চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার খন্দকার ওরফে হালিমা নিখোঁজ রয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বিজয়নগর থানায় জিডি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার তার স্বামী এই জিডি করেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত প্রার্থীর কোন খবর পাওয়া যায়নি বলে মাসুদ খন্দকার জানিয়েছেন। তিনি জানান প্রচারণা চালাতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। তবে পুলিশ বলছে বিষয়টি সাজানো হতে পারে। তবে জিডির অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি আসাদুল ইসলাম।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পদ্মফুল প্রতীক) নির্বাচন করছেন। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থীতা ফিরে পান তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগী নিয়ে নির্বাচনি প্রচারনায় যান প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচার করা অবস্থায় দুজন মহিলা বাহিরে আসেন আর প্রীতি ভোটারদের সাথে ভিতরে কথা বলছিলেন। ১০মিনিট ২০মিনিট পার হলেও যখন বের হচ্ছেনা বিধায় দুইজন মহিলা ভিতরে যান। ভিতরে গিয়ে প্রীতিকে খোঁজে পাচ্ছিলো না।
বিষয়টি সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানার ওসি মহোদয়কে অবগত করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীর স্বামী রাতে এসেছিলেন। তাকে নিয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছেন সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রার্থী প্রচারে এসেছিলেন। তবে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে মোঃ জুলহাস (২৫) ও আরমান হোসেন (১৭) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ফেন্সিডিল বহনকারী একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর জিলানী ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জুলহাস বিজয়নগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে ও আরমান হোসেন একই গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিমল কর্মকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ৯৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে জমকালো আয়োজনে বিজয়নগর ডায়াবেটিস সমিতির উদ্বোধন করা হয়েছে৷
২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর বাজারে অবস্থিত ৩ স্টার প্লাজার তিনতলায় অবস্থিত ডায়াবেটিস সমিতির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম।
বিজয়নগর ডায়াবেটিস সমিতির উদ্বোধন করেন বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাছুম৷
বিজয়নগর ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জয় লাল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ হাফেজ মুহাম্মদ সেলিম ভূইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিজয়নগর উপজেলার আহবায়ক জমির হোসেন দস্তগীর, বিজয়নগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. আবু সাঈদ সরকার, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আর এম ও ডা. মো. সুমন ভূইয়া, বিজয়নগর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আফরোজা বেগম, বিজয়নগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াদুল হক বাবু, বিজয়নগর বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কাজী ইকবাল হোসেন৷
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সকলে মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয় ৷দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ সেলিম ভুইয়া৷
এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালসের রিপ্রেজেনটেটিভ ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিসহ সবাই উপস্থিত ছিলেন৷
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি শাহপরান ওরফে পরানকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩ এপ্রিল সোমবার রাতে জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পরানের বিরুদ্ধে ১০টি মাদক মামলা চলমান রয়েছে। তিনি একটি মামলায় পলাতক ছিলেন। পরান উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের উথারিয়াপাড়া এলাকার প্রয়াত নান্নু মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন জানান, পরান তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার একটি মাদক মামলায় পলাতক ছিলেন। সোমবার ভোরে তাকে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা গ্রেফতার করে।
এসময় তার কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা এবং দুটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়। পরে বিকেলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ২০ লক্ষ টাকার অবৈধ মাদকদ্রব্যসহ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল কাশিনগর নির্মল দাসের বাগান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সহ ১ জন আটক করা হয়। ক্যাপ্টেন আমিন ৩৩ বীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর্মি ক্যাম্পের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিজয়নগর থানাধীন সিংগারবিল এলাকা থেকে আটক করা হয়।
আটককৃত যুবক হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার কাশিনগর গ্রামের মোঃ চান মিয়ার ছেলে উজ্জল খাঁ (৩২)। এ সময় ৬৮০ পিস স্কপ,২৫৫ পিস ইয়াবা,৭০কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সে বিজয়নগর উপজেলা কাশিনগর গ্রামে বসবাস করেন।
বিজয়নগর উপজেলা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রওশন আলী জানান, বিজয়নগর থানায় যৌথ বাহিনীর তল্লাশিতে ২০ লাখ টাকার অবৈধ মাধকদ্রব্য সহ উজ্জ্বল খাঁ নামের যুবক কে আটক করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট :
কর্মী সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকে বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানের শত শত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকঢোলসহ মিছিল নিয়ে হাজির সভাস্থলে। উচ্চ শব্দে বাজতে থাকে মাইক। পাশের তিনটি বিদ্যালয়েও এর শব্দ ছড়িয়ে পড়ে। এতে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক পাঠদান। শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে জানালা-দরজা বন্ধ করে ক্লাস নিয়েছেন। এ সমাবেশ চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে এভাবে চলেছে ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশ। ২২ জানুয়ারি রবিবার উপজেলার চম্পকনগর উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজসহ তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবহূত মাঠে এ আয়োজন করা হয়। কলেজ ছাড়াও চম্পকনগর মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে মাঠটি।
কর্মী সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুজন দত্তের সভাপতিত্ব ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খাঁন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মী সমাবেশে হৃদয় আহমেদকে আহ্বায়ক করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জানা গেছে, সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক শব্দদূষণ ও কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ব্যাহত হয় তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক পাঠদান। এতে শিক্ষার্থীরা অস্বস্তিবোধ করে। উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, শব্দদূষণের কারণে তাঁরা ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারেননি। বেশি শব্দ হওয়ায় শিক্ষকরা দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন।
মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মাঠে সমাবেশ হবে জানা ছিল তাঁদের। আয়োজক কমিটি শিক্ষার্থীদের বিষয়টি ভাবেনি। সরকারি দলের হওয়ায় তারা ছিল অসহায়। নিয়ম রক্ষার কারণে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হয়েছে। তবে ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান দস্তগীর দাবি করেন, ক্লাস নিতে তাঁদের কোনো সমস্যা হয়নি।
কলেজ খোলা অবস্থায় মাঠে কর্মী সমাবেশের অনুমতি দিয়েছেন কিনা, জানতে চাইলে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ আবদুস সাত্তার সরকার বলেন, ‘ফোনে এ ব্যাপারে আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারব না। সরাসরি এসে দেখা করেন।’ এ সময় তিনি কল কেটে দিলে পরে চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
চম্পকনগর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাহেলা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে কর্মী সমাবেশের অনুমতি নেওয়া হয়নি। দরজা-জানালা বন্ধ করে ক্লাস নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা এভাবে প্রোগ্রাম করি না। কিন্তু এটা হয়ে গেছে।’ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন বলেন, বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না।
উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ‘সহকারী প্রধান হিসেবে আমি বক্তব্য দিতে পারি না। আপনি প্রধানকে কল দেন।’ তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল জলিলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হোসেন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও পাঠদান চলার সময় মাঠে রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়া ঠিক হয়নি।