অনলাইন ডেস্ক :
‘পানি যখন বাড়ছিল, উপায় না দেখে আম্মা ও ছোট ভাইকে ফ্রিজের ওপর তুলে দিয়ে আমি চৌকির ওপর দাঁড়াই। পানি যখন আমার নাক বরাবর চলে আসে তখন বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। সাহায্য চেয়ে আগে অনেকগুলো পোস্ট দিয়েছিলাম ফেসবুকে। তখন শেষ পোস্টটি লিখি, লাশ উদ্ধার অইমু (হব) হয়তো, জীবিত উদ্ধার অইতে (হতে) পারতাম না…হয়তো এইটা শেষ পোস্ট।’
বন্যার পানিতে পরিবারসহ আটকে পড়ে মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখা মো. সাজ্জাদুর রহমান সাজন গণমাধ্যমের কাছে ভয়াবহ রাতের বর্ণনা এভাবেই দিচ্ছিলেন। রাতে উদ্ধার হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে যখন বর্ণনা দিচ্ছিলেন, তখনো তার গলা কেঁপে কেঁপে উঠছিল।
সাজন বললেন, ‘পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস যখন ব্যর্থ হয়েছে তখন এলাকার ভাইয়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের বাঁচিয়েছেন।’
টানা বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে সিলেট জেলার পাঁচ উপজেলা কমবেশি বন্যাকবলিত।
এর মধ্যে সবচেয়ে আক্রান্ত জৈন্তাপুর। উপজেলায় বুধবার রাতে নিজ ঘরে আটকা পড়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন সাজন ও তার পরিবার। এ সময় সাহায্য চেয়ে তিনি একের পর এক ফেসবুকে পোস্ট দিতে থাকেন। বিষয়টি তখন জৈন্তাপুরের সীমানা ছেড়ে মধ্যরাতে সিলেটজুড়ে আলোচিত হয়ে ওঠে।
বুধবার (২৯ মে) রাত ৯টা ১৮ মিনিটে সাহায্য চেয়ে প্রথম পোস্টটি দেন সাজন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমি দৌলা চেয়ারম্যানের ভাতিজা, দিলু মিয়ার পোয়া (ছেলে) বাড়ি ফেরীঘাট, আমরারে কেউ বাঁচাও, আমরার মরণ সামনে কেউ বাঁচাও আমরারে। মা ভাই লইয়া আটকি গেছি (মা, ভাইসহ আটকা পড়েছি)।’
সাজনের বাড়ি থেকে খানিকটা দূরত্বে ফেরিঘাট। প্রথম পোস্ট দেওয়ার পাঁচ মিনিট পর আক্ষেপ প্রকাশ করে দ্বিতীয় পোস্ট দেন, ‘হায়রে ফেরীঘাটের নৌকা, একটা নৌকা নাইনি বাছাইবার লাগি (একটা নৌকা নেই কি বাঁচানোর জন্য)।
’ রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে তৃতীয় পোস্টে তিনি বাঁচার আকুতি জানিয়ে লেখেন, ‘অনেক স্রোতের কারণে কেউ উদ্ধারের জন্য আসতে পারছে না, সুন্দর এই ভুবনে বাঁচার অনেক ইচ্ছা।’
এর ২৯ মিনিট পর লেখেন, ‘এখনো কেউ উদ্ধারে আইছে না (আসেনি)।’ এই পোস্টের কমেন্টে স্থানীয় অনেকে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে তারা এসেছেন বলে জানান। এ সময় ইউএনও আসেন পরিবারটিকে উদ্ধার করতে। শাকিল আহমদ নামের একজন ওই কমেন্ট বক্সে জানান, ব্রিজের পূর্ব পাশের নৌকা ব্রিজ পার হচ্ছে না, ফেরিঘাটের দক্ষিণের নৌকা প্রবল স্রোতের জন্য পার করা যাচ্ছে না। হরিপুর থেকে একটি নৌকা আসছে গাড়িতে করে।
শতাধিক কমেন্টে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। রাত ১১টা ৮ মিনিটে সাজন জীবনের আশা ছেড়ে দিয়ে লেখেন, ‘লাশ উদ্ধার অইমু (হব) হয়তো, জীবিত উদ্ধার অইতে পারতাম না (হতে পারব না), হয়তো এইটা শেষ পোস্ট।’ তার এ পোস্ট কয়েক হাজার মানুষকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দেয়।
পাহাড়ি ঢলের জন্য তীব্র স্রোতের কারণে সাজন ও তার পরিবারকে উদ্ধারে যাওয়া যাচ্ছিল না। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ গিয়ে চেষ্টা করেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছিল না। স্রোতের তীব্রতার কারণে কোনো নৌকা উদ্ধারে যেতে সাহস করছিল না। পরে স্থানীয় কয়েকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের উদ্ধারে যান। রাত দেড়টার দিকে তারা নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছতে সক্ষম হন। রাত ১টা ৩৯ মিনিটে সাজন পোস্ট দেন ‘আলহামদুলিল্লাহ আমি আর আমার পরিবার উদ্ধার।’ সেখানে হাজারখানেক মানুষ স্বস্তির কথা জানিয়ে কমেন্ট করেন।
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা মো. সাজ্জাদুর রহমান সাজন বলেন, ‘পানি বাড়ছিল। ফেসবুকে বারবার পোস্ট দিয়ে সাহায্য চাইলেও কেউ আসতে পারছিল না। তীব্র স্রোতের কারণে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ প্রশাসন ফিরে গেছে। পরে এলাকার ভাইয়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র স্রোতের মধ্যে আমাদের বাঁচাতে আসেন। হরিপুরের মামুন ভাই, কমলাবাড়ির ময়না ভাইসহ বেশ কয়েকজন আসেন। পরে রাত ৪টার দিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।’ আটকে পড়ার মুহূর্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কল্পনাও করিনি বেঁচে ফিরতে পারব।’
বন্যার পানি বাড়তে শুরু করার পরও কেন আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে বাড়ি থেকে গেলেন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সারা জীবন দেখে এসেছি সকালে পানি বাড়লে বিকেলে কমে যায়। এখানে তো জোয়ারের (পাহাড়ি ঢলের) পানি। এত দীর্ঘ সময় ধরে আর এত দ্রুত পানি বাড়বে এটা আমরা জীবনেও ভাবিনি।’
রাতের ভয়াবহ পরিস্থিতি বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধের চেষ্টা করছিলাম বারবার। কিন্তু ওটা স্পর্শ করলেই বিদ্যুৎ ঝাঁকি দিচ্ছিল। এ রকম পরিস্থিতিতে একসময় আমার নাক পর্যন্ত যখন পানি চলে আসে তখন ধরেই নিয়েছিলাম মৃত্যু সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
২৩ বছর বয়সী সাজন জানান, তিনি স্থানীয় একটি কলেজে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। তার বাবা দিলু মিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ২০১২ সালে মারা যান। মা আর ১৫ বছর বয়সের ভাইকে নিয়ে তার সংসার।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, ‘এ রকম পাহাড়ি ঢলের সময় স্রোত কী পরিমাণ বাড়ে সেটা উনার জানা ছিল। তার এভাবে বাড়িতে থাকা ঠিক হয়নি। রাতে আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়াঘাট এলাকায় যাই। কিন্তু পানির স্রোত এত তীব্র ছিল যে অনেক চেষ্টা করেও কোনো নৌকা বা মাঝি ম্যানেজ করা যায়নি।’
মাঝিরা কেউ জীবন ঝুঁকিতে ফেলে উদ্ধারে যেতে চাচ্ছিল না জানিয়ে ওসি বলেন, ‘বড় নৌকাও যেতে রাজি হচ্ছিল না। তারা বলছিল, আমরা গেলে আমরা মারা পড়ব।’
তিনি আরো বলেন, ‘তখন আমি স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাদ্দাম সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধারের অনুরোধ করি। তখন তিনি বলেন, তিনিও তার বাসার দ্বিতীয় তলায় আটকা পড়েছেন। তবু চেষ্টা করবেন। পরে রাতে স্থানীরা তাদের উদ্ধার করেন।’ সূত্র : কালেরকণ্ঠ
চলারপথে রিপোর্ট :
বরিশালে পুলিশের পৃথক ৩টি অভিযানে ১ হাজার পিস ইয়াবা এবং ৪ কেজি গাঁজাসহ ৫ জন আটক হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এই অভিযান চালায় বিএমপি’র বিমানবন্দর এবং কাউনিয়া থানা।
আজ বুধবার বিএমপি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দর থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সোনা মিয়ারপুল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ মো. সাইফুল ইসলাম অপূর্ব (৩০) নামে একজনকে আটক করে। আটক সাইফুল ঝালকাঠীর নলছিটি ডিগ্রি কলেজ এলাকার বেপারী বাড়ির আবদুল বারেক বেপারীর ছেলে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ আটক সাইফুলের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেছে।
এদিকে একই রাতে নগরীর কাউনিয়া থানা পুলিশ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটিখানা পূঁজা মন্দির এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ কেজি গাঁজাসহ নগরীর পলাশপুর গুচ্ছগ্রামের আজিজ বেপারী (৬৫) এবং সদর উপজেলার চরকাউয়া হিরন নগরের আমান খানকে (৫৪) আটক করে।
অপরদিকে একই রাতে কাউনিয়া থানার আরেকটি দল ওই রাতে নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর নতুন ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকেরগঞ্জে মো. সুমন হাওলাদার (২৬) ও বন্দর থানার মুসলিমপাড়ার মোসাম্মাত লাকী আক্তারকে (৩৩) ২ কেজি গাঁজাসহ আটক করে। গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় কাউনিয়া থানায় পৃথক মামলা দায়ের করে অভিযুক্তদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে বিএমপি’র প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর পর ফের ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু করা হয়েছে। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর বনানীতে এ দূতাবাসের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে সঙ্গে নিয়ে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এ দূতাবাস উদ্বোধন করেন। এ সময় দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ।
দূতাবাস উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের মুহূর্ত। এটি কেবল একটি কূটনৈতিক বিষয় নয়, এটি আবেগপূর্ণ মুহূর্ত।
তিনি আরো বলেন, এই দূতাবাসের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে। পুনরায় দূতাবাস চালুর ফলে দুই দেশের সম্পর্কেও উন্নতি হবে।
১৯৭২ সালে আর্জেন্টিনার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বাংলাদেশ। এরপর ঢাকায় দেশটির দূতাবাস খোলা হলেও ১৯৭৮ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ভারতের দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক কার্যক্রম এবং ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা দূতাবাস খোলা হয়। কিন্তু এর কয়েক বছর পরই জান্তা সরকারের সময় অ্যাম্বাসি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বাংলাদেশের মানুষ আর্জেন্টিনার জন্য অনবরত ভালোবাসা দেখিয়ে গিয়েছে। তারা আর্জেন্টিনাকে ভুলে যায়নি। এজন্য আমরা আবারও বাংলাদেশে দূতাবাস চালু করছি।
এর আগে নতুন দূতাবাসের উদ্বোধন এবং বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও গভীর করতে আজ সোমবার সকালে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো ঢাকায় আসেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। এটাই আর্জেন্টিনার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর।
আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
এবার জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচিত-সমালোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং সাবেক সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে আদাবর থানায় মামলাটি রুজু হয়।
আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই মামলার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছুড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ আগস্ট মারা যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লায় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স পুলিশসহ অংশীদারি সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটদের সেতুবন্ধ সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর হবে।
বিচার বিভাগের সব অংশীদারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা সহজ হবে। ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে পুলিশকে যথাযথভাবে গ্রেফতার ও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । এছাড়াও আসামি গ্রেফতার মালামাল জব্দ বিষয়ে যথাযথ ভাবে আইন অনুসরণ করে কাজ করার জন্য কুমিল্লা জেলার সকল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং সংশ্লিষ্টদেরকেনির্দেশনা দেওয়া হয়।
কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কনফারেন্স রুমে আজ ১৩ মে শনিবার আয়োজিত ‘পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি সম্মেলন-২০২৩’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
সম্মেলনে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.সোহেল রানা।
এছাড়া সভায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জনের প্রতিদিন ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিভিন্ন পর্যায়ের ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি), কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা পরিচালকদের প্রতিনিধি, র?্যাব ১১-এর প্রতিনিধি এবং বিজিবি-১০ এর প্রতিনিধি ও কুমিল্লা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক, কুমিল্লা সিনিয়র জেল সুপার, কুমিল্লা জেলার সকল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গণ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরসহ কুমিল্লা জেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।