অনলাইন ডেস্ক :
গাজার একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ১০ জন শিশুসহ ১৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আরো অনেকে আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে এসব শিশুসহ অনেক নারীও ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
আজ ২৩ মে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরা জানায়, গাজায় রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এরই একপর্যায়ে উত্তর গাজা শহরের ফাতিমা আল-জাহরা মসজিদে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১০ জন বলে জানানো হলেও পরে তা বেড়ে ১৬ জনে পৌঁছায়।
নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ শিশু রয়েছে বলেও জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে তারা মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এদিকে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন বলে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
হামলায় আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ওয়াফা।
ফিলিস্তিনি এই বার্তাসংস্থা আরো জানিয়েছে, গাজা শহরের জেইতুন এলাকায় একদল লোকের ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় অন্তত সাতজন নিহত এবং আরও ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
মূলত জেইতুন এলাকায় মানুষ একটি গ্যাস স্টেশনের সামনে জড়ো হয়েছিল এরপরই তাদের ওপর ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস। সাদাছড়ি বহনকারী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিরাপদে পথ চলতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
এবারের সাদাছড়ি দিবসের স্লোগান হিসেবে ঠিক করা হয়েছে- ‘দৃষ্টিজয়ে ব্যবহার করি, প্রযুক্তিনির্ভর সাদাছড়ি’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ও সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালন করে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সাদাছড়ি বিতরণ, আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের হিসাবমতে, বিশ্বে ২৮ কোটি ৫০ লাখ মানুষ পুরোপুরি ও আংশিকভাবে চোখে দেখে না। এসব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ চলাচলের জন্য হাতে সাদাছড়ি ব্যবহার করে। যাতে যারা চোখে দেখে তারা তাদের চলাচলে সহযোগিতা করে। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য এই দিবসটি পালন শুরু হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্থানীয় সময় আজ ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার তুরস্ক ও সিরিয়ায় অন্তত ৫ হাজার ২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় বলেছেন, তুরস্কের মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪১৯ এ পৌঁছেছে।
কমপক্ষে ২০ হাজার ৫৩৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তুরস্কে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। এই কর্মকর্তা যোগ করেন, ২৫ হাজার কর্মী উদ্ধারকাজ করছেন।
উদ্ধারকারীরা আহতদের পরিবহন ও অনুসন্ধান অভিযানে সহায়তার জন্য কমপক্ষে ১৮টি জাহাজ ও ৫৪টি বিমান ব্যবহার করছে।
এদিকে সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০২-এ।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবারের ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার ৬৪৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবারের শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে। অনেক ভবন ভেঙে পড়েছে। অনেকে ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন। উদ্ধারকাজ চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বৃষ্টিতে যেমন ছাতা লাগে, তেমনই খুব রোদেও ছাতা লাগে।পৃথিবীর গায়ে বেশি রোদ লাগছে।যার থেকে বাড়ছে গরম।যাতে রোদ না লাগে সেজন্য এবার মহাকাশে বিজ্ঞানীরা ছাতা লাগাচ্ছেন।এভাবে পৃথিবীর গায়ে রোদ পড়া বাড়তে থাকলে গোটা বিশ্বটা তেতে উঠতে বেশি দেরি হবেনা। তাই পৃথিবীর গায়ে এভাবে রোদ পড়া আটকাতে হবে এই অভিনব পথে হাটছেন বিজ্ঞানীরা।
রোদ তো সূর্যের আলো। তাই সূর্যের আলোকেই ঢাকতে হবে। যাতে পৃথিবীতে উত্তাপ কম এসে পড়ে। সেজন্য সূর্য আর পৃথিবীর মাঝে ছাতা লাগাতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা।
উষ্ণায়নের ধাক্কা সামাল দিতে বিজ্ঞানীরা সাধারণ মানুষের ছাতা দিয়ে মাথা ঢাকার পথে হাঁটলেন। সূর্যের রশ্মিকে যদি ছাতার মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর গায়ে এসে পড়তে হয় তাহলে তার উত্তাপ ও তেজ অনেকটাই নিঃস্পৃহ হয়ে যাবে। তাতে পৃথিবী রক্ষা পাবে।
হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোনমি-র এক মহাকাশ বিজ্ঞানী ইসভান জাপুদি এই অভিনব উপায়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। যা বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীদের মনে ধরেছে। তাই এই পথেই এগোতে চাইছেন তাঁরা। এজন্য অবশ্য যে বিশাল আয়োজন প্রয়োজন তা পৃথিবী থেকে ওভাবে পাঠানো সম্ভব নয়। কারণ তার ওজন অনেক হবে। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অনেক হাল্কা উপাদানের ঢাকা মহাকাশে পাঠানো হবে। যা দড়ির মত বাঁধা থাকবে। আর তার কাউন্টার ওয়েটের কাজটা করে দেবে অন্য গ্রহাণু।
পুরো ডিজাইন নিয়ে এখন কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। তবে যে অভিনব ভাবনা জাপুদি উপহার দিলেন তা যদি বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয় তাহলে উষ্ণায়নের চিন্তা অনেকটা কমবে। এখানে বলা প্রয়োজন যে আগেও এমন ছাতা নিয়ে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তা এতটাই ভারী হচ্ছিল যে তা মহাকাশে পাঠানোর উপায় ছিলনা। জাপুদি তাই অনেক হাল্কা ও নবতম প্রযুক্তি ব্যবহারের হদিশ দিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল। এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে এক তরুণীকে জীবিত উদ্ধার করেছে তারা। এ ছাড়া তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল বুধবার তুরস্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে। পরদিন তারা দেশটির আদানা মিলিটারি এয়ার বেইস-এ পৌঁছায়। সেখান থেকে তারা আদিয়ামান শহরে পৌঁছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য জানায়।
এদিকে ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত সিরিয়ায় ত্রাণ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বড় তাবু, ছোট তাবু, কম্বল, সোয়েটার, শুকনা খাবার ও ওষুধ পাঠানো হচ্ছে। ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ উড়োজাহাজের সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা।এই মিশনের নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন জামিল উদ্দিন আহমেদ। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়।
এর আগে বুধবার রাতে উদ্ধার ও ত্রাণকাজে অংশ নিতে তুরস্কে গেছে বাংলাদেশের একটি ‘সম্মিলিত সাহায্যকারী দল’। ৬০ সদস্যের দলটিতে ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ২৪ জন এবং ১০ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করে বাংলাদেশ। সেদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হয় বিশেষ প্রার্থনা। বাতিল করা হয় প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি।
অনলাইন ডেস্ক :
পশ্চিম উগান্ডার একটি স্কুলে ইসলামিক স্টেট গ্রæপের হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে। এমপন্ডওয়ের লুবিরিহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই হামলায় আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছে। খবর বিবিসি।
পুলিশ বলছে শুক্রবারের হামলাটি অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো (ডিআরসি) ভিত্তিক উগান্ডার একটি গ্রুপ।
পুলিশ জানায়, ডিআরসি-তে বিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের দিকে পালিয়ে যাওয়া দলটিকে সেনারা তাড়া করছে।
জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র ফ্রেড এনাগা আজ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, দএখন পর্যন্ত স্কুল থেকে ২৫ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বেভেরা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার রাতে হামলার সময় স্কুলের একটি ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং একটি খাবারের দোকান লুট করা হয়।
উগান্ডার সীমান্ত থেকে দুই কিলোমিটারেরও কম (১.২৫ মাইল) দূরে অবস্থিত স্কুলে হামলা। অনেক বছর পর উগান্ডার স্কুলে এই ধরনের হামলা হলো।
এর আগে ১৯৯৮ সালের জুনে , ডিআরসি সীমান্তের কাছে কিচওয়াম্বা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে হামলায় ৮০ জন ছাত্রকে তাদের ছাত্রাবাসে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। অপহরণ করা হয়েছিল শতাধিক শিক্ষার্থীকে।