অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ হাজারে পৌঁছেছে। শুধু তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ হাজার ৮৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আর সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার ৫৫৩ জন।
৭ দশমিক ৮ মাত্রার গত সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৯৯৯ সালে ১৭ হাজারের বেশি মৃত্যু হওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিবিসি জানায়, দুই দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের মরদেহ উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
শুক্রবার এক ঘোষণায় হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর থেকে তারা সিরিয়ার উত্তর ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে টানা ১০৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ চালিয়েছে, এরপর ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়া জীবিত আর কেউ নেই বলে বিশ্বাস তাদের।
সিএনএন জানিয়েছে, তুরস্কের জরুরি বিভাগের কর্মীরা এখনও জীবিতদের ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আর বেশি কিছু সাফল্য পেয়েছেন তারা, যদিও সেসব অভিযান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টকর ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, তীব্র শীত ও তুষারপাতের কারণে ‘পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক ও ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠতে থাকায় জীবিতদের মধ্যে যারা গৃহহীন ও আশ্রয়হীন অবস্থায় আছেন তারা দ্বিতীয় আরেকটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারেন।
ডব্লিউএইচও’র ব্যবস্থাপক রবার্ট হোল্ডেন বলেছেন, ‘বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে ভয়াবহ অবস্থায় বসবাস করছে। আশ্রয়, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন তারা। এ পরিস্থিতি আরেকটি বিপর্যয় ডেকে আনবে, যা ভূমিকম্পের চেয়েও আরও বেশি মানুষের ক্ষতি করবে।’
গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সূত্র : বিবিসি
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের নির্দেশনা অনুযায়ী, বর্তমান সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতারা আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে তাদের কেস পিপিএলে স্থানান্তর করতে পারবেন। যারা একবারেই নতুন, তারা ১ মার্চ থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে বারবার বর্তমান সেবাগ্রহীতাদের নিবন্ধন পিপিএলের সঙ্গে করার জন্য বলা হয়েছে। যারা এই স্থানান্তর করবেন না, তারা পরবর্তী সময়ে কী ধরনের সমস্যায় পড়বেন, তা এখনো স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না। তবে এই মুহূর্ত পর্যন্ত এটাই নিয়ম, সিডিপ্যাপের সেবাগ্রহীতারা তাদের একই রকম সেবা ও সুযোগ ধরে রাখতে চাইলে তাদেরকে পিপিএলের অধীনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখন পর্যন্ত অন্য কোনো বিকল্প নেই। ডেডলাইন ১ এপ্রিল ধরেই কাজ চলছে। তবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজার সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ। সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতাকে পিপিএলের সঙ্গে যাওয়ার জন্য কিছু নথিপত্রে সাইন করতে হবে। এখন যারা রেজিস্ট্রেশন করছেন, তাদের সেবা প্রদানের বিষয়টি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে যারা হোম কেয়ার সেবা দিচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই সেবাগ্রহীতাদের পরামর্শ দিচ্ছেন এখনই পিপিএলে স্থানান্তর না করতে। তারা অপেক্ষা করার জন্য বলছেন। সে হিসেবে অনেক সেবাগ্রহীতাই সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করছেন। যেসব সেবাগ্রহীতা সিডিপ্যাপের মাধ্যমে সেবা পাচ্ছেন, তাদের পরিবার-পরিজনের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছেন, তারা চাইছেন পিপিএল হোক বা এখন তিনি যেভাবে সেবা পাচ্ছেন ও তার সেবাদাতা যে সুবিধা পাচ্ছেন, সে ধরনের সেবা ও সুবিধা বহাল রাখতে। বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোম কেয়ার এজেন্সিগুলোর বেশির ভাগই বলছে, ২৮ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর করলেই হবে। একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোম কেয়ার এজেন্সিগুলো তাদের রোগীদের নিয়েই পিপিএলের অধীনে যাবে। সে ক্ষেত্রে একেকটি এজেন্সি তাদের মতো করে পিপিএলের সঙ্গে সমঝোতা করবে।
২৫ জানুয়ারি নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে নতুন একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেখানে পিপিএলের অধীনে সেবাগ্রহীতাদের কেস স্থান্তান্তর করার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে নিউইয়র্কার্স স্টেটওয়াইড সিডিপ্যাপের ট্রান্সজিন প্রোগ্রেসের বিষয়ে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ মেডিকেড কনজিউমার নির্দেশিত ব্যক্তিগত সহায়তা প্রোগ্রামকে (সিডিপিএপি) একক আর্থিক মধ্যস্থতাকারীতে (এফআই) স্থানান্তরিত করছে। নতুন এফআই হলো পাবলিক পার্টনারশিপ এলএলসি (পিপিএল)। কেস স্থানান্তরের বিষয়ে বলছে, পিপিএলে রূপান্তর শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এবং সব গ্রাহককে অবশ্যই এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর করতে হবে। নিবন্ধনকরণ বিষয়ে বলছে, নতুন গ্রাহক এবং ব্যক্তিগত সহকারীরা ১ মার্চ থেকে পিপিএলের সঙ্গে নিবন্ধন করতে পারেন। ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষার বিষয়ে বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর জোর দেয়, সমস্ত ব্যক্তিগত ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়াজুড়ে সুরক্ষিত থাকবে। তদারকির বিষয়ে বলছে, একক স্টেটব্যাপী এফআই কাঠামো প্রোগ্রামটির তদারকি উন্নত করবে, জালিয়াতি হ্রাস করবে এবং আইনগুলোর সঙ্গে সম্মতি উন্নত করবে। রূপান্তর সুবিধার বিষয়ে বলছে, একক এফআই কাঠামো প্রোগ্রামে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে আসবে। আর একক এফআই কাঠামো আরও ভালো প্রতিবেদন এবং আইনগুলোর সঙ্গে সম্মতি সক্ষম করবে।
নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ আপডেটস নিউইয়র্কারদের স্টেটব্যাপী সিডিপ্যাপ ট্রানজিশন প্রগ্রেসে দেখা যাচ্ছে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজারেরও বেশি গ্রাহক হয়েছেন, যারা নিবন্ধনকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বা শেষ করেছেন। নিবন্ধনকরণ উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত হতে থাকবে। ১ এপ্রিল লক্ষ্যপূরণের জন্য নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ বিষয়গুলো মনিটরিং করবে।
স্টেট স্বাস্থ্য কমিশনার ডা. জেমস ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, এই রূপান্তরটি পরিকল্পনা অনুসারে এগিয়ে চলছে এবং আমরা ১ এপ্রিল সময়সীমা পূরণের জন্য ট্র্যাকে রয়েছি। পাবলিক পার্টনারশিপস এলএলসির সঙ্গে আমাদের অংশীদারির মাধ্যমে ১১টি ইন্ডিপেডেন্ট লিভিং সেন্টারসহ ৩০টিরও বেশি ফ্যাসিলেটর রয়েছে। আমরা নিউইয়র্কারদের জন্য আরও শক্তিশালী, আরও টেকসই ভোক্তা নির্দেশিত ব্যক্তিগত সহায়তা কর্মসূচি সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। যারা তাদের প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়ার যোগ্য, তারা যত্ন নেওয়ার উপযুক্ত সেবা পাবেন তাদের বাড়িতে।
নিবন্ধন করার জন্য ফোন করা যাবে ১-৮৩৩-২৪৭-৫৩৪৬ বা টিটিওয়াই : ১-৮৩৩-২০৪-৯০৪২-এ। পিপিএলের সমর্থন কেন্দ্রকে কল করতে হবে এবং পিপিএলের সদস্য প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করবেন। কেউ চাইলে পিপিএলএফআরএসটি.কম/সিডিপ্যাপ-তে পিপিএলের ওয়েবসাইটে গিয়ে পিপিএল@হোম অ্যাক্সেস করা যাবে। পিপিএল বা আইএলসিএসসহ অন্য কোনো অনুমোদিত সিডিপ্যাপ সুবিধার্থীর সঙ্গে কাজ করতে পারবেন, যারা প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে গাইড করতে পারে। অনুমোদিত সিডিপ্যাপ সুবিধার্থীদের একটি তালিকা রয়েছে সিডিপিএপি ফ্যাসিলেটর পিপিএল ফার্স্ট, সেখানে যে যার পছন্দ সেসব এফআইকে বেছে নিতে পারেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্থানীয় সময় আজ ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার তুরস্ক ও সিরিয়ায় অন্তত ৫ হাজার ২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় বলেছেন, তুরস্কের মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪১৯ এ পৌঁছেছে।
কমপক্ষে ২০ হাজার ৫৩৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তুরস্কে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। এই কর্মকর্তা যোগ করেন, ২৫ হাজার কর্মী উদ্ধারকাজ করছেন।
উদ্ধারকারীরা আহতদের পরিবহন ও অনুসন্ধান অভিযানে সহায়তার জন্য কমপক্ষে ১৮টি জাহাজ ও ৫৪টি বিমান ব্যবহার করছে।
এদিকে সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০২-এ।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবারের ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার ৬৪৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবারের শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে। অনেক ভবন ভেঙে পড়েছে। অনেকে ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন। উদ্ধারকাজ চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে দেশটির উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার সারাংপুর গ্রামে মোবাইল থেকে চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণীর। তার নাম নিতু (২২)। ১ নভেম্বর রবিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে বাড়িতে নিজের মোবাইল ফোনটি চার্জের জন্য বসিয়েছিলেন নিতু নামের ওই তরুণী। চার্জ হয়ে যাওয়ার পরে ফোন থেকে চার্জার খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তার চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে পরিবারের বাকিরা ছুটে আসেন। দেখা যায়, ফোন হাতে কাঁপছেন নিতু। দ্রুত লাঠি জোগাড় করে মোবাইল ফোন থেকে তাকে আলাদা করা হয়।
এরপর মেঝেতেই পড়ে যান তরুণী। তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে কীভাবে চার্জার থেকে ওই তরুণী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন, তা স্পষ্ট নয়। ওই চার্জারের কোনও তার বেরিয়ে ছিল কি না, কোনও অংশ ছেঁড়া ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোবাইল খুলতে যাওয়ার সময়ে তরুণীর হাত ভেজা ছিল কি না তাও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় এসএইচও সঞ্জয় সিংহ জানান, হাসপাতালে মৃত অবস্থাতেই নিয়ে আসা হয়েছিল ওই তরুণীকে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি থানায়। সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস
অনলাইন ডেস্ক :
ফেসবুকের স্বত্বাধিকারী মেটাকে রেকর্ড ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউরো (১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়ারল্যান্ডের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবহারকারীদের তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের দায়ে এ জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গেছে আল জাজিরার খবরে।
ইউরোপিয়ান ডাটা প্রটেকশন বোর্ড (ইডিপিবি) প্রশাসনিক জরিমানা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে।
আজ ২২ মে সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হয়ে কাজ করা আইরিশ ডাটা প্রোটেকশন কমিশন (ডিপিসি)।
ইডিপিবি এমন নির্দেশের জবাবে মেটা বলছে, তাদের আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। এতে তারা হতাশ। রায়টি ত্রুটিপূর্ণ এবং অন্যায়ভাবে দেওয়া হয়েছে। অগণিত অন্যান্য কোম্পানির জন্য এতে ভয়াবহ নজির সৃষ্টি হলো।
ফেসবুকের স্বত্বাধিকারী এই প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ ও চিফ লিগ্যাল অফিসার জেনিফার নিউস্টেড এক ব্লগ পোস্টে বলেন, এই জরিমানার আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন।
প্রসঙ্গত, সাধারণ তথ্য সুরক্ষা রেগুলেশনের আওতায় এটি সবচেয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা। ২০২১ সালে লুক্সেমবার্গে আমাজনকে ৭৪৬ মিলিয়ন ইউরো (৮০৭ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস বিন আতিক। বিশ্বের ১২৩টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে তিনি প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। গত বুধবার রাতে বাংলাদেশ সময় ৯টায় প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস বিন আতিকের বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান জানিয়েছেন।
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ‘মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার’ ছাত্র হাফেজ আনাস বিন আতিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামের হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমানের একমাত্র ছেলে।
হাফেজ আনাসের বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান ঢাকার লালবাগ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে একটি প্রাইভেট মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন। পারিবারিকভাবে ৪ সন্তানের মধ্যে হাফেজ আনাস তার একমাত্র পুত্রসন্তান।
মেধাবী হাফেজ আনাস ইতোপূর্বে আরটিভিতে অনুষ্ঠিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ আনাস বিন আতিক প্রথমস্থান অর্জন করার খবরে এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। হাফেজ আনাসের এ অসাধারণ সাফল্য অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাসের বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আবেগাপ্লুত কন্ঠে তিনি বলেন, সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১২৩টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে আমার ছেলে হাফেজ আনাস প্রথম হওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। গতকাল রাতে ফলাফল ঘোষণার পর আমরা খবরটি জানতে পেরেছি। বর্তমানে হাফেজ আনাস তার ওস্থাদদের সঙ্গে সৌদি আরব অবস্থান করছে। আল্লাহর রহমতে শিগগিরই তারা দেশে ফিরবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, আমার ছেলে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে বিশ্ব দরবারে দেশের সুনাম অর্জন করায় আমি আনন্দিত। দেশবাসীর কাছে তিনি তার ছেলের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।