চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিবসহ তিন নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২২ মে বুধবার বিকেলে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দফতর সম্পাদক (সহ-সভাপতি) কামরুজ্জামান দুলালের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মুখলেছুর রহমান লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ আহমেদ জয় ও মোর্শেদ কামাল।
বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা বর্হিভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যুবদলের সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়। এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় চলমান জাল জালিয়াতির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ আহমেদ জয় (আনারস), ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোর্শেদ কামাল (চশমা) ও সদস্য সচিব মুখলেছুর রহমান লিটন (বৈদ্যুতিক বাল্ব) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে বিপণিবিতান তৈরির জন্য চার দশকের পুরোনো একটি পুকুর ভরাট করছেন স্থানীয় কয়েকজন। যদিও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিদিন ট্রাক্টরে মাটি ফেলে ভরাট চললেও রহস্যজনক কারণে নীরব কর্তৃপক্ষ। দুই মাস ধরে পুকুর ভরাটের কাজ চলছে।
ভরাটকাজে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, সবাইরে ‘ম্যানেজ’ করেই তাঁরা ভরাট করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। তবে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, তাঁরা কাউকে পুকুর ভরাটের অনুমতি দেননি। একবার ভরাটের খবর পেয়ে ভরাট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আবার ভরাট শুরু হলে তাঁরা উদ্যোগ নেবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, পুকুরটি বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের ৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত। ইউএনও, সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রতিদিন পুকুরের সামনে দিয়ে যাতায়াত করেন। তাঁরা এ বিষয়ে কোনো কিছু বলছেন না। দুই মাস ধরে মাটি ফেলার কাজ করলেও তাঁরা শুরু থেকে নীরব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগরের চান্দুরা-আখাউড়া সড়কে ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর মোড়ে রাস্তা-সংলগ্ন পুকুরটি ৪০-৫০ বছরের পুরোনো। পুকুরের পূর্ব দিকের বাসিন্দা জলফু মিয়া, তাঁর ছোট ভাই আজিজুল হক ওরফে মলাই মিয়া, করিম মিয়াসহ কয়েকজন পুকুরটির ৭২ শতকের মালিক। সাড়ে তিন মাস আগে পুকুরটি ভরাট করতে পানি সরানো হয়। এরপর জলফু, মলাইসহ পাড়ের বাসিন্দারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি এনে ভরাটের কাজ শুরু করেন। পুকুরটি ভরাট করে সেখানে বিপণিবিতান নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। এ জন্য তাঁরা ইউএনও বরাবর আবেদন করেছেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ভরাট করা বেআইনি। আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী, প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর বেআইনি। কোনো ব্যক্তি এ বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অন্যদিকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের (২০১০ সালে সংশোধিত) ৬ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।’
বিজয়নগর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের নাজির মো. সৈয়দ মিয়া ও বুধন্তি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের তহসিলদার কাজল বণিক বলেন, তাঁরা যতটুকু জানেন, জমিটি নালা শ্রেণির। সেটি ভরাটের অনুমতির জন্য তাঁরা ইউএনওর কাছে আবেদন করেছেন বলে শুনেছেন।
বিজয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান খান বলেন, অভিযোগ আসার পর ভরাট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আবার শুরু করলে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। জমিটি জলাশয় না পুকুর শ্রেণির কাগজপত্র না দেখে বলা যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন ও শ্রেণিভুক্ত না হলে ভরাটের অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করতে হবে। বাস্তবতার নিরিখে জমিটি কী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুকুরের মালিক আজিজুল হক বলেন, ‘আপনে আমারে কেন জিগাইতেছেন। ম্যাডামরে (ইউএনও) জিগান। ম্যাডামের কাছে সব কাগজপত্র জমা আছে। সব দিছি। জায়গাটি ২০০০ সালে আমরা কিনছি। এইডা পুকুর না, জলাশয়। এখানে জায়গা আছে ৭২ শতক। আমরার ভাই-বোনদের বাড়িঘরের প্রয়োজনে এইডা ভরাট করতাছি।’
তবে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, ‘আনুমানিক ৪০ বছর ধরে পুকুর হিসেবে দেখতেছি। ভরাট বন্ধের জন্য বলেছি। বিষয়টি ইউএনওকেও জানিয়েছি।’
কোনো পুকুর ভরাটের জন্য কাউকে অনুমতি দেননি বলে দাবি করেন ইউএনও রুবাইয়া আফরোজ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। প্রশাসনকে উৎকোচ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যিনি এই অভিযোগ করছেন, তাঁকে রেকর্ড বা প্রমাণ থাকলে দেখাতে বলেন। আমি তো বলছি, আমাকে একটু সময় দিন।’ দুই মাস ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় ভরাট চলছে উল্লেখ করলে রুবাইয়া আফরোজ বলেন, ‘আমি খোঁজ নেব।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ান (২৫ বিজিবি) এর পৃথক অভিযানে একজন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ও বিপুল পরিমাণ ভারতীয় অবৈধ পণ্য আটক করা হয়েছে।
সরাইল ব্যাটালিয়ান (২৫ বিজিবি) এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আজ ৭ মার্চ শুক্রবার আনুমানিক রাত প্রায় ২টা ১৫ মিনিটে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের বিশেষ টহল দল গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত পিলার ২০০১/এমপি হতে আনুমানিক ৫ কি. মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আমতলী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় উন্নতমানের সানগ্লাস- ৩৮৯৪ পিস, ট্যাবলেট- ২১,৩০০ পিস, ক্যাপসুল-৮,৭০০ পিস, Medicated Soap- ৩২৪ পিস, Glosmile Injection- ১০৮ পিস, Finoptis eye drops-১৪০ পিস এবং Asylom-CD sachets powder-১৪০ প্যাকেট আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত অবৈধ চোরাচালানী মালামালের সিজার মূল্য ৬৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩ শত টাকা। আটককৃত চোরাচালানি মালামাল আখাউড়া কাষ্টমস অফিসে জমা প্রদান করা হয়েছে।
অপর অভিযানে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) ট্রানজিট ক্যাম্পের টহল দলের এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ৭মার্চ শুক্রবার আনুমানিক রাত প্রায় সাড়ে ৩টায় সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ধর্মঘর বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ১৯৯৬/২-এস হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মালঞ্চপুর স্থান দিয়ে ২ জন ব্যক্তিকে ভারত হতে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে বিজিবি বিওপির টহল দল ধাওয়া করলে বাংলাদেশী নাগরিক মোসা. ফাতেমা বেগম (৩৫), স্বামী মো. মনির হোসেন, গ্রাম বদনী ভাঙ্গা, ছোটভাদুরা, মোড়লগঞ্জ বাগেরহাটকে আটক করে এবং অপরজন মোবাইল ফোন ফেলে পালিয়ে যায়।
আটককৃত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ১ বছর পূর্বে ভারতে কাশ্মীরে বসবাসরত তার স্বামীর নিকট চিকিৎসার জন্য গমন করে এবং ৭ মার্চ বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় ধর্মঘর বিওপির টহল দলের নিকট আটক হয়। উল্লেখ্য, উক্ত মহিলার স্বামী ভারতের কাশ্মীরে ভাঙ্গারির ব্যবসা করে। আটককৃত মহিলার নিকট হতে ৫ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। আটককৃত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিককে মোবাইল ফোনসহ মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধভাবে কোন প্রকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) বদ্ধ পরিকর।
এ ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অভিযান চলমান থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে শয়ন কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। পরিবারটিতে শাশুড়ি ছাড়া ঘরে তেমন কেউ নেই। ফলে আত্মহত্যার মতো এমন ঘটনায় প্রতিবেশী ও পরিচিত বন্ধুবান্ধবরা হতবাক হয়ে গেছেন।
গতকাল ২১ এপ্রিল রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের বুধন্তী গ্রামের পূর্বপাড়া নিহতের জাপান প্রবাসীর স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণী উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন কেনা গ্রামের অলি আহমেদের মেয়ে ও বুধন্তী পূর্বপাড়ার জাপান প্রবাসী মো. তানভীর আহমেদের স্ত্রী মোসা. মুন্নী আক্তার (২৫)।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের কিছু দিন পর স্বামী জাপানে চলে যায়। ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রঞ্জন কুমার ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, কিছু দিন আগে কেনা গ্রামের মুন্নীর সঙ্গে জাপান প্রবাসী তানভীরের বিয়ে হয়। সন্ধ্যায় সে স্বামীর ঘরের সিলিংফ্যানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে ৪৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১১৭ দেশের ১৬৬ জন হাফেজ এর সাথে প্রতিযোগিতা করে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশের বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের প্রতিযোগী হাফেজ মোঃ ফয়সাল আহমেদকে গণসংবর্ধনা দিয়েছে বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদ।
১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের প্রাঙ্গণে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান খাঁন শাওন।
ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক বকুলের সভাপতিত্বে ও ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ইসহাক সরকার এর সঞ্চালনায় প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংবর্ধিত হাফেজ ফয়সাল আহমেদ এর শিক্ষক শায়েখ নেছার আহমেদ আন আনছারী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল আক্তার, বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ, বিজয়নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এর সাবেক কমান্ডার মোঃ দবির আহমেদ ভূমিকা, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিনসহ বিজয়নগর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও হাফেজ ফয়সাল আহমেদ এর স্বজনরা উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অনুষ্ঠিত ‘৪৩তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১১৭টি দেশের ১৬৬ জন হাফেজের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন বাংলাদেশের হাফেজ ফয়সাল আহমেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় উন্নতমানের ব্লেজারের থান কাপড় জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি)।
বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার কামালমুড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার মিটার ভারতীয় উন্নতমানের ব্লেজারের থান কাপড় আটক করেন। যার আনুমানিক মূল্য ৮৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৫০ টাকা।
বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে কোন কিছু যেন প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে বিজিবি বদ্ধপরিকর। উদ্ধার হওয়া কাপড়গুলো আখাউড়া কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।