অনলাইন ডেস্ক :
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে শোক জানিয়েছে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে দেশটি বলেছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে তাদের কোনো হাত নেই। যদিও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত নিয়ে ইরান এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেনি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে সোমবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কোনো কারণ তার জানা নেই।
তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন, যান্ত্রিক ত্রুটি, পাইলটের ভুল কিংবা আরও কিছু ঘটতে পারে।
অস্টিন বলেন, ইরানের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে আমাদের কাছে গভীর কোনো তথ্য নেই। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের দীর্ঘদিনের বৈরিতা। বিভিন্ন নিরাপত্তা ইস্যুতে ইরান যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলকে দোষারোপ করে থাকে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি ওয়াশিংটন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে। ওই বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেশটির জনগণের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে লড়াইকারীদের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করছি।
রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের একটি বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি–আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।
ফেরার পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। পরের দিন বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় হেলিকপ্টারটির সব আরোহী মৃত্যুবরণ করেছেন। সূত্র : চ্যানেলস টেলিভিশন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
টানা কয়েকদিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর মিয়ানমারের কাওলিন শহরের দখল নিয়েছে জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীরা। গত সোমবার কাওলিনের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের হাতে ছেড়ে দিয়ে সেনা বাহিনী পিছু হটেছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে দেশটির জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীগুলোর জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (নাগ)।
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ সাগাইংয়ে অবস্থিত কাওলিন কৌশলগত দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। কারণ কাওলিন জেলার সামরিক প্রশাসনিক কার্যালয়ের সদর দপ্তরের অবস্থান এই শহরে। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ বসবাস করেন কাওলিনে।
যেহেতু জেলার সামরিক প্রশানিক কার্যালয়ের শহর কাওলিনে, তাই এই শহরটির দখল করা মানে এক অর্থে পুরো কাওলিন জেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।
মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক জোট ‘নাগ’ একই সঙ্গে নিজেকে দেশটির ছায়া সরকার বলেও দাবি করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় নাগের প্রধানমন্ত্রী মান উইন খাইং থান বলেন, ‘জেলা শহর কাওলিন এখন আমাদের দখলে। কী যুগান্তকারী একটি বিজয়!’
এক্সে একটি ভিডিওচিত্রও পোস্ট করেছেন খাইং থান। সেখানে দেখা গেছে— কাওলিন সামরিক প্রশাসনিক কার্যালয়ের সেনা সদস্যরা কার্যালয়ের সামনে বিদ্রোহী জোট নাগের পতাকা উত্তোলন করছেন।
এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে জান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে কোনো কর্মকর্তা মুখ খুলতে রাজি হননি।
কাওলিন শহরের ২৮ বছর বয়সী এক বাসিন্দা নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে এবং এই সংঘর্ষের আঁচ থেকে আত্মরক্ষা করতে কাওলিনের অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছেন।
‘শহরে আর কোনো নিরাপদ স্থান নেই। প্রায় সবাই নিজের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে’, বলেছেন সেই বাসিন্দা।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেয়ে সরকার গঠন করেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। কিন্তু সেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং সেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ক্ষমতা দখলের পর বন্দি করা হয় এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চিসহ দলটির অধিকাংশ উচ্চ ও ও মাঝারি পর্যায়ের নেতা ও আইনপ্রণেতাদের। এখনও তারা কারাগারে রয়েছেন।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী জনগণ অবশ্য সামরিক বাহিনীর এ পদক্ষেপ একেবারেই মেনে নেয়নি। বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই রাজধানী নেইপিদো, প্রধান শহর ও বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনসহ দেশটির ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের শুরুর দিকে শান্তিপূর্ণভাবে তা দমনের চেষ্টা করলেও একসময় বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয় জান্তা।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে হাজারেরও অধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এক পর্যায়ে গণতন্ত্রপন্থীরা জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দিতে থাকেন, গঠিত হয় ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট বা নাগ।
বেলজিয়ামভিত্তিক থিংকট্যাংক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মিয়ানমার বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রিচার্ড হোরসি অবশ্য মনে করছেন নাগ বেশিদিন এই শহর দখলে রাখতে পারবে না।
‘মিয়ানমারের যে বাস্তবতা, তাতে কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পক্ষে পার্বত্য অঞ্চলের কোনো প্রাদেশিক শহর দখল করে নেওয়া তেমন কঠিন নয়; তবে দীর্ঘসময় ধরে তা দখলে রাখা খুব কঠিন।’ সূত্র : রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো সক্ষমতায় উৎপাদন বুঝিয়ে দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে টুইট বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আদানি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো সক্ষমতায় উৎপাদন বুঝিয়ে দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। ভারত ও বাংলাদেশের সাহসী সেই দলকে আমি স্যালুট জানাই যারা করোনা মহামারির মধ্যেও কাজ শুরু করে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে নিয়ে এসেছেন।
জানা গেছে, স্বল্প সময়ের জন্য ঢাকা সফর করে ফিরে গেছেন ভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় আদানি গ্রুপের নির্মিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন তিনি।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে নিজস্ব উড়োজাহাজে করে ঢাকায় নামেন গৌতম আদানি। বেলা ১১টার দিকে তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর দুপুর সোয়া ১টার দিকে আবার নিজস্ব উড়োজাহাজে করে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছে আম আদমি পার্টি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগ ঘোষণার দুইদিনের মধ্যেই এ ঘোষণা দেওয়া হলো।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আম আদমি পার্টির (আপ) পরিষদীয় দলের নেতাদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অতিশির নাম প্রস্তাব করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই সবাই তা সমর্থন করেন। অতিশি এতোদিন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। পাশাপাশি গণপূর্ত ও রাজস্ব দপ্তর ছিল তার হাতে।
কেজরিওয়াল আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাকসেনার সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র দেবেন। গত রবিবার তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দুই দিন পর মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবেন।
প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কেজরিওয়াল। অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হয়ে প্রায় ছয় মাস তিহার জেলে ছিলেন তিনি।
গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলমুক্তি ঘটেছে আপপ্রধানের। তারপরই গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানান কেজরিওয়াল।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা খানকে শনিবার একটি আদালত সাত বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন। তাঁরা ২০১৮ সালে আইন ভঙ্গ করে বিয়ে করেছিলেন বলে রায় দিয়েছেন আদালত। ইমরান খানের দলের বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জিও নিউজ প্রতিবেদনে বলেছে, রায় ঘোষণার সময় ইমরান খান ও বুশরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কারাগার প্রাঙ্গণে ১৪ ঘণ্টা শুনানি চলার এক দিন পর এদিন সিনিয়র সিভিল জজ কুদরতুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। গতকাল যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় সংরক্ষণ করেছিলেন আদালত।
চলতি সপ্তাহে ৭১ বছর বয়সী ইমরান খানের বিরুদ্ধে এটি তৃতীয় রায়। দেশটিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব রায়ের কারণে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের দায়ে ১০ বছর এবং রাষ্ট্রীয় উপহার বেআইনিভাবে বিক্রি করার দায়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। তাঁর প্রতিনিধিরা বলছেন, তিনি তিনটি ক্ষেত্রেই আপিল শুরু করবেন। তবে তাঁর বিভিন্ন সাজা একযোগে চলবে কি না তা অবিলম্বে স্পষ্ট হয়নি।
ইমরান খান বর্তমানে রাওয়ালপিণ্ডির গ্যারিসন নগরীতে কারাগারে রয়েছেন এবং তাঁর স্ত্রী ইসলামাবাদের নিকটবর্তী পাহাড়ের চূড়ায় তাঁদের বাড়িতে সাজা ভোগ করবেন।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ১০ বছরের জন্য সরকারি পদে অযোগ্যতার সম্মুখীন হয়েছেন।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আদালতে কয়েক ঘণ্টার শুনানির পর, সাক্ষীদের জেরা না করা এবং কোনো যথাযথ প্রক্রিয়ায় না এগোনো আইনের উপহাস। যেভাবে এই বিচারগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাতে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ওপর একটা বিশাল প্রশ্নবোধক চিহ্ন থাকবে। মামলাটি পাকিস্তানের উচ্চ বিচার বিভাগের জন্য একটা পরীক্ষা।’
এআরওয়াই নিউজের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী—প্রত্যেককে পাঁচ লাখ পাকিস্তানি রুপি করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুশরার বিরুদ্ধে আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার আগেই ইমরান খানকে বিয়ে করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সাবেক ক্রিকেট তারকা প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সাত মাস আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে একটি গোপন অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছিলেন বুশরাকে।
নির্ধারিত সময় পার হওয়ার আগেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল কি না তা নিয়ে বিতর্ক ছিল। প্রাথমিকভাবে বিয়ের বিষয় অস্বীকার করা হলেও পিটিআই কয়েক সপ্তাহ পর তা নিশ্চিত করে।
ইমরান খানের মিডিয়া উপদেষ্টা জুলফি বুখারি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘বলতে পারি বিয়ের একজন সাক্ষী আমি এবং এটি স্পষ্টতই আরেকটি জাল মামলা।’
বুশরা তাঁর প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার মানেকার সঙ্গে প্রায় ৩০ বছর সংসার করেছেন। ইমরান খান ও বুশারর বিরুদ্ধে মানেকা একটি ফৌজদারি অভিযোগ এনেছিলেন। শনিবার সেই মামলারই রায় হলো।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় হাতেম আল-গামরি নামের এক মেয়র নিহত হয়েছেন। তিনি গাজার মাগাজি পৌসরভার মেয়র ছিলেন। মাগাজি ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এদিকে, গাজাজুড়ে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।
আজ ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান কেন্দ্রীয় গাজার মাগাজি ক্যাম্পের একটি কাউন্সিল ভবনে বোমা হামলা চালিয়ে মাগাজি পৌরসভার মেয়রসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে বলে গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে।
গাজার মিডিয়া অফিস টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, নিহত হাতেম আল-গামরি তার কাজের প্রতি নিবেদিত ছিলেন এবং ‘নিজের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত’ মাগাজির জনগণের সেবা করেছিলেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক আদালতের অস্থায়ী রায়কে উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় কমপক্ষে ৩৩ হাজার ২০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৫ হাজার ৯৩৩ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় অন্তত আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।