চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রীবেশে গাঁজা পাচারের সময় দুই নারীকে আটক করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজালার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক লাবনী বেগম (৩৭) ঢাকার পল্লবী (১২/ডি কুর্মিটোলা ক্যাম্প) এলাকার মো. আবুল হোসেনের স্ত্রী ও একই এলাকার মো. হাসান মিয়ার স্ত্রী হেনা বেগম (২৮)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ডে বোরখা পরিহিত দুই মহিলা যাত্রীকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে বোরখার ভেতরে বিশেষ কায়দায় রাখা ৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি সংসদীয় আসনের জন্য পৃথক এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে নির্বাচনের তফসিল।
নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সম্ভাব্য প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও সহকারী পোলিং অফিসারের তালিকা প্রস্তুত করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া সবকটি সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণামূলক পোস্টার ও ব্যানার-ফেস্টুর্নগুলো খুলে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরফান আহমেদ জানান, সম্ভাব্য যারা ভোটগ্রহণে নিয়োজিত থাকবেন তাদের একটি তালিকা করে পাঠানোর জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় কাছ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সম্ভাব্যদের তালিকা নিয়ে চূড়ান্ত করে শীঘ্রই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম বলেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীদের লাগানো প্রচারণামূলক ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুর্নগুলো খুলে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বিস্ফোরক আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে। জেলা শহরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিহাব উদ্দিন চৌধুরী আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। পরে বিচারক আবেদনটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানা পুলিশকে মামলাটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। মামলায় ২৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট আসামিরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়, নন্দিতা কালার ল্যাবসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পেট্রোল বোমা ও ককটেল মেরে আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি করেন। এ ঘটনায় মামলার বাদী ও সাক্ষীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচনী প্রচারণায় আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। গতকাল ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ম জেলা জজ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার এজাহার জমা দেওয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল জব্বার মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, ফিরোজুর রহমান গত ২৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সুহিলপুরে এক নির্বাচনী সভায় র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছিলেন। ওই বক্তব্যের কারণে ফিরোজুর রহমানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে পর পর তিনটি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সেই নোটিশ আমলে নেননি। অতঃপর আদালতে শতকোটি টাকার মানহানির মামলা করা করেন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। আগামী রবিবার আদালত এ মামলায় শুনানি হবে।
এ ব্যাপারে ফিরোজুর রহমান বলেন, আমি নির্বাচনী একটি সভায় বলেছিলাম- তিনি যে আমার মদের ব্যাবসা নিয়ে কথা বলেন, আমি তো উনার ইউনিভার্সিটিতে ৫ লাখ টাকা ডোনেট করেছিলাম। এটা বলাতে উনার মানহানি হয়েছে নাকি। তবে যা সত্য তাই তো বললাম। মামলা করার আগে উনি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন কিন্তু নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে সেদিকে মনোনিবেশ করতে পারিনি। সেটি লক্ষ্য করলে হয়তো মামলা করতেন না। যেহেতু মামলা করেছেন আইনিভাবে আমি জবাব দেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ ছাত্র জনতা।
২৩ অক্টোবর বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথ সভায় ছাত্র জনতার পক্ষে বক্তব্য রাখেন, সাব্বির আহমেদ উসমানি, মোহাইমিনুল আজবীন, ইকরামুল মারজান চৌধুরী ও মোহাম্মদ হানিফসহ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বক্তরা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন গুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে উপস্থিত জনতার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের জন্য এক হাসপাতালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় নিউ শমরিতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফ নেওয়াজের নেতৃত্বে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান সম্পর্কে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের মেডিকেল অফিসার (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) মো. আশরাফুর রহমান হিমেল জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে দুপুরে জেলা শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে শহরের মৌলভীপাড়ায় নিউ শমরিতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ওষুধ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়।পাশাপাশি প্যাথলজি পরীক্ষায় অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়।
পরে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফ নেওয়াজ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫২ ও ৫৩ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি তাদের সর্তক করা হয়।
তিনি আরো জানান, জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় হিউম্যান জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অভিযান চলাকালে বন্ধ পাওয়া যায়।প্রতিষ্ঠানটি ভ্রাম্যমাণ আদালত আসার খবর পেয়ে তালা লাগিয়ে পলিয়ে যায়। তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানা, স্বাস্থ্য অফিসের সহকারী সার্জন ডা. সম্বিতা চক্রবর্তী ও সদর মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলন।