত মাসে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। যদিও রুশ বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
এদিকে আবার রাশিয়া যুদ্ধ ঘিরে বিশাল সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সূত্র : রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
ফ্রান্সের প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে এক ব্যক্তি বোমা নিয়ে ঢুকে পড়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ফরাসি সশস্ত্র পুলিশ। হামলার আশঙ্কা থেকে ইরানের কনস্যুলেটটি বন্ধও করে দিয়েছে পুলিশ। এসময় কনস্যুলেটের আশপাশ ঘিরে ফেলে তারা।
আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, কনস্যুলেটের পক্ষ থেকেই তাদের জানানো হয় এক ব্যক্তি গ্রেনেড অথবা বিস্ফোরক বেল্ট নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা। ওই সময় তাদের কাছে সাহায্য চান কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা। এরপর ফ্রান্সের পুলিশের একটি ইউনিট চারপাশ ঘেরাও করে ফেলে।
জানা গেছে, কনস্যুলেটের আশেপাশের ১৬ এলাকা পুরো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সেসব স্থানে অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্যারিস ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি আরএটিপি মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে জানায়, কনস্যুলেটের দিকে যাওয়া দুটি লাইনে মেট্রো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে রয়টার্স জানায়, হামলার হুমকি দেওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি কোনো বিস্ফোরক বহন করছিলেন না। তিনি আতঙ্ক সৃষ্টি করতে নিজের কাছে বিস্ফোরক থাকার ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি কনস্যুলেটের ছাদে একটি পতাকা স্থাপন করেন। গ্রেফতারের পর তিনি জানান, তার ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে কনস্যুলেটে হামলা চালাতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।
সকালে ইরানের ইসফাহানে ড্রোন হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্যারিসে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হট্টগোলের তথ্য শোনা যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
মেক্সিকোর মুভমেন্ট পার্টির নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চ ভেঙে নিহত হয়েছেন পাঁচজন। ২২ মে বুধবার বিকেলে দেশটির নুয়েভো লিয়নে এ ঘটনা ঘটে। সূত্র : রয়টার্স
স্থানীয় গভর্ণর স্যামুয়ের গারসিয়া বলেন, মঞ্চ দুর্ঘটনায় আরো ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে।
সেন্ট্রিস্ট সিটিজেনস মুভমেন্ট পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জর্জ আলভারেজ মেনেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, সান পেদ্রো গারজা গার্সিয়া শহরে চালানো নির্বাচনী প্রচারণায় হঠাৎ করে একটি ঝড়ে মঞ্চটি ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জর্জ আলভারেজ নিজেও। তিনি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ আছেন বলে জানান। তবে তার কর্মীরা আহত হওয়ায় তিনি নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত করেছেন।
এ দুর্ঘটনার জন্য ঝড় বৃষ্টিকে দায়ী করেছেন গভর্ণর গারসিয়া। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের বজ্রপাত ও ঝড় বৃষ্টি থেকে নিরাপদে থাকতে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।
মেক্সিকোতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২ জুন।