অনলাইন ডেস্ক :
হজযাত্রীদের ভিসা আবেদনের সময় এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে সৌদি সরকার। চলতি বছর হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধনকারীরা আগামী ৭ মে পর্যন্ত হজ ভিসার আবেদন করতে পারবেন। এর আগে হজ যাত্রীদের ভিসা আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের বেশিরভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি।
বাড়িভাড়া করতে না পারা অন্যতম কারণ। অল্প কয়েকদিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও সম্ভব নয়। পুরো বিষয়ে সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজের ভিসার আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। ধর্মমন্ত্রী সৌদি সরকার এ বিষয়ে ডিও দিয়েছিল।’
আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। ৮ মে বাংলাদেশিদের হজযাত্রার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাঙামাটি রিজিয়নের অধীন কাপ্তাই ১০ আর ব্যাটলিয়ানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কাপ্তাই উপজেলাধীন বরাদম শৌরবালাসৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি প্রেষণামূলক শিক্ষা কার্যক্রমের উপর ভিক্তি করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ক্লাস পরিচালনা করা হয়।
আজ ৩১ মে বুধবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সচেতনতার বৃদ্ধির লক্ষে ‘ দালাল চক্রের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে সেনাবাহিনীতে লোক ভর্তি নির্মূলকরণ এবং ছাত্র ছাত্রীদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান উদ্বুদ্ধকরণ’ বিষয় ভিত্তিক ক্লাস টি পরিচালনা করেন, ১০ আরই ব্যাটলিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর সাবিহা শারমিন ও এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন মোঃ সাদমান সাকিব।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষার্থীদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে ফের আগামীকাল সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে তিনদিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ ৪ আগস্ট রোববার সরকারের নির্বাহী আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, ৪ আগস্ট রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কারফিউ ঘোষণা করেছে সরকার। ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহর, জেলা সদর ও সিটি করপোরেশনে কারফিউ বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরীফ মাহমুদ অপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন (কারফিউ) বলবৎ করা হলো।
একইসঙ্গে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রাজনীতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি আরও বলেন, সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।
আজ ৪ অক্টোবর বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, এটা আইনি ব্যাপার। এখানে রাজনীতির কোনো প্রশ্ন নেই। তার (খালেদা জিয়া) পরিবার দরখাস্ত করেছিল, সেটা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আইনে কোথাও নাই এই দরখাস্তে তাকে বিদেশে যাওয়ার পারমিশন দেয়া যায়। বিদেশ যেতে পারবেন না বলে আগেই শর্ত দেয়া ছিল, এখন সেটিকে পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই।
যে দুই শর্তে খালেদা জিয়াকে দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে তা পরিবর্তন করা যায় কি না-এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনে আছে শর্তযুক্ত অথবা শর্তমুক্ত। শর্ত যদি দেয়া হয় তা মানতে হবে। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা তিনি তা প্রয়োগ করেছেন, এটা পুনরায় প্রয়োগ করার সুযোগ নেই।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়ে আইনমন্ত্রী কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে দোষ স্বীকার করে চাইতে হয়। বিষয়টি যিনি ক্ষমা চাইবেন তার বিষয়। এটা হচ্ছে সাংবিধানিক অধিকার, যে কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিরা নাক গলাতে এলে মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ডিসেম্বর ৩০ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিজের দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন বানচালের যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরও একদিন উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে। তারাও শাস্তি পাবে একদিন। আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কেউ যদি নাক গলাতে আসে, আমরা সেটা মেনে নেব না। বাংলাদেশ মানে নাই।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের অধিকার নির্বাচনের অধিকার; ভোটের অধিকার। আওয়ামী লীগ, আমরাই স্লোগান দিয়েছি—আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। আমরাই স্লোগান দিয়েছি—ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। আজকে আমরা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। আর এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা সামনে এগিয়ে যাব।
যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই দেশকে নিয়ে, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, যে যেখানে আছেন, আগুন যারা দেয় বা যারা ক্ষতিগ্রস্ত করে, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করে, ওদেরকে ধরিয়ে দিন। ওদের উপযুক্ত শাস্তি দিন।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, ওই বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। মানুষ হত্যা শুরু করেছে। রেললাইনে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মারে। রাস্তা-ঘাটে যেখানে-সেখানে আগুন দেয়। বাসে আগুন দিয়ে পোড়ায়। এই দুর্বৃত্তপরায়ণতা আমাদের বন্ধ করতে হবে।
এবার যারা প্রথমবারের ভোটার তাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রথমবারের ভোট, এ ভোট যেন ব্যর্থ না হয়। তাই যারা নতুন ভোটার, শুধু কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া না, সারা বাংলাদেশের জন্য আমার আহ্বান; নতুন ভোটাররা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দেবে। বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে। কারণ তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের অগ্রগতি। সেটাই আমরা বিশ্বাস করি।
নিজের নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের কাছে ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সব সময় আমাকে ভোট দিয়েছেন। আর আমার দায়িত্ব তো আপনারা নিয়েছেন। আমার নির্বাচন তো সব সময় আপনারাই করে দেন। আজকেও আমি আপনাদের কাছে এসেছি প্রার্থী হিসেবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন। আমি সেটাই আপনাদের কাছে আবেদন করি।
জনসভা মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগেরা যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, সাবেক পৌর মেয়র শেখ কামাল হোসেন, অহিদুল ইসলাম হাজরা প্রমুখ। জনসভায় সঞ্চালক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যতয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে।সকলের প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটি জাতির জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বিশেষ আইনশৃংখলা সভা ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছে। তারা কোনো দলের কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে যে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেয়া। নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে কোন দায়িত্বে পাঠাতে পারেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপার যে অংশটুকু ভোটারকে দেয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে। এটি ছাড়া যদি কেউ ভোট দেয় সেই ভোট বাতিল ও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। এগুলো নির্বাচনী বিধিমালায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে।
আচরণবিধি প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইনে আছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি ও ইউনিয়নে ১টি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি যদি থাকে তাহলে সেগুলো স্থানীয় রিটানিং কর্মকর্তা অপসারণ করতে হবে। তাছাড়া প্রচারণা সময়সীমা রাত ৮টা পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এরপর যদি কেউ বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে প্রচারণা চলায় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল দিয়েও কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে মোটর সাইকেলে বৈধ কাগজ নেই সেগুলোকে আটক করা হবে। শুধু মটর সাইকেল নয়, কোনো রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া করতে পারবে না। এগুলো যদি চোখে পড়ে তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যারা রয়েছে তাদের কাছে অভিযোগ দেবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।