চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় অকৃতকার্য হয়েছে ৪৩৩ জন। ১২ মে রবিবার সারাদেশের ন্যায় আখাউড়ায় এসএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীর বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী ইংরেজি ও গণিতে ফেল করেছে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়েও কেউ কেউ ফেল করেছে। কয়েজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে এবং কিছু ফলাফল পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কয়েকজন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে ইংরেজি ও গণিতে বেশি ফেল করার কারণ হিসেবে পাওয়া গেছে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখা। কোভিড- ছাত্রছাত্রীদের অমনোযোগিতা, নিয়মিত ক্লাশ না করা, অভিভাবকের সচেতনতার অভাবসহ আরও কিছু অজুহাত দিচ্ছেন শিক্ষকরা। অভিভাবকদের দাবী, শিক্ষকরা আন্তরিকভাবে পাঠদান করে না। ইংরেজি ও গণিতে মান সম্মত শিক্ষকের অভাব। প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকের স্বল্পতা। যোগ্য ম্যানেজিং কমিটির অভাবসহ রয়েছে আরও কিছু সমস্যা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১ হাজার ১৯৫ জন। শতকরা পাশের হার ৭৩.৪০।
সাকিবুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, স্কুলে স্যারেরা ঠিকমতো পড়ায় না। প্রায়ই স্কুল বন্ধ থাকে।
কাউসার হোসেন নামে এক অভিভাবক বলেন, শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাশ করায় না। প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত থাকে। স্কুলে সময় দেয় না। তাছাড়া শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং। এসব কারণেও ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
কাজী সুহেল নামে আরেক অভিভাবক বলেন, অনেকগুলো স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নাই। এসব স্কুল চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান দিয়ে। ফলে প্রশাসনিক দক্ষতার অভাবে পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, করোনার কারণে এই ছেলে মেয়েরা নিচের ক্লাশ থেকে দুর্বল হয়ে এসেছে। তাছাড়া ছেলেমেয়েরা নিয়মিত ক্লাশে না আসার কারণেও পড়ার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের অভিভাবদেরকে আরও সচেতন হতে হবে।
জানতে চাইলে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, অংক এবং ইংরেজি অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে তুলনামূলক কঠিন। এবিষয়গুলোতে শিক্ষকরা যতটুকু আন্তরিকতা দেখান ছাত্ররা সেরকম দেখায় না। ভবিষ্যতে এ দুটি বিষয়ের প্রতি আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবক সবাইকে মিলে গুরুত্ব দিলে আশা করি আরও ভালো করতে পারব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন বলেন, ইংরেজি ও গণিত তুলনামূলক কঠিক সাবজেক্ট। তারপরও আমরা বিষয়টি পর্যালোচা করে দেখছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিভিন্ন সময় ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১০ বাংলাদেশী নাগরিক দেশে ফিরছেন। আজ ২ মার্চ শনিবার দুপুরে আখাউড়া-আগরতলা ইমিগ্রেশন সীমান্তের শূন্য রেখায় ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের কর্মকর্তারা বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) প্রশান্ত চক্রবর্তীর নিকট হস্তান্তর করেন।
এদের মধ্যে নারী, পুরুষ, শিশুসহ একজন নবজাতক রয়েছে। একই পরিবারের ৫ জন রয়েছে। তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন।
আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের তথ্য ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ফেরত নাগরিকরা হলো নরাইল জেলার কালিয়া উপজেরার পার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মোঃ আহাদ মিনা, মোঃ আল আমিন মিনার স্ত্রী মোছাঃ কুলছুল বেগম, আল আমিন মিনার ছেলে রিফাত মিয়া, সিফাত মিনা, একই গ্রামের আসাদ মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ মোল্লা, মুজিবুর শেখের ছেলে মোঃ রাজু শেখ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার চানপাড়া গ্রামের মোঃ কদর আলীর মেয়ে মোছাঃ সাজিদা খাতুন, আবুল কাসেমের মেয়ের সুমি আক্তার কাজলী ও কাজলীর নব জাতক পুত্র শিশু সানজিদ মোল্লা।
পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে সীমান্তপথে তারা ভারতে পাড়ি জমায়। পরে দালালরা তাদের সেখানে ফেলে পালিয়ে আসে। এরপর ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময়ে তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।
সীমান্তের শূণ্য রেখায় শিরিনা বেগম বলেন, আমার পরিবারের ৫ জন ২ বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাজের সন্ধ্যানে ভারতে গিয়ে আটকা করে। এরমধ্যে ২ ছেলে, এক ছেলের বউ, ২ নাতি রয়েছে। দীর্ঘ ২ বছর পর তাদেরকে ফেরত পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি যেন তাদের সাথে শান্তিতে বসবাস করতে পারি সেই কামনা করি।
এ ব্যপারে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কনসুলার অফিসার মোঃ ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশী এসব নাগরিকরা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে সাজা ভোগ করে। ত্রিপুরার নরসিংগড়ে একটি ডিটেনশন সেন্টারে ছিল। বিষয়টি বাংলাদেশ হাই কমিশন জানতে পেরে আমরা সেখানে গিয়ে খোঁজ খবর নিই। তাদের নাম ঠিকানা বাংলাদেশে পাঠাই। দুই দেশের প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কনসুলার অফিসার মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন, মোঃ ওমর শরীফ, বিএসএফ ত্রিপুরাস্থ ডেপুটি কমান্ড রাম নরেশ সিং, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ওসি হাসান আহমেদ ভূঁইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার ছয়গড়িয়া শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছাঃ সেলিনা বেগমকে স্থায়ী বরখাস্তসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৩০ অক্টোবর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশ নেয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন মোছাঃ সেলিনা বেগম একজন মামলাবাজ।
বিদ্যালয়ের ভূমিদাতা ও সাবেক সভাপতি আবুল বাশার ওরফে মোঃ মোবারক হোসেনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানিজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দিয়ে হয়রানি করছেন তিনি। মামলার মানসিক চাপে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোবারক হোসেন গত ১০ জুলাই স্ট্রোক করে মৃত্যু বরণ করেছন। বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের পড়ালেখার সুুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সেলিনা বেগমকে স্থায়ী বরখাস্ত করে অবিলম্বে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শিক্ষক ও কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সেলিনা বেগমের বিচার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, সেলিনা বেগম কথায় কথায় মামলা করে দেয়। বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল। মানসিক চাপে মোবারক হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আমিসহ কয়েকজন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা মামলা সামলাবো নাকি পাঠ দান করাবো।
বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি নিহত মোবারক হোসেনের মেয়ে রেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা বিদ্যালয়ের একজন ভূমিদাতা। সেলিনা বেগম আমার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। মানসিক চাপে আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমি সেলিনা বেগমের বিচারচাই।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের তৎকালীন ম্যনেজিং কমিটি বিভিন্ন অভিযোগে গত ৫ জুলাই মোছাঃ সেলিনা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এরপর থেকে তিনি বিদ্যালয়ে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছে। গত সোমবার তিনি বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তার পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ দেখায়।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় আজ ২১ জানুয়ারি শনিবার দুপুর বেলায় ডোবা থেকে একটি মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়েছে। আবু মিয়া নামের এক ব্যক্তি দু’দিন আগে মাটি কাটার সময় একটি টিলা থেকে মর্টারশেলটি উদ্ধার করে তারপর ডোবায় ফেলে রাখে।
উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান মিয়া জানান, উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের আবু মিয়া দু’দিন আগে তার বাড়ির সামনে ছোট্ট একটি টিলা থেকে মাটি নিচ্ছিলেন। এ সময় শেলটি পাওয়া যায়। তবে এটি কি ধরণের জিনিস সেটা নিয়ে নিজেই বিভ্রান্তিকর অবস্থায় ছোট্ট একটি ডোবায় ফেলে রাখেন।
শাহজাহান আরো জানান, শনিবার বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি সেখানে যান। এরপর এই মর্টারশেলটি ডোবা থেকে তোলার ব্যবস্থা করে থানা পুলিশকে খবর দেন।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ব্যবহার হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া পৌরশহরের রাধানগরে সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পালের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিনগত রাতের কোন এক সময় বাসার দুতলায় বাড়ান্দার গ্রীল কেটে এ চুরির ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাত চোরেরা একটি ল্যাপটপ, ২টি ক্যামেরা, ১টি মূল্যবান মোবাইল ফোন সেট, ৩টি চার্জার, নগদ টাকাসহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে আখাউড়া থানার ওসি, ওসি (তদন্ত) সহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। বিশ্বজিৎ পাল বাবু দৈনিক কালেরকন্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।
জানা যায়, সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিশ্বজিৎ পাল ড্রইং রুমে গিয়ে দেখে ওয়ারড্রবের ড্রয়ার খোলা। ফ্লোরে কাপড় চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। পরে বাড়ান্দায় গিয়ে দেখেন গ্রীলের একটি অংশ কাটা। পরে তিনি বুঝতে পারেন তার ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকতায় ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে চুরির ঘটনা বলে দাবি করছেন সাংবাদিক বাবু।
বিশ্বজিৎপাল বলেন, রাত দেড়টার পর কোন এক সময় আমার বাসার বাড়ান্দার গ্রীল কেটে চোরের দল ঘরে প্রবেশ করে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং চার্জার এবং কিছু টাকা নিয়ে গেছে। চোরেরা ব্যাগ থেকে অন্যান্য কাগজপত্র রেখে ল্যাপটপটি নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমার কাছে এটি পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। আমার সাংবাদিকতায় ব্যাঘাত ঘটনানোর জন্য এ চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। পুলিশ সুপার দ্রুত মালামাল উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। সবার সাথে পরামর্শ করে এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, রাতের অন্ধকারে চোর চক্র বাড়ান্দার গ্রীল কেটে চুরি করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বিষয়টি দ্রুত উদঘাটন করে যারা এর সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মো. লুৎফুর রহমান ভূঁইয়া নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১৩ অক্টোবর রোববার দুপুরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত লুৎফুর রহমান উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন আওয়ামলী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তুলাইশিমুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের ভূঁইয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদ মাধ্যমে খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সকালে মোগড়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল হাসিম গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিস্ফোরক আইনের মামলায় লুৎফুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে সোপর্দ করা হয়। অপরাধ নির্মূলে আমাদের অভিযান নিয়মিত চলছে। যেকোনো মূল্যে অপরাধ নির্মূল করা হবে।