চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী বিল থেকে আব্বাস ভূঁইয়া (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৭ এপ্রিল শনিবার রাতে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের হালদু বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আব্বাস ভূঁইয়া ওই ইউনিয়নের মেরাশানী গ্রামের সিদ্দিক ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য জসিম উদ্দিনের ছোট ভাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, যেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়েছে এর থেকে সীমান্ত ২০০-৩০০ গজ দূরত্বে হবে। তবে এটি সীমান্ত সংক্রান্ত কোনো ঘটনা নয়। নিহতের পায়ের নিচে এবং কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতগুলো কিসের তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরো জানান, নিহতের পরিবারের মধ্যে আগে থেকে বিরোধ চলে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে সেটি থেকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২০ মে সোমবার সকালে জেলা নির্বাচন অফিস এবং বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
আগামী ০৫ জুন এই তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার হতে তিনটি উপজেলায় সরগরম নির্বাচনী আমেজ তৈরী হয়েছে। এদিন সকালে সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিজ নিজ কর্মী সমর্থক সহকারে জেলা এবং উপজেলা নির্বাচন অফিস গুলোতে ভিড় জমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের আনারস প্রতীক তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী পছন্দ করায় লটারীর মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। পরে প্রার্থীরা কর্মীদের আনন্দ মুখর মিছিলে প্রতীক প্রচার করে এলাকায় ফিরে যান। দুপুর দুইটা হতে প্রতীক সম্বলিত লিফলেটসহ প্রচারণা মাইকিং শুরু হয়েছে তিনটি উপজেলায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা থেকে ২২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে র্যাব।
র্যাব-৯ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল ২১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউপির কাশিনগর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৫৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ময়মনসিংহ জেলার গরীপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের (মানিক খানের বাড়ি) মো. মোহন খানের ছেলে নয়ন খান (২০)।
অপর অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল গতকাল ২২ ডিসেম্বর আনুমানিক সকাল সাড়ে ৭টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউপির উথারিয়াপাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ ১ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের উথারিয়া পাড়া (সরদার বাড়ি) এর মো. সাজু মিয়ার ছেলে মো. নিঝুম মিয়া (১৯)।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের ও জব্দকৃত আলামত বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় সামাজিক সংগঠন তরী বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনসচেতনতামূলক আলোচনা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার দাউদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আমতলী বাজার, চান্দুরা বাজার, চম্পকনগর বাজার ও কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রতিরোধে আলোচনা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মো. শফিকুর রহমান, প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মিয়া। তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর শাখার আহ্বায়ক মো. সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, খাইরুল আলম জুয়েল, মো. সাইফুল ইসলাম, অপু চন্দ্র বিশ্বাস, শাহজাহান মিয়া, লিটন মিয়া, সুমন মিয়া, জিল্লু মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, লোকমান হোসেন, আমিনুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম (রাজীব) স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
তরী সংগঠনের জনকল্যাণমূলক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু থেকে বাঁচাতে, তাই সচেতনতার বিকল্প নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মশার বিস্তার রোধ করার জন্য কয়েকটি ফগার মেশিন ক্রয় করবেন বলে জানান।
অধ্যক্ষ মো. শফিকুর রহমান বলেন, বাড়ির আঙিনা ও আশেপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধ করতে হবে এবং এ আন্দোলন সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর উপস্থিতিতে আমতলী বাজার, চান্দুরা বাজার কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শিক্ষার্থীর মধ্যে আলোচনা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। পরে চম্পকনগর বাজারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লিফলেট জনসাধারণের মধ্যে বিতরণ করার মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর থেকে ১৭টি ভারতীয় মহিষ আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকা থেকে সরাইল বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা অভিযানে ট্রাকসহ মহিষগুলোকে আটক করা হয়।
এ সময় ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যান। সোমবার রাতে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি ট্রাক আটক করা হয়। পরে ট্রাক থেকে ১৭টি ভারতীয় মহিষ উদ্ধার করা করা হয়।
উদ্ধারকৃত মহিষের বাজার মূল্য প্রায় ৩৪ লাখ টাকা।
উদ্ধার মহিষগুলো আখাউড়া কাস্টমস্ অফিসে জমার পর রাতে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থেকে নিখোঁজ গৃহবধু খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) ঢাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে।
ঢাকা কাফরুল থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিজয়নগর থানা পুলিশ ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে কাফরুলের একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজয়নগর থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি স্বামীর বাড়ি বিজয়নগরের কাঞ্চনপুর থেকে ময়না নিখোজ হয় বলে ময়নার মা থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর পুলিশ ময়নার শশুর শাশুড়ী ও ননদকে আটক করে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ খাজিদা আক্তার ময়নার বাবা বাড়ি একই উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতুরপুর গ্রামে। সে ছতুরপুর গ্রামের সেলিম মিয়া বড় মেয়ে। প্রায় ৭ বছর পূর্বে একই উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মো: রমজান মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া সৌদি প্রবাসীর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। স্বামী প্রবাসে থাকলেও ওই গৃহবধূর তাবাচ্ছুব (৫) বছরের একটি কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করতো স্বামীর বাড়িতে। গত ১৯ জানুয়ারি বিকাল ৩ টায় খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) তার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ।
অজ্ঞাত স্থান ময়না স্বামীর কাছে একটি বার্তা পাঠিয়ে উদ্ধারের আবেদন করে। গৃহবধূ জানায়, আমারে কিভাবে ভুলে থাকতেছো, আমাকে কি বাঁচাইবানা, আমি কোথায় আছি বলতে পারছি না। চারপাশে পাহাড় আর প্রচন্ড ঠান্ডা। আম্মা (শাশুড়ি) এবং আপা(স্বামীর ছোট বোন) জানে আমি কোথায় আছি। আমার মোবাইল পপি আপা কোথায় জানি রাখছে। তুমি পপি আপার সাথে কথা বল। এখানে অনেক ঠান্ডা। স্বামীর কাছে ইমুর মাধ্যমে খাদিজা আক্তার ময়নার পাঠানো ভয়েস বার্তায় পরে স্বামী রাসেল মিয়া প্রবাস থেকে এ ভয়েস বার্তা ময়নার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এরপরই ময়নার মা সুমি বেগম থানায় অভিযোগ করেন। তবে এটি অপহরণ নাকী স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া নিয়ে রহস্য রয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গাজী রবিউল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গৃহবধূ ময়নাকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে সুস্থ আছে। তাকে আদালতে নেয়া হবে। তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলতে পারছি না।