চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ ও কলেজের শৃঙ্খলার স্বার্থে জানানো যাচ্ছে যে, কলেজ ক্যাম্পাসে মোটর বাইক এবং শ্রেনী কক্ষে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে কোনো ভাবেই প্রবেশ করা যাবেনা। কলেজ ক্যাম্পাসে মোটর বাইক নিয়ে প্রবেশ করা এবং অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ। সে জন্য কোনো শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাসে মোটর বাইক নিয়ে প্রবেশ করলে এবং শ্রেনী কক্ষে কারো কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোটিশে শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে কলেজে আসতে বলা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রেনী কক্ষে সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার অধিক মাত্রায় বেড়ে যায়। এতে তারা শ্রেনী কক্ষে অমনোযোগি থাকে। কখনো কখনো অতিমাত্রায় ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে একাধিকবার মৌখিক নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোনও জব্দ করে। কিন্তু এতেও কোনো কাজ হচ্ছিল না। এছাড়া কলেজে অনেকে মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশ করে এর পরিবেশ নষ্ট করে বিধায় এতেও মৌখিক নিষেধাজ্ঞা ছিলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, মোবাইল ফোনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাস একেবারেই ছোট হওয়ায় মোটর সাইকেলের চলাচল শ্রেনীকক্ষে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দিন দিন পালটে যাচ্ছে বায়ু পরিমণ্ডল। নিচে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভের পানির স্তর। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। বিভিন্ন জেলার নলকূপেও উঠছে না পানি। এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িযা জেলার পৌরশহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। এসব এলাকার অধিকাংশ সাধারণ পাম্প ও নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পানির স্তর ৪০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে যাওয়ায় পৌর শহরের বাসা বাড়িতে নলকূপ ও মোটর দিয়ে পানি তোলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় পানির স্তর ৩০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে গেছে। এতে জেলার অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় সরকারি হিসেবে ৫৪ হাজার ৬৫১টি হস্তচালিত নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে গত দুই যুগে ১২ হাজার ২০৮টি নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে। অগভীর নলকূপ রয়েছে ১৯ হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৯ হাজার ৯১০টি। অগভীর নলকূপের গভীরতা ৬০ থেকে ৭৫ মিটার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় এলাকাভেদে পানির স্থিতিতল সর্বনিম্ন ৩৫ দশমিক ৩৬ ফুট (১০ দশমিক ৭৮ মিটার) থেকে সর্বোচ্চ ৪৪ দশমিক ৯৮ ফুট (১৩ দশমিক ৭১ মিটার)। তবে সদর উপজেলায় সরকারিভাবে ১৫০ মিটার বা ৪৯২ ফুট গভীরতায় নিচে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। আর ব্যক্তি উদ্যোগে অগভীর নলকূপ স্থাপনে ১৮০ থেকে ২৫০ ফুট গভীরে যেতে হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সরকারি ২ হাজার ৪৭৩টি গভীর নলকূপ চালু রয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৪৮৬টি নলকূপ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার জেলা ঈদগাহ ময়দানে চরমোনাইর মাহফিলের নমুনায় ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হবে। এতে বৃহস্পতিবার বাদ যোহর উদ্বোধনী বয়ান হবে। ৩ দিনব্যাপী মাহফিলের মূল মধ্যমণি হিসেবে করবেন আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই (৩য় দিন), নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই (২য় দিন), জামিয়া ইউনুছিয়ার মুহতামিম মুফতি মুবারকুল্লাহ দা.বা., জামিয়া দারুল আরকামের মুহতামিম আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান দা.বা. ও পীর চরমোনাই রহ. -এর সাহেবজাদা মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের দা.বা. (১ম দিন)। 25068322আরো বয়ান করবেন পীর চরমোনাই রহ. -এর অন্যতম খলিফাত্রয় হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ পীর খুলনা, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী পীর কারীমপুর ও মাওলানা আব্দুল মজিদ পীর মোড়েলগঞ্জ। এছাড়াও মাহফিলে পীর মাশায়েখ ও খ্যাতিমান ওলামায়ে কেরাম বয়ান করবেন। উক্ত ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকিরে ৩ দিনের প্রয়োজনীয় বেডিং/ছামানা নিয়ে ধর্ম-বর্ণ ও দল-মত নির্বিশেষে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বামুকের জেলা ছদর আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ আবু ছালেহ ও মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ওয়ালী প্রমুখ।
https://www.profitablecpmrate.com/ituzvky0w?key=629d3cad52ec93612199eb57d46d63c7
মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির মিডিয়া সচিব হাফেজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার এসব তথ্য জানানো হয়।
শফিকুল ইসলাম বাদল :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাবেক আমীর ও ইসলামী আন্দোলনের নিবেদিত কর্মী সৈয়দ গোলাম সারওয়ার ইন্তেকাল করেছেন। আজ ১৬ জুন সোমবার ভোররাত ৪টা ৫০ মিনিটে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৬০ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। সৈয়দ গোলাম সারওয়ার নরসিংদী জেলার ঘোড়াদিয়া এলাকার মরহুম সৈয়দ শামছুল হক মাস্টারের সন্তান ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসবাসকারী গোলাম সারওয়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে বিএ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন এবং ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা আট বছর জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আমীর হিসেবে সংগঠনকে নেতৃত্ব দেন। তিনি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী ও সাহসী নেতা। রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিবেশে তিনি নিরলসভাবে সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন, বহুবার কারাবরণ করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন সহ্য করেছেন। তাঁর অবদান জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার বর্তমান আমীর মাওলানা মোবারক হোসাইন ও সেক্রেটারি মাওলানা আমিনুল ইসলাম তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “মরহুম ছিলেন একজন আদর্শবান, সৎ ও দূরদর্শী নেতা। তাঁর ইন্তেকালে আমরা একজন নির্ভরযোগ্য সংগঠক হারালাম। তাঁর ইন্তেকালে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর স্ত্রী, তিন কন্যা ও অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী গভীর শোকাহত। আমরা আল্লাহ তাআলার দরবারে মরহুমের সকল পাপ মার্জনা ও জান্নাতুল ফিরদাউস লাভের জন্য দোয়া করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”
চলারপথে রিপোর্ট :
৭ দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি থানায় যোগ দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। আজ ১২ আগস্ট সোমবার সকাল থেকে জেলা সদর থানা, সরাইল, নাসিরনগর, কসবা, আশুগঞ্জ, বিজয়নগর, আখাউড়া, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হন। এতে করে থানাগুলোতে আবারো ফিরতে শুরু করেছে স্বাভাবিক পরিবেশ। সে সাথে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো: শাখাওয়াত হোসেন জানান, জেলার সবগুলো থানাতে পুলিশ সদস্যরা যোগ দিয়েছেন। সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় অভিযোগ নথিভুক্ত ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ আশুগঞ্জ, আখাউড়া, কসবা, বিজয়নগর থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সদর মডেল থানা একেবারে ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও অন্যান্য থানাগুলো তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এর পর থেকে জেলার নয়টি থানার কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে বন্ধ ছিল।