অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল। এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে এক তরুণীকে জীবিত উদ্ধার করেছে তারা। এ ছাড়া তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল বুধবার তুরস্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে। পরদিন তারা দেশটির আদানা মিলিটারি এয়ার বেইস-এ পৌঁছায়। সেখান থেকে তারা আদিয়ামান শহরে পৌঁছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য জানায়।
এদিকে ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত সিরিয়ায় ত্রাণ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বড় তাবু, ছোট তাবু, কম্বল, সোয়েটার, শুকনা খাবার ও ওষুধ পাঠানো হচ্ছে। ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ উড়োজাহাজের সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা।এই মিশনের নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন জামিল উদ্দিন আহমেদ। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়।
এর আগে বুধবার রাতে উদ্ধার ও ত্রাণকাজে অংশ নিতে তুরস্কে গেছে বাংলাদেশের একটি ‘সম্মিলিত সাহায্যকারী দল’। ৬০ সদস্যের দলটিতে ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ২৪ জন এবং ১০ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করে বাংলাদেশ। সেদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হয় বিশেষ প্রার্থনা। বাতিল করা হয় প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েলকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ান। এটি গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সংসদে দেওয়া এক ভাষণে এরদোয়ান ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে কি না, না নেই তা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানান।
এসময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, হামাস একটি রাজনৈতিক দল, যারা নির্বাচনে জয়লাভ করে গাজার ক্ষমতায় এসেছে।
এদিকে গাজার সবেচেয় বড় আল-সিফা হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে রোগীদের পাশাপাশি আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনি রয়েছে।
হাসাপাতালটির এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ইসরায়েলের অভিযানের ফলে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালকর্মী ও আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিরা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় মারাত্মক বিপর্যয় নেমে এসেছে। দুই পক্ষের লড়াইয়ে ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশুরা।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে বাংলাদেশিদের জয়-জয়কার। দেশটির ভার্জিনিয়া স্টেট পার্লামেন্টের সিনেটর হিসেবে বাংলাদেশি আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম বিজয়ী হয়েছেন। ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিল অ্যাট লার্জ (মেয়রের সমপর্যায়ের ক্ষমতাবান) পদে বিজয়ী হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ।
এদিকে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে পুনরায় জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভ’ত শাহানা হানিফ। মিলবোর্ন সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে পুনরায় জয়ী হয়েছেন নুরুল হাসান এবং সালাহউদ্দিন মিয়া। হাডসন সিটি কাউন্সিলেও ৪ বাংলাদেশি আমেরিকান পুনরায় বিপুল বিজয় পেয়েছেন। এরা হলেন, কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজান, দেওয়ান সারওয়ার এবং রনী ইসলাম ও ওয়ার্ড সুপারভাইজার আব্দুস মিয়া।
অপরদিকে মিশিগান স্টেটের হ্যামট্রমিক সিটির প্রো-টেম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনরত কামরুল হাসান টানা চতুর্থবারের মতো আবারো বিজয়ী হয়েছেন। এই সিটির নির্বাচনে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হলেন মোহতাসিন সাদমান। বিজয়ীরা ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন।
নোয়াখালী জেলা সদরের সন্তান সাদ্দাম সেলিম ৭০% ভোট পেয়ে স্টেট সিনেটর হওয়ায় মার্কিন মুল্লুকে বাংলাদেশি আমেরিকান সিনেটরের সংখ্যা ৪ হলো। একই মর্যাদায় স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে গত চার টার্ম যাবত নির্বাচিত হয়ে আসছেন নিউ হ্যামশায়ার স্টেটের আবুল খান। নির্বাচিত প্রবাসীদের মধ্যে তিনিই একমাত্র রিপাবলিকান।
অপর সিনেটররা হলেন শেখ রহমান, মাসুদুর রহমান এবং নাবিলা ইসলাম। বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী ও প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য কাউন্সিলওম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন শাহানা হানিফ। তিনি ৭৫% ভোট পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা এবং ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ড. নীনা আহমেদ এবার তৃণমূলের ভোটে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিলওম্যান অ্যাট লার্জ হিসেবে জয়ী হওয়ায় প্রবাসীরা উৎসবে মেতেছেন।
উল্লেখ্য, ড. নীনা এর আগে পেনসিলভেনিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল এবং লেফট্যানেন্ট গভর্ণর পদে ডেমক্র্যাটিক পার্টির টিকিটে লড়েছেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় রেখেই সিটি মেয়রের সমমর্যাদার একটি আসনে বিজয়ী হলেন। ড. নীনা হচ্ছেন এই সিটির প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান কাউন্সিলম্যান ও প্রথম মুসলিম নারী।
বিশেষ প্রতিনিধি :
ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবেশেষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে সবজি রপ্তানি শুরু হয়েছে। আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার তৃতীয় ধাপে পাঁচ মেট্রিক টন সবজি রপ্তানি হয়েছে ভারতে। এদিন দুপুরে বিভিন্ন সবজিবোঝাই একটি ট্রাক স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলায় প্রবেশ করে। রপ্তানি পণ্য হিসেবে সবজিকে সম্ভাবনাময় মনে করছেন বন্দরের ব্যবসায়ী ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রথমবারের মতো সবজি রপ্তানি শুরু হয় ভারতে। এরপর বুধবার পর্যন্ত তিন ধাপে মোট ১৫ মেট্রিক টন সবজি রপ্তানি হয়েছে। প্রতি টন সবজি রপ্তানি হচ্ছে ৪০০ মার্কিন ডলারে। রপ্তানিকৃত সবজির মধ্যে আছে কচুর লতি, গাজর, পেঁয়াজ পাতা এবং উস্তা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দিন সবজিগুলো রপ্তানি করেছেন। তিনি মোট ২০ মেট্রিক টন সবজি রপ্তানি করবেন আগরতলায়।
নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের বন্দর দিয়ে আগে থেকেই সবজি রপ্তানির অনুমতি ছিল। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সবজি রপ্তানির জন্য আগরতলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে আসছিলাম। এর প্রেক্ষিতে পরীক্ষামূলকভাবে ২০ টন সবজি রপ্তানি হচ্ছে। আশা করছি অন্যান্য পণ্যের মতোই নিয়মিত সবজি রপ্তানি হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম বলেন, রপ্তানি পণ্যের তালিকায় নতুন করে সবজি যুক্ত হয়েছে। এটি ব্যবসায়ী এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য ইতিবাচক। নিয়মিত রপ্তানি হলে বন্দর কর্তৃপক্ষের রাজস্ব বাড়বে এবং সরকারও বৈদেশিক মুদ্রা পাবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
টানা কয়েকদিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর মিয়ানমারের কাওলিন শহরের দখল নিয়েছে জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীরা। গত সোমবার কাওলিনের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের হাতে ছেড়ে দিয়ে সেনা বাহিনী পিছু হটেছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে দেশটির জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীগুলোর জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (নাগ)।
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ সাগাইংয়ে অবস্থিত কাওলিন কৌশলগত দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। কারণ কাওলিন জেলার সামরিক প্রশাসনিক কার্যালয়ের সদর দপ্তরের অবস্থান এই শহরে। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ বসবাস করেন কাওলিনে।
যেহেতু জেলার সামরিক প্রশানিক কার্যালয়ের শহর কাওলিনে, তাই এই শহরটির দখল করা মানে এক অর্থে পুরো কাওলিন জেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।
মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক জোট ‘নাগ’ একই সঙ্গে নিজেকে দেশটির ছায়া সরকার বলেও দাবি করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় নাগের প্রধানমন্ত্রী মান উইন খাইং থান বলেন, ‘জেলা শহর কাওলিন এখন আমাদের দখলে। কী যুগান্তকারী একটি বিজয়!’
এক্সে একটি ভিডিওচিত্রও পোস্ট করেছেন খাইং থান। সেখানে দেখা গেছে— কাওলিন সামরিক প্রশাসনিক কার্যালয়ের সেনা সদস্যরা কার্যালয়ের সামনে বিদ্রোহী জোট নাগের পতাকা উত্তোলন করছেন।
এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে জান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে কোনো কর্মকর্তা মুখ খুলতে রাজি হননি।
কাওলিন শহরের ২৮ বছর বয়সী এক বাসিন্দা নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে এবং এই সংঘর্ষের আঁচ থেকে আত্মরক্ষা করতে কাওলিনের অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছেন।
‘শহরে আর কোনো নিরাপদ স্থান নেই। প্রায় সবাই নিজের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে’, বলেছেন সেই বাসিন্দা।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেয়ে সরকার গঠন করেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। কিন্তু সেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং সেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ক্ষমতা দখলের পর বন্দি করা হয় এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চিসহ দলটির অধিকাংশ উচ্চ ও ও মাঝারি পর্যায়ের নেতা ও আইনপ্রণেতাদের। এখনও তারা কারাগারে রয়েছেন।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী জনগণ অবশ্য সামরিক বাহিনীর এ পদক্ষেপ একেবারেই মেনে নেয়নি। বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই রাজধানী নেইপিদো, প্রধান শহর ও বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনসহ দেশটির ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের শুরুর দিকে শান্তিপূর্ণভাবে তা দমনের চেষ্টা করলেও একসময় বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয় জান্তা।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে হাজারেরও অধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এক পর্যায়ে গণতন্ত্রপন্থীরা জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দিতে থাকেন, গঠিত হয় ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট বা নাগ।
বেলজিয়ামভিত্তিক থিংকট্যাংক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মিয়ানমার বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রিচার্ড হোরসি অবশ্য মনে করছেন নাগ বেশিদিন এই শহর দখলে রাখতে পারবে না।
‘মিয়ানমারের যে বাস্তবতা, তাতে কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পক্ষে পার্বত্য অঞ্চলের কোনো প্রাদেশিক শহর দখল করে নেওয়া তেমন কঠিন নয়; তবে দীর্ঘসময় ধরে তা দখলে রাখা খুব কঠিন।’ সূত্র : রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে শোক জানিয়েছে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে দেশটি বলেছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে তাদের কোনো হাত নেই। যদিও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত নিয়ে ইরান এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেনি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে সোমবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কোনো কারণ তার জানা নেই।
তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন, যান্ত্রিক ত্রুটি, পাইলটের ভুল কিংবা আরও কিছু ঘটতে পারে।
অস্টিন বলেন, ইরানের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে আমাদের কাছে গভীর কোনো তথ্য নেই। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের দীর্ঘদিনের বৈরিতা। বিভিন্ন নিরাপত্তা ইস্যুতে ইরান যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলকে দোষারোপ করে থাকে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি ওয়াশিংটন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে। ওই বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেশটির জনগণের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে লড়াইকারীদের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করছি।
রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের একটি বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি–আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।
ফেরার পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। পরের দিন বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় হেলিকপ্টারটির সব আরোহী মৃত্যুবরণ করেছেন। সূত্র : চ্যানেলস টেলিভিশন