হিট অ্যালার্টের মধ্যেই স্বস্তির বৃষ্টি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 18 May 2024, 435 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
সারাদেশে কয়েক দিন ধরে চলছে তীব্র গরম। এ অবস্থায় গতকাল চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃষ্টি নেমেছে। বাতাস, মেঘ ও বৃষ্টির ফলে জনজীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে।

banner

আজ ১৮ মে শনিবার সকালের দিকে এই বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে দেখা যায়। শুক্রবার সারাদিন ছিলো তীব্র আকারের তাপপ্রবাহ। এরফলে প্রচণ্ড গরমে প্যান চালিয়েও ঘুমানো ছিলো বেশ কষ্টকর। এরই মাঝে সকালের বৃষ্টি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত বলে মনে করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। বৃষ্টির সাথে হালকা হিমেল বাতাস ছিলো দেহমন জুড়ানোর বিষয়টি ছিলো এক অপার্থিব আনন্দ।

এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়েছিল, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর ও ফেনী জেলাগুলোর উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে শুক্রবার বিকেলে দেশে চার বিভাগে ২ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। এছাড়া গত এপ্রিলে বেশ কয়েকবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল।

Leave a Reply

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

দুঃখ প্রকাশের মধ্য দিয়ে উত্তেজনার অবসান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 21 December 2022, 2368 Views,

ভাদুঘরে বিজয় মেলায় প্রবেশের রাস্তা নিয়ে বাদানুবাদ

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তঃজেলা এক পরিবহন শ্রমিক নেতাকে মারধরের জের ধরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এলোপাথারী বাস রেখে দেড় ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে পরিবহন শ্রমিক নেতারা। গত মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার ভাদুঘর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে এই ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিলে রাত ১১টার দিকে মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেয় পরিবহন শ্রমিকরা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে দুইপক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়।
জানা গেছে, পৌর এলাকার ভাদুঘর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের পেছনে পৌরসভার গরুর বাজারে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৭দিন ব্যাপী বিজয় মেলার আয়োজন করে পৌরসভা। বাস টার্মিনালের মাঝখান দিয়ে দুই পাশে উঁচু করে বাঁশ বসিয়ে বিজয় মেলায় যাওয়ার রাস্তা ও লাইটিং করা হয়। টার্মিনালের মাঝখানে বাঁশ বসিয়ে মেলায় যাওয়ার রাস্তায় করায় টার্মিনালে বাস পার্কিং ও বাস ঘুরানো নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। বিষয়টির প্রতিকার চাইতে মঙ্গলবার রাতে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চট্টগ্রাম রুট কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিজয়মেলার অফিসে উপস্থিত থাকা পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদদুসের কাছে যান। সেখানে জাকির হোসেনের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদদূস শ্রমিক নেতা জাকির হোসেনকে মারধর করেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা রাত ৯টার সময় কুমিল্লা-সিলেট মহাড়কের ভাদুঘর বাস টার্মিনাল এলাকায় বাস আড়াআড়ি করে রেখে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কের দুইদিকে প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত শ্রমিকরা এ সময় পৌরসভার প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হক রেজা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম, আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ ও পরিবহণ শ্রমিক নেতারা ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজিত শ্রমিকদেরকে এ ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিলে রাত সাড়ে ১০টায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ব্যাপারে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চট্টগ্রাম রুট কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে টার্মিনালের মাঝখান দিয়ে বাস বসিয়ে মেলায় যাওয়ার রাস্তা করায় টার্মিনালে বাস পার্কিং করতে সমস্যা হওয়ার বিষয়টি পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদদুসকে বলতে গেলে তিনি প্রথমে আমার সাথে অশোভন আচরণ করেন। পরে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে কয়েকটি থাপ্পর মারেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে।
এ ব্যাপারে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ বলেন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের এক শ্রমিক নেতাকে মারধর করায় মঙ্গলবার রাতে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। পরে প্রশাসনের আহবানে আমরা অবরোধ তুলে নেই। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুইপক্ষের বৈঠকে বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, অবরোধের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিক নেতাদের আলাপ আলোচনা করে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিবহন শ্রমিকরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়। তিনি বলেন, বুধবার বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস বলেন, রাতের বেলা শ্রমিক নেতা জাকির অন্যান্য শ্রমিকদেরকে সাথে নিয়ে মেলার গেইটের সামনের কয়েকটি বাঁশ ভেঙ্গে ফেলে পরে আমাদের সাথে সে অশোভন আচরণ করে। তিনি জাকিরকে থাপ্পর মারার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বুধবার বেলা ১১টায় সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বৈঠকে উভয়পক্ষ এক অপরের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বৈঠকের পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস টার্মিনাল ও মেলার জায়গা ডিমারগেশন (চিহ্নিত) করে দিয়েছেন। এখন মেলা নিয়ে আর কোন সমস্যা হবে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক উল্টে মহাসড়কে যানজট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 14 December 2022, 2359 Views,

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে একটি ইটবাহি ট্রাক উল্টে মহাসড়কে প্রায় আধা ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার রাধিকা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুর ১টার দিকে ইটবাহি একটি ট্রাক রাধিকা এলাকায় রাস্তার মাঝখানে উল্টে যায়। এতে মহাসড়কে আধাঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রেকার দিয়ে উল্টে যাওয়া ট্রাকটি রাস্তার মাঝখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। উল্টে ট্রাকটি রেকার দিয়ে মাঝ রাস্তা থেকে সরিয়ে নিলে আধাঘন্টা পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

banner

৪৬ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সারাদেশ, 14 January 2025, 740 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৪৬ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা।

banner

আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়। বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আখাউড়া, কসবা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।

এসময় বিজিবি সদস্যরা ৭৭১ পিস কসমেটিক্স সামগ্রী, ২১ কেজি কিসমিস, ৯ টি গরু, ৬৩২৮ পিস চকলেট, ৪,৭৫৭ কেজি চিনি, ৪৪৯ বোতল চুলের তেল, ৩৯৮ পিস ডব্লিউপি পাপা কিটনাশক, ৯০৬ পিস তালা, ৮৬ কেজি ফুচকা, ১৮ বোতল বড়ি ওয়েল, ৬৩,০০০ পিস বাঁজি, ১১৭ কেজি বাংলাদেশী রসুন, ২১৩ কেজি বাসমতি চাউল, ১টি মোটরসাইকেল, ৫১৬ প্যাকেট সেমাই, ১৯২ বোতল হুইস্কি, ১১ বোতল বিয়ার, ৫ কেজি গাঁজা এবং ৫৫ বোতল ইস্কফ সিরাপ উদ্ধার করে। এই সব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০ টাকা।

সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল আখাউড়া ও কুমিল্লা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে।

সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬টি সংসদীয় আসনে ২৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 9 January 2024, 564 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি সংসদীয় আসনের ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রয়াত দুই এমপির পুত্রসহ ২৫জন জামানত হারিয়েছেন। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সাবেক দুই এমপি পুত্র হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী মাইনুল হাসান তুষার (সোনালী আঁশ প্রতীক) ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত (মিনার প্রতীক)।

banner

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯১০। এই আসনে কলার ছড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

এই আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ( মোমবাতি প্রতীক) ৪২৭ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিম ওরফে গরীবুল্লাহ সেলিম-(লাঙ্গল প্রতীক) মাত্র ২০৪ ভোট, ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হোসেন (হাতুড়ি প্রতীক) ১৪০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এই আসনে নির্বাচন করেন জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৭জন প্রার্থী। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০।

এই আসনে কলার ছড়ি প্রতীকে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন মঈন ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এই আসনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভ‚ইয়া মাত্র ৩ হাজার ৪০৮ ভোট, এই আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার ছেলে তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী মাইনুল হাসান তুষার (সোনালী আঁশ প্রতীক) ৪ হাজার ৩১৮ ভোট, এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত (মিনার প্রতীক) ৯৯৪ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন (আম প্রতীক), ৩৭৯ ভোট ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ( ফুলের মালা প্রতীক) ৫২২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩-(সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ২৯হাজার ৭৮৮। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

এই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী শাহ জামাল রানা-(নোঙ্গর প্রতীক) ৯৩১ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা (একতারা প্রতীক) সোহেল মোল্লা ৬৮৮ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী (বটগাছ প্রতীক), মুজিবুর রহমান হামিদী ৪৭৩ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মোঃ নূরে আজম (মোমবাতি প্রতীক), ৩৭৬ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ (আম প্রতীক), সৈয়দ মাহমুদুল হক ৩০৯ ভোট ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান ওরফে ওমর (মশাল প্রতীক), ২২৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩১ ভোট। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি ২লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন।

এই আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান (আম প্রতীক) ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট ও ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস (ফুলের মালা প্রতীক) ৪ হাজার ৫৭৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫-(নবীনগর) আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ১লাখ ৭৬হাজার ৮৭৩ ভোট। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান ১লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মোবারক হোসেন ( লাঙ্গল প্রতীক) মাত্র ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান (মিনার প্রতীক) মাত্র ২ হাজার ৭৫৪ ভোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ (ফুলের মালা প্রতীক) মাত্র ৭৭৬ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী জামাল সরকার (একতারা) ৭৬২ ভোট, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম মামিনুল হক সাঈদ (ঈগল প্রতীক) ৪৭১ ভোট ও তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ প্রতীক) মাত্র ৪৩৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ০৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৯৭০জন। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী হন। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন (লাঙ্গল প্রতীক) ২ হাজার ৮১৭ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী সফিকুল ইসলাম (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী কবির মিয়া (একতারা প্রতীক) ১ হাজার ৩৭৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম বলেন, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

আইনজীবীরা আদালতে ফিরেছেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 15 January 2023, 774 Views,

স্টাফ রিপোর্টার :
আইনমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আদালতে ফিরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আন্দোলনরত আইনজীবীরা। আজ ১৫ জানুয়ারি রবিবার সকাল থেকে আইনজীবীরা তাদের কাজে যোগ দিয়েছেন। এতে করে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের পদচারনায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে আদালতপাড়ায়।

banner

তবে, আইনজীবীদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমীন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন অব্যাহত রেখেছেন।

আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছরের ২ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালত ১ মাসের জন্য (অবকাশকালীন ছুটি) বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে তিন আইনজীবী তিনটি মামলা দাখিল করতে যান। কিন্তু বিচারক মোহাম্মদ ফারুক নির্ধারিত সময়ের পরে যাওয়ায় মামলা তিনটি গ্রহণে আপত্তি জানান। এনিয়ে বিচারকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর আইনজীবীরা সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন। ১ জানুয়ারি আদালত খোলার পর এজলাসে বসে যথারীতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক। বিষয়টি জানতে পেরে ২ জানুয়ারি আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে গিয়ে তাকে এজলাস থেকে নেমে যেতে বলেন। এ নিয়ে বিচারকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে আদালতের কর্মচারিরা।

এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন শুরু করে আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে আগামী ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।

এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুন নূর দুলালও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নিজেদের দাবির কথা পুনরায় তুলে ধরেন আইনজীবীরা।

বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়ায় আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।

এ অবস্থায় গত শনিবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির বিশেষ সাধারন সভা করে দুই বিচারককে আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে বদলির আল্টিমেটাম দিয়ে রবিবার থেকে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তবে জেলা ও দায়রা জজ শারমীন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।

আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দুই বিচারককে বদলি না করা হলে তারা আবার সাধারণ সভা করে লাগাতার কর্মসূচি পালন করবেন বলে আল্টিমেটাম দেন।

সভা শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, দুই বিচারককে বদলির দাবি বহাল রয়েছে। আইনমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পর তিনি এ বিষয়ে আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন। মন্ত্রীর আশ্বাসের কারণে আমরা ওই দুই বিচারক বাদে বাকি সব আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এদিকে দীর্ঘদিন পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিচার প্রার্থীরা।

বাঞ্ছারামপুর থেকে আসা বিচার প্রার্থী মোশারফ সরকার জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিচার কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। আমরা চাই আর যেন আইনজীবীরা আদালত বর্জন না করেন।

সদর উপজেলার সুলতানপুর থেকে আসা বিচার প্রার্থী আনোয়ার বলেন, আইনজীবীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে খবর পেয়ে আদালতে এসেছি। আর যেন ঝামেলা না হয় এমনটাই প্রত্যাশা করি।

নবীনগর থেকে আসা বিচার প্রার্থী শাহানা বেগম বলেন, কয়েকদিন আদালতে এসে ফিরে গেছি। রবিবার আদালত বসেছে। আমরা চাই আমাদের মামলা গুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হউক।

উল্লেখ্য, জেলা জজ আদালত এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোট ২৩ টি বিচারিক আদালত রয়েছে। দু’টি বাদে ২১টি আদালতের কার্যক্রম রবিবার শুরু হয়েছে।