চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ। অর্থনৈতিক শক্তি, নার্সিং সেবার ভিত্তি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১২ মে রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল পৃথক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল নয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তারের নেতৃত্বে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্সের শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অংশ গ্রহনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর সালাউদ্দিন মাধবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার শাহাদৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রতীকি ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসরাত জাহান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহকারী জেলা পাবলিক হেলথ নার্স মোঃ সাইজুদ্দিন ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, নার্সিং এখন শুধুই পেশা নয়, সেবা। ছোটবেলায় নার্সিং এর প্যারাগ্রাফ মুখস্ত করতাম। কিন্তু এর গুরত্ব এখন বুঝতে পারি। পুলিশের কাজের সঙ্গে নার্সদের কাজের মিল রয়েছে। রাস্তায় বা বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা কোনো মৃত মানুষ বা পচন ধরা মৃতদেহকে কেউ না ধরলেও পুলিশকে ধরতে হয়। একইভাবে কোনো রোগীকে কেউ হাত না দিলেও নার্সকে ধরতে হয়। নার্সরা সেবার মহান কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।
পরে বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্টন থানায় দায়ের করা বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মেহেরা মাহবুব আজ ১ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে এই আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেনএ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। ওই হত্যা মামলায় তাঁকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মকবুল হত্যা মামলায় আসামি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
অন্যদিকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর আইনজীবী রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে তাঁর জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে তাঁকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও মকবুল নামের বিএনপির এক কর্মীকে হত্যার অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার এজাহারে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নাম রয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় জড়ো হতে থাকেন। ৭ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমারের নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন পুলিশ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় আসামিরা বিএনপির কার্যালয়ের বিভিন্ন আসবাব, কম্পিউটার, নগদ অর্থ ও মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যান। যার আনুমানিক মূল্য ৪৭ লাখ টাকা। অভিযানে বিএনপির কার্যালয় ও এর আশপাশে থাকা দলটির হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়। একই সাথে সেদিন মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যা করা হয়।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সংসদ সদস্য পদ হারান।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয়টি হত্যাসহ অন্তত নয়টি মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোঃ আরিফ হোসেন বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ কলেজে শিক্ষার মান সুরক্ষার জন্য আমাদের শিক্ষকগণ যথাসাধ্য শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন।’
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১০ টায় কলেজের এলটি হলে আয়োজিত অভিভাবক ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এক অভিভাবক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন ভালো রেজাল্ট করতে পারে এ ব্যাপারে আমরা খুবই কমিটেড হয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। এর বিপরীতে আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীগনকেও পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হলে কমিটেড হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অভিভাবকগনকে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার উপর নজরদারি বাড়াতে হবে। সন্তানদের নৈমিত্তিক বিচরণের খবরা-খবর রাখতে হবে। পড়াশোনায় ভালো ফলাফল করতে হলে শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই নিয়মিত ক্লাসে যোগদান করতে হবে। পরীক্ষায় যারা ভালো ফলাফল করে থাকে, দেখা গেছে তাদের অধিকাংশই কলেজে নিয়মিত ক্লাস করার ফলেই পরীক্ষায় এমন ভালো রেজাল্ট করেছে। যারা নিয়মিত ক্লাসে আসবেনা, তাদের উপস্থিতির হার কম হলে এবং টেস্ট পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে না পারলে কোনভাবেই তাদেরকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিয়মিত ক্লাস করবে না, পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হবে না, অথচ ফাইনাল পরীক্ষা এলেই পরীক্ষায় বসতে চাইবে এমন পরীক্ষার্থী আমরা চাই না।’ তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, তোমরা মনে রাখবে আমরা শিক্ষার্থী চাই, পরীক্ষার্থী চাই না। তুমি মেধাবী হয়ে গড়ে উঠলে এটি যেমন তোমার নিজের আত্মসম্মানের বিষয় হবে, তেমনি তোমার পরিবারও তোমাকে নিয়ে গর্ব করবে, সর্বোপরি তোমার এই মেধাবীপনায় উপকৃত হবে দেশ ও জাতি। কেননা তোমরাই একদিন মেধাবী উত্তর-প্রজন্ম হয়ে দেশের নেতৃত্বভার গ্রহণ করবে। মনে রাখবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে মেধাদীপ্ত জাতি গড়ার কোন বিকল্প নেই।’
অভিভাবক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোহম্মদ হামজা মাহমুদ, প্রফেসর আবু সালেহ মো: নাম উদ্দিন, প্রফেসর খালেদ হোসেন খান, এ কে এম ওবায়দুল হক সহযোগী অধ্যাপক গণিত, মো: কামাল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক গণিত, মো: আনারুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক মো: ফরিদ মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে চারজনকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
মৈন্দ গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে এলেম ভূইয়া, একই এলাকার আবদুল হাসিবের ছেলে আবদুল আওয়াল, আকরাম আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম ও ঢাকার সাভারের কাটঘরা গ্রামের রফিকুল সরকারের ছেলে আসিফকে এই জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খননযন্ত্রের মাধ্যমে ফসলি জমি থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র। এসব বালু ও মাটি পাইপ ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে পুকুরও ও জলাশয় ভরাট করা হয়।
গোপন সংবাদে জানতে পেরে মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন মৈন্দ গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চারজনকে আটক করে চার জনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও ভেকু মেশিন জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, মৈন্দ গ্রামের কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার সময় চার জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী চারজনকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম বলেছেন, দুর্নীতি ও জনদুর্ভোগের বিষয়ে জিরো টলারেন্স। আমার সময়কালে এই দুইটা জিনিস কখনোই হবে না। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতি অথবা কাউকে দুর্ভোগে ফেলার অভিযোগ আসে, সেটি ছাড় দেওয়া হবে না। তা ছাড়া জনভোগান্তি যেন না হয় সে জন্য সকল অফিসারদের বলা হয়েছে কেউ কাজ নিয়ে আসলে সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুত কাজ করে দেবেন, আর যদি না হয় তাহলে সেই কাজ হবে না বলে ভোক্তাকে ফেরত দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেন সময় ব্যয়ের মাধ্যমে ভোগান্তি না হয়।
২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময়ের শুরুতে সকল সাংবাদিকদের সাথে পরিচিত হন নবাগত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রধান কিছু সমস্যা ও বিভিন্ন সেক্টরে ত্রুটি রয়েছে-এমন বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছ থেকে বক্তব্য শোনেন তিনি। পরে সেসব বিষয়গুলোর সমাধানের বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক।
চার লেন সড়কের প্রকল্প নিয়ে মো. দিদারুল আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদানের পর মহাসড়কের অবস্থাটি আমি দেখেছি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সড়কের কাজে সংযুক্ত লোকজন ভারতে চলে গেছে। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা চারলেন সড়কের বাকি কাজগুলো সরকারি অর্থায়নে করার অনুমোদন দিয়েছে। তাই অতি দ্রুতই চার লেন সড়কের অসমাপ্ত কাজ শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মুহাম্মদ খাঁন বিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক কবি জয়দুল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক-সহ-সভাপতি সৈয়দ আকরাম হোসেন, সাবেক-সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোঃ আশিকুল ইসলাম, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান, যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান পারভেজ। স্বাগত বক্তব্য প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পাকিস্তানী শাসকরা যুদ্ধে তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে বিজয়ের মাত্র দুইদিন আগে বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করার জন্য দেশের সূর্যসন্তান বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছে। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আমাদের দেশে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়নি। এখনো হয়নি রাজাকারদের তালিকা। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এখন নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। সাংবাদিকরা পাকিস্তানী শাসকদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করেছিলেন।
বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানী সেনাদের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু যে স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিলো, সেই স্বপ্ন এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীন দেশে এখনো বৈষম্য রয়ে গেছে। দেশে দিন দিন কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে। বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন দেশ গঠনে সবাইকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
বক্তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বধ্যভূমি চিহ্নিত করা, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্নাঙ্গ তালিকা, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তালিকা তৈরীর করার আহবান জানান।
আলোচনার সভার আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সংস্কৃতি ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, একাত্তর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন রুমি, খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি রতন, জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত রাফি, দেশ িেটিভর জেলা প্রতিনিধি মেহেদি নূর পরশ, দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি মাজহারুল করিম অভি, প্রতিদিনের বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি ইফতেয়ার রিফাত, আমার সময়ের জেলা প্রতিনিধি আল-মামুন, বাংলাদেশের আলোর জেলা প্রতিনিধি মাঈনুদ্দিন রুবেল, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ দাস প্রমুখ।