চলারপথে রিপোর্ট :
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৬ মে রবিবার বিকালে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদদূস।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস.আর.এম ওসমান গনির সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আব্দুল মান্নান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম।
আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গান কবিতা আবৃতি ও তার জীবনী আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ আয়োজিত পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।
কলেজের রসায়ন বিভাগীয় প্রধান ও পিঠা উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আব্দুল কাদের আলম শাহ্’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ আবু হানিফ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, তারুণ্য হচ্ছে আমাদের বিশাল একটা শক্তি। আগামীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তরুণরাই সহযোগিতা করবে। পিঠা উৎসবে ১৫টি স্টলে প্রায় শতাধিক দেশীয় পিঠা প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে পাপড়ি, ঝিনুক, তালেক কোন, নারিকেল পিঠা, পাক্কন, রেশমী, ঝিল মিল, ডিম সুন্দরী অন্যতম। পরে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অব্যবস্থাপনার দায়ে হলি ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও উন্মুক্ত অবস্থায় মেডিকেল বর্জ্য ফেলে রাখার দায়ে এ জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমদে।
অভিযান শেষে তিনি জানান, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও উন্মুক্ত অবস্থায় মেডিক্যাল বর্জ্য পাওয়া যায়। পাশাপাশি সাধারণ ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন, আলো বাতাসের ব্যবস্থা ও দক্ষ ডিপ্লোমা নার্স পাওয়া যায়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালটিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের সময় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মেডিকেল অফিসার (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আশরাফুর রহমান হিমেল ও জেলা ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. শাহজালাল ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩২৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে ও রাতে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার চান্দপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আবুল হোসেন ও একই উপজেলার কাছাইট গ্রামের মনা মিয়ার ছেলে মোঃ বাদল মিয়া। এর মধ্যে গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে তার কাছে ৩৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
অপর দিকে শনিবার রাত ১০ টার দিকে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে ২৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানায় খুন ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে এবং আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ২১মে রবিবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যেকোনো সভ্য জাতির প্রাণ হলো তার সংস্কৃতি। একটি জাতির বড় শক্তি হলো তার সংস্কৃতি। আমাদের খুবই শক্ত একটা সংস্কৃতি রয়েছে, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এর এলটি রুমে ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়োজিত বৃত্তিপ্রদান, পুরষ্কার বিতরণী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে নববর্ষ এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হচ্ছে। আর এটা বর্তমান সরকারের আমলেই হয়েছে। তিনি বলেন, নববর্ষের যে অনুষ্ঠান তা বাঙালি সংস্কৃতির অনেক বড় একটা পরিচয়। ভাষা সাহিত্য ও অনুশীলন কেন্দ্রের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল সংস্কৃতি সংগঠরের ভালো কাজের সাথে আমি পাশে আছি থাকবো। এসময় তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতির বিকাশে সহযোগিতা করতে বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক এসআরএম ওসমান গণি সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম শফিকুল্লাহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি গৃহায়ন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরও বলেন, সংস্কৃতি চর্চায় কোনো মানুষ বিপদগামী হয় না। আর তাই আমাদেরকে বেশি করে সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। তিনি বলেন, ভাষা ও সাহিত্য একটি দেশের তথা ওই জাতির প্রাণ। আমাদেরকে সেই ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য কাজ করতে হবে। সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে তার গতিচাঞ্চল্য বাড়াতে কাজ করতে হবে। তিনি গর্বভরে বলেন, আমাদের সংস্কৃতি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জায়গা করে নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও প্রফেসর ফাহিমা খাতুন এর নামে প্রবর্তিত বৃত্তি হিসেবে ১০ হাজার টাকা মুল্যমানের চেক ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি অঙ্গনে দীর্ঘ সময় ধরে ভুমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রবীন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আব্দুল মান্নান সরকারকে ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র পুরস্কার প্রদান করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থের ১০ হাজার টাকা মুল্যের একটি চেক এবং ক্রেষ্ট।
সংগঠনের সদস্যদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর আনন্দ মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে আশরাফুল ইসলাম ইজাজ ওরফে আয়াশ আহমেদ ইজাজ (২৩) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে খুনের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়কে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার পর গত বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃংখলা ও মর্যাদা পরিপন্থী এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়কে (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়।
নিহত আশরাফুল ইসলাম ইজাজ কলেজপাড়ার আমিনুল ইসলামের ছেলে। ইজাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও জেলা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী।
গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পৌর এলাকার কলেজপাড়া খান টাওয়ারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে আজ ৬ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ইজাজের লাশ ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে পৌছেনি।
পুলিশ জানায়, দুপুরে ইজাজের লাশ নিয়ে তার স্বজনরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে রওয়ানা হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে ইজাজের হত্যা ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অভিযুক্ত হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়কে গ্রেফতার করতে পারেনি। উদ্ধার করা হয়নি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও।
ঘটনার পর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতা ফারাবী তার হাতে থাকা পিস্তল কোমড়ে নিয়ে সরে যাচ্ছেন। ইজাজকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয় বলে ওই ভিডিওতে ধারণা পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্র ও জেলা ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই ইজাজের বিরোধ চলে আসছিলো।
গত বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট চলাকালে ভোট কেন্দ্রে জয় ও ইজাজের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বিজয়ী হওয়ার খবর পেয়ে তার সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে পৌছলে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয় মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে আশরাফুল ইসলাম ইজাজ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পরে মিছিলে থাকা তার সহপাঠীরা দ্রুত ইজাজকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।
পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকগণও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা নেয়ার পথে সে পথিমধ্যেই মারা যায়।
নিহতের মামাতো ভাই জুনায়েদ চৌধুরী জানান, কলেজপাড়ার বাসিন্দা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জালাল হোসেন খোকার অনুসারী ছিলো জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী ওরফে জয়। সন্ধ্যায় আনন্দ মিছিল চলাকালে খোকার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল নিয়ে এসে হাসান আল ফারাবী ওরফে জয় প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়।
নিহতের চাচা আনিসুর রহমান বলেন, হাসান আল ফারাবী ওরফে জয় প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে ইজাজের মাথায় বামদিক দিয়ে গুলি করে। তখন ইজাজ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। জালাল হোসেন খোকার নির্দেশে জয় ইজাজকে গুলি করেছে।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আরিফুজ্জামান বলেন, ইজাজের মাথার বাম পাশের কানের উপরে মারাত্মক একটি ক্ষত রয়েছে। তার সাথে আসা বন্ধুরা জানিয়েছেন ইজাজের গুলি লেগেছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, নিহত ইজাজ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলো। সে আমার নির্বাচন করেছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে আনন্দ মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, ইজাজ হত্যা ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা হয়নি। তার লাশ ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হচ্ছে। ঘাতক জয়কে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন তল্লাশী চৌকি বসিয়েছে। এখনো তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।