চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট লিগ্যাল এইড গঠন করতে বড় কিছু করতে হয়না একটিই শুধু ই-সেবা। যেমন একটি স্মার্ট মোবাইল এবং ইন্টারনেট যাহা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্রামে গঞ্জে পৌছে দিয়েছেন এবং আজ আমরা তার সুফল ভোগ করছি ভবিষ্যতেও করবো। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির স্বপ্ন এবং এই স্বপ্নে স্বপ্নিত হচ্ছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়।
আজ ২৮ এপ্রিল রবিবার জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে র্যালি শেষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সরকারি খরচে অসহায় মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে স্কুল, এনজিও, ইমাম এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রচার করে লিগ্যাল এইডকে আমরা শক্তিশালী করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, যার জন্ম না হলে আমরা আইনগত অধিকারের কথা বলতে পারতামনা তিনি হলেন সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্যে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেছেন, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত আইনের চোখে সবাই সমান এবং সমান ভাবে আইনের আশ্রয় নেয়ার অধিকারী। আদালতে আসা দরিদ্র ও অস্বচছল অসহায় ও যাদের আর্থিক সংগত নেই সেই ধরনের লোকদের নির্দেশনা দেয়ার মতো কেউ থাকে না। কিন্তু বর্তমান সরকারের নির্দেশনায় লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে দরিদ্র ও অস্বচছল অসহায়, গরীব মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপী এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকির যৌথ সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্যে রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচার মোহাম্মদ ফারুক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ,কে এম কামরুজ্জামান মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ বিল্লাল হোসেন, জজ কোর্টের পিপি অ্যাডঃ মাহাবুবুল আলম খোকন, জেলা লিগ্যাল এইড এর মাধ্যমে সেবা গ্রহীতা আনোয়ার হোসেন এবং শারমিন বেগম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোঃ আবদুল হান্নান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক মোঃ আল আমিন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত হোসেন এবং জেলা জজশীপ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আইনজীবী সমিতি, এনজিও,স্কাউট, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাখেন সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নি।
র্যালি শেষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার ফিতা কেটে স্টল এবং ভিডিও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারবোনা। আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ করা। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে কিনা এই দ্বায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়।
তিনি আজ ২৫ অক্টোবর বুধবার দুপুরে জেলা জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহনকারী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক ও ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহগীর আলমের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান আরো বলেন, আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। আমরা ২০২২ সালে সবাইকে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ গ্রহন করার জন্য আহবান জানিয়েছি। সেখানে তাদের সাথে আমরা সংলাপ করেছি। কেউ কেউ আমাদের আহবানে সাড়া দেয়নি। এরপরও আমরা তাদেরকে আবারো আহবান জানিয়েছি। সর্বশেষ ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনের সচিবের স্বাক্ষরে কোন এক দলের মহাসচিবকে চিঠি দিয়েছেন। চায়ের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহনের দ্বায়িত্ব তাদের। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলি আমাদের নিবন্ধিত আছে তাদেরও কিছু দায়বদ্ধতা আছে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে কি হবে উনারাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিবেন। এটা নিয়ে কমিশনের কোনো ভাবনা নেই। আমরা চাই ভোটার কেন্দ্রে আসুক কমিশনের ভাবনা হলো ভোটার নিয়ে। ভোটার উপস্থিতি যদি ভোট কেন্দ্রে বেশী হয় তাহলে আমরা বলবো অবশ্যই নিবার্চন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। আমাদের যতটুকু দ্বায়িত্ব ততটুকই করবো তবুও আমরা আশাবাদী সবদল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
আমাদের সাংবিধানিক দায়বদ্ধকতা নির্বাচন করা। রাজনৈতিকদল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে কিনা এই দ্বায়িত্ব আমাদের না। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে আরো বলেন, রাজনৈতিক বিষয়গুলি সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারবোনা আমাদের ম্যান্ডেটও না সেটা। আমরা নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি করবো, আমরা দেখবো লেভেল প্লেইন ফিল্ড নির্বাচন বলতে যা বুঝাই তাই করার চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন বিষয়ে বলেন দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই আমরা এই নির্বাচনকে সাধারণ নির্বাচনের মতই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল যথাসময়ে ঘোষণা হবে। তফসিলের আগে এই উপ-নির্বাচনটি হওয়ার কারণে সুন্দর, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য কমিশনের জন্য এটি পরীক্ষার সম্মুখীন হওয়ার মত অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সিরাজুন মুত্তাকিনদের মতো দ্বায়িত্ব পালন করবেন। আপনারা মনে করবেন এটি একটি পবিত্র দ্বায়িত্ব। দ্বায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে আল্লাহর কাছেও একদিন জবাবদিহিতা করতে হবে। আপনারা সুষ্ঠুভাবে দ্বায়িত্ব পালন করবেন সাদাকে সাদা-ই বলবেন কালোকে কালোই বলবেন। আপনারা মনে করবেন এটি একটি পবিত্র দ্বায়িত্ব। দ্বায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে আল্লাহর কাছেও একদিন জবাবদিহিতা করতে হবে এবং জণগণের কাছেও একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৪টি ক্লিনিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৫ জুলাই বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন শহরের কুমারশীল মোড় এলাকায় অবস্থিত নবজাতক শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার টাকা, আলিফ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা, গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজড হসপিটালকে ১০ হাজার টাকা ও আল-খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় বুধবার দুপুরে জেলা সদরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যস্থাপনা, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখা ও অপরিস্কার-অরিচ্ছন্নতার দায়ে চারটি ক্লিনিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও কয়েকটি ক্লিনিককে সর্তক করা হয়। অভিযানকালে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের সহকারী সার্জন ডা. সম্বিতা চক্রবর্তী ও সদর মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
দুলাল মিয়া :
অষ্টগ্রাম সিরাজুল উলূম ইসলামিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে ৫০ তম বার্ষিক সভা ও হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর বুধবার বাদ আছর হতে মাদ্রাসা ময়দানে ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর প্রিন্সিপাল উত্তাজুল আসাতিজা, পীরে কামেল আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি থাকবেন হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা জুনায়েদ আল-হাবিব।
প্রধান বক্তা থাকবেন মাওলানা তাফহীমুল হক্ব, হবিগঞ্জ।
বিশেষ বক্তা থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া সিরাজিরা দারুল উলুম জাদুঘর এর সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা কামাল উদ্দীন কাসেমী, মাওলানা কামাল উদ্দীন দায়েমী, নারায়ণগঞ্জ, চান্দিয়ারা দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সাইফুল্লাহ্ সাদী।
আমন্ত্রিত উলামায়ে কেরাম থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়ার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আলী আজম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়াত এর সিনিয়র মুহাদ্দিস হাফেজ মাও: শফিকুল ইসলাম, অষ্টগ্রাম সিরাজুল ইসলাম মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা মুফতী হাবিবুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া এর সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলূম ভাদুঘর এর মুদাররিস হাফেজ মাও: ইসহাক্ব সিরাজী, অষ্টগ্রাম সিরাজুল ইসলাম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফিজুল ইসলাম।
উক্ত ইসলামী মহা সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে দ্বীন আখেরাতের অশেষ নেকী হাসিল এবং সকল মুর্দেগানের মাগফিরাত কামনায় মাদরাসা পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অমর কথাশিল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মরণে শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী অদ্বৈত গ্রন্থমেলা। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট এলাকায় এ মেলার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি মো আবদুল কুদদূসের সভাপতিত্বে ও কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়ের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্ট সাহিত্যিক অশোকানন্দ রায়বর্ধন, ছড়াকার বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ফেরদৌস রহমান, গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভৌমিক ও অদ্বৈত গ্রন্থমেলার সদস্য সচিব কবি আমির হোসেন। অদ্বৈত গ্রন্থমেলায় ২০টি স্টল বইয়ের সমাহার সাজিয়েছে। উদ্বোধনী দিনে আলোচনা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আহবায়ক কবি মো আবদুল কুদদূস জানান, তিতাসপাড়ের শ্রেষ্ঠতম সন্তান অদ্বৈত মল্ল বর্মণকে ব্রান্ড করে বিশ্বের কাছে তিতাসপাড়ের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ও সেরা সৃজনশীল মানুষদের উপস্থাপন করতেই অদ্বৈত গ্রন্থমেলার উদ্যোগ।
অদ্বৈত মল্লবর্মণকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা গোকর্ণঘাটে অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
গত জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার উপর হামলাসহ নাশকতার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার রেলগেইট এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পশ্চিম পাইকপাড়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আশুগঞ্জ থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে নাশকতা মামলার আসামী সাজ্জাদ হোসেন জয় (১৯)কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত জয় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার সদস্য। অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে নাশকতার মামলার আসামী মোঃ কামরুল ইসলাম (৩৮)কে গ্রেফতার করে।