চলারপথে রিপোর্ট :
প্রখ্যাত সেতার-সরোদ বাদক উস্তাদ আয়েত আলী খাঁ’র শিষ্য ও সুরকার সুবল দাস এর সহকর্মী বিশিষ্ট সেতার বাদক, পাকিস্তান শাসন আমলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার দুই বার নির্বাচিত জনপ্রিয় ওয়ার্ড মেম্বার, সুনামধন্য ঠিকাদার, জেলা সদরের কাজীপাড়া মহল্লা নিবাসী বিশিষ্ট মুরুব্বী মোঃ শহীদুল্লাহ ওরফে সায়েদ আলী মেম্বার এর কুলখানী আজ ৪ মে শনিবার কাজীপাড়া আতকাপীর মাজার সংলগ্ন নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে মরহুমার পারিবারিক উদ্যোগে দুপুরে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরিবারের সদস্য, আত্মীয় এবং এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ অংশ নেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ১১০ বছর হয়েছিল বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় দীর্ঘদিন যাবত শয্যাশায়ী অবস্থায় তিনি গত ২ মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, পাঁচ মেয়ে, নাতি-নাতনি সহ বিপুল সংখ্যক আত্মীয় সহকর্মী ও শুভাকাক্সক্ষী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুর সংবাদে সমগ্র শহরে পরিচিত জনদের মধ্যে শোকের পরিবেশ বিরাজ করে। ঐ দিন রাত সাড়ে নয়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামকরণের প্রতিষ্ঠাতা কাজীপাড়াস্থ হযরত সৈয়দ কাজী মাহমুদ শাহ্ (রহ.) এর মাজার মসজিদ সংলগ্ন মাঠে জানাজার পর আত্কাপীর মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগ বিএনপি জাতীয় পার্টি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারের রোগমুক্তি কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বিকালে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াছেল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আবু হোরায়রাহ, ফসিউর রহমান হাছান, আওলাদ হোসেন খান, রোস্তম আলী ভূঁইয়া, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট (অবঃ) মোঃ তাজুল ইসলাম, আফছারুন নবী মোবারক, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ প্রমুখ।
দোয়া পরিচালনা করেন মাওঃ মোঃ আব্দুল্লাহ্।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪খ্রি. পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত আজ ৬ এপ্রিল সকাল ১১টায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র কনফারেন্স রুমে তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইকবাল হোসাইন। ডাক্তার মাহমুদুল হাসান এর উপস্থাপনায় “স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে : কাজ করি একসাথে” শীর্ষক প্রতিপাদ্য বিষয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার সুমন ভূঁইয়া। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী মৃত্যুর বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করেন ডাক্তার খোকন দেবনাথ। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা নাজবাহুল ইসলাম বকুল, সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, সিনিয়র স্টাফ নার্স (শিশু বিভাগ ইনচার্জ) মোছাম্মত হেলেনা বেগম, নার্স মোছাম্মত রুনা আক্তার, হেলথ এডুকেটর মোঃ শরিফুল ইসলাম। পরে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে জেনারেল হাসপাতালে আগত রোগী ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। উভয় কর্মসূচীতে অতিথিবৃন্দসহ ডাক্তার আজহারুর রহমান তুহিন, ডাক্তার শামীমা সুলতানা, ডাক্তার মারুফ হোসেন, ডাক্তার হিমেল এবং সাংবাদিক ও নার্সগণ অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান জনসংখ্যা অনুপাতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শয্যা (বেড) সংখ্যা খুবই কম। প্রয়োজনের ১০ ভাগের এক ভাগ মাত্র। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে আরো উন্নত করতে হবে। আমাদের স্ট্রাকচারাল উন্নয়ন হয়েছে। এখন দরকার মানসিক উন্নয়ন। দেশ থেকে মেধাবী সন্তানেরা চলে যাচ্ছে বিদেশে, এই একেবারে যাওয়াটা আমাদের জন্য দেশের জন্য ক্ষতির কারণ। স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে মানুষকে মোটিভেট দিয়ে রোগমুক্ত করতে হবে। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়ন বাংলাদেশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন বর্তমানে শিশু মৃত্যু হার, মাতৃ মৃত্যু হার কমেছে। পুষ্টিমান বেড়েছে, এই পুষ্টিমান বৃদ্ধিকে ধরে রাখতে হবে। দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। সেবা গ্রহিতা ও সেবা দানকারীদের মাঝে আন্তরিক সম্পর্ক স্বাস্থ্য সেবার মানকে বাড়িয়ে দেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২০ মে সোমবার সকালে জেলা নির্বাচন অফিস এবং বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কর্তৃক উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
আগামী ০৫ জুন এই তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার হতে তিনটি উপজেলায় সরগরম নির্বাচনী আমেজ তৈরী হয়েছে। এদিন সকালে সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিজ নিজ কর্মী সমর্থক সহকারে জেলা এবং উপজেলা নির্বাচন অফিস গুলোতে ভিড় জমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের আনারস প্রতীক তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী পছন্দ করায় লটারীর মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। পরে প্রার্থীরা কর্মীদের আনন্দ মুখর মিছিলে প্রতীক প্রচার করে এলাকায় ফিরে যান। দুপুর দুইটা হতে প্রতীক সম্বলিত লিফলেটসহ প্রচারণা মাইকিং শুরু হয়েছে তিনটি উপজেলায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম বলেছেন, দুর্নীতি ও জনদুর্ভোগের বিষয়ে জিরো টলারেন্স। আমার সময়কালে এই দুইটা জিনিস কখনোই হবে না। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতি অথবা কাউকে দুর্ভোগে ফেলার অভিযোগ আসে, সেটি ছাড় দেওয়া হবে না। তা ছাড়া জনভোগান্তি যেন না হয় সে জন্য সকল অফিসারদের বলা হয়েছে কেউ কাজ নিয়ে আসলে সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুত কাজ করে দেবেন, আর যদি না হয় তাহলে সেই কাজ হবে না বলে ভোক্তাকে ফেরত দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেন সময় ব্যয়ের মাধ্যমে ভোগান্তি না হয়।
২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময়ের শুরুতে সকল সাংবাদিকদের সাথে পরিচিত হন নবাগত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রধান কিছু সমস্যা ও বিভিন্ন সেক্টরে ত্রুটি রয়েছে-এমন বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছ থেকে বক্তব্য শোনেন তিনি। পরে সেসব বিষয়গুলোর সমাধানের বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক।
চার লেন সড়কের প্রকল্প নিয়ে মো. দিদারুল আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদানের পর মহাসড়কের অবস্থাটি আমি দেখেছি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সড়কের কাজে সংযুক্ত লোকজন ভারতে চলে গেছে। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা চারলেন সড়কের বাকি কাজগুলো সরকারি অর্থায়নে করার অনুমোদন দিয়েছে। তাই অতি দ্রুতই চার লেন সড়কের অসমাপ্ত কাজ শুরু হবে।