চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে চলছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সওজ‘র জায়গা দখলের মহোৎসব! আর এইসব দখল মহোৎসবের আড়ালে কোটি টাকার বাণিজ্যে মেতে উঠেছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।
সম্প্রতি সরেজমিন ঘুরে গিয়ে এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেয়া ‘তরী বাংলাদেশ’ এর একটি ফেইসবুক পোস্ট নজরে আসলে নড়েচড়ে বসেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ঘটনাটি নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের মালাইবাংগরা বাজার এলাকায়।
কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর সড়কের পূর্ব পাশে অবস্থিত বাংগরা বাজার। বাজারটির পশ্চিম পাশে সওজ’র সড়ক। সড়কের পশ্চিম পাশে প্রসস্ত খাল। যা যুক্ত হয়েছে অদের খালের সাথে। এই সড়কের পাশে দোকানপাট নির্মাণের নামে সরকারী জায়গা হরিলুট চলছে দীর্ঘদিন ধরেই!
জানা যায়, সওজ’র একশ্রেণীর অসাধূ কর্চারীর যোগসাজসে এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় সরকারী জমি দখলের এই মহোৎসবের পাশপাশি চলে আসছে বিশাল অংকের আর্থিক বাণিজ্যও। যার পরিমাণ কোটি কোটি টাকা। রাস্তা ও খালের পাশে দখলের মহোৎসবের ফলে একদিকে যেমন সংকুচিত হয়ে খালটির অবস্থা হচ্ছে বেহলা, অন্যদিকে সড়কও হচ্ছে সংকুচিত। এতেকরে এখানে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে প্রকট আকারে। যানজট লেগে থাকার কারণে যাত্রীদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বছরের পর বছর।
এ ব্যাপারে ‘তরী বাংলাদেশ’ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন, কিছুদিন যাবৎ তরী’র কাছে বিভিন্ন সূত্র থেকে এমন সংবাদ আসছিলো যে, ‘নবীনগরের সাবেক এমপি এবাদুল করিম বুলবুলের সময়ে বাংগরা বাজারের পাশে দুইশ’টির মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ওই উচ্ছেদের বছর পাড় না হতেই আবারও সেই জায়গায় দোকানপাট ও পাকা স্থাপনা তৈরী করছে দখলদারার।’এমন সংবাদের সত্যতা যাচাই করতেই গত ২১ এপ্রিল রবিবার নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন ‘তরী বাংলাদেশ’ এর একটি প্রতিনিধিদল দখলকৃত স্থানটি পরিদর্শন করে। আহবায়ক শামীম আহমেদ এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটি সদস্য, খালেদা মুন্নী ও সোহেল রানা ভূঁইয়া প্রমূখ। তরী বাংলাদেশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পেয়ে গত ২৩ এপ্রিল তরী’র পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য আবেদন করা হয়।
শামীম আহমেদ আরো বলেন, আমরা সরজমিন গিয়ে যা দেখলাম তা রীতিমতো বিস্মিত হওয়ার মতো! বাজারের উত্তর পাশে নেমে পায়ে হেটে বাজারের দক্ষিণ মাথায় অদের খালের উপর অবস্থিত ব্রিজটির কাছে যাই। সেখানে ব্রিজের নীচের অবস্থা দেখে আরও বিস্মত হই! পরে আমরা অদের খালটির রাজাবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে অবাক হই। এখানে একটি অবৈধ ব্রিজও দেখতে পাই যার ফলে নৌরুট বন্ধেরও অভিযোগ আছে! এ বিষয়টি নিয়েও আমরা কাজ করছি।
শামীম আহমেদ বলেন, এখানে যেভাবে দখলের হরিলুট চলছে তা দেখে মনে হবেনা দেশে আইন বলতে কিছু আছে! তিনি বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন কালে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে সরকারী জায়গায় গড়েতোলা এসব দোকানের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
নাম প্রকাশ না করা সর্তে বেশ কয়েকজন অবৈধ দখলদার জানান, প্রতিটি দোকনের পজিশন ফিরে পেতে মাথাপিছু এক থেকে দেড় লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে তাদের!
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারজুড়ে চলা এই দখলের প্রতিযোগিতায় যাত্রীছাউনি হয়েছে সেলুন! ব্রিজের ওপরে বসেছে চায়ের দোকান। অদের খালের পাশ নদী দখল করে বসানো হয়েছে মুরগীর দোকান! যার মালিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইয়ের বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বাংগরা বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. রবিউল আলম রবি বলেন, সবাই নিজ নিজ দায়িত্বেই সড়কের পাশে দোকানঘর নির্মাণ করছে। এখানে কোনো টাকা-পয়সার লেনদেন করা হয়নি। তিনি বলেন, তারা আগে থেকেই এখানে ব্যবসা করে আসছিল। সড়কের গাইডওয়াল নির্মাণকাজের প্রয়োজনে সাবেক এমপির অনুরোধে তারা দোকান সরিয়ে নিয়েছিল।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত আছি। উচ্ছেদ অভিযানের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট পেলেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাব।’
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় তরী’র একটি পোস্ট আমার নজরে আসে। এ বিষয়ে জেলাপ্রশাসক স্যারের সাথেও কথা বলেছি। আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি, অবৈধ দখলকৃত জায়গাগুলো সওজ’র। সংশ্লিষ্ট দপ্তর যদি উচ্ছেদে সহযোগিতা চায় তাহলে আমরা সহযোগিতা করব।’
চলারপথে রিপোর্ট:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর বাজারে জমে উঠেছে মৌসুমী ফল তালের শাঁস বিক্রির ধুম। এদিকে বারছে বজ্রপাত, কমছে তাল গাছ। নবীনগর পৌরশহরের নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ রোড, উপজেলা গেইট, সরকারি কলেজ গেইট, সরকারি হাইস্কুল গেইট, বাজারের বিভিন্ন মোড়ে প্রতিদিন কাঁচা তাল নিয়ে বসছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি পিস তালের শাঁস (কাঁচা তাল) বিক্রি হচ্ছে ৪০/৫০ টাকা, এক কুড়ি তালের শাঁস ৪০০-৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যেখানে এক কুড়ি পাকা তাল ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, উপজেলার ২১ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৭ হাজার ৫০০ টি তাল গাছ রয়েছে। এর মধ্যে শ্যামগ্রাম, রছুল্লাবাদ, রতনপুর, সাতমোড়া, লাউর-ফতেহপুর, বিটঘর, শিবপুর, বড়িকান্দি, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নে বেশী তাল গাছ রয়েছে। নবীনগর বাসিন্দা আব্দুল রহিম জানান- এখন আর আগের মত তাল পাওয়া যায় না। আগে রাস্তার পাশে তালের রস নিয়ে বসত, সেটি এখন আর দেখা যায় না। এখন কাঁচা তালের শাঁস খাচ্ছি। কিছু দিন পর এটিও আর খেতে পারব কিনা জানি না। কেননা যে ভাবে তালের গাছ কাটা হচ্ছে, তাতে বেশি দিন আর এ গুলো খাওয়া যাবে না। আগে এক হালি (৪টি) তাল কিনতে পারতাম ৫০-৮০ টাকায়, এখন ২০০ টাকায়ও মিলছে না। ক্রেতা মাজেদুল ইসলাম বলেন, তাল একটি মৌসুমী ফল, এটি অনেক সুস্বাদু ও উপকারী। তাল গাছ কমে যাওয়ায় আগের থেকে এখন দাম বেশী। নবীনগর পৌরসভার মাঝিকাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী আবুল মিয়া – এখন সরকারি হাইস্কুল গেটের পাশে প্রতিদিন তাল বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, আমি পাঁচ বছর ধরে এই ব্যবসা করছি। গত দুই বছর করোনার কারণে ভাল ভাবে ব্যবসা করতে পারিনি আশা করি এ বছর আমি স্বাবলম্বী হব। এ বছর তালের দাম বেশী । ১২ বছর ধরে নবীনগর সরকারি কলেজ গেইটে তালের ব্যবসা করেন আব্দুর মোতালিব, তিনি বলেন- তখন তালের কুড়ি ছিল ১৭০ টাকা। এরপর বাড়তে বাড়তে বর্তমানে এক কুড়ি তাল বিক্রি হচ্ছে ৪০০/৫০০ টাকায়। আমি প্রতিটা গাছ কিনেছি ২৫০০ টাকায়। সেই গাছের তাল বিক্রি করছি ৬৫০০-৭৫০০ টাকায়। প্রতিটা গাছে ৩০০-৩৫০০ টাকা লাভ হয়। নবীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকতা জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, তালের শাঁস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর, তালের রসও অনেক উপকারী। তালের রস দিয়ে গুড়, মিছরি তৈরি হয়। বৈশ্বিক আবহাওয়ার কারণে তাল গাছ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাল গাছ বাড়ানোর জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। নবীনগর কৃষি অফিস জানায় “দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা” মন্ত্রাণালয় একটি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে বজ্রপাত সহনশলী এই তাল গাছের বীজ ও চারা রোপণ করার উদ্দোগ নিয়েছে। দিন দিন তালগাছ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষ তালগাছের গুরুত্ব না বুঝে কেটে ফেলছে। যেহেতু তাল গাছে বছরে একবার ফলন হয়, লাভ কম, সে কারণে তালগাছ কেটে ফল বা কাঠের গাছ রোপন করছে, সে কারণে তালগাছ কমে যাচ্ছে। তালগাছে ফলন কম হলেও দুর্যোগ (বজ্রপাত) থেকে মানুষকে রক্ষা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর ঢেঁড়স চাষ করে বেকারত্ব ঘুঁচিয়েছেন শিবপুর ইউনিয়নের কাজুলিয়া গ্রামের খাইরুল বাসার ও ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের (দ. পাড়া) জয়নাল মিয়া। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে তাঁরা এখন তাদের পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। স্বল্প সময় ও অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আরও অনেকেই এখন ঢেঁড়স চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাইরুল বাশার এ বছর ৪০ শতক এবং জয়নাল মিয়া ২০ শতক জমিতে ঢেঁড়স চাষ করেন। তাঁরা নিজেরাই জমি থেকে ঢেঁড়স উত্তোলন করছেন। আলাপ কালে জয়নাল মিয়া জানান- তার বাবা অসুস্থ্য হওয়ায় ২০২০ সালে চাকরি ছেড়ে চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে। এরপর আর ভাল কোন চাকরি না পাওয়ায় বাড়ীর পাশের জমিতে শুরু করেন সবজি চাষ। তিনি এক বিঘা জমি নিয়ে শুরু করেন ঢেঁড়সের চাষ। স্বল্প সময়ে এই ঢেঁড়স চাষ করে বেশ লাভবানও হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন- এখানকার মাটি বেশ উর্বর থাকায় তার উৎপাদন খরচও অনেক কম হয়েছে। তার এক বিঘা জমিতে ঢেঁড়স চাষ করতে ৬/৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। একদিন পরপর জমি থেকে ঢেঁড়স উত্তোলন করতে হয়। এতে তেমন কোন শ্রমিকের (লেবার) প্রয়োজন হয় না। জমি থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন- “ আমি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে বারি উদ্ভাবিত ‘বারি ঢেঁড়স-১’ জাতের ঢেঁড়সের চাষ করেছি। বাজারে ঢেঁড়সের দাম ভাল থাকায় লাভবানও হচ্ছি। এ বছর ঢেঁড়সের পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় খরচও কম হয়েছে ”।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার জগলুল হায়দার বলেন- “এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ঢেঁড়সে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। আর ঢেঁড়সের বিভিন্ন জাতের মধ্যে ‘বারি ঢেঁড়স-১’ এর ফলন ভাল। এটা চাষ করা লাভ জনক। তবে তার মত শিক্ষিত অনেক যুবকরাই এগিয়ে আসছে। আমরা কৃষি অফিস তাদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করব”।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌরসভার নারী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মামলা কপিটি ভাইরাল হয়।
উপজেলা মহিলা লীগের নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল গত ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর ২৫(৩)/২৬(৩)/২৯(২)/৩১/৩৫ ধারায় মামলা করেন। মামলায় আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। বাদীর আইনজীবী স্বরুপ কান্তি নাথ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার আলমনগর গ্রামের আবদুল কুদ্দুস মিয়ার স্ত্রী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিনের সঙ্গে একই গ্রামে নসু মিয়ার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল এর বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে বিভিন্ন সময় নারী কাউন্সিলর বাদী পুতুলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা, কুৎসিত, অশ্লীল ও মানহানিকর বক্তব্য তুলে ধরতেন ও প্রচার করতেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল বলেন, ‘আমি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। আসন্ন পৌর নির্বাচনে আমি কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছি। তাই ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে হেয় করতে মিথ্যা ,কুৎসিত, অশ্লীল ও মানহানিকর বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তার আইন মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।’
নবীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে ফয়সাল নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়সাল বাড়াইল গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ফয়সাল পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান।
বিকেলে ফয়সাল, হুমায়ূন মিয়ার একটি ভবনে ড্রিল মেশিন দিয়ে ওয়ারিংয়ের কাজ করার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে অসংখ্যজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সলিমগঞ্জ অলিউর রহমান জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তোমাদের জন্য রাসূল (সা.) এর জীবনেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ। এই শ্লোগানে নবীনগরে ১২ রবিউল আউয়াল উপলক্ষে আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নারায়ণপুর ডিএস কামিল মাদ্রাসার উদ্যোগে সিরাতুন্নবী (সা:) বর্ণাঢ্য র্যালি ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহ নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সকাল ১০ টায় নারায়ণপুর ডিএস কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন ও প্লে কার্ড ও জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করে নবীনগর উপজেলা সদরে শান্তি পূর্ণভাবে সিরাতুন্নবী (সা:) বর্ণাঢ্য র্যালি করেছে।
র্যালিটি নারায়ণপুর ডিএস কামিল মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌরসভার সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়েছে।
র্যালি শেষে শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদান করেন নারায়নপুর ডিএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি রফিকুল ইসলাম। অপর দিকে র্যালীটি চলার সময় সড়কের যানজট মুক্ত রাখতে ও শান্তি পূর্ণ ভাবে শেষ করতে নবীনগর থানার পুলিশ ছিলো সড়কের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে।
শিক্ষার্থীদের সাথে র্যালিতে অংশগ্রহণ করছেন ইসলামী ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সারোয়ার, গভর্ণিং বডির সদস্য ও নবীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন মনির, মাহবুব আলম লিটন, মাওলানা সামসুউদ্দিন, মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।