চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় নিজ ঘরের খাটের ওপর পড়ে থাকা অবস্থা থেকে ছাইমা আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যৌতুকের দাবিতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ ছাইমার পরিবারের। এ ঘটনার পর থেকে ছাইমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
গতকাল ৮ মে বুধবার রাতে কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের কেয়াইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইসমাইল মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে কসবা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
নিহতের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে তার ছোট বোন ছাইমা আক্তারের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী কেয়াইর গ্রামের মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে কবির হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ছাইমার ওপর নির্যাতন শুরু করেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিয়ের একমাস পর তার স্বামী কবির হোসেন প্রবাসে চলে যান।
এদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায় সময় তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন। বোনের সুখের জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। গত প্রায় ৪ মাস আগে প্রবাস থেকে ছাইমার স্বামী কবির হোসেন বাড়িতে এসে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতেন।
তিনি বলেন, বুধবার রাত ৭ টার দিকে বোনের জামাই কবির আমাকে ফোন করে জানান, আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। খবর শুনে বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই বাড়িতে কেউ নেই। তাদের ঘরের খাটের ওপর ছাইমার মরদেহ পড়ে আছে। মূলত তাকে হত্যা করে ওই পরিবারের লোকজন পালিয়েছেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহাম্মদ জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গৃহবধূর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেছেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়। অন্য কোনো মার্কায় ভোট দিলে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবনতি হয়।
২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা মহিলা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও কসবা পৌরসভা আওয়ামী লীগের ১২ শতাধিক নিবন্ধিত নারী-পুরুষ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবারও এ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ আসন থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন আওয়ামী লীগের আরও ছয়জন। এরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আইনজীবী শাহ আলম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সদস্য এ কে এম বদিউল আলম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা মনি, জেলা যুবলীগের সদস্য তসলিমুর রেজা ও কসবা যুবলীগের সাবেক নেতা লুৎফুর রহমান।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আঞ্চলিক সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল নোমান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সম্বয়কারী সুজন দত্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে খুনিচক্র বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল, আওয়ামী লীগকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এখনো আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই।
আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা বিচার শুরু করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের উন্নতি করেছেন। শেখ হাসিনা দেশের টাকায় পদ্মা সেতু করেছেন। অথচ এই খালেদা জিয়া বলেছিলেন- পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চলবে না, সেতু ভেঙ্গে পড়বে। শেখ হাসিনা মানুষের জন্য কাজ করেন। মানুষের টাকা মানুষকে দিয়ে দেন। সেই জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশটাকে উদ্ধার করেছেন। তিনি বহু কষ্ট করে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। বাংলাদেশকে এখন পৃথিবীর সব দেশ মর্যাদার সঙ্গে দেখে।
আনিসুল হক বলেন, এক সময় অতীতের সরকারগুলো বাজেট ঘোষণার আগে দেশের অর্থমন্ত্রী ব্রিফকেস নিয়ে দেশে দেশে ঘুরে ভিক্ষা করে টাকা এনে বাজেট ঘোষণা করতো। বিদেশিরা বাংলাদেশকে ভিক্ষুক হিসেবে জানতো। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলতো। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
বায়েক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার করিম শাহরিয়ার ভুইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এম.জি হাক্কানী, জেলা পরিষদের সদস্য এ এম আজিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই ফারুক হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ১১৬ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কায়েমপুর পূর্বপাড়া থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গাঁজা ও একটি নোহা প্রাইভেটকারসহ সুমন নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি আব্দুল কাদের।
আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে ওসি আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, কসবাকে মাদকমুক্ত করতে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সোহেল রানা ওরফে দুষ্টু (২৪) হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার প্রেমিক রাকিব (২৩)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রাকিবুল হাসানের কাছে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুকে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে রাকিব। আদালতে রাকিব জানায় বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা বলায় সে দুষ্টুকে পিটিয়ে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত রাকিব কসবা উপজেলার গুনিনপাড়া (কলেজপাড়া) এলাকার মোঃ নাছির মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন ইজিবাইক চালক।
নিহত সোহেল রানা ওরফে দুষ্টু দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাবের আলীর সন্তান। সে কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গত সোমবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কসবা থেকে ঘাতক রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে রাকিব বিজ্ঞ বিচারক রাকিবুল হাসানের কাছে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে।
জবানবন্দিতে রাকিব জানায়, দুষ্টু আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের অজান্তা হিজরাকে গুরু মানতেন। সেই সুবাধে দুষ্টু কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
আনুমানিক ৭/৮ মাস আগে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুর রাকিবের পরিচয় হয়। ইজিবাইক চালানোর সূত্র ধরে সোহেল রানা ওরফে দুষ্টুর সাথে রাকিবের পরিচয় হয়। রাকিব দুষ্টুকে নিয়ে তার ইজিবাইক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া-আসা করতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে রাকিব দুষ্টুর ভাড়া বাসায় আসা যাওয়া করতো।
গত ঈদ-উল আযহার পরদিন ৩০ জুন রাতে দুষ্টু রাকিবকে ফোন দেয়। ফোন পেয়ে রাকিব দুষ্টুর বাসায় যায়। সেখানে যাওয়ার পর দুষ্টু রাকিবকে জানায় সে দিনাজপুর নিজ বাসায় চলে যাবে। এই কথা শুনে রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে দুষ্টুকে গালাগাল করে। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে রাকিব দুষ্টুর বাসা থেকে চলে আসলে দুষ্টুও রাকিবের পেছন পেছন আসে। পরে দুষ্টু গোপীনাথপুর এলাকার সেকান্দারপাড়ায় গেলে রাকিব একটি গাছের ঢাল দিয়ে দুষ্টুর মাথায় আঘাত করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে রাকিব একটি ইটের ভাঙা অংশ দিয়ে আবারো দুষ্টুর মাথায় আঘাত করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুষ্টুকে রেখে রাকিব পালিয়ে যায় ও দুষ্টুর গুরু অজন্তার মাকে ফোন দিয়ে জানায় দুষ্টুর লাশ গোপীনাথপুর এলাকার সেকান্দারপাড়ায় পড়ে আছে। পরে সে ফোন বন্ধ করে দেয়।