অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন শহরে নিম্ন আয়ের বিশেষ করে বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
আজ ১৩ মে সোমবার সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ উদ্দেশ্যে গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক গণপূর্তমন্ত্রী নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি ও তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি পরিবেশ সুরক্ষা, প্রয়োজনীয় বনায়ন, উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ, খেলার মাঠ, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, সৌরশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, পোড়ামাটির ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর ব্যবস্থা, সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুযোগ রাখার পরামর্শ প্রদান করেন। প্রাথমিকভাবে তিনি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আওতায় টঙ্গীর দত্তপাড়ায় তিনটি পর্যায়ে ১০০টি বহুতল ভবনে ১২৬০০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের যে প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেন। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৭টি ১৫তলা বিশিষ্ট ভবনে ২১৪২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ২য় পর্যায়ে ৪৭টি ভবনে ৫৯২২টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ৩৬টি ভবনে ৫৪৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্ত্রী রাজধানীর করাইল বস্তি ও টিএন্ডটি কলোনীর বস্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। ৭৫০ বর্গফুট গ্রস আয়তনের এসব ফ্ল্যাটের অভিন্ন ডিজাইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি প্রধান স্থপতিকে মৌখিক নির্দেশনা দেন। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শহরেও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পর্যায়ক্রমে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উত্তরা আবাসন প্রকল্পে (তৃতীয় পর্যায়) নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ১০ একর জমি নির্দিষ্ট রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উক্ত জমিতে নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির জন্য মন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অর্থায়নও সম্ভব হলে গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জনান। ইতিমধ্যে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ বস্তিবাসীদের জন্য ৫৩৩টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। এসব ফ্ল্যাটে তারা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে বসবাস করছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের কোবদাস পাড়ায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের স্বল্প আয়ের মানুষের উন্নত জীবন ব্যবস্থা শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার নদী ভাঙন কবলিত, ভূমিহীন বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। পরবর্তী প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য মন্ত্রী পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে সরকারের এসব জনহিতকর কার্যক্রম সম্পর্কে সর্বসাধারণের মাঝে ইতিবাচক প্রচারের জন্য তিনি পরামর্শ দেন।
সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল আসবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় ইইউ জোটের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
আজ ৯ মে মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইউরোপ ডে উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে ইইউ। স্বাধীন ওই বিশেষজ্ঞ দল জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসবে এবং পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে তাদের মতামত ইইউর হাই রিপ্রেজেন্টিভের কাছে জমা দেবেন। নির্বাচনের সময়ে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
হোয়াইটলি বলেন, নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য যে বিশেষজ্ঞ দল আসবে তারা ইইউর কোনো কর্মকর্তা নয়। বিষেশজ্ঞ দল এখানে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখবে। তারা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবে। নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে বসবে। তারা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে।
হোয়াইটলি আরো বলেন, ‘আমরা (ইইউ) নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাতে প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি। পর্যবেক্ষক পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা যাতে না হয়, তার রিাপত্তা হিসাবে এটা দরকার ছিল।’
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা এখনই বলতে পারছি না যে, অমুক দল অংশগ্রহণ করল বা করল না এবং সেটির ওপর পর্যবেক্ষক পাঠানো নির্ভর করছে।’
বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের পাশাপাশি কোনো সহিংসতা ইইউ চায় বলেও জানান রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি।
বিএনপির সঙ্গে ইইউর নির্বাচন নিয়ে আলাপের বিষয়ে হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা শুধু বিএনপির সঙ্গে বসিনি, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসেছি, আলাপ করেছি। আমরা সবার মনোভাব বোঝার চেষ্টা করেছি। বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচন নিয়ে যা বলে, সেগুলো আমাদের কাছে তুলে ধরেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেন, ডেনমার্ক, ইতালি, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেনের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লক্ষ্মীপুরে সুবর্না মুনতাহা রিজমি নামে এক কলেজশিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বখাটেরা। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত যুবক রিয়ান ও তার সহযোগীরা।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইশমারা এলাকার কাতার প্রবাসী মুরাদ হোসেনের মেয়ে। অভিযুক্ত রিয়ান দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কালুহাজী সড়কের প্রবাসী শামীমের ছেলে। সে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের পোশাক পড়ে প্রতারণার মাধ্যমে ক্লাস করতো বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মাস ধরে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে রিজমিকে রিহান উত্যক্ত করতো। এরমধ্যে রিহান তাকে প্রেমের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু রিজমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে রিজমি তার পরিবারকে ঘটনাটি জানায়। এনিয়ে রিহানকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য পরিবারের কাছেও বিচার দেয় রিজমির মা। তখন রিহানের মা জানিয়েছে, রিহান আর কখনো রিজমিকে উত্যক্ত করবে না। কিন্তু এরপরও রিহান তাকে উত্যক্ত করতো। প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করতো। ঘটনার সময় ক্লাসের উদ্দেশে রিজমি বাড়ি থেকে কলেজে রওনা হয়। গাড়ি থেকে নেমে সামাদ স্কুল মোড় থেকে সে হেঁটেই কলেজ যাচ্ছিল। সে কলেজের গেইট পার হয়ে একটু সামনে আসলেই, রিয়ানরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে আক্রমণ শুরু করে। কিল-ঘুসি, ইট ও ছুরি দিয়ে মাথায় ও কপালে রক্তাক্ত জখম করে। তখন তার সঙ্গে আরও ১০-১২ জন ছিলো। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
কলেজছাত্রীর মা সুমি ভূঁইয়া বলেন, রিহান ও তার বন্ধুরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। কে বা কারা আমার মেয়েকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে এনে ফেলে রেখে গেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহবুবুল করিম বলেন, ঘটনাটি কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটেছে। অভিযুক্ত রিয়ান আমাদের ছাত্র না। রিজমিকে দেখতে হাসপাতালে কলেজের পক্ষ থেকে কয়েকজন শিক্ষককে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন বিজিবি। আজ ৮ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গোসাইস্থল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ও বিকেলে একই ইউনিয়নের চন্ডিদ্বার শেখ ফজলুল করিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সুলতানপুর ৬০ বিজিবির পক্ষ থেকে এলাকার দুই শতাধিক অসহায়, দরিদ্র মানুষের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল পেয়ে আনন্দিত অসহায় পরিবারের লোকজন।
কম্বল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
এসময় সুলতানপুর ৬০ বিজিবি সহকারী পরিচালক মোঃ মতিউর রহমান ও গোসাইস্থল বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার মোঃ আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এবং এলাকার উপকারভোগী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এএম জাবের বিন জব্বার বলেন, বিজিবি সবসময় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করে থাকে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কল্যাণমূলক কাজ চলমান থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবারপ্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
এর আগে ১১ মার্চ সোমবার রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
শুনানিতে এ কে এম ফয়েজ বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। করোনার সময় দুই বছর সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। রমজানে ১০-১৫ দিন স্কুল বন্ধ রাখলে পড়ালেখার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং খোলা রাখলে যানজটের সৃষ্টি হবে, অভিভাবকরা সমস্যায় পড়বেন। এ ছাড়া স্কুল বন্ধ রাখতে অভিভাবকরা বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করে যাচ্ছেন।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, স্কুল খোলা রাখা সরকারের পলিসির বিষয়। হাইকোর্ট এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
সোমবার সকালে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তার আগে ১০ মার্চ রবিবার রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। তাদের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
অনলাইন ডেস্ক :
ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে ‘রেলওয়ে সেফটি ডিভাইস’ উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগরের মো. আবদুল্লাহ আল কাফি (১৮)। তিনি পশ্চিম মাধনগর জোয়ানপুর গ্রামের কৃষক বাবা মো. মাহবুব আলম হোসেন ও মা মোছা. পল্লব কান্তি সরদারের একমাত্র ছেলে।
শিক্ষার্থী কাফি পাবনা পলিটেকনিক ইনিস্টিউটের ইলেকট্রনিকস বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্র। ট্রেনে নাশকতা ও দুর্ঘটনার বিষয়টি মূল গুরুত্ব দিয়ে এই ডিভাইসটি উদ্ভাবন করেন তিনি।
ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে উদ্ভাবনী চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করে, কিছুদিনের মধ্যেই আসে উদ্ভাবনের সফলতা। ট্রেন দুর্ঘটনা পুরোপুরি রোধে তৈরি করে ফেলেন একটি পূর্ণাঙ্গ ‘রেলওয়ে সেফটি ডিভাইস’।
কাফির বাবা মো. মাহবুব আলম, মা পল্লব কান্তি সরদার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান রকিসহ অনেকে জানান, রেলওয়ে সেফটি ডিভাইসটি দেখতে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করছে। ডিভাইসটি আরো গবেষণা করে রেলওয়ের বিভাগের মাধ্যমে স্থাপন করা হলে ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
তরুণ উদ্ভাবক আবদুল্লাহ আল কাফি জানান, রেলে কোথাও ভেঙে গেলে বা কাটা হলে, সিগনাল বেজে উঠবে ও অটোমেটিক্যালি-রেলওয়ে সেফটি ডিভাইসের মাধ্যমে স্টেশন মাষ্টারের কাছে ফোন চলে যাবে। যার ফলে আর ট্রেন দুর্ঘটনার সুযোগ থাকবে না।
রেলে দুর্ঘটনা রোধে মাত্র ১০ হাজার টাকা খরচ করে ‘রেলওয়ে সেফটি ডিভাইস’টি উদ্ভাবন করেন তিনি। তবে এই ডিভাইসটি আরো শক্তিশালী করার জন্য গবেষণা ও সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন কাফি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাষ্টার মো. মমিন উদ্দিন প্রামানিক বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।