চলারপথে রিপোর্ট :
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর তত্ত্বাবধানে MIPS প্রকল্পের অধিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, গণমাধ্যম কর্মী, সিভিল সোসাইটি ও ধর্মীয় নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত Peace Facilitator Group (PFG) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদস্যদের তিন দিনব্যাপী বেসিক প্রশিক্ষণ ২৩-২৫ মে ২০২৪, সিলেটে হোটেল ব্রিটানিয়াতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশিক্ষণে সহিংসতা ও দ্বন্দ্ব নিরসনের রূপরেখার উপর প্রশিক্ষকরা বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ ফেসিলেট করেন হাঙ্গার প্রজেক্টের উত্তম সরকার, তুহিন আফসারী, মনির হোসেন। প্রশিক্ষণে এম্বাসেডর হিসেবে মহসিন মিয়া, এ বি এম মোমিনুল হক, এস এম শাহীন ও রুমানুল ফেরদৌসী সহ ৩০ জন অংশ গ্রহণ করে।
প্রশিক্ষণ সমাপনীতে পিএফজি সদস্যরা নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
সিলেট রিজিয়ন কো অর্ডিনেটর আকলিমা চৌধুরী ও পিএফজি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কো অর্ডিনেটর নীহার রঞ্জন সরকার প্রশিক্ষণের সমন্বয় করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আনিছুর রহমান নিজের কিডনি বিক্রি করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে গড়ে তোলেন কিডনি কেনাবেচা চক্র। বিত্তবান কিডনি গ্রহীতার কাছ থেকে কিডনি প্রতি ৫০ লাখ টাকা চুক্তি করলেও ভুক্তভোগীকে দেওয়া হতো পাঁচ লাখ টাকা। বাকি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতেন তারা। চক্রটি অবৈধ উপায়ে অর্ধশতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কিডনি নিয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ভাটারা, বাড্ডা, বনানী ও মহাখালী এলাকা থেকে ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব–১।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন– চক্রের মূলহোতা আনিছুর রহমান ও তার চার সহযোগী আরিফুল ইসলাম রাজিব, সালাউদ্দিন তুহিন, সাইফুল ইসলাম ও এনামুল হোসেন। তাদের কাছ থেকে অঙ্গিকারনামা ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে করা চুক্তির এফিডেভিট কপি উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. মোস্তাক আহমেদ।
তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে টার্গেট করে প্রতারণার ফাঁদ পাতে চক্রের সদস্যরা। কখনও তারা বলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে একটির বেশি কিডনি দরকার নেই। কখনও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে চিকিৎসার খরচ দেওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী দেশে নিয়ে যেতেন। টাকার লোভে কিডনি হারিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পরে অসহায় মানুষগুলো।
মোস্তাক আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য ভুয়া কাগজপত্রে ভারতে গিয়ে প্রতারিত হন টাঙ্গাইলের আনিছুর। অর্থের বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন। তবে সেখানে কিডনি প্রতিস্থাপনের রোগীদের ব্যাপক চাহিদা দেখে প্রলুব্ধ হন তিনি। পরে দেশে ফিরে নিজেই কিডনি বেচাকেনার অবৈধ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। সেখানে ভারতে অবস্থানরত কিডনি কেনাবেচা চক্রের সহযোগিতায় একটি দালাল চক্র গড়ে তোলেন। অনলাইনে বিত্তশালী কিডনি রোগী এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে কিডনি ডোনার সংগ্রহ করে বৈধ ও অবৈধভাবে বিমানে বা স্থলপথে ভারতে পাঠাতেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, জীবন বাঁচাতে কিডনি ক্রেতারা ৪৫-৫০ লাখ টাকা খরচ করেন। এই টাকার থেকে চার–পাঁচ লাখ টাকা পান ডোনার। আর দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় দালাল, অসাধু ট্রাভেল এজেন্টসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যরা ৫-১০ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। বাকি প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিদেশে অবস্থানরত কিডনি পাচার সিন্ডিকেটের মধ্যে ভাগ হয়।
‘চক্রটি চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। প্রথম গ্রুপ বিদেশে অবস্থান করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রয়োজন এমন বিত্তশালী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। দ্বিতীয় গ্রুপ দেশে থাকা মূলহোতা আনিছ ঢাকায় বসে বিদেশে ডোনার পাঠানোর বিষয় তদারকি করে।’
র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, চক্রের তৃতীয় দলটির সদস্য আরিফ এবং তুহিন প্রথম দলের চাহিদা মোতাবেক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব ও অভাবী মানুষদের চিহ্নিত করে এবং তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশনের জন্য ডোনার হাতে প্রলুব্ধ করে নিয়ে আসতেন। চতুর্থ গ্রুপটির হোতা ‘সাহেবানা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’ এর মালিক সাইফুল ইসলাম ভুক্তভোগী কিডনি ডোনারদের পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিংসহ ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন।
সম্প্রতি সরকারি একটি স্বনামধন্য হাসপাতালে দেশের প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রতারণার বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে। এই প্রতারণার সঙ্গে এই চক্রটি জড়িত কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, না..। তাদের জড়িত থাকার এমন কোনো তথ্য পায়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
মানুষের চোখের অন্ধত্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে গ্লকোমা। তবে গ্লকোমা কোনো একটি মাত্র অসুখ নয়। এটি আসলে চোখের অনেক সমস্যার একটি সমষ্টি। যার ফলে চোখের মধ্যে থাকা এবং দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ মুহূর্তে দেশে গ্লকোমা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৫০ হাজার। গ্লকোমা সাধারণত দুই চোখে একসঙ্গে হয়।
উপসর্গ
রোগটির প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন উপসর্গ না থাকায় রোগী বুঝতে পারেন না যে তিনি ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার পরে রোগীরা বুঝতে পারেন।
এই রোগের প্রথম উপসর্গটি হলো পার্শ্ববর্তী দৃষ্টি প্রায় হারিয়ে ফেলা। এ ছাড়া—
✍ঘন ঘন চশমার গ্লাস পরিবর্তন হওয়া।
✍ চোখে ঝাপসা দেখা বা আলোর চারপাশে রংধনুর মতো দেখা।
✍ ঘন ঘন মাথা ব্যথা বা চোখে ব্যথা হওয়া।
✍ দৃষ্টিশক্তি কমে আসা বা দৃষ্টির পারিপার্শ্বিক ব্যপ্তি কমে আসা।
✍ কম আলোতে কাজ করলে চোখে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
✍ চোখে লাল ভাব।
✍ বমি বমি ভাব এবং বমি করা।
কারণ
এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও চোখের উচ্চচাপ এই রোগের প্রধান কারণ বলে ধরে নেওয়া হয়।
তবে চোখের স্বাভাবিক চাপেও কিন্তু এই রোগ হতে পারে। পরিবারের অন্য কোনো নিকট আত্মীয় যেমন মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, চাচা, মামা, খালা বা ফুপুর এই রোগ থাকলে, চল্লিশের বেশি বয়স হলে কিংবা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, স্টেরয়েড নামক ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করলে, চোখে ছানি অপারেশন না করলে বা করতে দেরি হলে অথবা জন্মগত চোখে ত্রুটি থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
চিকিৎসা
✍ চোখে ড্রপ ব্যবহার করা।
✍ মুখে ওষুধ সেবন করা।
✍ লেজার থেরাপি।
✍ সার্জারি।
প্রতিরোধ
✍ নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করুন।
✍ আপনার পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে জানুন। যাঁদের বয়স ৪০ বছরের বেশি এবং যাঁদের গ্লকোমার পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাঁদের প্রতি এক থেকে দুই বছর অন্তর চক্ষু বিশেষজ্ঞের দ্বারা চোখ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
✍ জিংক, কপার, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন এ, ই, সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন : শাক-সবজি।
✍ কফি পানের পরিমাণ কমাতে হবে।
✍ একবারই বেশি করে পানি খাওয়া যাবে না বরং অল্প পরিমাণ পানি বারবার খেতে হবে।
✍ শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
✍ চোখের প্রেসার বেশি থাকলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
মনে রাখবেন, গ্লকোমার কোনো প্রতিকার নেই, প্রতিরোধই একমাত্র উপায়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দু’দেশের আরও উন্নয়ন।
চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী সান ওয়েইডং রোববার গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
চীনের মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও হাই-টেক সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী। এখানে আরও সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।
চীনের উপমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি বাংলাদেশ সফর করলেও এবার তিনি বাংলাদেশকে অনেক বেশি উন্নত দেশ হিসেবে দেখেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তাঁর ব্যক্তিগত শুভেচ্ছাও জানান। তিনি বলেন, প্রায় ৬ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনা করছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই কভিড মহামারি চলাকালে দেশে ফিরে এসেছে। শেখ হাসিনা মহামারির পরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চীনে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় অ্যাম্বাসাডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের আকাশে আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে। সে হিসেবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ সফর ১৪৪৬ হিজরি, ২০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
এমতাবস্থায়, আগামীকাল ২১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার থেকে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আ. রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবিয়া আক্তার মুমুকে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন বাবা মোহাম্মদ লোকমান। ফেরার পথে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইমামনগর স্কুলের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরেকটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়।
এসময় প্রাইভেটকারটি লোকমানের মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ দুর্ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার।
বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জানে আলম বলেন, নিহত লোকমানের মেয়ে সাবিয়া আক্তার মুমু চলতি বছর ভাটিয়ারীর সাজেদা আলম বিদ্যানিকেতন থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। ফৌজদারহাট কেএম হাই স্কুল কেন্দ্রে তার পরীক্ষা হচ্ছে। মঙ্গলবার তার বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা ছিল। লোকমান মেয়েকে মোটর সাইকেলে কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। পরে তিনি বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ভাটিয়ারী ইমামনগর স্কুলের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে লোকমান গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।