চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টাকালে আরাফাত ভূইয়া (১৯) নামে এক যুবককে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ২৬ মে রবিবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. রাহাতুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের ৪০নং বাইসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাকে ৫দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত আরাফাত ভূঁইয়া উপজেলার কুটি গ্রামের বাসিন্দা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. রাহাতুল ইসলাম জানান, দুপুরে কুটি ইউনিয়নের ৪০ নং বাইসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টাকালে আরাফাত ভূঁইয়াকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১-চ ধারায় আরাফাত ভূঁইয়াকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল রবিবার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সকাল ৮টা থেকে ১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আহমেদ দেখতে পান ব্যালট পেপারে তার প্রতীক অটোরিকশার বদলে প্যাডেল চালিত তিন চাকার রিকশা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে তার ভোটারা বিব্রত হচ্ছিলেন। পরে দুপুর ১টার দিকে তিনি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগের বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করলে সেখান থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান। রবিবার স্থগিত হওয়া চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় কৃষি জমির পত্তনের পাওনা ১ হাজার টাকা দিতে না পারায় মুসা মিয়া (৩৪) নামে এক কৃষককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে জমির মালিকের ছেলে রুহুল আমিন। আজ ৩০ মার্চ শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের দক্ষিনখার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুসা মিয়া দক্ষিনখার গ্রামের মৃত জজু মিয়ার ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। ওই প্রান্তিক কৃষকের মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। হত্যাকারী রুহুল আমিন একই গ্রামের মৃত তৌহিদ মিয়া পুত্র । ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত রুহুল আমিন।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ বছর ধরে দরিদ্র পরিবারের সন্তান প্রান্তিক কৃষক মুসা মিয়া একই গ্রামের তৌহিদ মিয়ার জমি পত্তন নিয়ে চাষাবাদ করে আসছিলো। প্রতি বছরই জমি পত্তনের টাকা যথাসময়ে পরিশোধ করে আসছিলো। এ বছর পত্তনের তিন হাজার টাকার মধ্যে ২ হাজার টাকা কিছুদিন আগে পরিশোধ করেছিলো মুসা মিয়া। অবশিষ্ট পাওনা ছিলো ১ হাজার টাকা। ওই ১ হাজার টাকা শনিবার পরিশোধ করার কথা ছিলো।
সকালে ঘটনার সময় রুহুল আমিনদের কাছ থেকে পত্তন নেয়া জমিতেই কাজ করছিলো মুসা মিয়া। সকালে টাকা আনতে গিয়ে বাড়িতে না পেয়ে জমিতে যায় রুহুল আমিন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল আমিনের সাথে থাকা একটি ছুরি দিয়ে কৃষক মুসা মিয়াকে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে। এসময় মুসা মিয়ার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ও বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ জানান, জমির টাকা নিয়ে ছুরিকাঘাতে কৃষক নিহতের ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
আজ ২৮ জুন শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নয়নপুর-কসবা আঞ্চলিক সড়কের টি আলীর মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে অটোরিকশাটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।
তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জানা যায়, দুপুরে উপজেলার নয়নপুর থেকে থেকে চারজন যাত্রী নিয়ে কসবার দিকে যাচ্ছিল অটোরিকশাটি। পথিমধ্যে টি আলীর মোড় এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ অটোরিকশায় বিকট শব্দ হয়। পরে অটোরিকশায় থাকা চালকসহ যাত্রীরা দ্রুত নেমে যান। এর অল্প সময় পরেই অটোরিকশায় আগুন লেগে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ওসি রাজু আহম্মেদ জানান, অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডারটি লিক করে থাকতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় নাছিমা আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ১২ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের একটি ব্রীজের নীচ থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। নাছিমা আক্তার মুলগ্রাম ইউনিয়নের নিবড়া গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের পরিবারের দাবি, তার স্বামী হত্যা করে ব্রীজের নীচে ফেলে দিয়ে গেছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নিহতের বড় বোন জামিয়া বেগম জানান, নাছিমার স্বামীর বাড়ি সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে। প্রায় দুই যুগ আগে তার বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে স্বামীর পরকীয়ার বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যতা চলে আসছিলো। স্বামীর সাথে বনিবনা না হলে বাবার বাড়িতে না গিয়ে অধিকাংশ সময় আমার বাড়িতেই থাকতো। জামিয়া বেগমের বাড়ি আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে। শুক্রবার তার বাড়িতে নাছিমার স্বামী লিটন আসে । এখানেও স্বামী-স্ত্রীর তর্কের এক পর্যায়ে নাছিমা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষন পর তার স্বামী লিটন মিয়াও বেরিয়ে চলে যায়। এরপর কেউই ফিরে আসেনি। সকালে লোকজনের মুখে শুনে গিয়ে দেখতে পান মুলগ্রাম ব্রীজের নীচে পড়ে আছে ফাঁস লাগানো তার বোনের লাশ। তাদের সন্দেহ পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের কারনে তার স্বামী তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ব্রীজের নীচে ফেলে চলে গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে তিনিও ঘটনাস্থলে গিয়ে তার গ্রামেরই নাছিমা আক্তারের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানায় খবর দেন।
নাছিমার স্বামী লিটন মিয়া জানান, তার বোনের বাড়িতে তাকে আনার জন্য গিয়েছিলাম। তার বড় বোন আমার সাথে আসতে বলায় রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর আমিও আমার বাড়িতে চলে আসি। সকালে শুনেছি সে মারা গেছে। কিভাবে কি হয়েছে আমি কিছুই জানিনা। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে তারা।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহাম্মদ জানান, একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইননুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
খালেদা জিয়াকে আগের মতো কারাদণ্ড স্থগিত রেখে আবারও শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় এক সভায় তিনি এ কথা জানান।
আনিসুল হক বলেন, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার জামিনের ছয় মাসের মেয়াদ শেষ হবে। তাকে আগের মতো কারাদণ্ড স্থগিত রেখে আবারও শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি না নিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সরকারের পদে থেকে সরকার সম্পর্কে মিথ্যাচার করেছেন। সর্বশেষ তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলকে না জানিয়ে অপবাদ দিয়েছেন। সেই দোষে তিনি দোষী। আমরা তিন দিন অপেক্ষা করেছি, তিনি পদত্যাগ করেননি। সেজন্য তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলমান বন্যায় ৪ উপজেলার ৮৬০টি পুকুরের অন্তত ৭৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আখাউড়া উপজেলার খামারিসহ মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পুকুর, দিঘি ও খামারের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৮। এগুলোর মোট আয়তন ৬২১ হেক্টর। এসব জলাশয়ে প্রায় ৫০০ ব্যবসায়ী মাছ চাষ করেন। আর চাষির সংখ্যা ২ হাজার ১০৭। বন্যায় ১২১ দশমিক ৮৬ হেক্টর আয়তনের ৪৩০টি দিঘি, খামার ও পুকুরের সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা মূল্যের মোট ৪৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। আর ১ কোটি ১৫ লাখ পোনা পানিতে ভেসে গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের খামারি বলেন, ‘বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা সামলে ওঠা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। বন্যার পানিতে পাঁচ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করব, বুঝতে পারছি না।’
বন্যার পানিতে প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ার দাবি করেছেন কর্ণেল বাজারের বাসিন্দা বাছির মিয়া। তিনি বলেন, পুকুরে মাছ মাত্র বড় হয়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করতেন। কিন্তু বন্যার পানিতে সব মাছ ভেসে দেড় কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া বলেন, ‘পানি কমলেও আমার পুকুরে আর মাছ নেই। যা মাছ ছিল সব পানিতে ভেসে গেছে। প্রায় এক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।’
এ বিষয়ে ক্ষয়ক্ষতি-সংক্রান্ত প্রাথমিক একটি তালিকা করেছে আখাউড়া উপজেলার মৎস্য কার্যালয়।
আখাউড়া উপজেলার মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারিদের ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
এদিকে কসবা উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বন্যার পানিতে ২০০ পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। এগুলোর আয়তন ৩৮ হেক্টর। ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ ও ১০ লাখ টাকার পোনা পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় জানিয়েছে, সদর উপজেলায় ৬০ হেক্টর আয়তনের ১৪৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ১২ লাখ পোনা ও ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অবকাঠামো ভেঙে যাওয়াসহ বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ায় মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলায় ১১ হেক্টর আয়তনের ৮৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ পোনা ও ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে যাওয়ায় মোট ৫৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, বন্যার পানিতে ৮৬০টি পুকুর প্লাবিত হয়ে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। খামারি ও ব্যবসায়ী মিলিয়ে ৮৬০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
২০ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ইমিগ্রেশন-সংলগ্ন খাল দিয়ে ভারতে থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে শুরু করে। এরপর আখাউড়া উপজেলাসহ পর্যায়ক্রমে কসবা উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়।