অনলাইন ডেস্ক :
বিরোধী দলের নেতাদের মামলায় বিচার দ্রুত করতে নতুন ট্রাইব্যুনাল করা হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব যে অভিযোগ করেছেন, তা অস্বীকার করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী আজ ১২ মে রবিবার গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো চিন্তা বা পরিকল্পনা সরকারের নেই।
ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের পুরোনো সব মামলায় বিচার দ্রুত শেষ করে সাজা দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়া এখনো চলছে। সে জন্য এখন নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করছে সরকার।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো পরিকল্পনা এ মুহূর্তে তাঁদের নেই। আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা চিহ্নিত করে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার যে অভিযোগ তারা (বিএনপি) করছে, তা সঠিক নয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। এ বছর দেশে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার প্রতি বছরের মতো এবারও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণসহ সারা দেশে ভোর ৬টায় একযোগে বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে প্রাণায়াম বা দমচর্চা, প্রত্যয়ন পাঠ ও মেডিটেশন চর্চার আয়োজন করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে ধ্যানীরা সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণীকে ছড়িয়ে দেবেন সবার কাছে।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, দেশে দিনদিন মেডিটেশনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য বিদ্যমান চিকিৎসার পাশাপাশি মেডিটেশন যে প্রয়োজন, সেই পরামর্শ এখন চিকিৎসকরা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি যোগ-মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। জানা গেছে, বিশ্ব জুড়ে এখন প্রায় ৫০ কোটি মানুষ নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন করেন। শারীরিক মানসিক সামাজিক ও আত্মিক অর্থাৎ সুস্থ থাকতে মেডিটেশন বা ধ্যানের কার্যকারিতা এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রমাণিত। সুস্থতা ও সাফল্যের পথ দেখায় মেডিটেশন।
ছয় বছর আগে উইল উইলিয়ামস নামে এক ব্রিটিশ মেডিটেশন প্রশিক্ষক প্রথম এ দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেন। উইল উইলিয়ামস ছিলেন অনিদ্রার রোগী। মেডিটেশনের মাধ্যমে নিরাময় লাভের পর তিনি এ সম্পর্কে আরো উত্সাহী হয়ে ওঠেন। তবে বাংলাদেশে মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে টানা ৩০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এই চর্চার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন লাখো মানুষ। নিয়মিত মেডিটেশন চর্চাকারীরা বিশ্বাস করেন, মেডিটেশন চর্চার ভেতর দিয়ে সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
অনলাইন ডেস্ক :
চাটুকারিতা করলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
আজ ১১ আগস্ট রবিবার দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চাটুকারিতা করলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমি আপনাদের প্রমিস করছি যদি মিডিয়া চাটুকারিতা করে তাহলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। টকশোতে চাটুকারদের ডাকবেন না। মিডিয়া চাটুকার হবেন না। একটা দেশ ডোবে কখন, যখন মিডিয়া সত্য কথা বলে না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিডিয়াগুলো ওই সময় যদি সত্যি ঘটনা তুলে ধরতো তাহলে পুলিশের এই অবস্থা হয় না। মিডিয়া বারবার বলেছে কিছুই হয়নি। কিন্তু বিবিসিতে আমি সব দেখেছি।
তিনি বলেন, টকশোতে জ্ঞান-গর্ভ কোনো আলোচনা হয় না। মিডিয়া সঠিক তথ্য তুলে ধরেন। একটা দেশ তখনই ডোবে যখন মিডিয়া সত্যি কথা বলে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী লেখাপড়া জানা লোক, কিন্তু তিনি ছাত্রদের বললেন দুষ্কৃতকারী। এসবের বিচার হওয়া উচিত। মিডিয়ার মালিকদেরও বিচার হওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রীকে আপনারা প্রশ্ন করেন কী! আপনি অমুক। আপনি অমুক জয় করে আসছেন। এগুলো কেমন প্রশ্ন, যোগ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, গাজীপুর :
পুরান ঢাকার বংশালের বাসিন্দা ইসহাক সরকার। তিনি জানান, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ৩৬৫টি মামলা হয়েছে এবং প্রায় ১০ বছর বিভিন্ন সময়ে কারাবন্দী ছিলেন।
বিএনপির বিগত আন্দোলন গুলোতে ইসহাক সরকারের ভূমিকা ছিল মাঠে সরব। দিনের পর দিন তিনি রাস্তায় আন্দোলন চালিয়েছেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ত্যাগী ছাত্রনেতা ইসহাক সরকারের ফেরারী জীবন চিত্র নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
তিনি আরো জানান, পুরান ঢাকায় একটি লিজকৃত সম্পত্তি, যা একসময় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম দখল করেছিল, সেটি তিনি পুনরুদ্ধার করেন এবং এর আয়ে তিনি দলের নিখোঁজ-নিহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে সহায়তা করেন।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, ‘‘৯৬ সালের শেষের দিকে ঘটনা। বরিশাল জেলা সফরের উদ্দেশে সদরঘাটের দিকে আসছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তখন কয়েক শতাধিক কর্মী সমেত মিছিল- শ্লোগানে সদর এলাকা মুখর করে তোলেন ৩৪নং ওয়ার্ডের ছাত্রদল নেতা ইসহাক সরকার। পাশেই গাড়িতে বসেছিলেন তৎকালীন ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। মধ্যরাতে এতো বড় শোডাউন দেখে ইসহাক সরকারকে কাছে ডাকেন তিনি। জিজ্ঞেস করেন নাম-পরিচয়। অনুরোধ করেন নয়াপল্টন কার্যালয়ে যাওয়ার। পরের দিনই হাজির হন নয়াপল্টনে। রাজনীতির প্রতি আগ্রহ দেখে তাৎক্ষণিকভাবেই তাকে কোতোয়ালি থানার দায়িত্ব দেন পিন্টু। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে ঝড়ের গতি দায়ের হয় মামলা। শুরু হয় কারাগার আর ফেরারী জীবন। তার জন্য নির্যাতিত হয় পরিবারের অন্য সদস্যরাও। তবুও পিছু হটেননি। ছাড়েননি রাজনীতি। শত নির্যাতনেও তিনিছিলেন অবিচল। ওয়ার্ড থেকে থানার দায়িত্ব পেয়েই নেমে পড়েন রাজপথে। নিয়মিত অংশ নিতেন মিছিল-মিটিংয়ে। আধাবেলা হরতাল দিলে পুরান ঢাকায় পালন করতেন রাত পর্যন্ত। ৯৮ সালে রমনা পার্কে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ওই কর্মসূচিতে শতাধিক ছাত্রদল কর্মী নিয়ে অংশ নেন তিনি। মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবনের মোড় আসতেই ৩৬ জন কর্মীসহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। থানা হাজতে খালি গায়ে তাদের বসিয়ে রাখা হয়। পরদিন তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ছোটভাই খাবার দিতে গেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দেড় মাস পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
এক রনাঙ্গনের বীর যোদ্ধার রাজনৈতিক জীবন : বিগত সময় থেকে স্বৈরাচারী ও বাকশালী সরকারের বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ করে আসছেন রাজপথের আলোচিত নেতা ও আন্দোলন সংগ্রামের অগ্নিপুরুষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল এর সাবেক সংগ্রামী সভাপতি ইসহাক সরকার।
ওয়ান ইলেভেন এর কঠিন সময়েরও অনেক আগে থেকে রাজপথে লড়াইকরে আসছেন এই অগ্নিপুরুষ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁকে বহুবার হতে হয়েছে কারা-নির্যাতিত। বিগত হাসিনা সরকারের (১৯৯৬-২০০১) আন্দোলনে দেশের তৎকালীন ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫২ মামলায় ৩ বছর কারাবন্দী ছিলেন তারই বড় ভাই আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী নেতা “ইয়াকুব সরকার”। রাজপথের বীর নেতা, আড়াইশোর বেশি অর্থাৎ ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সর্বাধিক মিথ্যামামলার আসামী “ইসহাক সরকার”।
যার জীবনের অনেকটা সময়ই কেটেছে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। কারাগারে থাকা অবস্থায় তাকে পিতৃবিয়োগের শোক সংবরণ করতে হয়েছে। আরেক ভাই “ইসমাইল সরকার” যিনি রাজনীতি না করেও ৬০ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪ বার কারাবরণ করেছেন। “ইসমাইল” নামের পিছনে শুধুমাত্র সরকার নাম থাকার কারণে তাকে রাজনীতি না করেই হাসিনা বাহিনীর নোংরা ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে।
এই বীরযোদ্ধার; আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পাঠকের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছিঃ
১৯৯৬ সালের ২৭ এপ্রিল রাজধানীর রমনা পার্ক থেকে প্রথমবারের মতো আটক হন ইসহাক সরকার। ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি শহিদউদ্দিন চৌধুরী এনি ও ইসহাক সরকারসহ ছাত্রদলের ৩৪ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন কোতয়ালি থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মী। আটককৃতদের পুলিশ কন্ট্রোল রুমের খোলা মাঠে সারাদিন খালি গায়ে রাখা হয়। পরদিন বাংলাদেশের গণমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম হয়ঃ ÒTorture on Dhaka University students under police custodz; Sheikh Hasina style”
১৯৯৯ সালে হরতাল চলাকালেবংশাল বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পিকেটিং করার সময় দ্বিতীয়বারের মতো আটক হয় ইসহাক সরকার। ১৭টি মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয় ইসহাককে। কোতয়ালি থানায় রিমান্ডে থাকাকালীন সময়ে খাবার দিতে এসে পুলিশের হাতে আটক হয় তারই সহোদর ইসমাইল সরকার (১৭) ও তাঁর সহযোগী নীরব। ৪ মাস পর জেল থেকে মুক্তি পান ইসহাক সরকার। সেই একই বছরের শেষ দিকে বংশাল বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে ইসহাক সরকার কে পুনরায় আটক করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ! ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে প্রথম বারের মতো ১০৭ মামলায় গ্রেফতার হয়ে দেড় বছর কারাবরণ করেন তিনি। কারাগারে থাকাকালীন সময়ে তাঁর বাবার মৃত্যু হলে ৪ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বাবার জানাযা ও দাফনে অংশ নিয়ে আবার কারাগারে গমন করেন তিনি।
বাবার জানাযায় ডান্ডা-বেড়ি পরে পুলিশের সাথে অংশ নিতে আসলে, তাঁকে এক নজর দেখার জন্য হাজার হাজার জনতার ঢল নামে। যা পুরাতন ঢাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইসহাক সরকারের মুক্তি কামনা করে বলেনঃ “কারাগারে থাকা অবস্থায় কিছুদিন পূর্বে ইসহাকের পিতার মৃত্যু হয় কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে তাঁকে পিতৃ বিয়োগের শোক সংবরন করতে হচ্ছে। আমি অবিলম্বে ইসহাকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই।” সব মামলায় জামিনের পর এক এক করে ৫টি নতুন মামলায় কারাগেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ১০৭ মামলায় কারাগারে থাকার সময় বিএনপির “ঢাকা টু পঞ্চগড়” লংমার্চের ২২ জন ও পথসভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন “আমার ২৫ বছর বয়সের ছাত্রনেতা ইসহাক সরকারকে ১০৭টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এটা ইতিহাসে নজিরবিহীন।”
এরই প্রেক্ষিতে “আর কাউকে জেলগেট থেকে গ্রেফতার করা যাবেনা”-হাইকোর্টের এমন আদেশের পর মুক্তি পান ইসহাক সরকার। কারাগারে থাকার সময় আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত হন ইসহাক সরকারের ঘনিষ্ট বন্ধু ও সহচর মামুন, নিরব ও সামসু। এছাড়াও ছাত্রদল কর্মী রুবেল, ওমর ফারুক ও সালাম আন্দোলনে নিহত হন। ইসহাক যখন ১০৭ মামলায় কারাগারে, ঠিক তখনি ২৫টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রাজনীতি না করা ছোট ভাই ইসমাইল সরকারকে দ্বিতীয় বারের মতো কারাগারে প্রেরণ করা হয়। দুই ছেলে জেলে থাকাকালীন সময়ে তাঁদের মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমন্ত্রনে তাঁর বাড়িতে সাক্ষাত করতে যান গর্বিত সেই মা জননী। ২০০০ সালের প্রথম দিকে ইসমাইল সরকার কে ৩০টি মামলায় আবার গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০০৯ সালে হাসিনা সরকার যখন আবার ক্ষমতায় আসে তখন এই বীর পরিবারের উপর নির্যাতনের “নীলনকশা” তৈরি করা হয়। আবার শুরু করে অত্যাচার-নির্যাতন। শুরু হয় আবার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার নগ্ন পরিকল্পনা। ইসহাক সরকার এর উপর দায়ের করা হয় একের পর এক মিথ্যা মামলা।
এ ব্যাপারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সংসদে দাড়িয়ে বলেনঃ “ইসহাকের উচিত কোর্টের পাশেই ঘর বানিয়ে থাকার। যেন সকাল হলেই কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিতে কষ্ট না হয়।” জীবনের ব্যাপক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন ও লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন এই বীরযোদ্ধা। পরিবার ও আত্মীয় স্বজন থেকে অনেক দূরে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। এই বীরের আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ হয়ে স্বৈরাচার সরকারের দালাল তৎকালীন লালবাগ জোনের পুলিশ কমিশনার হারুন-উর-রশিদ কাপুরুষের মতো সবসময় সরগরম হয়ে থাকা বংশাল বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে পুলিশ মোতায়েন করে রাখে। এতো ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ার পরেও অন্যায়ের সাথে আপোষতো দূরের কথা বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা থেকে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি এই বীর রণাঙ্গনের যোদ্ধা। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাঁদের পরিবারের উপরও চলেছে জালিম হাসিনার পোষা হায়েনালীগ ও তাদের দোসর প্রশাসনের নির্মম বর্বরতা ও নির্যাতন। তাঁদের বাসায় কখনো নিক্ষেপ করা হয় সাউন্ড গ্রেনেড। আবার কখনো করা হয় গুলিবর্ষণ। কিংবা বাসায় তালা ঝুলিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয় তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের। হামলা ও ভাংচুর তো এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানেই শেষ নয় ২০১৩ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলন এর সময় একই সাথে ৯ জন কে গুম করা হয় যারা ছিলেন সোহেল চাচা, জহির, পারভেজ, চঞ্চল, সহ ইসহাক সরকার এর হাতে গড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল এর সাহসী নেতা কর্মীরা এবং এরই প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৮ জুন মঙ্গলবার বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজি পত্রিকা দ্যা গার্ডিয়ান তাদের বিশ্বরাজনৈতিক পাতায় ইসহাক সরকারের প্রতিবাদমুখর এক আলোকচিত্র দিয়ে তৈরি করে তাদের মূল প্রচ্ছদ ও প্রতিবেদন! সবশেষে তাঁর গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলনের অগ্রযাত্রা রুখতে তাঁর নাম নথিভুক্ত করা হয় র্যাব এর ক্রসফায়ার তালিকায়! এতোসব নির্মম নির্যাতনের পরও গণতন্ত্রের স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছেন তৃণমূল ছাত্রদলের প্রাণপ্রিয় নেতা ইসহাক সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যুবককে ডেকে নিয়ে তরুণীর সাথে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও চাঁদা আদায় চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ভিডিও ধারণের কাজে ব্যবহৃত দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলও নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ ১২ জুন সোমবার দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, রবিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী বাজারের মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো.ইমন (২১) ও একই গ্রামের তাজুল ইসলাম সজিব (২০)।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে-বলেন, মো.আব্দুল আজিজ নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেন ইমন ও সজিব তাকে মারধর করে নাজনিন সুলতানা প্রিতি নামে এক তরুণীর বাড়িতে ঢুকিয়ে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। এরপর ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে নগদ ১ লাখ ১০হাজার টাকা আদায় করে। পরবর্তীতে আরও চাঁদা দাবি করে। পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযোগের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত ২ আসামিকে গ্রেফতার করে। একই সাথে ভিডিও ধারণের কাজে ব্যবহৃত দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলও নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এসপি আরো বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন আগামী ৭ জানুয়ারি রবিবার দেশের সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। আজ ৩১ ডিসেম্বর রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৮ ডিসেম্বরের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিলি ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোট গ্রহণের সুবিধার্থে আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে।