চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় আগামীকাল রবিবার অনুষ্ঠিত হবে স্থগিত হওয়া কুটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। ১১টি কেন্দ্রে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। আজ ২৫ মে শনিবার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নির্বাচনি সরঞ্জামাদি নিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। ১১টি কেন্দ্রকেই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ দায়িত্ব পালন করবেন তিন শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। বিপত্তি বাধে ইউসুফ আহম্মেদ নামে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট পেপারে প্রতীক ভুল ছাপা নিয়ে। তিনি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার প্রতীক ভুল ছাপা দেখতে পেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন তাকে প্রতীক দেওয়া হয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। কিন্তু ব্যালটে ছাপা হয়েছে প্যাডেল রিকশা প্রতীক।
অভিযোগের ভিত্তিতে দুপুর আড়াইটার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কুটি ইউনিয়ন পরিষদের শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়নি। ওই দুই পদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এতে নয়জন ইউপি সদস্য এবং তিনজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হয়।
গত ৭ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে কসবার কুটি ইউপি চেয়ারম্যান পদের স্থগিতকৃত নির্বাচনের পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন-মো. নজরুল ইসলাম, মো. মোস্তাক আহাম্মদ, মো. ফারুক ইসলাম, মো. শরীফ সরকার, ইউসুফ আহমাদ, মো, সানু মিয়া, মো. শাহজাহান ভূইয়া, মো. আফতাব উদ্দিন নাছির ও মো. জাকির হোসেন।
কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদের স্থগিত হওয়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রত্যেকটিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে আমরা কাজ করছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, তিন শতাধিক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় পিকআপভ্যানের চাপায় আলী হোসেন (৬০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
আজ ১০ জুন সোমবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের খাড়েরা বাসস্ট্যান্ডের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলী হোসেন খাড়েরা এলাকার মৃত হাফেজ আহমেদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দুধ বিক্রেতা ছিলেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, পিকআপভ্যানটি আখাউড়া তন্তর বাজার থেকে মাছ বিক্রি করে ফেরার সময় ওই মহাসড়কের পাশে পথচারী আলী হোসেনকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পিকআপভ্যানটিকে জব্দ করা হলে চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও ওসি জানিয়েছেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারকালে অভিযান চালিয়ে এক হাজার ৫০ কেজি ইলিশ জব্দ করেছে সেনাবাহিনী।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের আদ্রা এলাকা থেকে একটি পিকআপভ্যানসহ এই মাছ জব্দ করা হয়।
এ সময় পাচারে অভিযুক্ত সারোয়ার আলম (২৭) নামে একজনকে আটক করে সেনাবাহিনী।
আটককৃত সারোয়ার আলম উপজেলার আদ্রা গ্রামের শহিদ ভূঁইয়ার ছেলে।
জানা যায়, সোমবার বিকেলে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের আদ্রা নামক গ্রামের ভেতর দিয়ে একটি পিকআপভ্যানে করে ইলিশ ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১২ বীর’র ক্যাপ্টেন সানিউল আলম। এ ব্যাপারে ক্যাপ্টেন সানিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, পাচারের উদ্দেশ্যে পিকআপে করে ইলিশ নিয়ে যাচ্ছে একটি চোরাই চক্র।এমন সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পিকআপ ভর্তি ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে পাচারকারীকে খুঁজে বের করে আটক করা হয়।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে কসবার ইউএনও মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার জানান, সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে এক হাজার ৫০ কেজি ইলিশ, একটি পিকআপভ্যান জব্দ ও একজনকে আটক করেছে। এ বিষয়ে কসবা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখা যায় না। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এই পাকিস্তান রাষ্ট্রের মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তি আসবে না। তাই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং জীবনের ১৩ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি কখনও পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপোস করেননি। ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানিরা নিরীহ বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা করলে তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোর রাতে স্বাধীনতার ডাক দেন।
গতকাল বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান স্বপন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতি তার ডাকে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে হত্যা করতে চেয়েও পাকিস্তানিরা বিশ্ববাসীর চাপে করতে পারেনি। পরে স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে তাকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। তারা বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল দেশটাকে আবারও পাকিস্তান বানানোর জন্য। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুরকন্যা দেশটাকে টেনে তুলে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার পথকে ত্বরান্বিত করবেন।
তিনি বলেন, আমি কসবা আখাউড়ায় বহু উন্নয়ন কাজ করেছি। প্রায় আড়াইহাজার বেকার তরুণ-তরুণীকে চাকরি দিয়েছি। তাই আপনাদের সন্তান হিসেবে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে থাকতে চাই।
কুটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাক আহম্মদের পরিচালনায় শোকসভায় আরও বক্তব্য রাখেন- কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এম জি হাক্কানী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, কাজী আজহারুল ইসলাম, এমরান উদ্দিন জুয়েল, মনির হোসেন, শামিম আহম্মেদ, বাহাদুর আলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নিমবাড়ী গ্রামের রহিজ মিয়া (৩৮) হত্যাকান্ডের রায়ে আসামী জজ মিয়াকে মৃত্যুদন্ডাদেশ ও একলাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। রায়ে অপর চার ভাইসহ ৭ আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। মামলার রায়ে বাকি ৯জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। আজ ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-প্রথম আদালতের বিচারক আয়েশা আক্তার সুমি এই রায় প্রদান করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামী জমসিদ মিয়ার সাথে একই এলাকার রহিজ মিয়া এবং তার চাচা নাবালক মিয়ার জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জের ধরে গত ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে কসবা উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামের রহিজ মিয়া এবং তার চাচা নাবালক মিয়া স্থানীয় বাদৈর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিমবাড়ি গ্রামের জমসিদ মিয়ার বাড়ির কাছে পৌছলে, সেখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা জমসিদ মিয়া এবং তার ছেলে নাতিরা মিলে রহিজ মিয়া এবং নাবালক মিয়ার উপর অর্তকিত হামলা করে। এতে উভয়েই গুরুতর আহত হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে ওইদিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিজ মিয়া মারা যান।
এ ঘটনায় রহিজ মিয়ার স্ত্রী নার্গিস বেগম বাদি হয়ে ওইদিন রাতেই জমসিদ মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলাটি প্রথমে কসবা থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক এস.আই মুজিবুর রহমান ও পরে রতন দেবনাথ মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্ত ও পর্যালোচনা, বিচার বিশ্লেষন করে সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ- প্রথম আদালতের বিচারক আয়েশা আক্তার সুমি মামলার ২নং আসামী জজ মিয়াকে পেনাল কোডের ৩০২ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদন্ড ও একলাখ টাকা জরিমানা করেন। দন্ডিত আসামী পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে ও গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দেন আদালত।
এই মামলায় অপর ১৬ আসামীর মধ্যে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। মামলার রায়ে জমসিদ মিয়ার অপর ছেলে খোকন মিয়াকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। পাশাপাশি জমসিদ মিয়ার ছেলে ইয়াছিন মিয়া, পারভেজ মিয়া, মনির মিয়া এবং স্থানীয় আওয়াল মিয়া, তার ছেলে আশরাফুলকে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মোঃ ইয়াছিন মিয়া, মোঃ খোকন মিয়া ও মোঃ আশরাফুল উপস্থিত ছিলেন। বাকীরা পলাতক রয়েছেন।
এদিকে এই মামলায় অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় ৯ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এরা হলেন, জমসিদ মিয়া, আকবর মিয়া, ছোট মিয়া, রুবেল মিয়া, সাদের মিয়া, আবদুল আজিজ, ফরকান মিয়া, নিজাম মিয়া ও ফরিদ মিয়া।