অনলাইন ডেস্ক :
বাড়ানো হলো উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ২ জুন পর্যন্ত পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
আজ ২৩ মে বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঐ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় আগামী ২ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ‘সোনালি সেবার’ মাধ্যমে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত ফি পরিশোধ করা যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এইচএসসির ফরম পূরণে বিজ্ঞান শাখার জন্য ২ হাজার ৬৮০ টাকা, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশ্য মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে আরো ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। এ ছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরো ১৪০ টাকা যুক্ত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়। এ কার্যক্রম ছিল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণ করার সুযোগ ছিল ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। এরপর ফরম পূরণের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ছিল ৭ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত। তারপর আবার ফরম পূরণের সময় ২০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এবার আবারো ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হলো।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হবে। এবার পুনর্বিন্যাসকৃত (সংক্ষিপ্ত) পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। বেলা ১১টায় নিজ নিজ শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানেরা এই ফল প্রকাশ করবেন।
আজ ৭ অক্টোবর সোমবার বিকালে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। এর আগে বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনো একদিন ফল প্রকাশ করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র বলছে, এবারের এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়ে গেছে সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে। যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোর ফলাফল প্রকাশ করা হবে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে। বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী কল্পনা খাতুন চুয়াডাঙ্গার আঁখিতারা ক্লিনিকে একসাথে চারটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই চার কন্যার জন্ম হয়।
একসাথে জন্ম নেওয়া চার শিশুকে আজ বুধবার দেখতে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এ সময় তিনি তাদের নামও রাখেন। তাদের নাম রাখা হয়েছে দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া।
মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জন্ম নেওয়া চার শিশুর চিকিৎসা খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম রাখা হয়েছে পাখির নামে-দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া। তারা ভালো আছে। তাদের মা কল্পনা খাতুনও ভালো আছেন।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, সিজারের মাধ্যমে কল্পনা খাতুন চার কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। নবজাতকরা ডা. মাহবুবুর রহমান মিলনের তত্ত্বাবধানে আছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে প্রসূতি কল্পনা খাতুন কিছুটা অসুস্থ। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে নবজাতকদের মা কল্পনা খাতুনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিনি সম্পূর্ণ বিনা খরচে কল্পনা খাতুনের চিকিৎসার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া তিনি নবজাতকদের দেখে মিষ্টি বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা শহরে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একজন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছে। সিয়াম হোসেন (১১) কে ঢাকায় নেয়ার পথে আজ ২৪ মে বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় এখন শোকের মাতম। মিজান হোসেন (১৪) ও মুন্না হোসেন (২৫) কে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
ভেড়ামারা থানা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার সময় ভেড়ামারা শহরে বোর্ড স্কুলের পাশে মাইক্রোবাস ষ্ট্যান্ডের সামনে মুন্নার বিসমিল্লাহ গ্যাসের দোকানে কাজ করার সময় গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে।
এ ঘটনায় শহরের কাচারী পাড়া এলাকার তাহাজ উদ্দিনের ছেলে সিয়াম হোসেনের (১১), কাচারী পাড়ার শাহীন হোসেনের ছেলে মিজান হোসেন (১৪) ও কলেজ পাড়া এলাকার কিসমত ড্রাইভারের ছেলে মুন্না হোসেন (২৫) আহত হয়। আহতদের কে প্রথমে ভেড়ামারা হাসপাতালে ভর্তি করলে তাদের আশংকা জনক হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সিয়াম হোসেনের অবস্থা আরো অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে বুধবার সাকালে মৃত্যু হয়েছে। মিজান হোসেন ও মুন্না হোসেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ভেড়ামারা শহরে বোর্ড স্কুলের পাশে মাইক্রোবাস ষ্ট্যান্ডের সামনে মুন্নার বিসমিল্লাহ গ্যাসের দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জন আহত। আহতদের মধ্যে সিয়াম হোসেন বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া, চৌকিঘাটা, চানপট্টি এবং তুজারপুর ইউনিয়নের বামনকান্দা গ্রামের বগাইল বিল, তুজারপুর গ্রামের তুজারপুর বিল ও চতলবিল এবং ভাঙ্গা পৌরসভার আতাদী এলাকার জলাশয় থেকে আজ ২৫ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় শতাধিক চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের চান্দেরকান্দি বিল থেকে ৫০টি চায়না দুয়ারি জল জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দেড় লক্ষাধিক টাকা।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাস, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবলা চক্রবর্তী প্রমুখ।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন বলেন, শুক্রবার ভাঙ্গার ঘারুয়া চৌকিঘাটা, চাঁনপট্টি, আতাদী, বগাইল, তুজারপুর ও চতলবিল থেকে ৩২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের শতাধিক চায়না দুয়ারি জাল এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে চুমুরদি ইউনিয়নের চান্দেরকান্দি বিল থেকে ৫০টি চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকায় “বাঘাবাড়ী গাওয়া ঘি” নাম দিয়ে ভেজাল ঘি উৎপাদন করায় কারখানার মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় জব্দকৃত প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের ভেজাল ঘি নষ্ট ধ্বংস করে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
আজ ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে পৌর এলাকার কলেজ পাড়া নামক স্থানে আসাদ মিয়ার ভাড়া দেওয়া বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ দিদার হোসেন। এসময় তার সাথে ছিলেন, শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমসহ আনসার সদস্যরা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, এনামুল হক গত কয়েক বছর ধরেই শ্রীপুরের বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে ভেজাল ঘি উৎপাদন করে আসছিলেন। সবশেষ শ্রীপুরের কলেজ পাড়া এলাকায় কারখানা গড়ে তোলে সে। মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে ওই ভাড়া বাড়িতে ভেজাল ঘি তৈরি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের জব্দকৃত ভেজাল ঘি ধ্বংস করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ দিদার হোসেন জানান, সয়াবিন, পাম অয়েল, পশুর চর্বি, ভেজিটেবল ফ্যাট, আলুর পেস্ট, রাসায়নিক দ্রব্য, রং ও ফ্লেভার মিশিয়ে ওই কারখানায় ভেজাল ঘি তৈরি হতো। প্রতিবছরই রোজা বা ঈদকে সামনে রেখে এ ভেজাল ব্যবসা জমজমাট হয়ে ওঠে। তাই ভোক্তা পর্যায়ে খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।