চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কামাল মিয়াকে (৫৫) হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোররাতে র্যাব-৯-এর, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির একটি দল সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, শাহজাদাপুর গ্রামের বলু মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়া (৪০), একই এলাকার ছোলমান শিকদারের ছেলে কাসেম শিকদার (৪০), ছারু শিকদার (৩৫), নান্নু মিয়ার ছেলে অহিদ মিয়া (৪৫), ছুর রহমানের ছেলে শাহদত খাঁ (৪০), মৃত মিয়া বালীর ছেলে খোকন মিয়া (৪০), শানু মিয়া (৩৮), সুজন মিয়া (৩২), মৃত ছুর রহমানের ছেলে সুজন মিয়া (৪০), মৃত জলফু মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া (৪০), মোজাম্মেল সরকারের ছেলে নছরু সরকার (৩৬) ও মৃত বলু মিয়ার ছেলে ছাদেক (৩৫)।
নিহত কামাল মিয়া শাহাজাদাপুর গ্রামের শাহাদাৎ আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৯-এর সিলেট সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল শাহজাদাপুর গ্রামের দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কামাল মিয়া খুন হন।
এ ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল নিহতের ছেলে তোফায়েল মিয়া বাদী হয়ে ১১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫০/৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন (মামলা নং- ২২/৮৯)। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় র্যাব-৯- ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ভোররাতে গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির একটি অভিযানিক দল মামলার এজাহারভুক্ত ১২জন আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে আসামিদেরকে সরাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে বিদায়ী দুই প্রধান শিক্ষককে সংবর্ধনা দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তর। সংবর্ধিত শিক্ষকরা হলেন দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুবুর রহমান ও চুন্টা এসি একাডেমির সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান। এই উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদীর সঞ্চালনায় ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার ইতি বেগম, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. আইয়ুব খান, একই বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মানিক, শাহবাজপুর হোসনেআরা আফজাল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষী রাণী দে ও পানিশ্বর সামছুল আলম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারূন অর রশিদ প্রমুখ।
কর্মক্ষেত্রের দীর্ঘদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিদায়ী দুই শিক্ষকসহ উপস্থিত সকল শিক্ষক ও আবেগ আপ্লোত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সহিদ খালিদ জামিল খান বিদায়ী দুই শিক্ষকের কর্মজীবনের প্রশংসা করে বলেন, চাকরী জীবন শেষে বিদায় বেলায় মানুষ গড়ার কারিগড়দের সামান্য সম্মান দিতে পেরে আমি আনন্দিত। আপনাদের অবসর জীবন পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে স্বাচ্ছন্দে ও সুস্থ্যতায় কাটুক এই প্রত্যাশা করছি। ভবিষ্যতে বিদায়ী শিক্ষকদের সম্মানিত করার এই ধারা যেন অব্যাহত থাকে। সবশেষে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে অতিথিবৃন্দ সংবর্ধিত দুই শিক্ষকের হাতে উপহার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির কারণে সরাইল উপজেলায় শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিদ্যুতের প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর টানা ২৩ ঘণ্টা পর রবিবার রাত ১১টার দিকে পুরো উপজেলায় একযোগে বিদ্যুৎ আসে। এরপরও চলতে থাকে লোডশেডিং। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলাবাসী।
বিদ্যুৎ না থাকার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃপক্ষের ‘খামখেয়ালি’কে দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে বিউবোর কর্মকর্তারা সঞ্চালন লাইনে ‘সমস্যা’ হওয়ার কথা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা সদরের বড় দেওয়ানপাড়া বাসিন্দা কলেজশিক্ষক মাহবুব খান বলেন, ‘এখানে বৃষ্টির দু-চারটি ফোঁটা পড়লেই টানা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। এখন চলছে রোজার মাস। এ সময়ে আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি।’
সরাইল শতভাগ বিদ্যুৎ–সুবিধার আওতায় আসা একটি উপজেলা। এর নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সদরসহ সাতটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের আওতাধীন। এখানে গ্রাহকসংখ্যা ৪৪ হাজার ৫০০। বিউবোর এ বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের অধিকাংশই শনিবার রাত ১২টার পর থেকে টানা ২৩ ঘণ্টার বিদ্যুৎবিহীন ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সামান্য হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি আর বজ্রপাতের কারণে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলা সদরসহ পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ চলে যায়। শাহবাজপুর ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নে বিকেল চারটার দিকে বিদ্যুৎ আসে। এ দুটি ইউনিয়নে আবার বিদ্যুৎ চলে যায় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে। এরপর সরাইল সদর, পানিশ্বর, চুন্টা, শাহজাদাপুর ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নে রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাবে উপজেলাবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অনেকের বাসাবাড়ি কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ফ্রিজে রাখা খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়।
শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল হুদা চৌধুরী বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে বিদ্যুৎ চলে যায়। রবিবার বিকেল চারটার দিকে আসে। কিছুক্ষণ পর আবার চলে যায়। এখানে আকাশে মেঘ দেখা দিলেই এমনটি হয়ে থাকে, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ থাকে না।
ছোট দেওয়ানপাড়ার বাসিন্দা সমাজকর্মী রওশন আলী বলেন, ‘সরাইল বিদ্যুৎ কার্যালয়ে কর্মচারীদের মধ্যে গ্রুপিং আছে। এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে সহ্য করতে পারে না। কেউ কাউকে সহায়তা করে না। এ কারণে এখানে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে আরও বেশি।’
স্বল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেন বিউবোর সরাইল উপজেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) আবদুর রউফ। তিনি বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাতের প্রচণ্ড বজ্রপাতের প্রভাবে সঞ্চালন লাইনে সমস্যা হয়। এ সমস্যা চিহ্নিত করতে সময় লেগেছে। এ জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অনেক দেরি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ ধরনের সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ওমরা হজ্ব করার ইচ্ছে পূরন হলোনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নিজাম উদ্দিন সরকারের। গত সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরব রেলওয়ে জংশনের আউটার পয়েন্টে মর্মান্তিক এক ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। নিজাম উদ্দিন সরকার (৬৫) সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামে। ট্রেন দুর্ঘটনার সময় নিজাম উদ্দিন সরকারের সাথে তার পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম (২৩) নাতনি তানহা বেগম (৪) এবং ১০ মাস বয়সী নাতি মুয়াস উদ্দিন ছিলো। তারা তিনজন সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর বরইছাড়া ঈদগাহ মাঠে নিজাম উদ্দিন সরকারের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
গ্রামবাসী ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওমরা হজ্ব করার ইচ্ছে পোষন করেছিলেন নিজাম উদ্দিন সরকার। ওমরার কাগজপত্র জমা দেয়া ও পুত্রবধূ ফাতেমাকে চিকিৎসা করানোর জন্য সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা দেন তিনি।
ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে বেলা ১১টার সময় কালনী ট্রেনে করে তার ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু স্টেশনে যেতে দেরি হওয়ায় ট্রেনটি মিস করেন তিনি। পরে দুপুর তিনটার সময় পুত্রবধূ ফাতেমা ও দুই নাতি-নাতনিকে নিয়ে ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে তিনি এগারো সিন্ধুর ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এদিকে রাতে বাবার মৃত্যুর খবর শুনে সৌদি আরব থেকে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি এসে পৌছান বড় ছেলে কাঞ্চন সরকার। নিজাম উদ্দিন সরকারের ছোট ছেলে আনিস সরকার সাংবাদিকদের জানান, তার বাবা ওমরা হজ্ব করার নিয়ত করেছিলেন। ওমরা করার জন্য কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য তিনি সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওয়ানা দেন। সন্ধ্যায় শুনে ট্রেন দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেছেন। তিনি বলেন, বাবার আর ওমরা করা হলো না। মহান আল্লাহতায়ালা যেন বাবার ওমরা কবুল করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপনির্বাচনে আইনি প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে। আজ ১৫ অক্টোবর রবিবার বিকালে সরাইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি এ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম। বক্তব্যে তিনি বলেন, সব নিয়ম কানুন মেনে উপনির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গত ১১ অক্টোবর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে জমা দেন। পরদিন জেলা রিটার্নিং অফিসার এর কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভূয়া স্বাক্ষর ও মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর দেওয়ার অভিযোগে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
আইনগত প্রক্রিয়ায় তার প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার কথা স্বীকার করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সমর্থন দিয়ে বলেন, আমার দাদা জাতীয় পার্টি করতেন। এর ধারাবাহিকতায় আমার বাবাও জাতীয়পার্টি করে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টিতে আমার পদ পদবী নেই। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। আগামীতে জাতীয় পার্টির পদ-পদবী নেওয়ার চেষ্টা করে পরবর্তীতে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইব।
এ সময় জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এডভোজেট আব্দুক হামিদ খান ভাসানীসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ৬ বার এমপি ছিলেন। এছাড়াও একবার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুতে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আসনটি শূন্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে যাছাই বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, স্বতন্ত্র পদে সাবেক দুইবারের এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী, এনপিপি’র রাজ্জাক হোসেন ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম এই ৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম মিয়া এর প্রার্থীতা অবৈধ বলে ঘোষনা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বর এ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামীকাল ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষ ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
আজ ৭ মে মঙ্গলবার দুপুরে নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলার ১৭৭ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব-স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম। কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে এসব সরঞ্জাম ভোট কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হয়।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মোঃ সাদেকুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এবং শতভাগ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি জানান, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমান পুলিশ, র্যাব, ৬ প্লাটুন বিজিবিসহ আনসার বাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ, দুই উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১১জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।