চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণায় ল্যামিনেটিং করা পোস্টার ব্যবহারের অভিযোগে দুই প্রার্থীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল ৯ মে বৃহস্পতিবার রাতে আখাউড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস.এম রাহাতুল ইসলাম এই জরিমানা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মুরাদ হোসেনকে পাঁচ হাজার এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলুকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে তাদের ল্যামিনেটিং করা পোস্টার দেখতে পায়।
স্টাফ রিপোর্টার:
বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের নো-ম্যানসল্যান্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ’র) মধ্যে ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে মিষ্টি ও গাছ বিনিময় হয়। বেলা সাড়ে চারটার দিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফ’র হাতে মিষ্টি তুলে দেয় বিজিবি। ভারতীয় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে বিজিবিকে দেওয়া হয় গাছের চারা। পরে বিউগলের সুরে দু’দেশের পতাকা একসঙ্গে নামানো হয়, যা ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ হিসেবে পরিচিত। দু’দেশের শত শত মানুষ এ সুন্দর আয়োজন উপভোগ করেন। এ সময় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি সরাইল রিজিওনের ডেপুটি রিজিওয়ন কমান্ডার কর্ণেল কাজী শামীম, বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ নুরুল আবছার। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ১২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাখনেশ কুমার, লঙ্কামোড়া কম্পানি কমান্ডার বিনদ সিং।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে সরিষার বীজ, টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অস্থায়ী সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে এসব পন্য বিতরণ করেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি পরিবারকে ৪ বান টিন, নগদ ৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২০০ পরিবারের মাঝে সরিসার বীজ ও নগদ ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ১০১ পদাতিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ আল মসউদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে রিলিফ বিতরণ করেছি। এখন পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ৫৬০টি টিন বিতরণ করা হয়েছে। আরো ২০০ জনকে টিন দেওয়া হবে। প্রতিটি পরিবারকে ৪ বান টিন ও নগদ ৪ হাজার করে টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পরে ধানের চারা বিতরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে ১৭ হাজার কেজি রবিশস্য ১৭ হাজার পরিবারের মাঝে বিতরন করা হবে। পরে আখাউড়ার নারায়ণপুর এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় বৃদ্ধ কুলসুম বেগমের (৬০) বাড়ি পরিদর্শন করেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এসময় তিনি কুলসুম বেগমের সাথে কথা বলেন। তার সুবিধা অসুবিধার কথা শুনেন এবং ঘর নির্মাণের জন্য টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় কাঁচা মরিচের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সবজি বাজারে অভিযান চালিয়েছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৫ জুলাই বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টায় আখাউড়া পৌরসভার সড়ক বাজারের সবজি বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কাঁচা মরিচ ছাড়াও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামের বিষয়েও তদারকি করা হয়।
এ সময় চড়া দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করার অপরাধে তিন ব্যবসায়ীকে ও পণ্যের মূল্য কারচুপি, মূল্যতালিকা ও ভাউচার না থাকায় দুই মুদি দোকানিকে বিভিন্ন অংকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, কাঁচা মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তদারকির লক্ষ্যে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের ফলে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, সরবরাহের সংকটের কারণ দেখিয়ে ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে এখানের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৫৫০ টাকায়ও বিক্রি হয়। আর খুচরা বাজারে মরিচের দাম বেড়ে কেজিতে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
আখাউড়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ দলের সহযোগিতায় ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৫ ব্যবসায়ীকে এ জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে জের ধরে বড় ভাই আব্দুর রহমান ভূঁইয়াকে (৫২) পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
হত্যাকারী তার আপন ছোট ভাই খলিলুর রহমান ভূঁইয়া ও তার ২ ছেলে। সোমবার রাতে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নুনাসার গ্রামে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রহমান ওই গ্রামের আব্দুল কাদের ভূঁইয়ার ছেলে। এ ঘটনায় খলিলুর রহমানের দুই মেয়ে ইমা ও হাবিবাকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে ছোট ভাই খলিলুর রহমান সঙ্গে বিরোধ চলছিল বড় ভাই আব্দুর রহমানের। জায়গা সম্পত্তি নিয়ে উভপক্ষের একাধিক মামলাও চলছে।
গতকাল সোমবার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যায়। মামলায় ছোট ভাই খলিলুর রহমানের দুই ছেলেকে আসামি করেন আব্দুর রহমান।
এনিয়ে সোমবার দিনের বেলায় দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যায় ইফতারের পর আব্দুর রহমান মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাড়িতে আসলে খলিলুর রহমান ও তার ছেলেরা অতর্কিত হামলা চালায়।
একপর্যায়ে আব্দুর রহমানকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তারা। এসময় স্বজনরা আব্দুর রহমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম জানান, পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যরা পালিয়েছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৬ দিন ধরে মাকে দেখছে না দেড় বছরের শিশু সন্তান আইয়ুব। সারাক্ষণ মায়ের জন্য কান্নাকাটি করছে। অবুঝ শিশুকে কোন কথা বলে বুলাতে পারছে না বৃদ্ধ নানা-নানি, দাদা-দাদু। আর মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে হতভাগ্য মা-বাবা।
অবশেষে মেয়ের সন্ধান পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্বজনরা। এমন ঘটনায় ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায়।
আজ ২৬ জুলাই বুধবার দুপুরে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের বড় কুড়িপাইকা গ্রামে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিল্লাল ভূঁইয়ার স্ত্রী বিলকিছ বেগম। তিনি অভিযোগ করেন, গত ২০ জুলাই মেয়েকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত থেকে ফেরার সময় আদালতের গেইট থেকে মনির মাস্টার আমার মেয়েকে জোর পূর্বক সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। সে একই ইউনিয়নের হীরাপুরের মৃত জানু মিয়ার ছেলে।
এরপর থেকে আমার মেয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছি না। মেয়েকে উদ্ধারের জন্য তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চান।
নাতিকে কোলে নিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ছোট্ট শিশুটির মাকে না দেখে কান্নাকাটি করে। তাকে কেন মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মনির মাষ্টার তার মেয়েকে আটকে রেখেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরো বলেন, মনিরুল ইসলাম ওরফে মনির মাস্টার (৩৭) এক সময় আমার মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতো। এসময় সে আমার মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করে। আমরা মান সম্মানের কথা চিন্তা করে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেই। কিন্তু বিয়ের পরেও মনির মাষ্টার আমার মেয়ের সাথে যোগাযোগ রাখতে চাইলে আমরা তাকে নিষেধ করি।
এ কারণে সে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দেয়। সেদিন আমরা তার মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলাম। মেয়েকে উঠিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিনি আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়। তারা আমার বিরুদ্ধে থানায় এবং কোর্টে একাধিক মামলা করেছেন। আমিও মামলা করেছি। সেখানে ব্যর্থ হয়ে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য এসব ষড়যন্ত্র করছেন। আমি তাকে আটকে রাখার প্রশ্নই আসে না।