অনলাইন ডেস্ক :
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৫ রানে জয় পেল বাংলাদেশ। টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহামের দায়িত্বশীল বোলিংয়ে ১৪৩ রান করেও জয় পেল বাংলাদেশ।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশের পথে জিম্বাবুয়ে।
আজ ১০ মে শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হের আগে ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০১ রান করা বাংলাদেশ, এরপর মাত্র ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৯.৫ ওভারে অলআউট হয়। ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। অথচ এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠেই নাস্তানাবুদ অবস্থা টাইগারদের।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-িটোয়েন্টিতে টস জিতে স্বাগতিকদের প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে।
আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তারা ১১.২ ওভারে ১০১ রানের উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ।
১১.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১০১ রান। খেলার যখন এমন অবস্থা তখন ধারণা করা হয়েছিল স্কোর হয়তো ২০০ ছাড়িয়ে যাবে।
কিন্ত এরপর চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে মাত্র ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
ইনিংসের শুরুতে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটিং দেখে যারা মুগ্ধ হয়েছিলেন তাদের হতাশ করেছেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তারকা ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়রা।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের আগে ৩৭ বলে ৭টি চার আর এক ছক্কায় ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ। ইনজুরি থেকে ফিরে ৩৪ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় ৪১ রান করে ফেরেন সৌম্য সরকার।
এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন তাওহিদ হৃদয় (১২), সাকিব আল হাসান (১০), অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (২), জাকির আলি অনিক (৬), তাসকিন আহমেদ (০), রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানরা।
আজ তানজিদ হাসান তামিম ক্যারিয়ারের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেকে ৪৭ বলে ৮টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৬৭ রান করেন। টি-টোয়েন্টিতে সেটাই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
এরপর দুই ম্যাচে ১৮ ও ২১ রানে আউট হন। আজ চতুর্থ ম্যাচে ৩৭ বলে ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম।
প্রথম তিন ম্যাচ জয়ে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচে জিতে আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফুরফুরে মেজাজে থাকতে চায় টাইগাররা।
১২০ বলে ১৪৪ রানের মাঝারি স্কোর তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়। শূন্য রানেই ওপেনার ব্রান ব্যানেটকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ৩.৫ ওভারে দলীয় ২৮ রানে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন তাসকিন।
এরপর দলীয় ৩২ ও ৫৭ রানে জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান ও রিশাদ হোসেন। ৫৭ রানে ৪ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেছেন রায়ান বুল। তাকে সঙ্গ দেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। এই জুটিতে তারা ৩০ বলে ৩৫ রান করেন। তাদের ব্যাটেই জয় দেখেছিল জিম্বাবুয়ে।
১৫তম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক ২ উইকেট তুলে নিয়ে দলে স্বস্তি ফেরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব মার্ক চ্যাপম্যানের উইকেট তুলে নিলে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
জয়ের জন্য ১৮ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। তানজিদ হাসান সাকিব ১৮তম ওভারে খরচ করেন মাত্র ৬ রান। এরপর ১২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২১ রান। মোস্তাফিজ ১৯তম ওভারে মাত্র ৭ রানে এক উইকেট শিকার করেন।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট আর জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল আর দ্বিতীয় বলে ডট দেন সাকিব। তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান ব্লেসিং মুজারাবানি।
জয়ের জন্য শেষ ৩ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৭ রান। চতুর্থ বলে সাকিব ওয়াইড দিলে স্ট্যাম্পিং হন মুজারাবানি। পঞ্চম বলে রিচার্ড নাগরাভাকে বোল্ড করেন সাকিব। তখন জয়ের উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
শ্রীলংকার বিপক্ষে ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৩ রানে ৩ উইকেট। জয় পেতে তখনও ৫৪ বলে ৫২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। এমন উইকেটে খুব একটা সহজ নয় এই কাজ। কেননা, খানিক আগেই শেষ ৩৬ বলে মোটে ২৪ রান তুলতে পেরেছিল লংকানরা। তাই শঙ্কা ছিলই। তবে সেই শঙ্কা দূর করার দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিলেন তাওহীদ হৃদয়। ইনিংসের ১২তম ওভারে লংকান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্কাকে টানা তিনটি ছক্কা হাঁকালেন পরপর। চতুর্থ বলেই একই কাজ করতে গিয়ে বল মিস করলেন হৃদয়। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরতে হলো তাকে। তবে ফেরার আগে ঠিকই ২০ বলে ৪০ রান করে দিয়ে গেছেন এমন উইকেটে। তাতেই জয়ের সুবাস পেয়ে যায় বাংলাদেশ।লিটন ও সাকিব দ্রুত ফিরলে খানিকটা শঙ্কাও জাগে হারের।
তবে সেই শঙ্কা আরও ঝেঁকে বসে মাহমুদউল্লাহকে রেখে পরপর রিশাদ ও তাসকিন ফিরলে। মনে হচ্ছিল মাহমুদউল্লাহ সুযোগ পাবেন তো শেষ পর্যন্ত। অবশেষে সুযোগটা পান তিনি। দাসুন শানাকার ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। দূর হয় সব শঙ্কা। বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ৬ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে। তাতে জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয় নাজমুল শান্তর দলের।
এদিন বাংলাদেশের জয়ের রাস্তাটা প্রশস্ত করে দিয়ে গিয়েছিল বোলাররাই। ১৪ ওভারে দলীয় শত রান করা লংকানদের শেষ ৬ ওভারে আটকে দিয়েছিল মাত্র ২৪ রানে। তাতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৫ রানের। টি টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটেই যা অতি মামুলি। তবে সেই টার্গেটটাই কঠিন করে তুলেছিল বাংলাদেশে টপ অর্ডার ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লের আগেই ২৮ রানে খুইয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। তাতে খানিকটা শঙ্কাও উঁকি দিচ্ছিল হারের। তবে সেই শঙ্কা দায়িত্ব নিয়েই দূর করে গেছেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দু’জনে মিলে জমা করেছেন ৬৩ রান।
এরপর অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে হাসারাঙ্গার বলে ২০ বলে ৪০ রান করে ফিরতে হয় হৃদয়কে। এরপর লিটন ফিরে যান ৩৮ বলে ৩৬ রান করে। খানকি পর ১৪ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাকিবও। তাতেই শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশের জয়। এরপর তুষারার পরপর দুই বলে রিশাদ ও তাসকিন ফিরলে সেই শঙ্কা আরও বাড়ে। তবে দায়িত্ব নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। খেলেছেন ১৩ বলে ১৬ রানের হার না মানা এক ইনিংস।
এর আগে, টসে জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন দলটির ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। যদিও অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত উইকেট পড়ছিল। এরপরও বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে ফেলেছিল শ্রীলংকা। ১৪ ওভারেই ছুঁয়েছিল দলীয় শত রান।
তবে নিশাঙ্কা ২৮ বলে ৪৭ রান করে ফিরলে বাকিরা হাঁটতে পারেনি তার দেখানো পথে। মাঝে উইকেটে ধনঞ্জয়া ও আসালাঙ্কা জমে উঠার চেষ্টা চালিয়েছেন মাত্র। তাতে অবশ্য খানিকটা ভয় ঝেঁকে বসেছিল বাংলাদেশের। তবে সেই ভয় দূর করেছেন রিশাদ। ১৬তম ওভারে এসে পরপর ফিরিয়েছেন আসালাঙ্কা ও হাসারাঙ্কাকে। তাতেই বড় সংগ্রহের স্বপ্নটা শেষ শ্রীলংকার। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত লংকানদের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১২৪ রানে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ ও রিশাদ। মুস্তাফিজ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান খরচায় তুলেছেন ৩ উইকেট। অন্যদিকে ২২ রান খরচায় রিশাদের শিকার ৩ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।
অনলাইন ডেস্ক :
৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। ৩ মে শুরু হওয়া সিরিজের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। প্রথমবার দলে ডাক পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেলে ছেলে জোনাথন ক্যাম্পবেল।
অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেল জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। সিকান্দার রাজার নেতৃত্বাধীন দলে ফিরেছেন ফারাজ আকরাম ও তাদিওনাসে মারুমানি। দলের বাকিরা জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সিরিজের অংশ ছিলেন।
এছাড়া অভিজ্ঞ ক্রেগ আরভিন, শন উইলিয়ামস, ব্লেজিং মুজারাবানিরা আছেন দলে। রায়ান বার্ল, জনজি লুকরাও ভালো টি-২০ খেলেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড এখনও দলটির হেড কোচ নিয়োগ দেয়নি। বাংলাদেশ সিরিজে স্টুয়ার্ট মাটসিকেনারি কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।
জিম্বাবুয়ের দল: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), আকরাম ফারাজ, বেনেত্তি ব্রেইন, রায়ান বার্ল, ক্যাম্পবেল জোনাথন, ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বিয়া, লুক জনজি, ক্লিভ মাদান্দে, তাদিওনাসে কায়তানো, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেজিং মুজুরাবানি, আনিসলি এন্ডলভ, রিচার্ড এনগ্রাভা, শন উইলিয়ামস।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিকদের ৪-১ গোলে হারিয়ে আরেকটি ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। আজ ২৮ আগস্ট বুধবার নেপালের কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে নেপালের বিপক্ষে প্রথম জয়, গ্রুপপর্বে হারের প্রতিশোধ এবং প্রথম সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা, এ যেন ‘এক ঢিলে তিন পাখি মারলো’ বাংলার যুবারা।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়ে গোল পায়নি স্বাগতিক নেপাল। বিপরীতে দারুণ এক ফ্রি কিক থেকে গোল নিয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় আরও দুই গোল করে। শেষ দিকে এসে স্বাগতিকরা এক গোল শোধ দিলেও হার এড়াতে পারেনি। এরপর বাংলাদেশ আরও এক গোল পায়। তাতেই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মিরাজুল ইসলামের জোড়ায় বাংলাদেশ ৪-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা উৎসব করেছে। মিরাজুল দুটি ছাড়াও রাব্বি হোসেনের গোলে করেছেন অ্যাসিস্ট। এছাড়া চতুর্থ গোলটি এসেছে পিয়াস আহমেদ নোভার লক্ষ্যভেদে। এ নিয়ে সাফের বয়সভিত্তিক আসরে বাংলাদেশের দুটি শিরোপা এলো। ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৬ আসরে সিলেটে ট্রফি জিতেছিল সাদউদ্দিনরা। আর বুধবার কাঠমান্ডুতে রচিত হলো নতুন ইতিহাস। এছাড়া কাঠমান্ডুর মাঠ বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত।
১৯৯৯ সাফ ফুটবল (এস এ গেমস), ২০২২ সালে মেয়েদের সাফের শিরোপা এসেছিল। মাঝে নারীদের বয়সভিত্তিক আসরের শিরোপা ঘরে ওঠে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর গেইম ডেভলপমেন্ট কমিটির আয়োজনে আগামী ১২ অক্টোবর শনিবার সকাল ৮ টা হতে নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুর্ধ্ব -১৪, ১৬ ও ১৮ বছর বয়সী ক্রিকেট খেলোয়াড়দের উন্মুক্ত প্রাক- বাছাই ও মেডিকেল অনুষ্ঠিত হবে।
আগ্রহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার খেলোয়াড়দের সদ্য তোলা ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ২ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি, ক্রিকেট পোশাক, ব্যাটসম্যান হলে ক্রিকেট সামগ্রী, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন, পি,এস,সি/ জে,এস,সি/ এস,এস,সি / সমমান পরীক্ষা / রেজিষ্ট্রেশন কার্ড সব গুলোর মুল কপি ও ফটোকপি। অটো পাশ হলে স্কুলের প্রত্যয়নপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
অনুর্ধ্ব -১৪ যাদের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ২০১০ বা এরপরে। অনুর্ধ্ব ১৬- যাদের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ বা এরপরে। অনুর্ধ্ব -১৮ যাদের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ বা এরপরে।
উল্লেখ্য উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র ছাড়া কোন খেলোয়াড় বাছাইয়ে অংশ গ্রহণ করতে পারবেনা এবং গত বছর যারা মেডিকেলে উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদেরকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে এবং প্রয়োজন হলে ট্রায়ালে অংশ গ্রহণ করতে হবে।
বিশেষ প্রয়োজনে যোগাযোগ – মাহমুদা আক্তার, ক্রীড়া অফিসার ও সদস্য সচিব, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ০১৭৮৫-০০৬৬৬৬।
পল্লব কুমার চক্রবর্তী, অফিস সচিব, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ০১৭১৫-৮৭০৩১১।
মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, সহ: জেলা ক্রিকেট কোচ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, ০১৭১২-৭৩২৬১৩।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
অনলাইন ডেস্ক :
তানজিদ তামিমের ব্যাটে ভড় করে চিটাগাং কিংসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টুর্ণামেন্টে টিকে রইলো ঢাকা ক্যাপিটালস। আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে বন্দর নগরীর দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ঢাকা ক্যাপিটালসকে। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের হার না মানা হাফ সেঞ্চুরিতে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা। তানজিদ অপরাজিত থাকেন ৫৩ বলে ৮৮ রানে।
আরেক ওপেনার লিটন দাস অবশ্য শুরুটা একটু ধীর গতিতেই করেছিলেন। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ২৫ রান। মুনিম শাহরিয়ারও ১৮ বল খেলেও ১২ রান করে আউট হন।এরপর সাব্বির রহমানকে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন তানজিদ তামিম। ১১ বল বাকি হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা ক্যাপিটালস। সাব্বির রহমান অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ১৬ রানে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি চিটাগাং কিংস। নাইম ইসলাম ও জুবাইদ আকবরির উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ বলে এসেছে ৪০ রান। ১৯ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রান করে আউট হন জুবাইদ। গ্রাহাম ক্লার্ক ১৮ বলে ২ চারে ১৯ রান করেন। আগের ম্যাচের ম্যাচসেরা নাইম ইসলাম ৪০ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৪ রান করে আউট হন।
শামিম হোসেনও ১৬ বলে মাত্র ১৫ রান করে ফেরেন। হায়দার আলি ১১ বলে ১৬ রান করে মেহেদী রানার শিকারে পরিণত হন। শেষদিকে অধিনায়ক মিঠুন ৮ বলে ১২ এবং খালেদ ৬ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ঢাকার হয়ে মোসাদ্দেক ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন নাজমুলও। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদী রানা ও বেটন।