অনলাইন ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের এই দলে নেই কোনো চমক। যথারীতি বাবর আজমের নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ খেলবে পাকিস্তান। দলে আছেন অবসর ভেঙে ফেরা মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম।
এর আগে ২ মে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। এক বিজ্ঞপ্তিতে পিসিবি তখন জানিয়েছিল, এই ১৮ জন থেকে ৩ জন কমিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড সাজানো হবে।
১৮ সদস্যের দল থেকে বাদ পড়া তিনজন হাসান আলী, মোহাম্মদ ইরফান ও আগা সালমান। এর মধ্যে হাসানকে গত ২২ মে দল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সাইম আইয়ুব, আব্বাস আফ্রিদি, উসমান খান, আজম খান, আবরার আহমেদ-এই পাঁচজন এবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালের পর আমির এই প্রথম আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন। ইমাদ সর্বশেষ খেলেছেন ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দলের বাকি ৮ জন সর্বশেষ ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ ৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে পাকিস্তানের অন্য তিন প্রতিপক্ষ ভারত, কানাডা ও আয়ারল্যান্ড।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দল
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, উসমান খান, আজম খান, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ।
অনলাইন ডেস্ক :
১০৭ রানের লক্ষ্য পাড়ি দেওয়া খুব একটা কঠিন নয়। তবে শেষ দিনের প্রথম ঘণ্টায় কিউইদের জন্য আতঙ্কের নাম ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। মেঘলা কন্ডিশনে দারুণ বোলিং উপহার দেন তিনি। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জয়ের কাজটাও সহজ হতে থাকে নিউজিল্যান্ডের।
১৯৮৮ সালের পর এই প্রথম ভারতের মাটিতে টেস্ট জিতল নিউজিল্যান্ড। হলো ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান। আর তাতে মূল্যহীন হয়ে গেল সরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থের লড়াই। ঢাকা গেল না ৪৬ রানে অলআউটের লজ্জা। শেষ পর্যন্ত রোহিতদের ৮ উইকেটে হারাল নিউজিল্যান্ড। এর আগে ২০০৪ সালে ওয়াংখেড়েতে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়াকে ১০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েও ১৩ রানে হারিয়ে দিয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের ভারত। সাবেক কোচের সেই কীর্তি ছুঁতে পারলেন না রোহিত-কোহলিরা। এবার ২০ বছর আগের ইতিহাস ফেরাতে পারলেন না তারা।
নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্টে ৮ উইকেটে হেরে গেল ভারত। টেস্টের শেষ দিন জয়ের জন্য টম লাথামদের দরকার ছিল ১০৭ রান। রোহিতদের প্রয়োজন ছিল ১০ উইকেট। ২ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় ১১০ রান তুলে নিলেন কিউইরা।
প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অলআউট হয়ে পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছিল ভারত। রোহিত স্বীকার করে নিয়েছিলেন উইকেট বুঝতে তার ভুল হয়েছিল। সেই ভুলের মাসুল দিল ভারতীয় দল। নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্ট হেরে গেলেন রোহিতরা। ৩৬ বছর পর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্ট হারল ভারত।
শনিবার ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ৪৬২ রানে শেষ হওয়ার পর শেষ দিন জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১০৭ রান। দিনের দ্বিতীয় বলেই সফরকারী দলের অধিনায়ক টম লাথামকে (শূন্য) আউট করেন যাসপ্রিত বুমরাহ। দিনের শুরুতে উইকেট পেয়েও চাপ ধরে রাখতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। নিউজিল্যান্ডের অপর ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং তিন নম্বরে নামা উইল ইয়াং সাবলীলভাবে এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। ইনিংসের ১৩তম ওভারে কনওয়েকে (১৭) আউট করে প্রতিপক্ষ শিবিরে আবার আঘাত হানেন বুমরাহ। তাতেও লাভ হয়নি। রাচিন রবীন্দ্র জুটি বাঁধেন ইয়ংয়ের সঙ্গে। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তারা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। সাবলীলভাবে দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তারা।
মোহাম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেননি। তবু কিছুটা বিস্ময়করভাবে দলের দুই প্রধান স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ যাদবকে প্রথম দেড় ঘণ্টায় আক্রমণেই আনলেন না রোহিত। স্পিনের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব ব্যাটারেরই দুর্বলতা রয়েছে। তাও রোহিত কুলদীপকে প্রথম আক্রমণে আনেন ইনিংসের ১৯তম ওভারে। ততক্ষণে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ২২ গজের সঙ্গে মানিয়ে নেন ইয়ং ও রাচিন। ফলে কুলদীপও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে সিরিচের প্রথম টেস্টে দলকে জেতালেন দুই কিউই ব্যাটার। রাচিন ব্যাট করলেন ওয়ানডে মেজাজে। নিউজিল্যান্ড যখন জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে, তখন অশ্বিনকে প্রথমবার আক্রমণে আনলেন রোহিত।
শেষ পর্যন্ত ইয়ং ৪৮ ও রাচিন ৩৯ রানে অপরাজিত থাকলেন। ভারতের পক্ষে উইকেট পেলেন শুধু বুমরাহ। তিনি ২৯ রান খরচ করে ২ উইকেট নিলেন। প্রথম টেস্ট হেরে তিন টেস্টের সিরিজ়ে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল ভারত।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ত টেস্ট মৌসুম শুরু হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নাজমুল হোসেনরা ৮টি টেস্ট খেলবেন। ব্যস্ত সূচিকে সামনে রেখে গত ২৫ মে থেকেই সিলেট ও চট্টগ্রামে বিশেষ ক্যাম্প করে প্রস্তুতি নিয়েছেন টেস্ট দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ফেরা ক্রিকেটারদের কয়েকজনও সে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন।
সাকিব আল হাসান এ সময়টায় ব্যস্ত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ টি-টোয়েন্টি ও পরে খেলেছেন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। কানাডা থেকেই পাকিস্তানে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা সাকিবের। ফিটনেস ও লাল বলে অনুশীলন না থাকার পরও সাকিবকে পাকিস্তান সফরের দলে নেওয়ার পেছনে বেশ কিছু যুক্তি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘কিছু ব্যতিক্রম খেলোয়াড় তো থাকে। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে হলে বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে হবে। আমরা অনেককে এনওসি দিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত ভিসার কারণে সাইফউদ্দিন ও রিশাদ যেতে পারেনি। আর সব সময় আপনি সবাইকে অনুশীলনে পাবেন, সেটা সম্ভব হবে না। তাদের ব্যস্ততা ক্রিকেট নিয়েই ছিল।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, ‘সে তার পারফরম্যান্সের আলোকেই যাচ্ছে। পারফরম্যান্স দিয়ে সাকিব নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে, বিভিন্ন সংস্করণের ক্রিকেট, পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড…সবকিছু মিলিয়েই যাচ্ছে।’ গত বছর থেকে চোখের সমস্যায় ভোগা সাকিবের ব্যাটিংয়ের ছন্দ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গাজী আশরাফ হোসেন অবশ্য সাকিবের অলরাউন্ড সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন, ‘আমাদের চিকিৎসক দল থেকে এমন কিছু শুনিনি। বিশ্ব যেমন স্বীকার করছে, সে ওয়ান অব দ্য বেস্ট অলরাউন্ডার, গত ২৫ বছরে। আমি সেই মতামতের সঙ্গেই যাচ্ছি। শুধু বোলার হিসেবে ধরব, সেই দুঃসাহস আমার নেই।’
শুধু পাকিস্তান সিরিজ নয়, এ বছর বাংলাদেশ দলের ৮টি টেস্টই সাকিব খেলবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। তাঁর কথা, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় তার কাছে আমরা সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলাম। আমাদের অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ আছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত আটটা টেস্ট খেলব। সেখানে সে আমাদের আশ্বস্ত করেছে, সবগুলো টেস্ট খেলবে। প্রত্যেকটা সিরিজের আগে সব অনুশীলন সেশনে থাকবে।’
মাঠের ক্রিকেটের বাইরেও সাকিবকে নিয়ে আছে অন্য দুশ্চিন্তা। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সংসদও ভেঙে দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীই এখন দেশে প্রকাশ্যে নেই। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাকিবের নিরাপত্তা নিয়েও একটা শঙ্কা থাকে।
এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন গাজী আশরাফ হোসেনও, ‘অনুশীলন সেশনে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়, কোচের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এটা অবশ্যই পরিস্থিতির আলোকে দেশকে নিশ্চিত করতেই হবে। কারণ, সাকিব আল হাসান নিশ্চিতভাবেই দেশের শীর্ষ খেলোয়াড়। এখানে নির্বাচনের (দলে রাখা) ক্ষেত্রে অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন। কারণ, সে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আমরা সেটা নিয়ে ভেবেছি। কিন্তু তার নির্বাচনটা হয়েছে মেধার ভিত্তিতে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই এটা হয়। আগামীতেও মেধাটাকেই গুরুত্ব দেব।’
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগাং কিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালে উঠলো ফরচুন বরিশাল। ১৪৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১৭.২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তামিম ইকবালের দল। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ ওভার ৩ বলে দলীয় ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারায় চিটাগাং। কাইল মায়ার্সের করা ইনিংসের প্রথম বলে ৪ মারার পর দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হন পাকিস্তানি ব্যাটার খাওয়াজা নাফে। তৃতীয় ওভারে গ্রাহাম ক্লার্ককেও ফেরান মায়ার্স। চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ আলীর শিকার হয়ে আউট হন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন। ক্রিজে থিতু হতে পারেননি হায়দার আলীও। ৭ রান করে ফেরেন ইবাদত হোসেনের বলে।
শুরুর সেই বিপর্যয়ের পর দ্রুতই হাল ধরেন পারভেজ হোসেন ইমন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। পঞ্চম উইকেটে ৪৮ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা। চতুর্দশ ওভারে রিশাদ হোসেনের শিকার হয়ে ইমন ফিরলে ভাঙে সে জুটি। ৩৬ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়েছেন ইমন।
ইমনের বিদায়ের পর একাই লড়াই করেছেন শামীম। দলীয় ১৪৪ রানে মোহাম্মদ আলীর বলে রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে ইবাদত হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। প্যাভিলিয়নে ফেরত যাওয়ার আগে ৪ ছক্কা ও ৯ চারে ৪৭ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে গেছেন তিনি। চিটাগাং কিংসের হয়ে এদিন ৫ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আলী। এর চারটি উইকেট নিয়েছেন ১৯তম ওভারে। দুই উইকেট পেয়েছেন কাইল মায়ার্স। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ইবাদত হোসেন ও রিশাদ হোসেন।
জবাবে খেলতে নেমে ভালোভাবেই শুরু করে বরিশাল। দলীয় ৫৫ রানে তামিমের উইকেটের পতন হয়। তিনি ২৯ রানে আউট হন। পরে বাকি পথ ডেভিড মালানকে নিয়ে পারি দেন আরেক ওপেনার তাওহীদ হৃদয়। ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর মালান ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্ক আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করলো । এবারের ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তারা। এবারের ইউরোর ম্যাচ গুলোতে খালাপ খেললেও পরের দিকে বেশ ভালো করে তারা।
গতকাল রাতে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার রাতে তারা ২-১ গোলে জিতে গেছে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তথাকথিত বড় দলের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণ প্রতি-আক্রমণ হয় অস্ট্রিয়া বনাম তুরস্ক ম্যাচ।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডে এগিয়ে যায় তুরস্ক। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ায় তারা। দু’টি গোলই করেন দলের ডিফেন্ডার মেরি ডেমিরাল। তবে লড়াই ছাড়েনি অস্ট্রিয়া। এক গোল শোধ করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয় গোল আর করতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তুরস্কের মরিয়া ডিফেন্স গোলের মুখ খুলতে দেয়নি। ৯০ মিনিটের টান টান খেলা শেষে হার মানে অস্ট্রিয়া। আট নম্বর তথা শেষ দল হিসেবে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় তুরস্ক। শেষ আটে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলবে তারা।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় অস্ট্রিয়াকে ধাক্কা দেয় তুরস্ক। নিরীহ কর্নার বার করতে গিয়ে গোলমাল করে ফেলেন অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডারেরা। বাউমগার্টনার ও পশের ভুল বোঝাবুঝির ফায়দা তোলে তুরস্ক। গোলরক্ষক পেন্টজ কোনো রকমে বল বের করলেও ফিরতি বলে গোল করে তুরস্ককে এগিয়ে দেন মেরি ডেমিরাল। ইউরোর ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল করলেন তিনি।
পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় অস্ট্রিয়া। বাউমগার্টনার পায়ে বল লাগাতে পারেননি। পোস্টের পাস দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। খাতায়-কলমে খুব বড় দল না হলেও দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল। অস্ট্রিয়া থ্রু বলের উপর বেশি নির্ভর করছিল। তুরস্কের আক্রমণ হচ্ছিল প্রান্ত ধরে।
দু’দলই বেশ কয়েকবার বিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়লেও গোল করতে পারেনি। তবে প্রথমার্ধ জুড়ে ওপেন ফুটবল হয়েছে। দু’দলই গোল করার চেষ্টা করেছে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষে একটি ভাল সুযোগ পান সাবিৎজার। গোল করতে পারেননি তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় তুরস্ক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কয়েকটি পরিবর্তন করেন অস্ট্রিয়ার কোচ। ফলে খেলার ধরন বদলে যায় তাদের। থ্রু বলের বদলে প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। ৫১ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ পান আরনাউটোভিচ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার গায়ে মারেন তিনি। পরের মিনিটেই লাইমার একক দক্ষতায় বক্সে ঢোকেন। তার বাঁ পায়ের শট পোস্টের পাস দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিট আবার সুযোগ নষ্ট অস্ট্রিয়ার। এবার বক্সে ঢুকে শট মারেন পশ। কিন্তু ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল বেরিয়ে যায়। একের পর এক আক্রমণে পুরোপুরি চাপে পড়ে যায় তুরস্কের রক্ষণ।
এত সুযোগ পেয়েও গোলের মুখ খুলতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তার খেসারত দিতে হয় তাদের। ধাক্কা সামলে ১০ মিনিট পর থেকে খেলায় ফিরতে শুরু করে তুরস্ক। ৫৯ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় তারা। সেই কর্নার থেকে হেডে আবার গোল করেন ডেমিরাল। দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে লাফিয়ে গোল করেন তিনি। সেট পিস কাজে লাগালে চাপের মাঝেও কিভাবে খেলায় ফেরা যায় তা দেখাল তুরস্ক।
দু’গোলে পিছিয়ে পড়ায় পুরোপুরি ওপেন ফুটবল খেলতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। হতাশ হয়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে যে ফুটবল খেলছিল সেটাই খেলতে থাকে। আক্রমণাত্মক ফুটবল কাজে দেয়। ৬৬ মিনিটের মাথায় এক গোল শোধ করেন মাইকেল গ্রেগরিচ। কর্নার থেকে সতীর্থের করা হেড কাজে লাগিয়ে গোল করেন তিনি। দু’মিনিট পরে আবার বক্সে অরক্ষিত জায়গা থেকে হেড করেন গ্রেগরিচ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বল সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে যায়।
গোল করে ইংল্যান্ডের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা বেলিংহ্যামকে বাঁচাতে আসরে নামতে হলো পুলিশকে দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরো খেলা তুরস্কের বক্সের বাইরে হয়। তুরস্কের সবাই রক্ষণে নেমে যায়। ফলে অস্ট্রিয়ার পায়েই বলের সিংহভাগ দখল ছিল। দুই প্রান্ত ধরে বার বার আক্রমণের চেষ্টা করছিলেন সাবিৎজারেরা। কিন্তু তুরস্কের মরিয়া রক্ষণ গোলের মুখ খুলতে দিচ্ছিল না। বক্সের বাইরে পায়ের জঙ্গলের মাঝখান থেকে গোল করতে পারছিল না অস্ট্রিয়া।
যত সময় গড়াচ্ছিল, তত ছটফট করছিলেন অস্ট্রিয়ার ফুটবলারেরা। সবই করছিলেন, কিন্তু গোলটাই খালি করতে পারছিলেন না তারা। খেলার শেষ মিনিটে বাউমগার্টনারের হেড কোনো রকমে বাঁচান গুনক। নইলে খেলা গড়াত অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলে হেরে বিদায় নিতে হো অস্ট্রিয়াকে। ইউরোর শেষ আটে জায়গা করে নেয় তুরস্ক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলায় ছিল ক্রীড়ামোদী উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভীড়। গতকাল ১ মে শনিবার বিকালে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে উক্ত লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সাদা ধুতি কাপড় পড়ে ভিন্ন রকম সাজে সজ্জিত হয়ে ঢোলের তালে তালে হেলে দোলে ও নেচে গেয়ে লাঠি খেলার মনোমুগ্ধকর নানা কসরত প্রদর্শন করেন লাঠি খেলোয়ারগণ। বিভিন্ন এলাকার ৭ টি টিম উক্ত লাঠি খেলায় অংশগ্রহন করেন। এ সময় উৎসব মুখর পরিবেশে খেলা উপভোগ করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার উৎসুক লোকজন।
সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিন সুরুজের সভাপতিত্বে লাঠি খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শের আলম মিয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু।
খেলার বাড়তি আকর্ষণ ছিল সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিন সুরুজ এর মধ্যকার লাঠি খেলা।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই লাঠি খেলা এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে হলেও মাঝে মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ঢোলের শব্দের তালে তালে এই খেলা অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায় যা ক্রীড়ামোদী মানুষকে বিশেষ আনন্দ প্রদান করে বলে স্থানীয় লোকজনের ধারনা।