চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় নির্মাণাধীন সেতুর পাশের বিকল্প সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
২৭ মে সোমবার রাত ৩টার দিকে পৌর এলাকার দেবগ্রামের ওই সড়ক ভেঙে ধরখার-আখাউড়া-স্থলবন্দর সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কটি আখাউড়ার প্রধান সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিকল্প সড়ক বন্ধ হয়ে যান চলচাল না করতে পারায় সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আজ ২৮ মে মঙ্গলবার বেলা পাঁচটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সড়কটি দিয়ে যান চলাচলে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারত থেকে আসা পানির তোড়ে সোমবার রাত তিনটার দিকে বিকল্প সড়কটি ভেঙে যায়। এ অবস্থায় নির্মাণাধীন সেতুর উপর দিয়ে লোকজন পার হচ্ছে। তবে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, মূলত পানি যাওয়ার জন্য মাত্র দু’টি পাইপ দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বারবার বলা হচ্ছিল যে অন্তত চারটি পানি দিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। তারা কথা না শোনায় এমনটা হয়েছে।
কথা হয় সেখানে দায়িত্বরত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা কামাল এন্টারপ্রাইজের প্রকৌশলী মো. ওমর ফারুক জানান, তারা প্রয়োজন মতোই পাইপ দিয়েছিলেন। কিন্তু পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। দু’একদিনের মধ্যে ঢালাই কাজ শেষ করলে নতুন সেতু হালকা যানের জন্য খোলে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
তবে আপাতত কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় অবৈধভাবে সরকারি খালের মাটি কাটায় দুই ব্যবসায়ীকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৫ ফেব্রায়ারি সোমবার সন্ধ্যায় জরিমানার অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেন দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত ধরখার ইউনিয়নের কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের তিতাস নদীর বনগজ স্টিল ব্রিজের কাছে অভিযান চালায়।
দণ্ডিত মো. মজিবুর রহমান ও শেখ খোকন মিয়া আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ধরখার গ্রামের বাসিন্দা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে মো.মজিবুর রহমানকে দুই লাখ টাকা ও শেখ খোকন মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি আখ্যা দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফাঁসি ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আখাউড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতাকর্মীরা।
আজ ১৭ আগস্ট শনিবার পৌরশহরের মুক্তমঞ্চে বেলা ১১টা থেকে দুই ঘণ্টা এ কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল ১০টার আগেই আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে সেখান থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় তারা শেখ হাসিনা ও তার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফাঁসি ও তার দোসরদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান ও বক্তব্য রাখেন।
আখাউড়া উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুসলেম উদ্দিন ভূঁইয়া, উপজেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কাজী হাম্মাদুল ওয়াদুদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ রউফ চৌধুরী, রমজান হোসেন, যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি হুমায়ুন কবির, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম রানা, আলমগীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোনো রকমে ঠেলা ধাক্কায় ওপরে ওঠা। এরপর শুরু একের পর ঝাঁকি। মোট ৩৬টা। ততক্ষণ পর্যন্ত ‘ইস’ আর ‘উফ’ আওয়াজ।
বেশি বেকায়দায় পড়লে শোনা যায় হায় হায় শব্দ। পড়ে গেলাম পড়ে গেলাম বলে চিৎকার। দৌড়ে এসে রক্ষার চেষ্টা। রেললাইন ১২টা, ডুয়াল গেজের।
একেকটায় তিনটি করে রেলপাত। সেই হিসাবে মোট ৩৬টি পাত পার হওয়ার সময় প্রতিবারই বেশ ঝাঁকি লাগে। এতে যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রীরা প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রেল ওভারপাসটি ওঠার সময়ও দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার লাল বাজারের একটি লেভেলক্রসিংয়ে প্রতিনিয়ত এভাবেই দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এ লেভেলক্রসিং পার হয়েই যেতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। লেভেলক্রসিংয়ের পরেই রয়েছে বড় বাজার নামে একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ ছাড়া জেলা সদর ও উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এ লেভেলক্রসিং পার হয়ে এলাকায় যান।
সরজমিনে ঘুরে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লালবাজার নামে এলাকার শেষ হতেই লেভেলক্রসিং শুরু।
এক থেকে দেড় শ গজ পার হয়ে ওপারে বড় বাজার। আখাউড়া-লাকসাম ডুয়াল গেজ প্রকল্প নির্মাণের আগে তিনটি রেললাইন পার হয়ে এপার-ওপার যাওয়া যেত। আর এখন মোট ১২টি রেললাইন বসানোয় এটি পার হতে বেগ পেতে হয়। প্রতিটি রেললাইনের পরের জায়গা বেশ উঁচু-নিচু। এ ছাড়া নতুন রেললাইন অনেক উঁচুতে নির্মাণ হওয়ার সেটি সড়ক থেকে বেশ উঁচুতে। যে কারণে ঠেলা-ধাক্কায় যানবাহন ওঠাতে হয়। বাধ্য হয়ে অনেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। কখনো মালবাহী অনেক যান এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, ২৪ ঘণ্টায় অর্ধশতের বেশি ট্রেন এ পথ দিয়ে চলাচল করে। যে কারণে একটু পর পর বেরিয়ার ফেলে রাখা হয় এ লেভেলক্রসিংয়ে। এতে হাসপাতালে জরুরি সেবা নিতে যাওয়া রোগীরা অনেক সময় আটকা পড়ে যান। লেভেলক্রসিং পার হতে গিয়ে বেশ ঝাঁকি লাগে বলে রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে যানবাহন চালকরা এ পথ দিয়ে যেতেও চান না।
দুর্ভোগের বিষয়টি এ প্রতিবেদক একাধিবার নিজেই দেখেন। যানবাহন চড়তে দুর্ভোগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে গত ১৫ জানুয়ারি এ প্রতিবেদক একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে। রাধানগর চৌরাস্তা মোড় থেকে ওই লেভেলক্রসিংয়ে হয়ে স্টেশনে যাওয়ার পথে ঠিকই দুর্ভোগে পড়তে হয়। লেভেরক্রসিংয়ে ওঠার সময় এ প্রতিবেদকের অটোরিকশা আটকে যায়। একপর্যায়ে অটোরিকশাটি পেছন দিকে নামতে থাকলে অস্থায়ী বেরিয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক যুবক টেনে ধরেন।
লেভেলক্রসিং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন আহমেদ এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘উপজেলার একমাত্র হাসপাতাল, একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার এবং জেলা সদর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে যেতে এ সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সড়ক থেকে রেললাইন অনেক উঁচু হওয়া ও অনেকগুলো রেললাইন পার হতে হয় বলে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগের শিকার এলাকার মানুষ এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস করার দাবিতে মানববন্ধনও করেছে। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত বিবেচনায় নেবেন।’
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হিমেল খান বলেন, ‘হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা এ বিষয়ে প্রতিনিয়তই অভিযোগ করেন। নতুন রেলপথ নির্মাণ হওয়ার পর থেকে চলতে গিয়ে তাদের খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে হাড়ভাঙা রোগী, গর্ভবতী নারীদের বেলায় সমস্যা হচ্ছে বেশি। এ পথ ছাড়া হাসপাতালে আসার কোনো বিকল্প রাস্তাও নেই। জনগণের সমস্যার কথা চিন্তা করে এখানে একটি আন্ডারপাস বা ওভারপাস নির্মাণের জন্য এলাকার সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।’
এ বিষয়ে লাকসাম-আখাউড়া ডুয়াল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘রেললাইন পার হতে গিয়ে দুর্ভোগের বিষয়টি এলাকাবাসী বলেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও বিষয়টি অবগত আছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু করার নেই। তবে যত দূর জানি পরবর্তীতে আখাউড়া-সিলেট ডুয়াল গেজ রেললাইন নির্মাণ কিংবা অন্য প্রকল্পে চলাচলের সুবিধার্থে একটি ওভারপাস কিংবা একটি আন্ডারপাসের পরিকল্পনা থাকতে পারে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রীষ্ম আসার আগেই এর প্রভাব পড়লো রেললাইনে। গরমের কারণে সিলেট-ঢাকা পথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আজমপুর স্টেশনের অনতিদূরে ৩ মার্চ রবিবার দুপুরে ১৫ ফুট রেল লাইন বাঁকা হয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা খবর পেয়ে সেটি মেরামত করে দেন। তবে ওই সময়ে কোনো ট্রেন না থাকায় চলাচালে কোনো ধরণের ব্যাঘাত ঘটেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করেছে।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) মো. মেহেদী হাসান তারেক জানান, আজমপুর-মুকুন্দপুর সেকশনে ১৫ ফুটের মতো লাইন বাঁকা হয়ে যায়। রেলপথে দায়িত্বে থাকা লোকজন বেলা দুইটার দিকে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিক ভাবে মেরামত করা হয়। তিনি বলেন, এখনো তেমন গরম পড়েনি। তবে কম গরমেও রেল লাইন বাঁকা হতে পারে। এখন গাড়ির গতি বাড়ানো হয়েছে। যেসব জায়গায় বাঁক আছে সেখানে কম গরমেও লাইন বাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুস্থ প্রখ্যাত আউলিয়া হযরত শাহ্ সৈয়দ আহাম্মদ গেছু দারাজ (র.) প্রকাশ্য শাহ্পীর কেল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফের বার্ষিক ওরশের বিশেষ দোয়া দিবস আজ (সোমবার)।
আজ দিবাগত রাত ১২টায় মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। দোয়া পরিচালনা করবেন মাজার শরীফ জামে মসজিদের খতীব হাফেফ মাওঃ মোঃ লুৎফুর রহমান খাদেম। এর আগে ১০ আগষ্ট থেকে ৭ দিন ব্যাপী বাৎসরিক ওরশ শুরু হয়। ওরশ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার ভক্ত-আশেকান ও সাধারণ মানুষের সমাঘম ঘটেছে মাজার এলাকায়। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত্র পর্যন্ত চলে ধর্মীয় আলোচনা, জিকির, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এছাড়া ধর্মপ্রাণ মানুষ ইবাদত বন্দেগী করে সময় কাটায়।
এদিকে মাজার শরীফের বিশেষ মোনাজাতে শরীক হতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে মাজার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। মাজার শরীফের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। নৌপথের নিরাপত্তায় নৌকা যোগে পুলিশ টহল দিচ্ছে। মাজার সংলগ্ন রেল লাইনে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা রোধে রেলপথসহ রেল সেতুতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও আনসার সদস্য। এছাড়া প্রায় ২’শ খাদেম স্বেচ্ছা সেবকরা ভক্ত-আশেকানদের খেদমতে নিয়োজিত থাকবে। একটি মেডিকেল টিম জরুরী স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত থাকবে। তাছাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছে।
এদিকে মোনাজত উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও মাজার কমিটির সভাপতি মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা এবং আখাউড়া পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
ওরশকে কেন্দ্র করে মাজার এলাকায় মাস ব্যাপী মেলা বসেছে। মেলায় কাঠ, বাঁশ, বেতের আসবাবপত্র, কসমেটিক্স, প্লাস্টিক পণ্য, খেলনাসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছে বিক্রেতারা।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ওরশ উদযাপনে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অফিসারসহ ৬ শতাধিক পুলিশ, আনসার ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। আশা করি বিগত বছরের ন্যায় শান্তিপূর্ণ ভাবে উরশ সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, ওরশের প্রথম দিন গত ১০ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাজার সংলগ্ন রেলপথে ট্রেন দূর্ঘটনায় ৪ জন ভক্তের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।