চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১৫ মে বুধবার ভোরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বাগিদয়া গ্রাম থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বাগদিয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় মাদক ব্যবসায়ি মতি মিয়া ও জলফু মিয়া পালিয়ে যায়। পরে রাস্তার উপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ১০৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এ সময় মাদকবাহী একটি ট্রাক ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
আজ ১৩ মার্চ সোমবার ভোর রাতে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া গ্রাম থেকে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ জানান, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার সেজামোড়া এলাকায় বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১০৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
এ সময় মাদকদ্রব্যবাহি একটি ট্রাক ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ জুন চতুর্থধাপে অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলা, বিজয়নগর উপজেলা ও নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২০জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১২জন, বিএনপির ৩জন ও স্বতন্ত্র ৫জন রয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, বিজয়নগরে ৬জন এবং নবীনগর উপজেলায় ৯জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখনের অনুজ মোঃ হেলাল উদ্দিন, সৌদি আরবের রিয়াদস্থ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী সেলিম রেজা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন ও স্বতন্ত্র আবদুল কারিম।
এছাড়াও সদর উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বিজয়নগর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেত্রী নাছিমা মুকাই আলী (নাছিমা লুৎফুর রহমান), উপজেলা বিএনপির সাবেক যুুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ আল জাবেদ।
অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলীর দেবর মোশাহেদ হোসেন ও বক্তিগত সহকারী হারুনুর রশিদ এবং যুবদল নেতা মোঃ আল জাবেদের ব্যক্তিগত সহকারী মুজিবুর রহমান।
এছাড়াও বিজয়নগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নবীনগর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামীলীগের ৭ নেতা, বিএনপির ১ নেতা ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যাপক নুরুন্নাহার বেগম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এইচ.এম. আল আমিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান, নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহ আলম, বিএনপির সমর্থক ফারুক আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবদুল মতিন।
এছাড়াও নবীনগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে বিলের পানিতে গোসল করতে নেমে জুঁই আক্তার (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সিংগারবীল ইউনিয়নের আলিনগর বিজিবি ক্যাম্প-সংলগ্ন নরিন্দা বিলে এ ঘটনা ঘটে। জুঁই আক্তার পশ্চিম মিরাশানী এলাকার বাদল মিয়ার মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পাশের নরিন্দা বিলের পানিতে ডুবে যায় শিশু জুঁই আক্তার। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাটি টের পেয়ে মৃত অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুখিনা বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূ কেঁরি পোঁকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সুখিনার শ্বশুর মৃত্যুর কথা শুনে তার লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখেই পালিয়েছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুখিনার লাশ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। সুখিনা চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া এলাকার কাইয়ুম মিয়ার মেয়ে ও সৌদি আরব প্রবাসী সাইদুল মিয়ার স্ত্রী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সুখিনা শুক্রবার সকালে স্বামীর সাথে অভিমান করে কেঁরি পোঁকা মারার ট্যাবলেট (চালের পোকা দমনের একজাতীয় ওষুধ) খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পরে তার শ্বশুর আব্বাস আলী সুখিনাকে প্রথমে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করেন। ভর্তির কিছুক্ষণ পর সুখিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর খবর শুনে আব্বাস আলী তার পুত্রবধূ সুখিনার লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যান।
সুখিনার মা সবজান বলেন, ১০ বছর আগে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে সাইদুল মিয়া তার মেয়ে সুখিনাকে প্রেমে ফাসিয়ে বিয়ে করেন। তারপর ৫ লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে সাইদুলকে সৌদি আরব পাঠান। সুখিনাকে বিয়ের পর থেকে নানান ভাবে অত্যাচার করেন সাইদুল। সাইদুল আমার মেয়েকে কোন কিছুতেই স্বাধীনতা দিতো না। আজকে (গত শুক্রবার) সাইদুলের কারণে আত্মহত্যা করেছে। তিনি মেয়ের মৃত্যুর সঠিক বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কেঁরি পোঁকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। অভিযোগ প্রেক্ষিতে আইনী ব্যবস্থা নিবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ভিক্ষা চাইতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এক নারী। তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মোল্লা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ঘাতক মো. মানিক মিয়াকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মানিক মিয়া শ্রীপুর গ্রামের মোল্লা মিয়ার ছেলে।
নিহত আমেনা বেগমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমেনা বেগম কিশোরগঞ্জ সদরের ফজলুল হকের স্ত্রী। তার পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই নারী ভিক্ষা চাইতে গেলে মানিক মিয়া তার ওপর হামলা করে। হামলার কথা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে সে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য দিয়েছে। ওই নারীর পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।