চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ যেমন-একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ৯ মে বৃহস্পতিবার আখাউড়া উপজেলা রামধননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতা মূলক কাজটি করে যাচ্ছে। জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসূর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান।
বক্তব্য রাখেন রামধননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। মার্কেটগুলোতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এবছর মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে নায়রা। নায়রা নামের মেয়েদের পোষাকটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সারেরা, গারেরা, ডিভাইডার, গাউন, লেহেঙ্গা, স্কার্ট রয়েছে পছন্দের তালিকায়। তবে দাম অনেকটা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
আখাউড়া শহরের মায়াবী শপিং কমপ্লেক্স, আদর আলী কমপ্লেক্স, আলী মার্কেট, চৌধুরী শপিং কমপ্লেক্স, সরকার প্লাজাসহ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন ডিজাইনের আকর্ষণীয় পোষাক সাজিয়ে রেখেছেন। পছন্দের জামা-কাপড় কিনতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শহরের প্রতিটি বিপণিবিতানে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার সরগরম প্রতিটি জামা-কাপড়ের দোকান। বেচাকেনা জমে ওঠায় খুশি বিক্রেতারাও। নতুন জামা-কাপড়ের পাশাপাশি জুতা এবং কসমেটিকস্ দোকানগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। তবে সব পণ্যের দামই দোকানিরা অনেক বেশি চাচ্ছেন এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় প্রতিটি জিনিষেই এর প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া পোষাক তৈরির সরঞ্জামের দাম বেড়েছে এজন্য দাম কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে মেয়েদের পোষাকের পাশাপাশি ছেলের পোষাকের দোকানগুলোতে তরুনদের উপস্থিতি বেড়েছে। ছেলেরা জিন্স প্যান্ট বেশি কিনছেন। সাথে স্টিচ শার্ট, টি-শার্ট। এছাড়াও পাঞ্জাবি-পায়জামার চাহিদাও রয়েছে। কালারফুল পাঞ্জাবিই ছেলেদের বেশি পছন্দ।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজানের শুরুর দিকে মার্কেটে বেশি বিক্রি হয় শিশু ও নারীদের জামা-কাপড়। ঈদ যতই এগিয়ে আসে এসব পণ্যের বিক্রিও ততই বাড়ে।
সড়ক বাজারের মরিয়ম লেডিস ফ্যাসনের মালিক মোঃ কাওছার আহমেদ বলেন, রোজার প্রথম কয়েকদিন ক্রেতারা শুধু জামাকাপড় দেখে নাম শুনে চলে যেত। এখন আল্লাহর রহমতে বেচাকেনা বেড়েছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রির পরিমাণও তত বাড়বে। তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে গত কয়েক ঈদে লোকসান হয়েছে। আশা করি, এবার করোনার লোকসান এবার পুষিয়ে উঠতে পারবো।
দুই মেয়েকে নিয়ে মার্কেটে এসেছেন স্মৃতি আক্তার। তিনি বলেন, বড় মেয়ের জন্য নায়রা কিনেছি। ছোট মেয়ে পছন্দ করেছে স্কার্ট। এবার দাম একটু বেশি। গত বছর যে পোষাক ১ হাজার দেড় হাজার টাকায় কিনেছে। সে পোষাক এবার তিন হাজার দাম চাচ্ছে বিক্রেতারা।
কাজী স্নেহ ও তোড়া বলেন, তারা নায়রা কিনেছেন। কারণ এ পোষাকটি এবার অনেক চলছে। আর দেখতেও সুন্দর লাগে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবসরের বিষণ্নতা কাটিয়ে ৪০ বছরের কর্মজীবন শেষে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা পেলেন আখাউড়া থানার পুলিশ সদস্য মো. মুজিবুল আলম ভূঁইয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এই সংবর্ধনা দিলেন আখাউড়া থানার ওসি নূরে আলম।
৩ জানুয়ারি বুধবার সকালে থানা চত্বরে পুলিশ কনস্টেবল মুজিবুল আলম ভূঁইয়ার জন্য এই বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেন। পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা স্মারক ও বিভিন্ন উপহার প্রদান করা হয়।
এ সময় আখাউড়া থানার ওসির গাড়িটি ফুল দিয়ে সাজিয়ে কর্মস্থল থেকে তার নিজ বাস ভবন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তালতলা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এর আগে সহকর্মীরা ভালোবাসার সঙ্গে বিদায় দেন এই পুলিশ সদস্যকে। এ সময় এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ সুপারের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ওসির এমন আয়োজনে খুশিতে আÍহারা পুলিশ কনস্টেবল মুজিবুল আলম ভূঁইয়া। এ আয়োজনে কর্মজীবনের শেষে এক সুখস্মৃতি দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
বিদায়ি অশ্রুসিক্ত পুলিশ কনস্টেবল মুজিবুল আলম ভূঁইয়া জানান, চাকরি জীবনে আমি কখনো দায়িত্বে অবহেলা করিনি। এতোদিন দেখে আসছি বড় বড় পুলিশ কর্মকর্তাদের ঢাকঢোল পিটিয়ে বিদায় দেওয়া হয়। কিন্তু একজন সাধারণ পুলিশ সদস্যকে এভাবে বিদায় জানাবে কল্পনাও করিনি। আমি ধন্য, আমি কৃতজ্ঞ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি কে. এম. হাফিজুল আলম বলেন, কলেজ জীবনের ২টি বছর একজন শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কলেজ জীবনকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে স্বপ্ন পূরণের পরের ধাপ ভার্সিটি, মেডিকেল বা ইঞ্জিনিয়ারিং যে যেখানে ভর্তি হতে চাও তা সহজ হবে। অনেকে এসময় ঝড়ে পড়ে যায়। তাই তাই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কলেজ জীবনকে গুরুত্বসহকারে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ২০২৩ সনের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আজ ২১ অক্টোবর শনিবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামের রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুল যৌথভাবে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি বিচারপতি কে. এম. হাফিজুল আলম আরো বলেন, আমি জানি ভবিষ্যৎ নিয়ে তোমাদের প্রত্যেকের একটি স্বপ্ন আছে। তোমাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত কলেজে ভর্তির সময়ই নিতে হবে।
ভবিষ্যতে তোমরা যা হতে চাও তার প্রতি গভীর অনুরাগ ও ভালোবাসা এবং চেষ্টা থাকতে হবে। সে অনুযায়ী কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কোন পেশা-ই ছোট নয়, যে যেই পেশায় যেতে চাও সে পেশার যারা শ্রেষ্ট আছে তাদের মধ্যে থাকার জন্য চেষ্টা থাকতে হবে।
কাঙ্ক্ষিত পেশার শ্রেষ্ঠ মানুষদের মধ্যে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে আইকন হিসেবে চিহ্নিত করে তাদেরকে অনুসরন করতে পারলে তোমাদের চলার পথ সহজ হবে। আমি বিশ্বাস করি লক্ষ্যে অটুট থেকে সঠিক ভাবে সময়কে কাজে লাগিয়ে পরিশ্রম করলে তোমরা নিশ্চয় সফল হতে পারবে।
ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, তোমাদেরকে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন, সৎ এবং বিজ্ঞান মনস্ক সুনাগরিক হতে হবে। কোন ধরনের মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আকছির এম. চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সাখাওয়াত হোসেন , যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) মোঃ হারুন অর রশিদ, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা-আখাউড়া) সার্কেল মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এড. মৌলী মোর্শেদ মৌ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে দুই লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহীন খান পেয়েছেন ছয় হাজার ৫৮৬ ভোট। ৭ জানুয়ারি রবিবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ আসনে আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ দুই হাজার ৫৮৭ জন। আসনটির ৪৪ ভোট কেন্দ্রের ২৬৯টি ভোটকক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আক্তারের নেতৃত্বে আদালত পরিচালনা করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ প্রশান্ত চক্রবর্তী ও আখাউড়া থানার ওসি মোঃ নূরে আলম। আখাউড়া থানা পুলিশ আদালতকে সহযোগিতা করেন।
এসময় আদালত সবজি, মাংস ও ফলের দোকান পরিদর্শন করেন। বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে দ্রব্যমূল্যের দরদাম যাচাই করেন। দোকানের দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখার নির্দেশ দেন। ক্রয়মূল্যের চেয়ে অধিক দাম চাওয়ায় কয়েকজন বিক্রেতাকে সতর্ক করেন। এসময় ফলের দোকানে ক্রয়মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দাম চাওয়ার বিষয়টি আদালতে পর্যবেক্ষণে আসে। ক্রয়মূল্যের চেয়ে অত্যাধিক দামে তরমুজ বিক্রির অভিযোগ করেন বিক্রেতারা। ফলের মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখারও নির্দেশ দেন আদালত। জেলা সদরসহ আশে পাশের উপজেলার ফলের বিক্রয় মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফল বিক্রি করার কথাও বলেন।
এদিকে, ক্রেতাদের অভিযোগ আদালতের অভিযানের সময় বাজার দর এক রকম থাকে। আদালত চলে গেলে বেড়ে যায়। তবে কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের দাবী, আড়তদরা বেশি দামে পাইকারী বিক্রি করে তাই দাম বেড়ে যায়।
পারভেজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, সকালে একটি তরমুজের দাম ১হাজার টাকা চেয়েছে। পরে ৫০০ টাকায় সেই তরমুজ কিনেছি। এখন আদালত থেকে সেই তরমজু আড়াই শ টাকা হয়ে গেছে। আসলে আদালত চলে গেলে আবারও দাম বেড়ে যাবে। খেজুরের দামেও একই অবস্থা।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া আক্তার বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আজ প্রথম দিন আমরা ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি।