চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তুকি মূল্যে কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ১৫ মে বুধবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্ব¡রে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন কার্ডধারী মানুষের মাঝে বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
প্রত্যেক কার্ডধারী ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল পায়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন জানান, সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
পৌরসভায় ৪৯ ৫২ জনসহ সদর উপজেলায় ১৬৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এই পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বুধবার সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট, আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। নিম্ন আয়ের মানুষেরা যেনো সঠিকভাবে এই পণ্য পায়, তার জন্য জোরদার ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। কোন ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক দিদার ওরফে বাদল (৪৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল ৯ এপ্রিল রবিবার বাংলাদেশের সময় বাদ মাগরিব দেশটির রাজধানী রিয়াদের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নিহত দিদার ওরফে বাদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের উত্তর জগৎসার গ্রামের হাজী আশিদ মিয়ার ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই ফজলে রাব্বি জানান, রবিবার সকালে প্রাইভেটকারযোগে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি মাইক্রোবাসের সাথে প্রাইভেটকারের মুখোমুখী সংঘর্ষে বাদল গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সৌদি-জার্মান হাসপাতালে নেয়া হলে বাংলাদেশ সময় বাদ মাগরিব তিনি মারা যান।
বাদলের ছোট ভাই ফজলে রাব্বি আরো বলেন, আমরা ৭ ভাইয়ের মধ্যে বাদল তৃতীয়।
তিনিসহ ৪ ভাই সৌদি আরবে চাকরি করেন। বাদল প্রায় ২৪ বছর ধরে সৌদি আরবে চাকরি করতেন। ছুটি নিয়ে ৩/৪ বছর পর পর দেশে আসতেন। সৌদি আরবে তিনি ৪টি মাদ্রাসার সুপার ভাইজারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২০ রোজায় মাদ্রাসা গুলো বন্ধ হওয়ার পর তিনি ছুটিতে দেশে আসার কথা ছিল। বাদল সর্বশেষ ৪ বছর আগে দেশে এসেছিলেন। তিনি তিন পুত্র সন্তানের জনক। সৌদি আরবে থাকা তার তিন ভাই বাদলের লাশ নিয়ে দেশে আসবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনার পর সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়াকে সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রওনকূল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সিদ্ধান্তে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়াকে সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কারের বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী রুবেল বলেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান বিএনপি নেতা কবির আহমেদ ভূইয়া ও তার ভাই লন্ডনপ্রবাসী তারেক রহমানের পিএস আব্দুর রহমান সানি অযাচিতভাবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলকে চাপ দিয়ে আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আহ্বায়ক শাহীনুরের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, শাহীন একজন মাদককারবারি। তাকে গত শুক্রবার শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকায় পেয়ে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা মারধর করে।
এ বিষয়ে মারধরের শিকার জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, পদ চলে যাওয়ার পর থেকে তারা এসব কর্মকাণ্ড করছে। এসব ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তারা যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তা সুস্থ ধারার রাজনীতি হতে পারে না। তবে গতকাল আমাদের ওপর হামলার ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রদল তাদেরকে সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে।
জানা যায়, গত ৮ জুন মধ্যরাতে জেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এতে শাহিনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। এরপরই ফুঁসে ওঠে সদ্য সাবেক কমিটির নেতারা। এ নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায় পদবঞ্চিতরা। এছাড়াও নবগঠিত ও সাবেক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষও হয়।
এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও বিশাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগরের নবনির্মিত শেখ হাসিনা সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকায় ঘুরতে গেলে সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়ার নেতৃত্বে হামলা হয়।
এসময় জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমানকে কিল-ঘুষি দেওয়াসহ লাঠির আঘাত করা হয়। আত্মরক্ষার্থে শাহিনুর তিতাস নদীতে নেমে যান। তবে তার সঙ্গে থাকা বিশাল গুরুতর আহত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছদ্মবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কাটতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম শেখ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন। তাদের কাছে ট্রেনের ৬০ টাকার টিকিটের দাম ১০০ টাকা চান কাউন্টার সেলসম্যান সালাউদ্দিন। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই সময় রেলওয়ে নিরাপত্তারক্ষী (আরএনবি) বিপ্লব চন্দ্র দাসও কাউন্টারে বসে টিকিট বিক্রি করছিলেন। তার কাছেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা টিকিট কিনতে যান। দাম-দর করার পর টিকিট দেওয়ার সময় আঁচ করতে পারেন ম্যাজিস্ট্রেটের হানা। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন বিপ্লব কিন্তু রক্ষা হয়নি। তাকে আনসার সদস্যরা আটক করেন। একইভাবে আয়েশা বেগম ও আরাফাত নামে আরও দুই টিকিট কালোবাজারিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়।
আজ ১৫ এপ্রিল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে চালানো ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কালোবাজারির বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচিত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ইউএনওর নেতৃত্বে পরিচয় গোপন রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে কাউন্টারের এক টিকিট সেলসম্যান এবং রেলওয়ের নিরাপত্তা রক্ষীকে হাতেনাতে ধরা হয়। পরে টিকিট সেলসম্যান সালাউদ্দিনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরএনবি সদস্য বিপ্লব চন্দ্র দাসকে রেলওয়ে আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দুই টিকিট কালোবাজারি আয়েশা ও আরাফাতকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাস ফিল্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে সবীর মিয়া (৪২) নামে এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের শান্তিনগর থেকে সোমবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়। সবীর মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, সবীর মিয়া বেশ কিছুদিন ধরে পৌর এলাকার ভাদুঘর ও সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে নিজেকে গ্যাস ফিল্ডের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অভিযান চালান। এ সময় গ্যাস সংযোগের কাগজপত্র দেখতে চাইতেন তিনি।
সুযোগ বুঝে গ্যাস সংযোগে অনিয়ম হয়েছে মর্মে ভয় দেখিয়ে লাইন কেটে দেওয়ার হুমকি দিতেন। এরপর অনেকে টাকা দিয়ে তার সঙ্গে রফাদফা করতেন। পাশাপাশি নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কথা বলে অনেক মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
পরে লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সবীর মিয়া গ্যাস ফিল্ডের কর্মকর্তা নন, প্রতারক। সবীর মিয়া সোমবার সকালে আবারো শান্তিনগর এলাকায় গিয়ে কয়েকটি বাড়িতে গ্যাস সংযোগের কাগজ ও চুলা দেখতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওসি আসলাম হোসাইন বলেন, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে বজ্রপাতে আলমগীর মিয়া (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের আমীর আলীর ছেলে।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আলমগীর বাড়ির পাশের জমিতে সবজির চারা রোপণ করতে গিয়েছিলেন। এ সময় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতের আঘাতে তিনি জমিতেই লুটিয়ে পড়েন। পরে গ্রামের লোকেরা আলমগীরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানতে পেরেছেন বলে তিনি জানান।