চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে নদী থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের আজবপুর বাজারের পাশে মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম।
তিনি জানান, সকালে উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের আজবপুর বাজারের পাশে মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তির (পুরুষ) লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। তার নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তার শরীরেও আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তার বয়স আনুমানিক ৩৮ হবে।
ওসি আরো বলেন, মৃতের মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিশেষ প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি । নির্বাচনে বিএনপির দলছুট নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াসহ চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে টাকা ও শিক্ষায় আবদুস সাত্তার এবং মামলার দিক থেকে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ। চার বছরে সাত্তারের নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে তিন গুণের বেশি।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে আবদুস সাত্তার ছাড়া বাকি তিন প্রার্থী আগে কখনো সংসদীয় নির্বাচনে অংশ নেননি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য উপনির্বাচন উপলক্ষে জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
চার বছর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় জমা দেওয়া হলফনামায় সাত্তার জেলা শহরের একতলা পাকা ভবনের মূল্য ১০ লাখ টাকা উল্লেখ করেছিলেন। তবে এবারের হলফনামায় তিনি একই ভবনের মূল্য উল্লেখ করেছেন পাঁচ লাখ টাকা। এ ছাড়া সরাইলে তাঁর ২৭ কানি (৩০ শতকে এক কানি) জমির অর্জনকালীন দাম ২৭ হাজার ও বিয়েতে উপহার পাওয়া ৪০ ভরি সোনার দাম ৪০ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন তিনি।
হলফনামা অনুযায়ী, দু’জন প্রার্থী উচ্চশিক্ষিত। তাঁদের মধ্যে সাত্তার স্নাতকোত্তর ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল হামিদ এলএলবি পাস। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ উচ্চমাধ্যমিক ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম স্বশিক্ষিত।
প্রার্থীদের হলফনামায় দেখা গেছে, সাত্তারের পেশা আইনজীবী। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০৯ ও ২০১০ সালে মামলা হলেও ২০২১ সালে তা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে বর্তমানে তাঁর কাছে নগদ ১ কোটি ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫২ টাকা আছে। কিন্তু একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তাঁর কাছে নগদ ছিল ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪ টাকা। অর্থাৎ চার বছরে তাঁর নগদ টাকা বেড়েছে ৭০ লাখ ২০ হাজার ৪০৮ টাকা।
গত নির্বাচনের সময় সাত্তারের দুটি ব্যাংকে জমা ছিল ৮ লাখ ৯২ হাজার ৪০৬ টাকা। বর্তমানে ব্যাংকে জমা আছে ১৮ হাজার ৯২২ টাকা। অর্থাৎ চার বছরে ব্যাংকে জমার পরিমাণ কমেছে। এবারের হলফনামায় গাড়ির জায়গায় তিনি ‘প্রযোজ্য নয়’ উল্লেখ করলেও গতবারের হলফনামায় তিনি প্রায় ১৪ লাখ টাকার একটি ১৫০০ সিসির গাড়ির কথা উল্লেখ করেছেন। হলফনামায় সংসদ সদস্য হিসেবে সাত্তার বাৎসরিক সম্মানী ভাতা ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা পেতেন। এবার ব্যবসা থেকে কোনো আয় না দেখালেও গত নির্বাচনের সময় ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৪ লাখ ৫২ হাজার ৮০৬ টাকা।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী হামিদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। পেশায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। কৃষি খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ২৫ হাজার ৫০০ টাকা। ব্যবসা থেকে তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয় পৌনে চার লাখ টাকা। আইন পেশা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ৭০ হাজার ৭০০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর জমা আছে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। নিজের নামে সোনা আছে ৪০ ভরি ও স্ত্রীর নামে আছে ৩৭ ভরি। নিজের নামে মূলধন আছে ২ লাখ ১২ হাজার ৩৮৯ টাকা এবং স্ত্রীর কাছে আছে ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ টাকা। তাঁর ৯০ হাজার টাকা দামের একটি মোটরগাড়ি এবং সরাইলে ১০ বিঘা কৃষিজমি আছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা চলমান। তাঁর পেশা ব্যবসায়। তাঁর বার্ষিক আয় বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে ৮ লাখ ৪২ হাজার ২০০ এবং ব্যবসা থেকে ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার ১২০ টাকা। তাঁর কাছে নগদ আছে ১০ লাখ ৫২ হাজার টাকা। তাঁর ১৬ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রাইভেট কার, নিজের নামে ১১ লাখ টাকার সোনা এবং স্ত্রীর নামে ৬০ হাজার টাকা ও ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার আসবাব আছে। আশুগঞ্জে তার ৫ শতাংশ জমির ওপর একটি বাড়ি আছে। প্রিমিয়ার ব্যাংকে ৭৬ কোটি ৪৭ লাখ ৫৬ হাজার ৬৫১ টাকার তাঁর দায়দেনা আছে।
জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুলের নামে মামলা নেই। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তাঁর কাছে নগদ ২ লাখ ও ২ লাখ টাকার সোনা আছে। স্ত্রীর কাছে নগদ ২ লাখ ও ২ লাখ টাকার সোনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর নামে পৈতৃক সম্পত্তি আছে ৩০ শতক। ব্যবসার পুঁজি হিসেবে প্রায় ১৮ লাখ টাকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন। বুধবার বিকেলে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর মিয়া (২৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলার বিজয়নগরের ইসলামপুর শশই এলাকার সামছু মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খাটিখাতা হাইওয়ে থানার ওসি আশীষ কুমার সার্নাল জানান, বিকেলে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় একটি কাভার্ডভ্যান পথচারী জাহাঙ্গীর মিয়াকে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসৎক মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ২১ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন আজ ১৫ এপ্রিল সোমবার বিকালে সরাইল উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন বিএনপি নেতা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন মাস্টার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু, সমাজসেবক মো: জামাল মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এডভোকেট মোখলেছুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মো. নাজিম উদ্দিন ভাসানী, সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. শের আলম মিয়া, শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউপি যুবলীগের সাবেক সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাজ্জি, মোহাম্মদ শাহেদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্য নির্বাহি কমিটির সদস্য ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো: আবু হানিফ মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও সেলিম খন্দকার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সেলিম খন্দকার।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন হানিফ আহমেদ, কাউছার মিয়া, মো: আলতাফ হোসেন, মো: হোসেন মিয়া ও মো: এনাম খান।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন শামীমা আক্তার, আবেদা বেগম, রোকেয়া বেগম ও মো: শিরিনা আকতার।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৮ মে সরাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল।
নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই প্রার্থীরা গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, মহল্লা ও পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ভোটারদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছেন প্রার্থীগণ। মতবিনিময় সভা করে প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও বসে নেই। নিজ নিজ প্রার্থীতার সমর্থনে জনগণের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তারাও।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের সীল-সাক্ষর জালিয়াতি
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পীকে (২৯)কে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্তকারী সংস্থা (সিআইডি)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারকের সীল ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে গতকাল সোমবার ভোরে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রাব্বি উপজেলার নিজ সরাইল গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে।
গতকাল সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিআইডির পুলিশ সুপার শাহরিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারকের সীল-সাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে মোটর সাইকেলের লাইসেন্স করে আসছিল। সম্প্রতি একটি মোটর সাইকেল আটকের পরে দেখা যায় ওই মোটর সাইকেলের সীল ও সাক্ষর ভূয়া। পরে ওই চক্রের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পী ৫নং আসামী। সোমবার ভোরে তার নিজ বাড়ি থেকে বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাৎ হোসেন শোভনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাপ্পীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।