ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাদ্য বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 19 May 2024, 649 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) উদ্যোগে খাদ্যভিত্তিক (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে।

banner

আজ ১৯ মে রবিবার সকালে জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসের হল রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা।

এ সময় সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহেনা বেগম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সইন্টিফিক অফিসার জ্যৈার্তিলাল বড়ুয়া, বারটানের প্রশিক্ষক দীপ্রজিত সরকার উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন পেশার ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, বারটান পুষ্টি নিয়ে কাজ করে। পুষ্টিকর খাবারের সাথে আমাদের ভবিষ্যৎত প্রজন্ম জড়িত। পুষ্টিকর খাবার খেলে সুস্থ সবল প্রজন্ম পাব।

Leave a Reply

নবীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে প্রাইভেটকার ও ট্রাক্টরের সঙ্গে Read more

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

জেলা আওয়ামী লীগের কেক কাটা, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 20 January 2024, 857 Views,

গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর জন্মদিন

চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।

banner

আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার বিকালে শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহসভাপতি মো.হেলাল উদ্দিন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।

বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মাহবুবুল আলম খোকন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, মহসিন মিয়া, হাজি ফারুক আহমেদ, জায়েদুল হক, সেলিম রেজা হাবিব, সৈয়দ মো. আসলাম, খোকন আচার্য, মাহমুদুর রহমান জগলু, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক চৌধুরী।

দোয়া পরিচালনা করেন মাও.ক্বারী আনিসুর রহমান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে জেলা আওয়ামী লীগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 15 November 2023, 991 Views,

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে

চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েকহাজার নেতাকর্মী।

banner

আজ ১৫ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়্রা থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের জেলা পরিষদ মার্কেট, টিএ রোড, হাসপাতাল রোড প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।

এসময় অন্যান্যের মাঝে আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান বাবুল, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, শেখ মো. মহসিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানজিল আহমেদ, শাহআলম, সৈয়দ মিজানুর রেজা, স্বপন রায়, মো. মনির হোসেন, জায়েদুল হক, মাহমুদুর রহমান জগলু, সেলিম রেজা হাবিব, কাচন মিয়া, সৈয়দ মো .আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ্এইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুৃল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড.সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা নিশাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি অ্যাড. আবু কাউসার, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্র নাথ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, জেলা তাঁতী লীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল,জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখী, সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি। বুধবার বিকাল ৫ টা থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে শতশত নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে জমায়েত হন। মিছিল ও সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নারী কর্মীর উপস্থিতি সকলের দৃষ্টি কাড়ে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকশত মোটর সাইকেলের একটি শোভাযাত্রা সারা শহর প্রদক্ষিণ করেন।

আশুগঞ্জ-আখাউড়া নির্মাণাধীন ফোরলেন প্রকল্পের কাজ ফেলে চলে গেছেন ৩৬০ জন ভারতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 3 September 2024, 543 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ-আখাউড়া নির্মাণাধীন মহাসড়কের ফোরলের প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। গত ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ফেলে চলে যায় প্রকল্পে কর্মরত ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকেরা। এতে করে বন্ধ হয়ে গেছে ফোরলেন প্রকল্পের কাজ। এই অবস্থায় খানাখন্দে ভরপুর চট্টগ্রাম-সিলেট ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে যানবাহন চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি। বর্তমানে তা চরম আকার ধারণ করেছে।

banner

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এই প্রকল্পের কাজ আবার কবে নাগাদ শুরু হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হওয়ার পর ভারতীয় নমনীয় ঋন এলওসির অধীনে ২০১৮ সালে তিনটি প্যাকেজে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত দুইলেন থেকে মহাসড়কটি চারলেনে উন্নয়ন কাজ শুরু করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। প্রকল্পটির কাজ শুরুর পর গত ২০১৯ এবং ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে প্রকল্পটির কাজ অনেকটাই থমকে যায়। পরবর্তীতে বালু সংকটের কারণে আরো ৬মাস বিলম্ব হয় প্রকল্পের নির্মান কাজের। এরই মধ্যে গত ২০২২ সালে প্রকল্পটির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছিল। এর মধ্যে প্যাকেজ-১ এর অধীনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের গোল চত্বর থেকে বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত একপাশের দুই লেনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে।

প্যাকেজ-২ এর অধীনে বিশ্বরোড থেকে ধরখার পর্যন্ত এক পাশের কাজ অনেকাংশেই শেষ হয়েছে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর বাইপাস, ঘাটুরা বিরাসার, পৈরতলা, রাধিকা ও উজানিসার এলাকায় মহাসড়কের একপাশে খানাখন্দ থাকায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। এতে করে সড়কটি দিয়ে চলাচলরত যানবাহন, চালক এবং যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আল আমিন জানান, আখাউড়া-আশুগঞ্জ সড়কটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের কাজ বন্ধ থাকায় যানবাহনের চালক, যাত্রী এবং স্থানীয়রা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। খানাখন্দ সড়কের কারণে প্রতিনিই ঘাটুরা, বিরাসার, পৈরতলা, পুনিয়াউট, রাধিকা এলাকায় যানজট লেগে থাকে। এতে করে যাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

অন্যদিকে সড়কের তীব্র ধুলার কারণে আশপাশের বাসা বাড়ি সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতা সংকটে অনেকটাই লাটে উঠেছে। তিনি দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে সরকারের প্রতি দাবি জানান।

পরিবহন চালক আলমগীর মিয়া বলেন, নির্মাণাধীন সড়কটি দিয়ে যানবাহন চালাতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পড়ে থাকার পাশাপাশি যানবাহনের নাট-বল্টু, চাকা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। তিনি সড়কটির কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে আখাউড়া-আশুগঞ্জ ফোরলেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোঃ শামীম আহমেদ জানান, আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত চারলেন প্রকল্পটি তিনটি প্যাকেজে বাস্তবায়ন হচ্ছিল। তিনটি প্যাকেজেই ঠিকাদার ছিলেন ভারতের এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ভারতীয়রা তাদের হাইকমিশনে নিরাপত্তার কথা বলে সবাই দেশে চলে গেছেন। তারা কবে ফিরে আসবে এ ব্যাপারে কিছুই জানায়নি তারা। শ্রমিকরা চলে যাবার পর থেকে আমাদের প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি বন্ধ আছে। কবে চালু হবে আমরা তা এখন বলতে পারছি না। চলমান দুইটি প্যাকেজের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশত ভারতীয় লোক কাজ করতো। বর্তমানে তাদের মধ্যে একজনও বাংলাদেশে নেই।

তিনি আরো জানান, আমাদের প্যাকেজ-১ এর আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত মহাসড়কের ৬২ শতাংশ এবং বিশ্বরোড থেকে ধরখার বাজার পর্যন্ত ৫২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ যেহেতু ভারতীয় ঠিকাদারের অধীনে ছিল, তাই রাস্তার বর্তমানে মেরামতের দায়িত্বও তাদের ছিল। যেহেতু তারা নেই, তাই রাস্তা মেরামত করার মত জনবল বা যন্ত্রপাতি আমাদের হাতে নেই। আমরা রাজস্ব খাত থেকে টাকা দিয়ে মানুষের ভোগান্তি কমানোর জন্য চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে উপর থেকে।

প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ শামীম আহমেদ আরো বলেন, গত ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর নির্মানাধীন প্রকল্পটির ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ৩৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক চলে যাওয়ার পর প্রকল্পের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে। আমরা চুরি ঠেকানোর জন্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিয়েও চুরি ঠেকাতে পারছিনা। তিনি এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার ফোরলেন প্রকল্পটিতে একটি উড়াল সেতুসহ ১৬টি ব্রীজ-কালভার্ট রয়েছে। প্রকল্পের নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 13 February 2024, 870 Views,

বাফুফের একাডেমি চ্যাম্পিয়নশীপের চূড়ান্ত পর্বে খেলবে

চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একাডেমি চ্যাম্পিয়নশীপের (অনুর্ধ্ব ১৫) চূড়ান্ত পর্বে খেলবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ঢাকার কমলাপুর বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সিলেটের জলটোপ ফুটবল একাডেমির সাথে টুর্ণামেন্টের প্রথম ম্যাচে অংশ নেবে দলটি। এ উপলক্ষে অনুশীলনে ব্যস্ততম সময় পার করছে ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমির খেলোয়ার ও সংশ্লিষ্টরা।

banner

এর আগে দেশের ১৯ জেলার ২৪টি জোনে ১৭০টি দল গ্রুপভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট অংশ নেয়। ২৪ জোনের ২৪ চ্যাম্পিয়ন একাডেমি নকআউট পর্বে অংশ নিয়ে ১২টি একাডেমি চূড়ান্ত পর্বে স্থান করে নেয়। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ১২টি দল ৪ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলায় অংশ নেবে। ৪ গ্রুপের বিজয়ীদের নিয়ে দুটি সেমি ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেমি ফাইনালে বিজয়ী দুটি দল ফাইনাল ম্যাচ খেলবে।

বাফুফের একাডেমি চ্যাম্পিয়নশীপের চূড়ান্ত পর্বে অংশ গ্রহন উপলক্ষে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে আশুগঞ্জে এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করে ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি। প্রেস ব্রিফিং এ ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানায়, মাত্র এক বছর আগে আশুগঞ্জে কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শিক্ষানুরাগী হাজী মোঃ ফিরোজ মিয়া ও তার ছেলে প্রয়াত প্রভাষক কামাল হোসেনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাদের একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ অল্প সময়ের মধ্যেই তারা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এরই মধ্যে দলটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খেলায় অংশ নিয়েছে। বর্তমানে ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি এক তারকা একাডেমির মর্যাদা অর্জন করেছে। এ টুর্ণামেন্টের মাধ্যমে তাদের মেধাবী ফুটবলাররা এলিট একাডেমিতে জায়গা করে নিতে পারবে বলে তাদের বিশ্বাস।

প্রেস ব্রিফিং এ কথা বলেন, ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান অ্যাড. মোশারফ হোসেনের, প্রধান কোচ রিয়াদ মেহেদী, সহকারি কোচ শাহীদ হোসেন, পরিচালক আতিকুর রহমান, গোল কিপার কোচ মুহাম্মদ আমিন ও দলের ক্যাপ্টেন অন্তর মিয়া প্রমুখ।

ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান অ্যাড. মোশারফ হোসেন জানান, তাদের একাডেমিকে পৃষ্টপোষকতা করছেন, আশুগঞ্জ লাভিডা হাসপাতাল, সাবেক জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাইফুর রহমান মনি, হেনা মটরস, কামরুল হাসান, ডাক্তার ফাইজুর রহমান, মামুন রশিদ ও রাজভর ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অনেক ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

বাজার পরিস্থিতি চালের বাজার স্থিতিশীল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 5 August 2023, 1173 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর উর্ধ্বগতির কারণে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। আস্তে আস্তে জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এদিকে ব্যবসায়ীরা যাতে মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট না করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারগুলোতে চালের দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে থাকলেও শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম চড়া।

banner

শহরের সবচেয়ে বড় বাজার আনন্দ বাজারের বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী মেসার্স সুমা ট্রেডার্সের পরিচালক মোঃ নাঈম হোসেন বলেন, বাজারে চালের কোন সংকট নেই। গত ৩ মাস ধরে চালের বাজার স্থিতিশীল। অন্যান্য বছরগুলোতে জুলাই-আগষ্ট মাসে বাজারে চালের যে দাম থাকে এবছর এই সময়ে চালের দাম আগের চেয়ে কম।

তিনি বলেন, বাজারে কাটারী ভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩১০০টাকা, কাটারী নাজির চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০টাকা, ঘি-ভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৯০০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৫০০টাকা, বিআর-২৯ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৪৫০ টাকা, মিনিকেট চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৮০০ টাকা,পাইজাম চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০ টাকা, নাজির শাইল চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০টাকা, বোরো চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৫০০ টাকা ও মোটা চাল ৫০ কেজির বস্তা ১৮০০টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী হাজী শামীম ট্রেডার্সের মালিক মোঃ শামীম হোসেন বলেন, গত ২ মাস ধরে বাজারে চালের দাম বাড়েনি। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের বিআর-২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৪৫০ থেকে ২৫০০ টাকা, বিআর-২৯ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৩৫০ থেকে ২৪০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের কাটারীভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৯০০ থেকে ৩২০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের মিনিকেট চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩২০০ টাকা থেকে ৩৫৫০ টাকা, নাজিরশাল চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের বোরো চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৬০০ থেকে ৩৭০০ টাকা ও বিভিন্ন ধরনের মোটা চাল ৫০ কেজির বস্তা ১৮০০ টাকা থেকে ২১০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারের মেসার্স শরীফ ট্রেডার্সের কর্ণধার মোঃ বাহার উদ্দিন বলেন, বাজারে অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও চালের দাম বাড়েনি। গত প্রায় ৩ মাস ধরে চালের দাম স্থিতিশীল।

মোঃ বাহার উদ্দিন জানান, বাজারে বিভিন্ন ধরনের কাটারী ভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩২০০ থেকে থেকে ৩৪০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের ঘি ভোগ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৯০০ থেকে থেকে ৩১০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের পাইজাম চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৪০০ থেকে থেকে ৩৬০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের নাজিরশাল চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০ থেকে থেকে ৩৪০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের বোরো চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৭০০ থেকে থেকে ৩৮০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের বিআর-২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৩০০ থেকে থেকে ২৮০০টাকা, বিভিন্ন ধরনের বিআর ৪৯ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৫০০ থেকে থেকে ২৯০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের মিনিকেট চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩০০০ থেকে থেকে ৩২০০ টাকা, দেশী বাসমতি চাল ৫০ কেজির বস্তা ৩৩০০ থেকে থেকে ৩৮০০টাকা, বালাম চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৭০০ থেকে ৩০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, বাজারে শুকনা দেশী মরিচ কেজি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, ভারতীয় শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৪২০ থেকে ৪৬০ টাকা, হলুদ প্রতিকেজি প্রকার ভেদে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, ধনিয়া প্রতি কেজি ১৯০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা, এলাচি প্রতি কেজি প্রকার ভেদে ১৫০০ টাকা থেকে ২৮০০টাকা, জিরা প্রতি কেজি ১০৭০ থেকে ১১০০টাকা, চিনি প্রতি কেজি ১২৮ থেকে ১৩৫টাকা, লবণ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পিয়াজ দেশী প্রতি কেজি ৮০টাকা, পিয়াজ ভারতয়ি ৩৮/৪০টাকা, রসুন দেশী প্রতি কেজি ১৭০/১৯০ টাকা, রসুন ভারতীয় প্রতি কেজি ১৭৫/১৮৫ টাকা, আদা প্রতি কেজি ১৪০/১৭০ টাকা, আটা প্রতি কেজি ৪০/৪৫ টাকা, প্যাকেটজাত মসল্লা হলুদ (রাঁধুনী) ৫০০ গ্রাম ২৪০ টাকা, মরিচ (রাঁধুনী) ৫০০ গ্রাম ৪১০ টাকা, ধনিয়া (রাঁধুনী) ৫০০ গ্রাম ১৭৫ টাকা, জিরা (রাঁধুনী) ৫০০ গ্রাম ১০০০ টাকা, পোলাও চাল চাষী প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের সয়াবিন ৫ লিটার ৮৪০/৮৬০ টাকা, মুশরির ডাল প্রতি কেজি ৯০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, বুট ডাল প্রতি কেজি ৮০/ ৯০ টাকা, মুগ ডাল প্রতি কেজি ১২০/১৩০ টাকা, প্যাকেটজাত গুড়া দুধ ডানো ৫০০ গ্রাম ৪২৫, গুড়া দুধ মাস্ক ৫০০ গ্রাম ৪২৫, গুড়া দুধ ডিপ্লোমা ৫০০ গ্রাম ৪২৫, গুড়া দুধ ডানো পুষ্টি ৫০০ গ্রাম ৩৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, টমেটো প্রতি কেজি ১৮০টাকা, সীম প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৩০/৫০টাকা, ধনিয়া পাতা প্রতি কেজি ১২০টাকা, লেবু হালি ২০/৩০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৫০/৭০ টাকা, করলা কেজি ৭০ টাকা, জিঙ্গা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা কলা হালি ৩০/৩৫ টাকা, মুখী প্রতি কেজি ৬০টাকা, আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, দেড়শ প্রতি কেজি ৪০টাকা, পেপে প্রতি কেজি ৪০টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৪০টাকা, ঝালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০/৫০টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে শহরের কাজীপাড়ার খলিলুর রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে আমরা দিশেহারা। ব্যবসায়ীরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজহাত দেখিয়ে তাদের মনগড়া মতো দাম বাড়াচ্ছে। আগে ৫০০ টাকা দিয়ে যে জিনিস কিনতাম, সেই জিনিস কিনতে এখন ১০০০/১২০০ টাকা লাগে।

পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার গৃহিনী শামসুন্নাহার বলেন, বাজারের জিনিসপত্রে দাম বাড়ছেই। একবার বাড়লে আর কমেনা। তিনি বলেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমরা কি করব?

পৌর এলাকার বাগানবাড়ির বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, বাজারে যেতে ভয় করে। প্রতিদিনই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। শহরের হালদারপাড়ার বাসিন্দা শামীম হোসেন বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারনে এখন আর চাহিদামতো জিনিসপত্র কিনতে পারিনা। খুবই কষ্ট হচ্ছে আমাদের মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষদের।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যাতে স্থিতিশীল পর্যায়ে থাকে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় বাজারে নজরদারী করা হয়। আমরা বাজারগুলো সব সময় মনিটরিং করি। কেউ যাতে পন্য সামগ্রী মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।