সর্বজনীন পেনশন স্কীম বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম কার্যক্রম : জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 29 April 2024, 314 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ শামিমা সুলতানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডঃ মোঃ ইমরান ভূইয়া ও সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়া।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের কোন নাগরিক পিছিয়ে থাকবে না। যে চাকরিতে পেনশনের সুযোগ নেই, সে চাকরির প্রত্যেককে পেনশনের আওতায় আনা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কীম বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম কার্যক্রম।

তিনি আরো বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতাগণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চাঁদা প্রদানের শর্তে ৬০ বছর পূর্তিতে আজীবন মাসিক নির্ধারিত হারে পেনশন পাবেন। স্কীমের চাঁদা দাতা স্কিমে জমাকৃত বা জমার বিপরিতেপ্রাপ্ত পেনশন বাবদ অর্থ তার মৃত্যুর পর গ্রহণ বা উত্তোলনের নিমিত্ত এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন করতে পারবেন।

তবে চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনীকে ফেরত দেয়া হবে। ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এবং ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে চাঁদার টাকা জমা দেয়া যাবে।

প্রবাসী স্কিমে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ক্রেডিটকার্ড বা ডেভিট কার্ডের বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় মাসিক চাঁদা জমা দিতে পারবেন। তিনি সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুফল সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসার আহবান জানান।

কর্মশালায় সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, সাংবাদিক সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

আইসিসির পরোয়ানা : নেতানিয়াহু কানাডায় গেলে…

অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ Read more

মামলায় কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির…

অনলাইন ডেস্ক : ৫ আগস্টের পরে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে Read more

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষে…

চলারপথে রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে Read more

সাহিত্যের আড্ডায় গুণীদের মিলনমেলা

চলারপথে রিপোর্ট : প্রাণবন্ত এক হঠাৎ আড্ডায় মেতে উঠেছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া। Read more

নবীনগরে অগ্নিকান্ডে ১২ দোকান ভস্মিভূত

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে একটি বিপণীবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে Read more

মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিদেশি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more

মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 11 March 2024, 455 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের নারী নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক উন্নয়নে আলাদা দলীয় তহবিল বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন। নারী নেতৃত্ব বিকাশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে যাতে দক্ষ নারী নেতৃবৃন্দ দলীয় মনোনয়ন লাভ করতে পারে এবং নির্বাচনে দলীয় প্রচারনায় দলীয় তহবিল এর জোগান নিশ্চিত করারও দাবি উত্থাপন করেন।

আজ ১১ মার্চ সোমবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ; এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ এই শিরোনামে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠান থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে আওয়ামী লীগ, জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টির নারী নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ এবং প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করতে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কে গুরুত্বপূর্ন হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। রাজনীতির মাঠে একজন নারী নেতা অর্থনৈতিকভাবে কি কি চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হয় তার বাস্তব চিত্র সকলের সামনে উপস্থাপিত হয়েছে। দেখা যায় দল হতে নারীদের কোন প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকে না , আবার যারা দক্ষ ও যোগ্য স্থানীয় বা জাতীয় নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয় না, এমনকি অস্বচ্ছল কিন্তু যোগ্যতা সম্পন্ন নারী নেতৃবৃন্দ বর্তমান সময়ে নির্বাচন করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, দলের মূল কমিটিতেও তাদের স্থান দেয়া হয় না। ফলে সবক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে যাতে দলের যোগ্যনারী নেতৃত্ব যাতে ঝড়ে না পরে বা প্রতাপশালীদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকটে না পারে , সেজন্য তাদের সুরক্ষা দেওয়া নিজ নিজ দলের দায়িত্ব। পাশাপাশি গনমাধ্যম ও সুশীল সমাজেরও দায়িত্ব রয়েছে এই সকল যোগ্য নারী নেতৃবৃন্দের পক্ষে কথা বলা এবং সমাজে ও দলের কাছে তার ইতিবাচক ইমেজকে প্রচার করা। এ লক্ষ্যে যদিও রাজনৈতিক দলের মধ্যে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক উপকমিটি নিজ দলে অ্যাডভোকেসি করছে, পাশাপাশি এক দলের নারী নেতৃবৃন্দ অন্য দলের যোগ্যতাসম্পন্ন নারী নেতৃবৃন্দ কে সহায়তা করছে পারে সে জন্য মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক উপ-কমিটি সক্রিয় রয়েছে।

ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশন্যাল পরিচালিত স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) প্রকল্প এই উদ্যোগের সহায়তা করেছে।

সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের সহসভাপতি এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, এডভোকেট ইসমত আরা, আবু কাউছার খান, মো, মনির হোসেন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক আশিকুর রহমান পাঠান, মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ, নারীনেত্রী এডভোকেট জেসমিন, আনোয়ারা বেগম, হালিমা মোর্শেদ, মুক্তি খান, রুনাক সুলতানা পারভীন, খালেদা মুন্নী, আফরিন ফাতিহা জুঁই প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষে কেক কেটে আনন্দ উদযাপন করা হয়।

বিজয়নগরে ডাকাতির ঘটনায় ৫ ডাকাত গ্রেফতার

বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 25 December 2022, 2206 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ডাকাতির ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও বিজয়নগর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করে নেওয়া নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া ডাকাতরা হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের আবু জাহেরের পুত্র এমদাদুল হক ওরফে মিলন ওরফে রিপন (৩৪), একই উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বাগদিয়া গ্রামের আব্দুল আউয়ালের পুত্র মোঃ চুন্নু মিয়া ওরফে চুইন্না (৩০), একই উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র মোঃ জাফর মিয়া (২৭) ও মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র শুক্কুর আলী (৩৫) এবং হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের ডুগাই মিয়ার পুত্র মোঃ জালাল মিয়া ওরফে জালাল ডাকাত (৩০)। পরে তাদেরকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে এমদাদুল হক, মোঃ চুন্নু মিয়া ও মোঃ জালাল মিয়া আদালতের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
জানা গেছে, চলতি মাসের ২১ তারিখ জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের আড়িয়াল গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র কুয়েত প্রবাসী মোঃ মোশারফ এর বাড়িতে মধ্যরাতে হানা দেয় ডাকাত দেল। এ সময় তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে অস্ত্র-শস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পরিবারের সদস্যদের বেঁেধ ফেলে। ডাকাতরা ওই পরিবারের ৭টি মোবাইল, ২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরদিন এ বিষয়ে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিজয়নগর থানার পুলিশের পাশাপাশি যৌথভাবে তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা বিভাগও। তদন্তের এক পর্যায়ে ডাকাতি মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। ধারাবাহিক অভিযানের মাধ্যমে গত শনিবার রাতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত জেলার বিজয়নগর উপজেলা থেকে তিন জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা এলাকা থেকে একজন ও হবিগঞ্জ জেলা থেকে একজন ডাকাতসহ চক্রের মোট ৫ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকালে ডাকাত এমদাদুল হকের নিকট থেকে লুন্ঠিত নগদ ১০ হাজার টাকা ও একটি স্বর্নের চেইন (ওজন ৬ আনা), ডাকাত জালাল মিয়ার নিকট থেকে ৫ হাজার ৫শ’ টাকা ও একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন, ডাকাত চুন্নু মিয়ার নিকট থেকে একটি ভিভো মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হোসেন রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা থেকে ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

একমাস পর এলো শিশুদের ইপিআই টিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 28 February 2023, 1241 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ একমাস পর শিশুদের সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রমের (ইপিআই) টিকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পৌঁছেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে মেড্ডায় ইপিআই সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয়ের স্টোরে এগুলো পৌঁছায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইপিআই কর্মসূচিতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন ধাপে টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে যক্ষ্মা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি জনিত রোগ, হাম, নিউমোকক্কাল জনিত নিউমোনিয়া, রুবেলা। সময়সূচি অনুযায়ী টিকা না নিলে শিশুর মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

জন্মের পর শিশকে প্রথম বিসিজি টিকা দিতে হয়। বয়স ৬ সপ্তাহ হলে আইপিভি টিকার প্রথম ডোজ ও ১৪ সপ্তাহ বয়সে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়। একই সময়ে পেন্টাভ্যালেন্ট (ডিপিটি, হেপাটাইটিস-বি, হিব), ওপিভি এবং পিসিভি টিকার প্রথম ডোজ দিতে হয়। তারপর কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ/২৮ দিনের ব্যবধানে এসব টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ দিতে হয়।

শিশুর বয়স ২৭০ দিন পূর্ণ হলেই শিশুকে প্রথম ডোজ এবং ১৫ মাস বয়স পূর্ণ হলে দ্বিতীয় ডোজ এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকা দিতে হয়। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় গত একমাস ধরে বিসিজি টিকা ছাড়া শিশুদের কোনো টিকা মজুত ছিল না। ফলে শিশুদের সময়মতো টিকাগুলো দেওয়া যায়নি।

জেলার ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বছরে ৯১ হাজার শিশুকে প্রতিটি টিকা দেওয়া হয়। জেলার ৯৮টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২৪টিকে টিকাকেন্দ্রে মাসে একবার করে টিকা দেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেওয়া হয়।

সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, সোমবার বিকেলে ইপিআই টিকা এসেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচপিভি টিকা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 22 October 2024, 66 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচপিভি টিকা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নার্স টিকাদানকারী ও প্রথম শ্রেণীর সুপার ভাইজারদের নিয়ে দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করা হয়েছে।

২১ অক্টোবর সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাউন্সিলর কক্ষে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার সুবল চন্দ্র সাহা, নাসিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ মোছামাৎ মিরন্নাহার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার টিকাদান সুপারভাইজার মো. মোস্তাকুর রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আশেক মান্নান হিমেল প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। আগামী ৩ ই নভেম্বর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কীভাবে এ টিকা প্রদান করতে হবে তার দিক নিদের্শনার জন্য আজকের এ কর্মশালাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এ সময় নার্স, টিকাদানকারী প্রথম শ্রেণীর সুপারভাইজার ছাড়াও এর সাথে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

‘‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২০’’ গ্রহণ করেছেন আল-মামুন সরকার

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 2 March 2023, 1857 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
সমাজ সেবায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি’’ পরিবর্তিত নাম ‘‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২০’’ গ্রহণ করছেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। গতকাল গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে এই স্বর্ণ পদক পরিয়েদেন এবং রেপ্লিকা ও সম্মাননা সনদ হস্তান্তর করেন। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সে কারণে বিশ্বদরবারে ‘‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’’ বা ‘‘মানবতার মা’’ হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১৯ সালে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা-২০১৮’’ কার্যকর করে।

সমাজসেবায় সর্বোচ্চ অবদানের জন্য আল-মামুন সরকার ২০২০ সালে প্রথমবারের মত এই পদকের জন্য জাতীয় ভাবে মনোনিত হন। পরবর্তীতে নামকরণ জটিলতায় ২০২২ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রী পরিষদ সভায় নামকরণ পরিবর্তন করে, ‘‘জাতীয় মানবকল্যাণ পদক’’ নির্ধারণ করা হয়। এই সম্মাননায় পঁচিশগ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি রেপ্লিকা ও সম্মাননা পত্র এবং নগদ দুই লক্ষ টাকার চেক অন্তর্ভূক্ত।